"হোক না সেটা খারাপ"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।প্রতিদিনের অসহ্য গরমে ক্ষুব্ধ পৃথিবী,প্রতিদিন সকাল বিকাল ঝড়-বৃষ্টি হয়েই চলেছে।এক বিরক্তিকর পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা গরম থেকে শান্তির আভাস কিন্তু মেলে।যাইহোক আজ আমি নতুন একটি বিষয় নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করবো।সেটি হলো-"হোক না সেটা খারাপ"।
🥺হোক না সেটা খারাপ🥺
বন্ধুরা, আমি এখানে সমগ্র কাজের বিষয়কে বোঝাতে চাইছি আমার সল্প জ্ঞান দ্বারা।আসলে পৃথিবীর সব কাজ সবাই করতে পারে না, বা সবাই সকল কাজে সমান পারদর্শী হতে পারে না।কোথাও কোথাও অসম্পূর্ণ থেকেই যায় যেটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।যেমনটা আমরা আমাদের জন্মগ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গেই হাঁটতে শিখি না,কথা বলতে পারি না ঠিক তেমনই।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে শিখি সবকিছু এবং বেড়েও উঠি।তারপর একটু একটু করে পথচলা, কথা বলা এবং স্বপ্নের মতো অনুভূতিগুলিকে মনে স্থান দেওয়া আর সবশেষে সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করে তারপর শেষমেশ পূরণ করা।এক্ষেত্রে আমাদের অনেকগুলি স্তর বা ধাপ পার হতে হচ্ছে।তার জন্য সময়ের প্রয়োজন একদিনে বা এক মুহূর্তে সেটা কখনোই সম্ভব নয় বা সেইরকম ভাবাটা ও নিতান্তই বোকামি।আর এইসব কাজ আমরা তখনই করতে পারবো।তার জন্য প্রয়োজন-----
1.মনোবল বৃদ্ধি
2.খারাপ থেকেই ভালোর আভাস
■মনোবল বৃদ্ধি
আমরা বড়ো বড়ো মানুষের জীবন পর্যালোচনা করলে দেখতে পাবো-
1.যেকোনো বড়ো কাজের পিছনে দীর্ঘসময় দিতে হয়েছে।2.অনেকটা ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে হয়েছে।
3.অনেকগুলো ধাপ পেরোতে হয়েছে।
4.অনেক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হয়েছে,
5.দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হয়েছে,
6.জানতে হয়েছে ও
7.সবশেষে শিখতে হয়েছে।সমগ্র মন সেই কাজে লাগিয়ে তবেই সে সেই কাজে সফলতা পেয়েছে।একটা কাজ করার পিছনে বহু ধাপ পার হতে হচ্ছে।এমনটাও দেখা গেছে তারা তাদের কাজে এতটাই আগ্রহী যে,সমগ্র জীবন সেই কাজের পিছনে অতিবাহিত করে গেছেন।সেক্ষেত্রে আমরা ওতো বড়ো কাজের সমাধান করতে না পারলেও ছোট ছোট কাজগুলো হামেশাই শিখতে পারি যদি আমাদের আগ্রহকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে প্রাধান্য দিতে পারি।তাই সবার আগে আমাদের মনোবল বৃদ্ধি ও চেষ্টা থাকতে হবে।
■খারাপ থেকে ভালোর আভাস
আমি পূর্বেও বলেছি প্রথমে শুরুটা খারাপ হবে যেকোনো কাজ কিন্তু ধীরে ধীরে সেটার উন্নতি লাভ করবে।আমি নিজেও অনেক কাজে পিছিয়ে ,অনেক কিছু পারি না ঠিকভাবে।কিন্তু যেটা মন চায় সেটা চেষ্টা করি শেখার।হয়তো শুরুতে সেটি নিখুঁত বা মনঃপূত হয় না আমার কাছে।তবে আমার স্বল্প জ্ঞানে করা কাজটি অন্যদের কাছে ভালো লাগে।আর এই ভালো লাগাটাই আমার কাজের সার্থকতা।তবে সেটি শুধুমাত্র সার্থক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সেখান থেকে আমি অনুপ্রেরণা পাই,উৎসাহও উদ্দীপনা পাই ।যেটা আমার কঠিন কাজকে অনেকখানি সহজ করে দেয় এবং নতুন কিছু শেখার আগ্রহ তৈরি হয়।আমার মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই এই একইরকম অনুভূতি কাজ করে।দিন শেষে রাত হয়,কালো অন্ধকার পেরিয়ে সুন্দর আলোর শিখা জেগে ওঠে তেমনি খারাপ কাজ থেকেই ভালো কাজের সৃষ্টি হয়।খারাপ বলতে আমি অন্য কোনো খারাপ বা বাংলা ভাষায় যাকে বলে অসভ্য কোনো কাজের কথা বলছি না।আমি বলতে চাইছি কোনো সৃজনশীলতার বা প্রতিভার কথা বলছি।কোনো সৃজনশীল কাজ প্রথম দিকে ভালো নাও হতে পারে এবং নিজের প্রতিভা সঠিকভাবে উন্মোচন বা প্রকাশ নাও পেতে পারে।তবে সেই ভালো না হওয়া থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং চেষ্টা করতে করতে দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং কাজটি সঠিক মাত্রায় সফলভাবে হবে।যেটি আমাদের প্রতিভাকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পাবে।তাই প্রথম দিকে বলবো- হোক না সেটা খারাপ।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের লেখা অনুভূতিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আমাদের সফলতা অর্জনের পেছনে সবথেকে মূল যে বিষয়টি প্রয়োজন তা হচ্ছে মনোবল। কোনো কিছু করার প্রতি যদি মনোবল না থাকে তাহলে সে কাজে কখনো সফলতা আশা করা যায় না। আর এই মনোবল বৃদ্ধি করতে গেলে আমাদের প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করতে হয় পড়াশোনা করতে হয় কাজের পেছনে লিখে রাখতে হয় সাথে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। খুব সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কোনো কিছু করার আগ্রহ প্রকাশ করলেই মনোবল বৃদ্ধি পাবে।ধন্যবাদ আপু,সুন্দর মতামত গুছিয়ে বলার জন্য।
আপু আপনি আজকে খুবই সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। লেখাটি পড়ে আসলেই ভালো লাগলো।আমরা যা কিছু করতে চাই না কেন সেখানে অবশ্যই আমাদেরকে মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে একথা তো আপনি একদম ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর লেখা টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন জেনে আমি আনন্দিত ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
মূল বিষয় হচ্ছে অধ্যবসায় । কারন হচ্ছে প্রথমেই কোন কাজ সঠিক ভবে হয় না চেষ্টা করে করে তারপর এগুতে হয়। এক সময় সফলতা আসে। আর এই সফলতা আসে বহু পরিশ্রমের ফলে। এই পৃথিবীতে যারাই সফলতার দেখা পেয়েছে তাদের পিছনে কোন না কোন ব্যর্থতাই আজ তাদের সফলতার সিড়িতে এনে দাঁড় করিয়েছে। লেখার বিষয় ভাল ছিল। ধন্যবাদ বোন ভাল থাকবেন।
ব্যর্থতায় নতুন কিছু শেখার মূল অস্ত্র।অনেক ধন্যবাদ দাদা,আপনিও ভালো থাকবেন।
আসলে দিদি একটি কাজে সফল হতে হলে প্রয়োজন দক্ষতা জ্ঞান পরিশ্রম। এবং এগুলো একদিনে অর্জন করা সম্ভব না। এগুলো কখনো নির্দিষ্ট সময়ের আগে অর্জিত হয় না। হয়তো কয়েকবার ব্যর্থ হব কিন্তু একসময় না একসময় ঠিকই সফলতা অর্জন করব। যেমনটা আমরা মহা পুরুষ দের জীবনী থেকে জানতে পারি। সুন্দর একটি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন এবং অনেক সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন দিদি।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ভালোকিছু ধীর গতিতে সম্পন্ন হয়ে থাকে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার এই পোস্ট বাস্তব জীবনে অনেক কাজে আসবে, বিশেষ করে আমি নিজেই আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু শিখলাম, এই জিনিসগুলো মানুষের জানা তবে মানুষ চর্চা করা যায়, খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে আমি এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করব।
হ্যাঁ ভাইয়া,জানা বিষয় মানুষ বেশি ভুলে যায় তাই একান্তই আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলাম মাত্র।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে,আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপনার এ কথাগুলো আমার মনকে স্পর্শ করে দিল দিদি। কেননা আমরা যখন কোন একটি সৃজনশীল কাজ করতে চাই হয়তোবা প্রথমের দিকে সেই কাজে সফলতা নাও আসতে পারে কারো কাছে আমাদের সে কাজটি ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু আমরা যদি সেই খারাপ লাগা থেকে শিক্ষা নিতে থাকি তাহলে একদিন নিশ্চয়ই ভালো কিছু করতে সক্ষম হব।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।