"কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা ,আজ আমি এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।যদিও আমি ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারি না তবুও চেষ্টা করি চোখের সামনে সুন্দর জিনিসকে মিস না করার।সেই মুহূর্তটাকে কিছু ছবির মাধ্যমে ধরে রাখার।আর আপনাদের কাছ থেকে সর্বদা অনুপ্রেরণা পেয়ে সত্যিই আমার খুব ভালো লাগে।আশা করি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক---
কি ভাবছেন?
ডিমের সাইজ দেখে সবাই হয়তোবা ভাবছেন এটি কোনো পাখির ডিম।আমি একসঙ্গে 2-3 টি টিকটিকির ডিম দেখেছি।তবে অবাক করার বিষয় হলো-আমি যখন গতদিন
একটি ড্রয়ারের মধ্যে থেকে একটি নতুন জামার ব্যাগ বের করেছিলাম।তখনই এতগুলো অর্থাৎ মোট 10 টি ডিমের সন্ধান পাই।তাও আবার দুই রঙের সাদা ও নীল ।আমার মাথায় আসলো না এটা কি করে হতে পারে?
কারন ড্রয়ারটি পুরোপুরি লক করা ছিল, কোথাও কোনো ফাঁকা জায়গা ছিল না।এখনো এটা আমার কাছে রহস্যময়।
লোকেশন
অনেকে এতক্ষনে বুঝতে পেরেছেন যে এটা কোন সবজি গাছের ছবি যার পাতা এতটাই সুন্দর ও মনমুগ্ধকর।যখন আমি আমার বাড়ির সবজি ক্ষেতের পাশ দিয়ে হাটছিলাম তখন দৃশ্যটি চোখে পড়ে। এই ছবিগুলি সবজি গাছটির মাঝামাঝি সময়ের অবস্থা।পাতাগুলো কি সুসজ্জিত অবস্থায় রয়েছে, কোনটা কুচানো আবার কোনটা গুটানো।এটি ওল গাছের দৃশ্য ।মনে হচ্ছে যেন--- অনেকগুলো
গোলাপ ফুল জড়ো হয়েছে।
সাধারণত,আমরা নানান জায়গায় বিভিন্ন ধরনের মাশরুম দেখতে পাই।এগুলো বিশেষ করে কোনো খড়ের পচা অংশে কিংবা পুরোনো গাছের গুড়ির উপর জন্মাতে দেখা যায়।এগুলো আমাদের কচুরমুখী ক্ষেতের মধ্যে বিছানো পচা খড়ের উপর হয়েছে।এগুলো খাওয়ার অনুপযোগী।কিছু মাশরুম চাষ করা হয় আবার কিছু প্রাকৃতিক মাশরুম খাওয়া ও যায়।তবে এই মাশরুমগুলি আকারে বেশ ছোট ও ধূসর বাদামি রঙের হয়ে থাকে।দেখতে বেশ ভালো লাগছিল।
এলোমেলো ফটোগ্রাফিতে ফুলের ছবি থাকবে না তাই কখনো হয়!ফুল সকলের উপরে আর এটি আমার প্রিয় ফুল পর্তুলিকা।অনেক গাছ ছিল এই ফুলের আমার বাগানে।তবে যত্ন না পেয়ে মরতে মরতে এই ক'টি গাছ জীবিত আছে।যেটাকে আমি এখন সযত্নে রাখি নিয়মিত।প্রতিদিন 3-4 টি করে ফুল ফুটছে গাছে বেশ বড় সাইজের।ফুল দুটি এমনভাবে গা ঘেঁষে ফুটেছে যেন মনে হচ্ছে----
একজোড়া প্রজাপতির মেলে দেওয়া ডানা।
সবশেষে চলে যাবো ধান ক্ষেতের দিকে।এখন অবশ্য গরমের ধান পাক ধরেছে বর্ষা নেমেছে ,তাই অনেকেই তাড়াহুড়ো করে কেটে নিয়েছে।এখন ও অনেকের ধান মাঠে রয়েছে তারা তাদের ফসল কাটছে,কেউবা মাথায় করে বইছে আবার কেউবা ফসলের আটি বাঁধছে।কৃষকের মুখে চিন্তার আভাস ,কেননা অনেকের ধান জলের উপর ভাসছে।আর আমাদের এখানে প্রতিনিয়ত সকালে নাহলে সন্ধ্যায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে।তাই মাঠের কিছু মুহূর্ত সকালেই মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দি করলাম।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
সত্যি রহস্যজনক তবে ড্রয়ার যতই লক থাকুক অন্য কোন জায়গা দিয়ে হয়তো ঢুকেছিল। তবে সাবধান এগুলো অন্য কিছুরও ডিম হতে পারে কিন্তু । হা হা। এলোমেলো ছবি গুলো মন কেড়েছে । মূলত বৃষ্টির দিনে আমাদের এখানে মাশরুম যাকে আমরা ছোট বেলায় ব্যাঙের ছাতা বলতাম সেগুলোর দেখা মেলে। ভাল ছিল সব মিলিয়ে । ধন্যবাদ।
দাদা,এগুলো টিকটিকিরই ডিম একটি ভেঙে দেখেছিলাম।যাইহোক আমরাও মাশরুমকে ব্যাঙের ছাতা বলতাম।ধন্যবাদ আপনাকেও।
আমি মুগ্ধ হলাম আপনার ছবিগুলো দেখে।
টিকটিকির ডিম আর ওল পাতার ছবি সুন্দর হয়েছে 👌 আর ফুলের ছবিটি অসাধারণ দেখাচ্ছে 😍
সবমিলিয়ে দারুন।।।
সত্যিই ভাইয়া, ওল পাতাগুলো কতটা সুন্দর আগের দিন উপভোগ করলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ ধান কাটার ধুম লেগে গেছে মনে হচ্ছে।আমাদের এই দিকে অবশ্য আর কয়েকটা দিন বাকি আছে আর টিকটিকির ডিম আমি এই প্রথম দেখলাম বেশ ছোটো দেখছি।আর সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুন ছিলো আপু।
আমাদের এদিকে অনেক আগে থেকেই ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে ভাইয়া।আর টিকটিকির ডিম এইরকম ছোট হয়, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি এত ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারেন আগে জানা ছিল না আপু। বিশেষ করে মাশরুমের ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ লেগেছে আমার। এত অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
আসলে, চেষ্টা করছি ভাইয়া ভালো ফটোগ্রাফি করার।অনুপ্রেরণা পেলাম, ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনার তোলা ছবিগুলো দেখে আপনার সম্পর্কে যা মনে হল তা হচ্ছে, আপনার দেখার চোখ আছে। এই চোখ সবার থাকে না। আমাদের আশেপাশে দেখার মতো অনেক সুন্দর জিনিস ছড়িয়ে আছে। শুধু উপভোগ করার মতো চোখ থাকতে হয়। টিকটিকির ডিম ব্যাঙের ছাতা জোড়া ফুল সবগুলো ছবিই অসাধারণ। ধন্যবাদ
এটা আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া, দেখার চোখ থাকতে হবে তাহলে দূরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।বাড়ির পাশে সুন্দর জিনিস অবলোকন করা যায়, ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি আপনার ফটোগ্রাফির তুলনা হয়না। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে বিশেষ করে ফুলের ফটোগ্রাফি বেশি ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ফুলের ছবিটা সত্যিই ভালো ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
কি বলবো আপু, খুবই চমৎকার সব ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনি কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি বলেছেন, আর এই এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলোই দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলোর সাথে সাথে আপনি সুন্দর বর্ণনাগুলো করেছেন তা আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার চমৎকার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। তবে একটু অবাক লাগলো টিকটিকির ডিমের গল্প শুনে। এছাড়া ফুলের ছবি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যিই ,অবাক করার মতো ছিল টিকটিকির ডিমগুলো।ধন্যবাদ আপু।
টিকটিকির ডিমের গল্প শুনে আমার তো বেশ অবাক লাগতেছে আপু ।দেইখেন কিন্তু এটা আবার ভূত টিকটিকির ডিম না তো🤔🤔🤪। তবে সবগুলো ডিম দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। আর বাকি সবগুলো ফটোগ্রাফি দেখে ভাবতে থাকলাম খুব সুন্দর করেই আপনি কিভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেন। ধান ক্ষেতের ধান কেটে নেয়ার পর যে দৃশ্যটি দেখলাম অনেক ভালো লাগলো।
আপু,ভুতের নয়,এগুলো টিকটিকিরই ডিম ।অবশ্য একটি ভেঙে দেখেছিলাম।🤪ধন্যবাদ আপনাকে।