"নারিকেল ও চিংড়ি দিয়ে কচুশাক রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করবো।সেটি হলো -"নারিকেল ও চিংড়ি দিয়ে কচুশাক রেসিপি"।
বন্ধুরা, কচুশাক আমাদের অতি পরিচিত একটি শাক জাতীয় তরকারী।যা ডোবা-নালা জায়গায় জন্মায় আবার কখনো বাড়িতে লাগানো ও হয়।তো আজ আমি রান্না করেছি আমাদের ক্ষেতে লাগানো কচুশাক।আর কচুশাক ,নারিকেল এবং চিংড়ি দিয়ে অনেক স্বাদের হয় খেতে।কচুশাকে নারিকেল দিলে দারুণ একটা স্মেল বের হয়।আমাদের বাড়িতে মূলত কচুরমুখী বা কচুরগাটির জন্য লাগানো হয়েছে।কিছুদিন পর কচুশাকের গোড়ায় মাটির নিচে কচুরমুখী জন্মাবে।তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক রেসিপি তৈরি--
■উপকরণ:
1.কচুশাক পরিমাণ মতো
2.নারিকেল কুরা - 1 টির অর্ধেক
3.চিংড়ি- 100 গ্রাম
4.লবণ - 1.5 টেবিল চামচ
5.হলুদ- 1 টেবিল চামচ
6.পেঁয়াজ কুচি - 1 টি
7.সরিষার তেল - 60 গ্রাম
8.কাঁচা মরিচ - 7 টি
9.সামান্য পরিমাণ চিনি
■প্রস্তুত প্রনালী:
ধাপঃ 1
●প্রথমে আমি আমাদের ক্ষেত থেকে কিছু কচুশাক কেটে নিলাম কাস্তে দিয়ে।এরপর কচুশাকের পাতা ফেলে দিলাম কেটে।
●এবার কচুশাক গোটা ধুয়ে নিলাম ভালোভাবে।তারপর বটির সাহায্যে মিডিয়াম সাইজ করে কেটে নিলাম।
ধাপঃ 2
●তো আমার কচুশাকগুলি সব কেটে নেওয়া হয়ে গেছে।
ধাপঃ 3
●এবার আমি একটা নারিকেল নেব।নারিকেলটি দা দিয়ে কেটে বড়ো অর্ধেক অংশ নেব তারপর একটি হাত কুরানীর সাহায্যে মিহি করে কুরিয়ে নেব।
ধাপঃ 4
●এরপর আমি কিছু চিংড়ি নেব।চিংড়িগুলি বটির সাহায্যে কেটে নিয়ে পরিস্কার জলে ধুয়ে নেব 2 বার।এবার আমি একটি কড়াই ধুয়ে চুলায় মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে দেব।তারপর কড়াইতে সামান্য পরিমাণ জল দিয়ে তার মধ্যে হালকা লবণ ও হলুদ দিয়ে জলটি ফুটিয়ে নেব।ফুটানো জলে কেটে রাখা চিংড়িগুলি দিয়ে জল শুকানো অব্দি নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেব।তারপর একটা পাত্রে নামিয়ে নেব।
ধাপঃ 5
●এবার আমি পুনরায় কড়াইটি চুলায় বসিয়ে তার মধ্যে তেল দিয়ে দেব পরিমাণ মতো।তেলের মধ্যে কুচানো পেঁয়াজ দিয়ে হালকা ভেঁজে নেব নেড়েচেড়ে।
●পেঁয়াজ হালকা ভাজা হয়ে গেলে কেটে রাখা কচুশাকগুলি দিয়ে দেব।তারপর খুন্তি দিয়ে নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 6
●কিছু কাঁচা মরিচ বটির সাহায্যে কেটে ধুয়ে নেব জল দিয়ে।
●এবার মরিচগুলি কচুশাকে দিয়ে দেব।এছাড়া স্বাদ মতো লবন ও হলুদ দিয়ে মিশিয়ে নেব কচুশাক।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব 10 মিনিট মতো।কচুশাকে আলাদা করে কোনো জল দেব না।কারণ লবণ দেওয়ার ফলে কচুশাক দিয়ে জল বের হবে।
ধাপঃ 7
●10 মিনিট পর কচুশাক নেড়েচেড়ে তাঁর মধ্যে নারিকেল কুরা দিয়ে দেব।
ধাপঃ 8
●তারপর ভেঁজে রাখা চিংড়ি দিয়ে দেব কচুশাকে এবং সামান্য পরিমাণ চিনি।এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নেব খুন্তি দিয়ে নেড়েচেড়ে।আবার পুনরায় 10 মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব সবকিছু সেদ্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য।
ধাপঃ 9
●10 মিনিট পর কচুশাক ও নারিকেল পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে খুন্তি দিয়ে নেড়েচেড়ে কচুশাকগুলি গলিয়ে নেব।এবার 3 মিনিট নেড়েচেড়ে একটি পাত্রে নামিয়ে নেব।
ধাপঃ 10
●আমার "নারিকেল ও চিংড়ি দিয়ে কচুশাক" রেসিপিটি হয়ে গেছে।এবার গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটি দারুণ মজার হয় খেতে।আপনারাও বাড়িতে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
তো বন্ধুরা,আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
দেখলাম পুরো রেসিপি টা, কারন আমার কাছে কিছুটা নতুন লেগেছে, আমরা সাধারণত চিংড়ি দিয়ে কচু খেয়ে থাকি। তবে আপনি দেখলাম সাথে নারকেলও দিয়েছেন, তাই আকর্ষনটা একটু বেড়ে গেলো। ধন্যবাদ সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, আমরা কচুশাক নারিকেল দিয়ে প্রায় খাই আবার শুধু চিংড়ি দিয়ে ও খাই, তাই ভাবলাম এখানে শেয়ার করি।একটু নতুনভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম মাত্র।আপনার মূল্যবান মন্তব্য শুনে অনুপ্রেরণা পেলাম ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নারিকেল ও চিংড়ি দিয়ে কচুশাক রেসিপিটা সুন্দর হয়েছে দিদি। চিংড়ি দিয়ে কচুশাক খেয়েছি তবে নারিকেলের সাথে কখনো খাওয়া হয়ে উঠেনি।
এভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি কচু শাক খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে মসুর ডাল দিয়ে কচু ঘাটি এবং কচু ভর্তা আমার বেশপ্রিয়। তবে আপনি কচু শাক দিয়ে আলাদা একটি রেসিপি বানিয়েছেন। যা আমার কাছে খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি কচুশাকের ভর্তা খেয়েছি এবং বুটের ডাল দিয়ে খেয়েছি ।মসুর ডাল দিয়ে কখনো খাওয়া হয় নি।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমার পছন্দের একটি তরকারি। তবে আমরা ডাল মিশিয়ে পাক করি। কিছুটা গাঢ় ঘাটির মত।
লেখার উপস্হাপনের বিষয়টা ভাল ছিল।
ডাল মিশিয়ে রান্নাটি আমার কাছে নতুন এভাবে কখনো খাওয়া হয় নি আমার।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
☺️
সত্যিই অনেক চমৎকার একটি রেসিপি, নারিকেল দিয়ে কচুশাক আর চিংড়িমাছ রান্না কখনো খাইনি, দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছে, খেয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে, একবার ট্রাই করে দেখব। কচু শাক আমার অনেক পছন্দের, তারপর আবার নারিকেল, অবশ্য নারিকেল যে কোন তরকারিতে দিলেই আমার অনেক মজা লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য
হ্যাঁ আপু ,এটি অনেক মজার খেতে।অবশ্যই ট্রাই করে দেখবেন।আশা করি খুবই ভালো লাগবে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি কচু শাক দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন সেই সাথে ধাপে ধাপে সুন্দর বর্ণনা করেছেন দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে পুষ্টিকর ও বটে
হ্যাঁ ভাইয়া, এটি খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
😍😍
☺️
আপু আমার কাছে রেসিপিটা খুবই ইউনিক লেগেছে।কারণ অতিতে আমি শুধু কচুর শাক দিয়ে চিংরি খেয়েছি তবে নারিকেল দিয়ে খাইনাই।আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দর হইছে।
হ্যাঁ ভাইয়া ,এটি ইউনিক রেসিপি।তবে আমরা কচুশাক বিভিন্ন ধরনের রেসিপি বানিয়ে খাই আগে থেকেই।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
কচুর শাক আমার কাছে খুব মজা লাগে। তবে নাড়িকেল আর কচুর শাকের রেসিপি আজকে ১ম দেখলাম।দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া,কচুশাক সত্যিই অনেক মজার খেতে।ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু নারিকেল, কচুশাক ও চিংড়ি ছবি একসাথে করে রেসিপি বানানো যায় এটা আগে কখনো শুনিনি ও খাইনি। সত্যি আপু আপনার রেসিপি টা আমার অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু নতুন একটা রেসিপি আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য।
একদিন এভাবে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।আশা করি খুব ভালো লাগবে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুশাক রান্না করা যায় কিন্তু নারিকেল দিয়ে যে কচু শাক রান্না করা যায় এই প্রথম দেখলাম। ভালোই লাগলো আপনার বানানো রেসিপি দেখে। দেখি বাড়িতে একদিন রেসিপিটা করবো
অবশ্যই বাড়িতে এভাবে চেষ্টা করবেন ভাইয়া।আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমি খুশি হলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।