"গাগরা টেংরা মাছের ডিমের বোঁদে রেসিপি"
নমস্কার
গাগরা টেংরা মাছের ডিমের বোঁদে রেসিপি:
বন্ধুরা, রেসিপির টাইটেল শুনেই কেমন অদ্ভুত লাগছে তাইনা!আমিও বেশ অবাক হচ্ছিলাম যখন মাছ ধুতে ধুতে একটি একটি করে হলুদ রঙের বড় ডিম মাছের পেট থেকে পড়ছিল।এই ডিমগুলো গাগরা টেংরা মাছ বা সামুদ্রিক টেংরা মাছের।আমি এই ডিমগুলো প্রথম দেখছি।যেগুলো দেখতে একদম মার্বেল কিংবা ম্যাজিক বলের মতোই ছিল।আবার কচ্ছপের ডিমও এমনটা দেখতে হয় তবে সাইজে আরো অনেকটা বড় হয়।কিছু ডিম ছোট ছিল তাই ভাবলাম যেহেতু অল্প ডিম সেহেতু এটা দিয়ে বোঁদের মতো রেসিপি তৈরি করবো।যেকোনো মাছের ডিম খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।
নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে একটু বিপদের আশঙ্কা:
রেসিপিটি ছোট হলেও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।প্রথমেই একটা কথা বলে রাখি, এই ডিমগুলো গোটা অবস্থায় তেলের ভিতরে ছেড়ে দিয়ে আমি বেশ বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলাম সঙ্গে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি আজ।মাছের গোটা ডিমগুলো এতটাই ফুলে উঠছিল বেলুনের মতো যে চারিদিকে তেল ছিটকে প্রচন্ড শব্দে ডিমগুলোও কড়াই থেকে ছুটে চলে গিয়েছিল দূরে ।প্রথমবারে আমার ও মায়ের হাতে কয়েক ছিটে গরম তেল পরে ঠুলি কেটে উঠেছে।তাই পরেরবার বাকি ডিমগুলো ভয়ে ভয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভেঁজে নিয়েছিলাম।যদিও অন্যান্য ছোট ডিমের যেকোনো রেসিপি তৈরি করতে এমন কখনোই অসুবিধার সম্মুখীন আমাকে হতে হয়নি। যাইহোক রেসিপিটার কালারটি যেমন সুন্দর হয়েছিল তেমনি খেতে খুবই মজার হয়েছিল।তো চলুন শুরু করা যাক রেসিপিটা---
উপকরণ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
গাগরা টেংরা মাছের ডিম | 100 গ্রাম |
বেসন | 4 টেবিল চামচ |
লবন | 1/2 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1/3 টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | সামান্য |
শুকনো মরিচ গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
গরম মসলা গুঁড়া | সামান্য |
সাদা তেল | 60 গ্রাম |
জল |
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি গাগরা টেংরা মাছের ডিমগুলি ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি জল দিয়ে।
ধাপঃ 2
এরপর সমস্ত গুঁড়া মসলার উপকরণগুলি একত্রে মিশিয়ে নেব বেসনের সঙ্গে।
ধাপঃ 3
এখন বেসনের মধ্যে হালকা হালকা জল মিশিয়ে নেব।
ধাপঃ 4
এবারে একটা ঘন বেটার তৈরি করে নিলাম বেসনের।
ধাপঃ 5
এরপর একটি পরিষ্কার কড়াই চুলায় মিডিয়াম আঁচে বসিয়ে গরম করে নিলাম।তারপর পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করে নিলাম।
ধাপঃ 6
এখন বেসনের বেটারের মধ্যে একটি করে ডিম দিয়ে দেব।
ধাপঃ 7
ডিমগুলোর গাঁয়ে এভাবে বেটার লাগিয়ে নেব।
ধাপঃ 8
এবারে গরম তেলের মধ্যে আস্তে করে ছেড়ে দেব বোঁদের মতো করে ডিমগুলো।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে যাতে ছিটকে দুর্ঘটনা না ঘটে।
ধাপঃ 9
এখন ডিমের বোঁদেগুলি উল্টেপাল্টে ভেঁজে নেব বাদামি রঙের কালার করে।
ধাপঃ 10
এখন একটি পাত্রে নামিয়ে নেব ভাজি করা ডিমের বোঁদেগুলি।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "গাগরা টেংরা মাছের ডিমের বোঁদে রেসিপি"।
পরিবেশন:
এবারে এটি গরম গরম ভাত কিংবা টমেটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে ।এটি খুবই মজাদার খেতে হয়েছিল।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা অনেক ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
মাছের ডিম ভাজি বা ভুনা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।
মাছের ডিম ভাজতে গিয়ে আমিও বেশ কয়েকবার এরকম নতুন অভিজ্ঞতা সম্মুখীন হয়েছি গরম তেলের উপর ছেড়ে দেওয়া মাত্রই দিনগুলো পর করে ফুটতে থাকে।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি প্রস্তুত করে উপস্থাপন করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে।
আমি আগে ডিমের প্রচুর রেসিপি তৈরি করেছি তবে সেগুলো ছোট ডিম হওয়াতে অসুবিধা হয় নি।কিন্তু এই প্রথম নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া।
এরকম গাগরা টেংরা মাছের ডিম এর আগে আমি কখনো দেখিনি। মাছের ডিম গুলো ম্যাজিক বলের মত লাগছে। ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমিও প্রথম অবাক হয়েছিলাম ডিমগুলো দেখে।আমার কাছেও ডিমগুলো ম্যাজিক বলের মতো মনে হয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
টাইটেল দেখে আমিও কিন্তু অবাক হয়ে গিয়েছি। ভাবছিলাম এটা আবার কেমন রেসিপি হবে। রেসিপিটি আপনি তাহলে নতুন করেছেন কারণ এই ডিনগুলো আপনি প্রথম দেখলেন। নিত্য নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালো লাগে। মাছের ডিম এত বড় হয় জানতাম না। সামুদ্রিক মাছ বলে কথা, টেস্ট করতে ইচ্ছে করছে বেশ।
ঠিক বলেছেন আপু,রেসিপিটি আমি প্রথম তৈরি করেছি এবং নিজের মত করে নামও দিয়েছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much.💝
দিদি যেকোনো ডিম,কাঁচা মরিচ আস্ত অল্প তেলে দিলেও ছিঁটে ওঠে।তাই সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করবেন আশাকরি। আপনার করা রেসিপি বেশ লোভনীয় হয়েছে। খেতে ও ভীষণ মজার হয়েছে আশাকরি, মুচমুচে মাছের ডিমের এই রেসিপিটি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু,যেকোনো ডিম ভাজির সময় ছিটে ওঠে কিন্তু এইগুলো অনেক বড় ডিম হওয়াতে লাফিয়ে এদিক সেদিক চলে যাচ্ছিল।ধন্যবাদ আপু।
টেংরা মাছ রেসিপি টা আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। এরকম রেসিপি এর আগে কখনো দেখা হয়নি আর খাওয়া হয়নি। হ্যাঁ আপু মাঝেমধ্যে ডিমের রেসিপি গুলো তৈরি করার সময় তেলে দিলে দিলেই অনেক বেশি ফুটতে থাকে আর শরীরে এসে পড়ে এটা আমার সাথে সবসময় হয়ে থাকে। রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ দেখে আমিও শিখে নিলাম। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,মাছের ডিম ভাজি করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।আমারও আগেরদিন ঠুলি ভেঙেছে হাতে।ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার রেসিপি সত্যি অনেক ইউনিক মনে হচ্ছে। আসলে আপু মাছের ডিম যে ম্যাজিক বলের মতো হয় আমার জানা ছিল না। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এই মাছ গুলো আমাদের এদিকে পাওয়া যায় বলেই চলে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু এটা ঠিক বুঝলাম না, যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু মাছের ডিম খুব সাবধানে ভাজতে হয়। নয়তোবা ভাজার সময় মাছের ডিম ছিটে ক্ষত হতে পারে। যাইহোক
টেংরা মাছের ডিম ভাজি রেসিপিটা দেখেই তো জিভে পানি চলে এলো। ডিমগুলো দেখতে সত্যিই খুব সুন্দর লাগছে। গরম গরম ভাতের সাথে খেতেও মনে হচ্ছে দারুণ লাগবে। যাইহোক রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার মতামত পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, প্রথমে রেসিপির টাইটেল শুনেই কেমন অদ্ভুত লাগছে। আমি এই ধরনের মাছের ডিম কখনো দেখি নি আজ প্রথম দেখলাম। দেখতে সত্যি ম্যাজিক বলের মতোই ছিলো। যাই হোক আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত ছিলো দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আপনি চপের মতন করে তৈরি করেছেন। এত ইউনিক রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ, অনেকটা চপের মতো করেই কিন্তু সাইজে অনেক ছোট ছোট ভাইয়া।এইজন্য এই নাম দেওয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।