"বড়া দিয়ে নিরামিষ কচুঘন্ট রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি একদম ভিন্ন স্বাদের একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো-"বড়া দিয়ে নিরামিষ কচুঘন্ট রেসিপি"।
বন্ধুরা, মাঝে মাঝেই নিরামিষ তরকারি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।তাছাড়া নিরামিষ তরকারিও মাঝে মাঝেই আমিষ তরকারিকেও হার মানায়।আমার তো নিরামিষভোজীদের রান্না খুবই ভালো লাগে খেতে।অবশ্য তারা পেঁয়াজ রসুন ব্যবহার করেন না এবং নানা ধরনের মসলার সমন্বয়ে রান্না করেন।কিন্তু আমি এখানে পেঁয়াজ-রসুন ব্যবহার করেছি।এছাড়া বাড়িতে তৈরি ওলকপি বড়ার সঙ্গে কচুর রেসিপিটা তৈরি করেছি।অনেকে আবার ওলকপিকে শালগম নামে চিনে থাকেন।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।আর এটি দেখতে অনেকটা মিষ্টি কুমড়ার তরকারির মতো হয়েছে।☺️আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে ।তো চলুন দেরি না করে রেসিপিটা শুরু করা যাক-----
■উপকরণসমূহ:
1.মানকচু - 1 কিলো
2.ওলকপি বড়া - 16 টি
3.পেঁয়াজ কুচি- 1 টি
4.রসুন কুচি -1 টি
5.কাঁচা মরিচ - 7 টি
6.শুকনো মরিচ - 4 টি
7.তেজপাতা- 4 টি
8.লবণ - 1.5 টেবিল চামচ
9.হলুদ - 1/2 টেবিল চামচ
10.সরিষার তেল - 70 গ্রাম
11.গরম মসলা গুঁড়া - 1/2 টেবিল চামচ
12.জিরা গুঁড়া - 1 টেবিল চামচ
13.জল পরিমাণ মতো
■প্রস্তুতপ্রণালি:
প্রথমে আমি মানকচুর অর্ধেকটা নিয়ে নেব।এরপর কচুর গাঁয়ের খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দেব একটু বেশি করে বটির সাহায্যে।
কচুটি মিডিয়াম সাইজের পিচ পিচ করে কেটে নেব।এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নেব।
এবারে বাড়িতে তৈরি ওলকপির বড়াগুলি নিয়ে নেব।
এরপর গোটা পেঁয়াজ ও রসুন নিয়ে কুচি করে কেটে নেব খোসা ছাড়িয়ে এবং ধুয়ে নেব জল দিয়ে।
এরপর কাঁচা মরিচ নিয়ে ফালি করে কেটে নেব এবং ধুয়ে নেব জল দিয়ে।
এবারে আমি কয়েকটি তেজপাতা ও শুকনো গোটা মরিচ নিয়ে নেব ধুয়ে।
এরপর একটি পরিষ্কার কড়াই চুলায় বসিয়ে দেব মিডিয়াম আঁচে।তারপর কড়াই গরম হলে সামান্য তেল দিয়ে নেড়েচেড়ে কচু দিয়ে দেব।
কিছুক্ষণ পরে কচুর মধ্যে পরিমাণ মতো হলুদ দিয়ে 3 মিনিট নেড়েচেড়ে নিয়ে জল দিয়ে দেব কচু সেদ্ধ হওয়ার জন্য এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব 15 মিনিট মতো।
15 মিনিট পর কচুর মধ্যে স্বাদ অনুযায়ী ওলকপি বড়া,লবণ ও কেটে রাখা কাঁচা মরিচ দিয়ে দেব।
এবারে কচু সেদ্ধ হয়ে গেলে একটি পাত্রে কিছু কচু তুলে নেব এবং একটি গ্লাসের সাহায্যে চেপে ম্যাশ করে নেব।
কড়াই থেকে তরকারিটি ঢেলে নেব একটি পাত্রে।
এরপর কড়াইতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ-রসুন কুচি দিয়ে দিলাম এবং শুকনো মরিচ ও তেজপাতা দিয়ে দিলাম।
এরপর সব উপকরণগুলিতে গরম মসলা গুঁড়ো দিয়ে।নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিলাম লাল লাল করে।
এবারে কড়াইতে মসলার মধ্যে তরকারিটি ঢেলে দিলাম এবং উপর থেকে জিরার গুঁড়া ছড়িয়ে দিলাম।
এরপর তরকারিতে ছোট বলক চলে আসলে এবং ঝোল একেবারে কমে গেলে নেড়েচেড়ে একটি পাত্রে নামিয়ে নেব।
তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল "বড়া দিয়ে নিরামিষ কচুঘন্ট রেসিপি"। এটি খেতে খুবই সুস্বাদু।এবারে এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
আপনার রেসিপিগুলো তো আমার কাছে এমনিতে খুবই অসাধারণ লাগে। এরকম সুস্বাদু নিরামিষ রেসিপি গুলো আমার কাছে বিশেষ করে খেতে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনার রেসিপিটি দেখেও মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। পুরো রেসিপিটি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করে ধাপে ধাপ উপস্থাপনা করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
আপু নিরামিষ রেসিপি খেতে আপনার ভালো লাগে জেনে আমার ও ভালো লাগলো ,আমিও এই ধরনের রেসিপি খেতে খুব পছন্দ করি, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।😊
ঠিকই বলেছেন মাঝে মাঝে নিরামিষ তরকারি খেতে আসলে খুবই ভালো লাগে। আর এটা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আমার কাছে আসলে মোটামুটি ভাবে নিরামিষ তরকারি খেতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
নিরামিষ খেতে আপনার ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।😊
আমার তো নিরামিষ খেতে ভলোই লাগে না কেন জানি😉। বড়া দিয়ে নিরামিষ কচুঘন্ট কখনো খাওয়া হয়নি।এমনকি কখনো ওলকপি বড়া ও খাইনি কেমন তা জানি না।তবে মনে হচ্ছে খেতে ভালোই হবে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আমিও খুব কম নিরামিষ খাই আপু ,মাঝে মাঝেই খেতে ভালো লাগে।আর ওলকপি বড়া খুবই সুন্দর টেস্টি খেতে,অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বড়া দিয়ে আপনি খুব চমৎকার কচু ঘন্ড রেসিপি তৈরি করেছেন এরকম রেসিপি আমি এই প্রথম দেখলাম। আমার অনেক ভালো লেগেছে নতুন এই রেসিপিটি। দেখে কারণ নতুন নতুন রেসিপি শিখতে আমার অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত আপু।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আলু দিয়ে নিরামিষের কচু ঘন্ট রান্নার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে । আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই কচু ঘন্টা রেসিপি। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
😋 হ্যাঁ ভাইয়া, ইয়াম্মি হয়েছিল।@narocky71 ভাইয়া আপনি আলু কোথায় পেলেন!আমি তো আলু ব্যবহার করিনি।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বড়া দিয়ে নিরামিষ কচুঘন্ট রেসিপিটি বেশ চমৎকার হয়েছে। অসম্ভব সুন্দরভাবে আপনি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু,অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য💝।
বড়া দিয়ে নিরামিষ কচুঘন্ট রেসিপি 😋
আমার কাছে ইউনিক রেসিপি লেগেছে।
খাবারটা নিঃসন্দেহে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
ধন্যবাদ দিদি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, সর্বদা সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দ্বারা অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য💝।
বড়া দিয়ে নিরামিষ কচু ঘণ্ট অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এত সুন্দর একটা রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার রেসিপি দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো।বড়া দিয়ে নিরামিষ কচুঘন্ট বানানো দেখি খুব অসাধারণ লাগলো। বড়া দিয়ে নিরামিষ রেসিপি অনেকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
ঠিক বলেছেন।অনেক ধন্যবাদ আপু,আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
আপনার আজকের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদ হয়েছে। বড়া দিয়ে কচুঘন্ট রেসিপি আমার কাছে ভীষণ পছন্দ হয়েছে। আসলে এই ধরনের রেসিপি পোস্ট দেখতেও খুব ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ আপু,সুস্বাদু হয়েছিল।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।