আমার অঙ্কন: "ময়ূরের চিত্র" 10 % beneficiary to @shy-fox
নমস্কার
বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি সকলেই ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমি ও ভালো আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো রেসিপি শেয়ার করবো না ।আজ একটু আঁকার জগত থেকে ঘুরে আসবো।আজ আমি আঁকবো "ময়ূরের চিত্ৰ"।হ্যাঁ বন্ধুরা, পাখির রানী ময়ূর।এমন কেউ নেই যে এই সুবিশাল ময়ূর পাখিটি পছন্দ করেন না।ময়ূরের পেখম মেলা দেখলে হাজারবার তাকিয়ে থাকতে হয় অপলক দৃষ্টিতে।আর অনেকেই আবার বাজার থেকে ময়ূরের পালক কিনে ঘরের দেওয়ালে সাজিয়ে রাখেন সৌন্দর্য্যবর্ধনের জন্য।ময়ূর সবারই পছন্দের।যে পাখির গায়ে রয়েছে অজস্র রঙের সমাহার।ময়ূর পাখি অনেক প্রজাতির হয়।অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী এই পাখি সবার মন কেড়ে নেয় ,বিমোহিত করে সবার হৃদয়কে।
হিন্দুদের প্রেমের দেবতা কৃষ্ণের সঙ্গে ময়ূরের সম্পর্ক:
কৃষ্ণ হিন্দুদের পৌরাণিক দেবতা।বন্ধুরা,আপনারা সবাই জানেন কৃষ্ণের বাঁশির সুরে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই পাগল।কৃষ্ণের মাথার কেশে সবসময় একগুচ্ছ ময়ূরের পালক থাকে।কেন জানেন বন্ধুরা?কৃষ্ণ ময়ূরের গাঁয়ের থেকে পালক ছিড়ে মাথার কেশে দিত না বরং রাখাল কৃষ্ণ যখন গরু চড়াতে যেত তখন গাছের নিচে বসে সমধুর বাঁশি বাজাতেন।সেই বাঁশির সুরে সমস্ত জীব -জন্তু ,মানুষ ,পশু-পাখি এবং গাছপালা তা আনন্দের সহিত শুনতো।কৃষ্ণের বাঁশির সুরে দূর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর সেখানে গাছের নিচে এসে জড়ো হতো।তারপর সুন্দর বাঁশির সুর শোনাতে বলতো কৃষ্ণকে।কৃষ্ণ ময়ূরকে সমধুর সুর শোনালে ময়ূরেরা সেই সুরে বিমোহিত হয়ে উপহারস্বরূপ নিজের ঠোঁট দিয়ে পালক ছিড়ে কৃষ্ণকে দিত আর আমাদের ভালোবাসার দেবতা কৃষ্ণ পালকগুলি তার মাথায় কেশে সুন্দর করে ধারণ করতেন।বন্ধুরা, পৌরাণিক গল্পটি কেমন লাগলো বলতে ভুলবেন না কিন্তু মন্তব্যে।
অঙ্কনের উপকরণ:
1.পেনসিল
2.রবার
3.কালো পেন
4.রঙ পেনসিল
5.কিছু মোম রঙ
6.খাতা
অঙ্কন পদ্ধতি:
ধাপঃ 1
প্রথমে একটি পেন্সিলের মাধ্যমে খাতার সাদা পাতায় দুটি গোল দিয়ে নেব।উপরটা একটু ছোট গোল এবং একটু নিচে ডিম্বাকৃতির হালকা একটি বড়ো গোল দিয়ে নেব।
ধাপঃ 2
এরপর পাখির মুখ আঁকবো ছোট গোলে এবং দুটি গোল এক সঙ্গে মিলিত করে দেব ময়ূরের বেকিয়ে গলা তৈরি করে।
ধাপঃ 3
এবার পাখির ডিম্বাকৃতির গোলের উপর ছোট পাখনা তৈরি করে নেব।ময়ূরের পিঠের উপর ডানা।
ধাপঃ 4
এরপর ময়ূরের বড়ো লেজ অঙ্কনের সেপ দিয়ে নিলাম পেনসিল দিয়ে।
ধাপঃ 5
এবার ময়ূরের লেজে ঘুরিয়ে ডিজাইন করে নিলাম।
ধাপঃ 6
এরপর পাখির বড়ো লেজের মধ্যে গোল গোল ছোট বলের সেপ দিয়ে মাথার দিকে একটি লম্বা দাগ দিয়ে নেব।
ধাপঃ 7
এবার ময়ূরের লেজের ভিতরে গোল সেপের পাশ দিয়ে পালকের মতো সেপ করে নেব প্রত্যেকটি।এছাড়া পাখির পা তৈরি করে পায়ের নিচ দিয়ে একটি গাছের ডাল তৈরি করে নেব।
ধাপঃ 8
এরপর এতক্ষণ পেনসিল দিয়ে যা আকলাম সেটি পেন দিয়ে দাগ দিয়ে নেব পেনসিল দাগের উপর দিয়ে।
ধাপঃ 9
এবার রঙের ব্যবহারে চলে যাব।প্রথমে ময়ূরের পিঠের উপর হালকা হলুদ ও সবুজ রঙ করবো তারপর গলা ও পালকে হালকা আকাশি রঙ করে ঠোঁটে লাল রঙ করে নেব।পালকের গোলের ভিতর গাড় হলুদ ও ময়ূরের পায়ে গাড় হলুদ রঙ দিয়ে সেপ দেব।
ধাপঃ 10
এরপর ময়ূরের পালকের মধ্যে ও মুখ থেকে গলা পর্যন্ত হালকা সবুজ রঙ করে নেব।পালকের নিচে ও ময়ূরের বডির নিচে গাড় নীল রঙ করে নেব।এছাড়া গলার মধ্যে কিছু অংশ হালকা নীল ও পালকের গোল অংশের মধ্যে লাল রঙ করে নেব।
ধাপঃ 11
এবার ময়ূরের গায়ের সব রং গাড় করে সেপ দিয়ে গাছের গায়ে হলুদ ও বাদামি রঙ দিয়ে নেব।একটি পেন দিয়ে ময়ূরের পায়ের মধ্যে ছোট ছোট কালো দাগ দিয়ে নেব।ময়ূরের মাথায় ঝুঁটি হালকা নীল রঙ দিয়ে সেপ দিয়ে নেব।
ধাপঃ 12
সবশেষে ময়ূরের পুরো অংশ কালো পেন দিয়ে চারিপাশে দাগ দিয়ে গাড় করে নেব এবং ময়ূরের সুন্দর চোখ অঙ্কন করে নেব।এভাবে আমি ময়ূরের চিত্রটি অঙ্কন করলাম।
তো তৈরি হয়ে গেল আমার "ময়ূরের চিত্ৰ"।আশা করি আপনাদের কাছে আমার অঙ্কনটি ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন ।
ময়ূর টা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।আপনার মন্তব্য শুনে অনেক উৎসাহ পেলাম।
Hello
please masg this Number 8639506741
অনেক সুন্দর ময়ূর পাখি এঁকেছেন। ধাপ আকারে খুব সুন্দর ভাবে সবকিছুর বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনুপ্রেরণা পেলাম।
খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার ময়ূরের চিত্রটি।তবে আপু আমার বাচ্চা বলছে ডাল না দিলে ভালো হতো কারণ ময়ূর তো গাছে উঠতে পারে না।আমার অবশ্য জানা নেই।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, বাচ্চা ময়ূর গাছের ডালে উঠতে পারে।কারণ অনেকটা হালকা থাকে।কিন্তু বড়ো ময়ূর প্রচণ্ড ভারী হওয়ার ফলে গাছে উঠতে পারে না।সেদিক থেকে আপনার বাচ্চা ঠিকই বলেছে।ধন্যবাদ আপু, আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য ভালোবাসা রইলো।
ময়ূর আর কৃষ্ণ সম্পর্কে জানতে পারলাম দিদি।সাথে আপনার ময়ূর আকাঁটাও সুন্দর হয়েছে দিদি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর হয়েছে বিশেষ করে রঙ করার শেষের টাচ গুলা আর একটা রঙ এর সাথে আরেকটা রঙ এর মেশানোটাও খুব সুন্দর হয়েছে।যেই ব্যাপারটা রঙ এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে।
আসলে আপু ,আমি কখনো কারো কাছে আঁকা শিখি নাই।তবে ছবি দেখে কোনো কিছু নিজে নিজে আকার চেষ্টা করি মাত্র।আপনার মন্তব্যে আমি অনেক উৎসাহ পেলাম।
ধন্যবাদ আপু,আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর জন্য।
আপু তো সুন্দর একেছেন। বৃষ্টি হলে ময়ূর পেখম মেলে। আজ এই বর্ষার দিনে পেখম মেলে দিতেন। 😊😊
হ্যাঁ, ভাইয়া পেখম মেলে দিলে তো ভালোই হতো।তবে আমাদের এখানে বৃষ্টি হচ্ছে না তেমন তাই দিই নি।ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ময়ূরটা অসাধারণ একেছেন দিদি। এবং ধাপে ধাপে খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার মন্তব্য শুনে খুশি হলাম।
🙂🙂
খুবই নিপনতার সাথে ময়ূর টি এঁকেছো। খুবই সুন্দর হয়েছে। ধাপে ধাপে দেখিয়া দারুন উপস্থাপনার সাথে তুলে ধরেছো। অনেক শুভেচ্ছা থাকলো।
তোমাকে ও অনেক ধন্যবাদ দাদা।সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনার ময়ূরের চিত্রটি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ
আপনার এই গুনটা জানতাম না। আপনে এতো সুন্দর রেসিপি তৈরি করেন, আবার এতো সুন্দর ড্রইং। অসাধারণ হয়েছে বোন। শুভ কামনা রইল।
ভাইয়া, সত্যি বলতে আমি কারো কাছে আঁকা শিখি নাই।মাঝে মাঝে শখের বশে কিছু দেখে আঁকার চেষ্টা করি মাত্র।আর ছোটবেলা থেকেই এইরকম করতাম কোনো কিছু দেখে দেখে আঁকার প্রয়াস।আমি আগে ও কয়েকটি আঁকা পোষ্ট করেছি।
আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনেক উৎসাহ -উদ্দীপনা এবং অনুপ্রেরণা দেয় নতুন কিছু করার প্রতি।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।ভালো থাকবেন।
এগিয়ে যান বোন।শুভ কামনা।