"কিছু পতঙ্গের আলোকচিত্র"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হলাম "কিছু পতঙ্গের আলোকচিত্র" নিয়ে।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।
বেশ কিছুদিন ধরে খুবই ভ্যাপসা গরম পড়ছে।মনে হচ্ছে বৃষ্টি এসে পরিবেশটি শীতল করে দিলে মনটা জুড়িয়ে যেত।তবে সেটা নেহাত ভাবনামাত্র,কারন প্রকৃতি তার নিজের নিয়মে চলে।
বড় প্রজাপতি
বন্ধুরা, গতদিন ভোর হতেই মা আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুললেন।আমি ও চোখ মুছতে মুছতে মায়ের পিছু রান্না ঘরে গেলাম।মা আমাকে দেখলেন এই বিশাল বড় আকারের প্রজাপতিটি।আসলে আমরা সবসময় ছোট কিংবা মিডিয়াম সাইজের প্রজাপতি দেখতে পাই কিন্তু গ্রামাঞ্চলে মাঝে মাঝেই এই ধরনের বড়ো প্রজাপতির দেখা মেলে।তাইতো ভোরবেলা প্রজাপতিটি দেখে খুব ভালো লাগছিল মনে।কিন্তু দুঃখের বিষয় জায়গাটি ছিল অন্য আঙ্গেলে।তাই ফোনে দূর থেকে ছবি ক্যাপচার করতে হয়েছে।যাইহোক প্রজাপতির দুই পাশের জ্বলন্ত চোখ দুটি দেখে আমি মুগ্ধ,কারন খুবই আকর্ষণীয় ছিল।
ক্ষতিকর অজানা পতঙ্গ
এই বছর হঠাৎ করেই এই ক্ষতিকর পতঙ্গের মুখোমুখি হলাম।আসলে আমি বেশ কয়েক দিন ধরে লক্ষ্য করছি আমার জবাফুল গাছের কিছু ফুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।এরপর আমি গাছে ফুলের কাছে গিয়েই বুঝতে পারলাম কেন ফুটন্ত ফুলগুলি নষ্ট হচ্ছে।
অজানা পোকাটি জবা ফুলের ঠিক মাঝখানে বসে গোটা ফুলের পাপড়িগুলো কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে নিচ্ছে আর সঙ্গে তার মল ত্যাগ ও করছে।যেটা আমার কাছে ভীষণ খারাপ লেগেছে।কারণ ফুলগুলি সছিদ্র হয়ে বিদঘুটে রূপ ধারণ করেছে যা দেখার মতো নয় বা ব্যবহারের অযোগ্য ছিল।হলুদ-কালোর মিশ্রনে পোকাটি রোদের আলোয় মিশে গিয়েছে ফুলের সঙ্গে।ফুল আমি খুব ভালোবাসি তাই ক্ষতিকারক পোকাটিকে দমন করলাম নিজে হাতে।
ক্ষতিকর ঘাসফড়িং
বন্ধুরা, ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই এটি একটি লাফানো ঘাসফড়িং ।ঘাসফড়িং বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন প্রজাতির হয়ে থাকে।আর এই ঘাস ফড়িংয়ের কালারটি একটু কালচে টাইপের।সাধারণত আমরা সবসময় সবুজ রঙের ফড়িং দেখে থাকি কিন্তু এই ফড়িংগুলিও কিন্তু গাছপালার পাতা বা ফসলের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর।এই ফড়িংগুলো গাছের পাতায় আঠা জাতীয় কিছু রেচন পদার্থ বা জাল বুনে পাতা গুটিয়ে ফেলে।ফলে গাছের পাতাগুলো ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়।আমার একটি টগর ফুলগাছের পাতায় ও এই সমস্যাটিই দেখা দিয়েছে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ফুল ও ফলের ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনি খুব সুন্দর করে কিছু কীটপতঙ্গের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে বেশ ভালই লাগলো। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভাল ছিল। খুব সুন্দর করে সবকিছুর বর্ণনা তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই আমার ছবি তোলার সার্থকতা ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় আপুমনি আপনি কিছু পতঙ্গের আলোকচিত্র" খুবই সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন তার মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালো লেগেছে আমার কাছে ক্ষতিকারক ঘাসফড়িং এর ফটোগ্রাফি।♥♥
অনেক ধন্যবাদ আপু,সুন্দর মন্তব্যের জন্য💝💝।
আপনি প্রতিটি পতঙ্গের ছবি আপনার হাতের ফটোগ্রফি দ্বারা এত সুন্দর করে আমাদের মাঝখানে তুলে ধরেছেন যে দেখতে মনে হচ্ছে চোখের সামনে থেকে দেখতে পারছি ।বিশেষ করে প্রজাপতি এবং ঘাসফড়িং এর ছবিটি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে আপু ।এভাবে আপনি আমাদের মাঝে মাঝে উপহার দেবেন বলে আশা করি
আপনার কাছে ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পতঙ্গের ফটোগ্রাফি করেছেন। ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগছে। আপনাকে ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার সুন্দর অনুভূতি জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপু।
কিছু পতঙ্গের আলোকচিত্র সুন্দরভাবে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। দেখতে খুবই ভালো লাগলো। আজকাল এগুলো ঠিক মত দেখাই যায়না। আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু,তবে গ্রামে মাঝে মাঝেই দেখা মেলে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মাথায় তো দারুন সব আইডিয়া। কি সুন্দর পতঙ্গ নিয়ে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট বানিয়ে ফেলেছেন। এ ধরনের ব্যতিক্রমী পোস্ট দেখে ভালই লাগে। তবে আরও দু-একটি ছবি দিলে বেশি ভালো হতো। অল্পতে মন ভরল না। ধন্যবাদ দিদি
ভাইয়া, অল্প কিছু দেখলে পরবর্তীতে দেখার প্রতি ইন্টারেস্ট থাকে, কিন্তু বেশি দেখলে তা থাকে না।ঠিক খাবারের মতো☺️☺️।আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ বেশ চমৎকার হয়েছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। যে প্রজাপতিটি জন্য আপনার আম্মু আপনার ঘুম ভেঙ্গেছিল সেই প্রজাপতিটি আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে। আর তাছাড়া সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিও আপু ❣️🥰❣️
আমার কাছে ও প্রজাপতিটি খুব ভালো লেগেছে আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সাহস নিয়ে কিছু কীট পতঙ্গের ছবি তুলেছেন। জবা ফুলের মাঝে বসে যে কীট টি ফুল খাচ্ছিল সেটিকে দেখে বেশ ভয়ই লাগল। ছবিগুলো কাছে থেকে খুব ভালভাবে ক্যাপচার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যাঁ ভাইয়া, ওই পোকাটি আমার দিকে ধেয়ে আসছিল কয়েকবার।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার শেয়ার করা বড় প্রজাপতির ছবি দেখে মনে হচ্ছে দুই পাখনায় দুইটা চোখ রয়েছে। কেমন যেন একটু ভংয়কর দেখাচ্ছে।
হ্যাঁ ভাইয়া, সুন্দর দুটি ময়ূরের পালকের মতো চোখ রয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।