"দুস্টুমি ও ব্যস্ততায় কাটলো দিন"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার

বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে।ভিন্ন কিছু নিয়ে লিখতে আমার খুবই ভালো লাগে।সেই ভালো লাগা থেকেই আমি আজকেও চলে আসলাম আপনাদের সামনে।

দুস্টুমি ও ব্যস্ততায় কাটলো দিন:

IMG_20221020_174902.jpg
লোকেশন

■আমার ব্যস্ততা:

আজ বৃহস্পতিবার।আর বৃহস্পতিবার দিনটি শুরু থেকেই আমাদের কাছে উত্তেজনাময়।বরাবরের মতোই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বসে থাকি কখন চেনা কন্ঠস্বরগুলি শুনতে পাবো।যদি ও খুবই ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে আজকের দিনটি।সেই সকাল 7 টায় বাড়ি থেকে না খেয়ে বের হলাম হালকা কুয়াশায়।তারপর আবছা সূর্যের আলো গায়ে মেখে চেপে বসলাম বাড়ির সামনে বাসে।গন্তব্য ছিল কার্জন গেট হয়ে কলেজে পৌঁছানোর।কয়েকদিন ধরে হঠাৎ হাতে ব্যথা ও এলার্জির সমস্যার কারণে একটু হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম।ঔষুধ খেতে আমি একদম পছন্দ করি না তবুও যেতে হলো।খুবই ভালো ডক্টর বসেন বর্ধমান শহরের কার্জনগেটে।দাদাকে সঙ্গে নিয়ে ডক্টর দেখিয়ে ছুটলাম কলেজ পানে।
তারপর আরকি!যদিও বাইরের খাবার স্বাস্থ্যকর নয় তবুও কলেজের ক্যান্টিন থেকে একটি স্যান্ডউইচ খেয়ে পেটকে সান্ত্বনা দিলাম।

IMG_20221020_175105.jpg
(চলছে মিনির পড়াশুনা)

সামনেই পরীক্ষা তাই কলেজ পুরো ফাঁকা।তবুও কয়েকজন মিলে একটি ক্লাস করে সবাই বাড়ি চলে আসার জন্য পা বাড়ালাম।যদিও সকলের আলাদা আলাদা জায়গায় বাড়ি, আমার আবার ট্রেন ধরার তাড়া।দ্রুত টোটো চেপে বসলাম 11টা 25 এর ট্রেন ধরবো বলে কিন্তু মাঝপথে জ্যামে আটকে দেরি হলো।ভাবলাম পরের ট্রেন অর্থাৎ 12 টা 25 এর টা ধরবো।স্টেশনে টোটো থেকে নামতেই দাদা ফোনে জানিয়ে দিল ট্রেনটি ক্যান্সেল, অনেকটা সময় বসে থাকতে হবে।তাই বাস ধরার কথা বলে দিল ওই সময়ে।আবার স্টেশন থেকে হাঁটা শুরু করলাম রোদ্রের মধ্যে।কারন আজ বাড়ি থেকে ছাতা নিয়ে যায়নি। যাইহোক স্টেশন থেকে বেশ খানিকটা পথ হেঁটেই কার্জনগেটে বাসস্টপে এসে বসলাম।তারপর বাস আসার সময় চলে যায় বাসের দেখা মেলে না,অনেকটা অপেক্ষার পর আশার আলো দেখলাম।দ্রুত গিয়ে বাসে চেপে বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলাম, পথের সব লাল মাটির ধুলো উড়িয়ে বাস ছুটে চললো বাড়ির পানে।(আসলে বাইরে গেলে আমার তেমন ছবি তোলা হয় না আর আজ এতটাই ব্যস্ততায় সময় কেটেছে যে ছবি তোলার কথা খেয়ালই ছিল না।)

■মিনির দুস্টুমি:

IMG_20221020_174934.jpg
লোকেশন
(চলছে মিনির দাঁত দিয়ে নোট ছেড়ার দুস্টুমি)

বাড়ি এসেই স্নান সেরে খাওয়া দাওয়া করে বিছানা পেতে একটু বই নিয়ে পড়তে বসলাম অমনি মিনির দুস্টুমি শুরু হয়ে গেল।মিনি আমাকে পেলে কি যে খুশি হয় বলে বোঝানো যাবে না।তাছাড়া বাড়ির সকলের কাজ করা দেখতে মিনি খুবই ভালোবাসে ।এমনকি মিনি অপরিচিত মানুষ ,গাড়ি ও গরু দেখতে খুবই ভালোবাসে।তো চলুন কয়েকদিন আগে তোলা মিনির দুস্টুমির কিছু ছবি দেখে নিই---

IMG_20221117_094335.jpg
লোকেশন
(চলছে মিনির ঘুমিয়ে মাছ চৌকিদারি ও জাল বোনা দেখার কাজ)

IMG_20221117_094258.jpg
(চলছে ব্যায়াম ও শিকার ধরার চেষ্টা)

মিনির আরেকটি পছন্দের জিনিস হলো মাছ ধরতে যাওয়া।আমরা অবশ্য বিড়ালকে কাঁচা মাছ খেতে দিই না ,মাছ ভেঁজে খেতে দিই।তো বাড়ি থেকে খাপ জাল বের করার শব্দ শুনতে পেলেই অমনি ছুটে চলে বাবার পিছু পিছু।তারপর যতদূর যাওয়া হোক না কেন পিছু ছাড়ার নাম থাকে না।মাছ ধরে বাড়ি নিয়ে আসলে সেটির উপর ঘুমিয়ে চৌকিদারের কাজ ও মিনি করে।আবার বাবার জাল বোনা দেখে কখনো সবজি খেতে সবজি রোপন দেখে, কখনো মায়ের সঙ্গে রান্না করে।আবার কখনো বই পড়ার নামে আমার নোট ছিড়ে দেয় দাঁত দিয়ে।তাছাড়া নিয়ম মতো ব্যায়াম করা আর ফড়িং শিকারের কাজ তো আছেই।যদিও মিনির দাঁত ভেঙে দাঁত উঠছে তাই বেশি কিছু শিকার ধরতে পারে না।আরেকটি মজার ব্যাপার হলো- মিনি কয়েকবার পাখি শিকার করতে গিয়ে নিজে নিজেই পুকুরে পড়ে গিয়ে স্নান করে উঠেছে।

IMG_20221020_174956.jpg
লোকেশন

আশা করি এটা আপনাদের কিছুটা হলেও বিনোদন দিতে সাহায্য করবে।কারন কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে বিনোদন আমাদের জীবনে প্রশান্তি ও আনন্দ দিতে সাহায্য করে।আর আমাদের রোবটিক জীবনে বিনোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।তো আজকের লেখা দুস্টুমি ও ব্যস্ততম দিনের অনুভূতিটি আশা করি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

🌸ধন্যবাদ সকলকে🌸

ক্যামেরা: poco m2

অভিবাদন্তে: @green015

Sort:  
 2 years ago 

আপু আপনার মিনির কাণ্ডকারখানা গুলো দেখে কিন্তু বেশ মজাই পেলাম । মিনিটি দেখতে কিন্তু বেশ কিউট । এরকম একটি মিনি আপনার কাছে থাকলে তো আপনার সময় দিব্যি কেটে যায় । আজ খুব ব্যস্ততম সময় পার করেছেন আপনি তার পরেও বাড়িতে ফিরে মিনির সঙ্গে কাটানোর সময় গুলো বেশ মজার ছিল মনে হচ্ছে ।যাই হোক ভালো ছিল ধন্যবাদ ।

 2 years ago 

আপু শুধু মিনি নয়,শনতু নামের একটি ছেলে বিড়াল ও আছে।সত্যিই সময় কেটে যায় মজাতে, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

বিড়াল আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা প্রাণী! আমার নিজের সময় হয়না বলে বিড়াল পুষতে পারি না। কিন্তু যেখানেই বিড়াল পাই চেষ্টা করি একবার অন্তত আদর করে দিয়ে আসতে। ভালো লাগলো আপনার বিড়ালটা দেখে।

 2 years ago 

বিড়াল আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো।সত্যিই অনেক সময় দিতে হয়।ধন্যবাদ দাদা।

 2 years ago 

আপু আপনার মিনির চেহারাটা কিন্তু অনেক কিউট লাগছে। আসলে আপু মিনির সাথে এ রকম দিন কাটাতে পারলে অনেক ভালো লাগে। এ ধরনের মিনি আমার বাচ্চাদের অনেক পছন্দ। আপনার মিনিতো দেখছি আপনার বাড়ির সকল কাজের দিকে নজর রাখে।যাইহোক আপনি আপনার দাদার কথামতো ট্রেন এর অপেক্ষা না করে বাসে এসেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু ,মিনি সব কাজে নজর রাখে।ধন্যবাদ আপনাকে😊

 2 years ago 

দারুন একটা নাম রেখেছেন দিদি, মিনি নামটা ওর দুষ্টামির সাথে বেশ মানিয়েছে। এমন শখের একটা পোষা প্রাণী থাকলে এমনিতেই তো ব্যস্ত সময় পার করা যায়। আমাদের বাড়িতে একটা বিড়াল আছে আর সেই বিড়ালটা মাছের কাঁটা খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।

 2 years ago 

ভাইয়া ,আমাদের বিড়াল ও মাছের কাঁটা খেতে ভালোবাসে। কিন্তু আমরা পিওর মাছ দিই কাঁটা দিইনা,গলায় বেঁধে যাওয়ার ভয়ে।ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

কলেজ থেকে আসতে গিয়ে খুবই বিপত্তিতে পরেছেন দেখছি। প্রথম ট্রেন মিস এবং দ্বিতীয় ট্রেন ক্যানসেল। যাই হোক তাও সময়মতো বাসে করে ফিরতে পেরেছেন। আর আপনার মিনিতো অনেক ব্যস্ত বিড়াল। সারাদিন এত কাজ করান ওকে দিয়ে। মাছ ধরা, রান্না করা, মাছ পাহারা দেয়া,পাখি ধরা।ওর কান্ডগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনারও নিশ্চয়ই খুব মজা লাগে ওর এই কান্ডগুলো দেখতে। বেশ কিউট দেখতে মিনি।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু,খুবই বিপত্তিতে পড়তে হয় যদি ট্রেন ক্যান্সেল থাকে।আপু শুধু মিনি নয়,শনতু নামের একটি ছেলে বিড়াল ও আছে।সত্যিই সময় কেটে যায় মজাতে, ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

দেখছি পুরোই ব্যস্ততার মাঝে কাটিয়েছেন। কলেজ থেকে আসতেও প্রায় অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে ট্রেন নিয়ে। শেষমেষ বাসে করে এসেছেন ভালই হয়েছে। কিন্তু আপনার মিনি যে সারাদিন এত কাজ করে সেটা সত্যি অবাক হলাম। তাছাড়া মিনি নামটি আমার কাছে ভীষণই ভালো লেগেছে। আপনি দেখছি আবার মিনিকে মাছ ভেজে তারপর খেতে দেন। মিনি আবার আপনার মায়ের সাথে রান্নাও করে। মিনি এতগুলো কাজ করে এগুলো দেখেও তো অবাক হয়ে গেলাম। তারপর আবার ব্যায়াম ও করে। আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই অনেক আনন্দিত হলাম।

 2 years ago 

হ্যাঁ আপু,ভাজি মাছ খেতে দিই কারন কাঁচা মাছ খেলে বিড়ালের কৃমি হয়।ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

পুরো দিনটাই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন দেখছি। কলেজ থেকে আসার সময় ট্রেন নিয়ে অনেক বড় ঝামেলা হয়েছে দেখছি। বাসে যাওয়ার জন্য ও অনেক সময় পর্যন্ত বসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বাসে করে এসেছেন খুবই ভালো হয়েছে। আর মিনির দুষ্টামি দেখে খুবই ভালো লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে বাড়ির সবাই ওকে ভীষণ আদর করে। দুষ্টামির সাথে নামটি খুবই ভালো মানিয়েছে। মিনি বাড়ির সকল কাজের দিকে নজর রেখে দেখছি।

 2 years ago 

মিনি মেয়ে বিড়াল তাই এই নাম দিয়েছি ভাইয়া।হ্যাঁ ভাইয়া, সবাই আদর করে।ধন্যবাদ আপনার সাবলীল মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64041.25
ETH 2762.17
USDT 1.00
SBD 2.66