"শক্তিগড়ের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা?
আশা করি সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ আছেন।আমি ও বেশ ভালো আছি।তাই আজ আমি আবারো হাজির হলাম ভিন্নধর্মী শক্তিগড়ের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে।ছবিগুলো দেখতে খুবই সাধারণ তবে প্রত্যেকটি ছবির আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য ও বৈচিত্র্য রয়েছে।তাই প্রকৃতি দেখতে আমার যেমন ভালো লাগে তেমনি তার ছবি তুলতেও আমার খুবই ভালো লাগে।আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে ছবিগুলো।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক---
শক্তিগড়ের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি:
এটি মূলত একটি বড় ক্যানেলের ছবি।তবে ক্যানেলের অনেকটাই শ্যাওলা ও কচুরিপানায় ঢাকা রয়েছে।কিছুটা অংশ ফাঁকা রয়েছে।কিন্তু ক্যানেলের দুইপাশে রয়েছে সবুজ প্রকৃতি ।যা দেখে মন ছুঁয়ে যায়, আসলে যখন আমি দামোদর নদী দেখতে গিয়েছিলাম তখন যাওয়ার পথে অনেকগুলো ছোট-বড় ক্যানেল চোখে পড়ে।এই ক্যানেলটি অনেক দূর অবধি বিস্তৃত ছিল।তাই ঝটপট ছবিগুলো তুলেছিলাম।
এটা শক্তিগড় হাইওয়ের দৃশ্য।যখন আমরা দুর্গাপূজা দেখে বাড়ি ফিরছিলাম তখন হাইওয়ের কাছে আসতেই হঠাৎ বৃষ্টি পড়ছিল।তাই আমরা একটি বন্ধ দোকানের পাশে আশ্রয় নিয়েছিলাম।ঠিক অপর প্রান্তে এই রাস্তাটি ছিল।অনেকেই তখন বাইকে এবং বিভিন্ন যানবাহনে পুজো দেখতে যাচ্ছিল।কিন্তু বৃষ্টির জন্য পিচের রাস্তা কিছুটা পিচ্ছিল ছিল।এমন সময় ঘটলো ঘটনাটি।একটি ছেলে-মেয়েও বৃষ্টিতে ভিজে বাইকে করে পুজো দেখতে যাচ্ছিল।তখন রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় তারা রানিং বাইক নিয়ে ছিটকে পড়লো ঠিক হাইওয়ের নীচে কর্নারে।যদিও বড়ো ঘটনা ঘটেনি তবুও বাইকের নীচে মেয়েটি চাপা পড়েছিল আর বেশ ব্যথা পেয়েছিল।
এই ছবিটি আমি ব্রিজের উপর থেকে তুলেছিলাম।এখানে দূরে সবুজ গাছগুলো মিশে গিয়েছে একে অপরের সঙ্গে।এই ক্যানেলগুলি দামোদর নদীর সঙ্গে যুক্ত।দামোদর নদীর জল এইসব ক্যানেল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিভিন্ন ফসলী জমি সেচের কাজে ব্যবহৃত হয়।ফলে বহু কৃষকরা এতে উপকৃত হয়।ক্যানেলের মাঝে মাঝেই আবার ছোট ছোট কালবাট স্থাপন করা রয়েছে।
এটা আরেকটি ক্যানেল যেখানে পাটা দেওয়া রয়েছে।ছোট পাটার ফাঁক দিয়ে জল চলে আসছে এবং কচুরিপানা আটকে রয়েছে পাটার অপর পাশে।ফলে জল কিছুটা স্বচ্ছভাবে বের হচ্ছে।এইসব ক্যানেলের পাশ দিয়ে পাকা দেওয়াল গড়ে তোলা হয়েছে।নদী সংলগ্ন এইসব ক্যানেলে প্রচুর পরিমানে মাছ পাওয়া যায়।তাই অনেকে এখানে বড়শি বা জাল দিয়ে মাছ ধরতেও আসেন দূর-দূরান্ত থেকে।
আমার জলরাশি দেখতে খুবই ভালো লাগে।এটিও ক্যানেলের দৃশ্য ,যেখানে জলরাশি খুবই দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হচ্ছিল।আর জলের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস ভেসে চলে যাচ্ছিল।এই জলের স্রোতগুলিতে কিছু পড়ে গেলে খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল হয়ে পড়ে।আমার সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে এর ঠিক পাশেই একটি আম গাছ ছিল।
দামোদর নদী দেখতে আমরা পাড় থেকে কিছুটা নিচে নেমেছিলাম।তাই নদীর দৃশ্য উপভোগ করে পাড়ের উপরে উঠে দেখলাম বেশ কিছু বড়ো সাইজের সিমেন্টের পাইপ সাজানো রয়েছে।যেটা দেখতে দারুণ লাগছিলো।
এটা একটি ব্রিজের উপর থেকে তোলা দৃশ্য।ব্রিজের একপাশ ঘেরাও ছিল এবং কিছু মেশিন বসানো ছিল।তখন যেহেতু পুজোর সময় ছিল তাই মেশিনের গায়ে ফুলের মালা দেওয়া ছিল।যদিও ব্রিজে ঘেরাও করা অংশের জন্য ভালো ছবি তুলতে পারিনি তবুও এর পেছনের দৃশ্য বেশ আকর্ষণীয় ছিল।স্বচ্ছ ও শান্ত জলধারায় ক্যানেল বয়ে চলছিল।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।পরের দিন আবারো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।ততক্ষণ সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনি খুব সুন্দর করে জলাশয়ের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর করে প্রাকৃতিক পরিবেশে জলাশয়ের ফটোগ্রাফি গুলো মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করেছেন। ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনার সুন্দর মতামত তুলে ধরার জন্য, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটেগ্রাফি দেখলাম। বিশেষ করে ক্যানেল গুলো খুব ভাল ছিল। এভাবে বিভিন্ন পয়ন্টে ক্যানেল করে ময়লা গুলো আটকে দিলে পানি গুলো সুন্দর ভাবে বের হতে পারে। পানিও পরিষ্কার থাকে। সিস্টেম টা আমার কাছে খুবই ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
সত্যিই ,সিস্টেমটি আমার ও ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ছবিগুলো ভাগ করে নেয়ার জন্য। আপনাদের এদিকে প্রচুর ক্যানেল রয়েছে দেখলাম। আবার প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এগুলোতে বলছিলেন। বিশেষ করে প্রাকৃতিক পরিবেশের ছবিগুলো সবসময়ই আমাকে আকর্ষণ করে, এধরনের ছবি বেশ অর্থপূর্ণ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ছবিগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, অনেক ক্যানেল দামোদর নদীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার মতামত জানানোর জন্য।
দিদি শক্তি গড়ের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি হলেও দেখতে কিন্তু খুব সুন্দর লাগছে। প্রকৃতির এই সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই ভালো লাগে। হাইওয়ের দৃশ্য দেখতে কিন্তু বেশ সুন্দর ছিল। ছবিগুলো দেখতে সাধারণ হলেও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রকৃতির এই সুন্দর দৃশ্য দেখলে আপনার মতো আমারও ছবি তুলতে অনেক ভালো লাগে। দিদি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে ছবিগুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও ধন্যবাদ।
আসলে দিদি প্রাকৃতির মাঝে তোলা ছবি গুলো আমার একটু বেশিই ভালো লাগে ৷ আপনি দারুণ কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন ৷দিদি আপনার তোলা শক্তি গড়ের কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে শেযার করার জন্য ৷
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার মতামত জানানোর জন্য।
জলরাশি দেখতে আমারও খুবই ভালো লাগে। আপু আপনি জলরাশি দেখতে পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। প্রকৃতির সৌন্দর্য সত্যিই মনমুগ্ধকর। ক্যানেল গুলো দেখেও ভালো লাগলো। আপনি আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রকৃতির সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ঠিক বলেছেন আপু ,আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অবাক হলাম। আপনার ছবি তোলার মেধা এবং দক্ষতা আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে।
ধন্যবাদ আপু,উৎসাহ পেলাম।
আচ্ছা তোমার বাড়ি শক্তিগড়ে? শক্তিগড় বললেই তো একটা কথাই মনে পড়ে যেটা ওয়েস্ট বেঙ্গলের লোকেরা আরো ভালো করে বুঝতে পারবে।সেটা হচ্ছে ল্যাংচা। আমার ভাই দীর্ঘদিন দুর্গাপুরে ছিল। ও যখনই দুর্গাপুর থেকে ফিরতো তখনই শক্তিগড়ের থেকে ল্যাংচা নিয়ে আসতো।সে দারুন স্বাদ। তোমার তোলা ছবিগুলো ঠিক তোমার মতই স্নিগ্ধ।
শক্তিগড়ের পাশের স্টেশন দিদি।আপনি ঠিক বলেছেন শক্তিগড়ের ল্যাংচা বিখ্যাত।ধন্যবাদ আপনাকে।🤗😃💚