বর্তমান/বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য -"আঞ্চলিক খেলাধুলা"
নমস্কার
বন্ধুরা,আশা করি আপনারা সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন ।আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগে" @moh.arif ভাইয়ার আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।প্রতিযোগিতার বিষয় হলো-"বর্তমান/ বিলুপ্ত প্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য "।সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য ভাইয়াকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
(10%বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
(আমার এলাকায় বিলুপ্তপ্রায় কিছু খেলাধুলার লোকসংস্কৃতি সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা ও নিজস্ব অভিজ্ঞতা)
■ভূমিকা:
আমি মনে করি ,বহুকাল ধরে চলে আসছে বিভিন্ন লোকগান,কবিগান, ভাটিয়ালি গান,যাত্রাপালা, জারিগান, নৃত্য, গ্রামীণ খেলাধুলা,উপকথা, ধাঁধা ও উৎসব ইত্যাদি যা এখন পুরোপুরি হারিয়ে গেছে বা হারিয়ে যেতে বসেছে কিংবা ভবিষ্যত 2-1 বছরের মধ্যে হারিয়ে যাবে তাকে বিলুপ্ত প্রায় লোকসংস্কৃতি বলে ।
তেমনি আমার গ্রামের অনেক আঞ্চলিক খেলাধুলা ও আজ বিলুপ্তপ্রায়।যেগুলো গ্রামে বহুকাল ধরে প্রচলিত ছিল কিন্তু বর্তমানে নেই।কিন্তু আমার শৈশব স্মৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে।
■আমার এলাকায় বিলুপ্তপ্রায় কিছু খেলাধুলা সম্পর্কে বর্ণনা:
এখান থেকে প্রায় 5-6 বছর আগে ও আমার এলাকায় কিছু গ্রামীণ খেলা বিদ্যমান ছিল।কিন্তু কালের বিবর্তনে অর্থাৎ গ্রামীণ জনজীবনেও একটু আধুনিকতার ছোঁয়া পড়তেই সব আঞ্চলিক খেলাধুলাগুলি অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে।
◆আমার শৈশবের বিলুপ্তপ্রায় খেলাধুলার লোকসংস্কৃতি:
আমার শৈশবে অনেক খেলাধুলা ছিল সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।তার মধ্যে অন্যতম ছিল কড়ি খেলা ও ফুলেট বা পাথরের পাঁচগুটি খেলা।
আমার লোকেশন
(কড়ি খেলায় চার বসেছে)
আমার লোকেশন
(কড়ি খেলায় আট বসেছে)
●কড়ি খেলা:
আমার গ্রামটি ছিল একটি নদীর পাশে অবস্থিত।অর্থাৎ একপাশে গ্রাম অন্যপাশে জোয়ার-ভাটা সম্পন্ন বড়ো নদী ।নদী ও গ্রামের মাঝবরাবর মানুষের চলাচলের রাস্তা।আপনাদের অনেকেই এই কড়ির সঙ্গে পরিচিত হয়তো কিন্তু এই অন্যতম খেলা সম্পর্কে জানেন না।তবে আমার শৈশবের খেলা ছিল এই কড়ি খেলা।কড়ি খেলার জন্য প্রথমে কড়ি প্রস্তুত করতে হতো।
আমার লোকেশন
(কড়ি হাত দিয়ে মারার ছবি)
কড়ি খেলার নিয়ম ও পদ্ধতি:
আমাদের নদীতে জোয়ারের সময় রাস্তার কানাকানি জল হতো এবং ভাটার সময় অনেক দূর অবধি জল সরে যেত।তখন ভাটার সময় আমরা অনেকেই মিলে নদীর চড়ে গিয়ে গাছের গুড়ি কিংবা শিকড়ের গায়ে আটকে থাকা কড়ি সংগ্রহ করতাম।কড়ি আবার অনেক প্রজাতির হয়।
আমরা এই কড়িই খেলার জন্য ব্যবহার করতাম।তারপর শত শত কড়ি ঘেটে চারটি একসমান কড়ি বাছাই করতাম।তারপর কড়ি বাড়ি এনে মাটিতে পুঁতে রেখে দিতাম মাংস পচে পরিষ্কারের জন্য 3-4দিন।4 দিন পর কড়ি তুলে জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেলার জন্য ব্যবহার করতাম।
এবার আমরা চারটি কড়ি নিয়ে হাত ঘুরিয়ে চেলে দিতাম।চারটি কড়ি যদি উপুড় হয়ে পড়ত তাহলে তাঁকে আমরা 4 ধরতাম,আর যদি চারটিই উপুড় না হয়ে চিৎ হয়ে পড়ত সেটিকে ধরতাম 8 ।এইভাবে 1-20 অব্দি করতে হবে ,যদি একবারে 1-20 অব্দি খেলা যায় তাহলে একেবারেই 7 মার্ক হয়ে যাবে।আর যদি জোর অর্থাৎ একটার পর একটা বসে সেটি বিজোড় সংখ্যা দিয়ে গণনা হয়।এভাবে গুনতে গুনতে উনিশ এবং কুড়িটাকে ঠুনিশ বলে খেলা শেষ করতাম।তারপর কড়ি কড়িতে কেরাম খেলার মতো আঘাত করতাম।যেটি এখন সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে আমার এলাকা থেকে।
আমার লোকেশন
(পাথরের পাঁচগুটি বা ফুলেট খেলার উপাদান)
●ফুলেট বা পাথরের পাঁচগুটি খেলা:
5 টি একই সমান পাথর বা ইটের টুকরো খোয়াকে আমরা ফুলেট খেলা বলতাম।তারপর পাথরগুলো দিয়ে পাঁচপাচঁ বা 5 টি পাথর নিয়ে বিকাল হলেই বাড়ির পাশে স্কুলের বারান্দাতে বড়ো -ছোট সবাই মিলে খেলতাম।যা এখন আর ছোটদের খেলতে দেখি না, বিলুপ্তপ্রায়।
●কিৎ কিৎ খেলা:
আমার শৈশবে টালির খোলা গোল করে ভেঙ্গে মাটি কিংবা সিঁড়ির উপর দাগ কেটে 10 ঘর কিৎ কিৎ, গোল কিৎ কিৎ,এবং চৌকো কিৎ কিৎ খেলতাম যা এখন বিলুপ্তির পথে।
●ঘুরণচন্ডি খেলা :
আমাদের বাড়ির পাশে স্কুলের বড়ো মাঠে ছেলে -মেয়ে একসাথেই অনেকে জড়ো হয়ে হাতে হাত বেঁধে একটি গর্তে পা রেখে ঘুরণচন্ডি খেলতাম দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ঘুরে ঘুরে।অন্য দলটি গোল হয়ে আটকে দাঁড়িয়ে থাকত যাতে কেউ বাইরে বেরিয়ে যেতে না পারে হাতের বাঁধন খুলে।যেটি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
আমার লোকেশন
(ফুলেট খেলার শেষ পর্যায়ে গেটের মধ্যে গুটি ঢোকানোর ছবি)
●মাছ-ফুল খেলা ও বুদ্ধি বুদ্ধি খেলা:
এই খেলাগুলিতে ও দুইটি করে দল থাকে। প্রায় একই ধরনের দুইটি খেলা।দুই দলে বিভক্ত হয়ে দুই পাশে গিয়ে বসবে।প্রত্যেক দলের একজন করে দলনেতা থাকবে।তারপর চোখ বন্ধ করে থাকতে হবে একদলের একজনকে, অন্যদলের একজন কপালে এসে জোরে আঙ্গুল দিয়ে টোকা দিবে ,তারপর চোখ খুলে ঠিকঠাক নাম বলতে হবে।এটি ছিল মাছ-ফুল খেলা।
বুদ্ধি বুদ্ধি খেলাতে ও একই ধরনের তবে একজন বাড়তি মানুষ দুই দলের মধ্যে বসে বুদ্ধিদাতা হয়ে থাকবে ।সেই দুই দলের মানুষের বলা নাম কানে কানে শুনবে।দুই দলের বলা নাম মিলছে কিনা দেখবে।এটিই বুদ্ধি বুদ্ধি খেলা।যেটি সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেছে আমার এলাকা থেকে।
আমার লোকেশন
(আমার শৈশবের হাতে তৈরি কাপড়ের তৈরি পুতুল)
●রুমাল /ওড়না চুরি খেলা:
সবাই মিলে গোল হয়ে মাঠে বসে থাকবে মাথা নিচু করে, তারপর একজন সকলের পিছনে ঘুরে ঘুরে যেকোনো একজনের পিছনে রুমাল রেখে দিয়ে একবার ঘুরে আসবে।যার পিছন দিকে রুমাল রাখা সে টের না পেলে ওই ব্যক্তি তাকে রুমাল /ওড়না দিয়ে মারতে থাকবে ঘুরে এসে আবার জায়গায় বসা পর্যন্ত।এটি এখন আমার এলাকা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
●ঝুমুর ঝুমুর খেলা:
একজন খেলার বুড়ির নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন গাছের পাতা ঝুমুর ঝুমুর বলে একদমে নিয়ে এসে গাছের গোড়ায় পুঁতে রেখে দিতে হবে লুকিয়ে।দম ছাড়লেই লাঠির বারী, সেই বুড়ি একজনের অধিকার করা গাছের নিচে পাতা খুঁজে বের করত প্রত্যেকটি।এটি এখন সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।
●গাদন খেলা:
মাঠের ফসল কাটা হয়ে গেলে আমরা মাঠে কোদাল দিয়ে গাদন খেলার কোট তৈরি করতাম।যেটি ছেলে মেয়েরা উভয় খেলতাম।আর কোট থেকে বের হতে গেলেই দাগে দাঁড়ানো অন্য দলের বড়দের হাতের চড় পড়ত সপাটে পিঠে।যেটি আমাদের এলাকায় এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
●লুকোচুরি ও কানামাছি খেলা:
আগে একজন 1-100 পর্যন্ত গুনবে সবাই ততক্ষনে পালাবে ,তারপর গোনা শেষ করে খুঁজে বের করতে হবে।সেটি এখন বিলুপ্তির পথে, কারণ এখন কেউ স্কুলের মাঠে লুকোচুরি খেলেনা ,ঘরের মধ্যেই বাচ্চারা খেলে।
কানামাছি যেটি একজনের চোখ বেঁধে দিলে ,চোখ বাঁধা অবস্থায় অন্যকে ধরতে হবে।এটি এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে আমার এলাকা থেকে।
আমার লোকেশন
(স্কুল জীবনের প্যাত প্যাত খেলা)
● প্যাত প্যাত ও কলম খেলা:
স্কুল রুমের বড়ো টেবিলে তো সবাই কলম খেলেছে, কিন্তু আমরা বেঞ্চের উপর দাগ কেটে কিংবা খাতায় হাত দিয়ে দাগ কেটে প্যাত প্যাত খেলা খেলতাম।এটি তিনটি গুটি দিয়ে মেলানো কাজ।এছাড়া খাতায় বিন্দু দিয়ে কাটাকাটি খেলা ও খেলতাম।কিন্তু এখন এই খেলাগুলো বিলুপ্ত।
[এখন স্কুলে বাচ্চারা কার্টুন কিংবা সিনেমার গল্পতেই ব্যস্ত থাকে।]
●অন্যান্য খেলা:
মাটি দিয়ে পুতুল বানানো ,এছাড়া কাপড়ের টুকরো দিয়ে পুতুল বানিয়ে পুতুলের বিয়ে দেওয়া, নারিকেলের খোলা দিয়ে কড়া বানিয়ে, ফেলে দেওয়া সবজির টুকরো খোলায় রান্না করা ছিল মালা-খোলা খেলা।এটিও পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
■এইসব গ্রাম্য লোকসংস্কৃতির বিলুপ্ত প্রায় খেলাগুলির জন্য আধুনিকতার ছোয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরাও দায়ী:
এইসব খেলাগুলো কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।কিন্তু গ্রামে এই আধুনিকতার ছোঁয়া পড়তেই বাচ্চাদের অভিভাবকেরা এখন আর ছেলেমেয়েদের বিকাল হলেই মাঠে খেলতে পাঠায় না।কারণ তারা ভাবেন বাচ্চারা খেলতে খেলতে পড়ে গেলেই ব্যাথা পাবে, যেটি আগেকার অভিভাবকদের মধ্যে এই ভয়টি ছিল না।এই ভয়ে খেলতে দিতে চান না এবং বাচ্চারা একটু ব্যাথা পেলেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।এছাড়া বাচ্চা ছেলেমেয়েদের কাছে মোবাইল ফোন তুলে দেওয়া হয় কার্টুন ছবি দেখার জন্য ।এখন অভিভাবকেরা তাদের বাচ্চাদেরকে কাদা- মাটিতে হাত দিলেই সংকোচ বোধ করেন।যেটি বাচ্চাদের ঘরবন্দির সাথে সাথে, শারীরিক ও মানসিক ভাবে দারুনভাবে প্রভাব ফেলে।সুতরাং এই খেলাগুলি বিলুপ্তির জন্য মানুষেরাই দায়ী।
[এই খেলাগুলো আমার গ্রাম্য এলাকায় বহুকাল ধরে চলে আসছে, যা এখন বিলুপ্তি হয়ে গেছে শুধু স্মৃতিতে রইয়ে গেছে।এইজন্য এতবছর পরেও স্মৃতিকে একটু বাঁচিয়ে রাখতে আমি এখনো এই অন্যতম আমার প্রিয় খেলার উপাদান কড়িগুলিকে আমার কাছে সযত্নে রেখে দিয়েছি।আজ সেটাই আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম।]
আশা করি আমার এলাকার বিলুপ্তপ্রায় খেলাধুলার লোকসংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।ধন্যবাদ সবাইকে।
সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
সব গুলো খেলা আমার খুবই পরিচিত খেলা।এই খেলা গুলো আমি ছোট বেলায় খেলেছি।সব গুলো খেলাই যেন শৈশবের স্মৃতি।পোস্টটি দেখেই আমার শৈশবের স্মৃতি ১০০% জেগে উঠেছে।সত্যিই মাটিতে বসে বসে আর এই খেলা গুলো কাউকে কখনো খেলতে দেখা যায় না।কালের বিবর্তনে এটা আমাদের থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।এই সংস্কৃতি গুলো প্রাণ ফিরে পেতে পারে যদি আমরা সংস্কৃতিকে আবার ভালোবাসতে পারে তবেই।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিবেন ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য।
আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমার শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। আর এইসব লোকসংস্কৃতির খেলনা আর চোখে দেখা যায় না। যাইহোক আপনার সব মিলিয়ে পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।
ঐতিহ্যের খুব ভালো একটি বিষয়ে শেয়ার করেছেন। কড়ি, কানামিছি, পাঁচগুঠি, পুতুল এগুলো সত্যি বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খেলা ছিল। আপনার পোস্ট টা পড়ে আপনাদের ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।।
আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
🙂
পাথর দিয়ে পাঁচগুঁটি, গাদন, কিত কিত খেলেছি। পাঁচগুঁটি খেলা আর কিত কিত তবুও মাঝেসাঝে দেখতে পাই তবে গাদন পুরো গায়েব হয়ে গেছে। কোথাও দেখি না।
বেশ ভালো জায়গা নিয়ে লিখেছ। ছোটখাটো ব্যাপার অতচ সবাই উপেক্ষা করবে। 🤗
দাদা ঠিকই বলেছেন। যেভাবে আধুনিকতা আমাদের গ্রাস করছে আর কয়েক বছর পর হয়তো পাঁচ গুটি , কিৎকিৎ এই গুলোও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাবে।ধন্যবাদ দাদা।
মোবাইলের কুফল 😥
আপনার পোষ্টটা দেখে, ছোট বেলার সবগুলো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। আমার মনে আছে স্কুল জীবনে টিভিন টাইমে এই খেলাগুলো খুব খেলতাম। কিন্তু এগুলো আর এখন বেশি দেখা যায় না। বাঙালির এই ঐতিহ্য দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আপনার পোষ্টটা অনেক সুন্দর হয়েছে বোন। শুভেচ্ছা রইল।
আমরাও টিফিনের সময় খেলতাম। আবার বিকালে এবং ছুটির দিনে সকাল বিকাল ও খেলতাম। অনেক সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্ট টি দেখে আমার পুব়োন দিনেব় কথা মনে পড়ে গেল৷ছোট থাকতে
আমার ছেলে মেয়ে উভয় এসব খেলা খেলতাম ৷ধন্যবাদ আপু৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি গ্রাম বাংলার লোকসংগীত নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট করেছেন দিদি,এই ফটো গুলো দেখে ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো ছোট বেলা পাঁট করি কতো খেলেছি
আর এখন সবই অতীত সুন্দর একটা পোষ্ট করেছেন শুভ কামনা আপনার জন্য দিদি
ভাইয়া আমি গ্রাম বাংলার লোকসংগীত নয়,খেলাধুলাকে তুলে ধরেছি।অনেক ধন্যবাদ, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দিদি লোকসংস্কৃতি লিখতে যেয়ে লোকসংগীত লিখে ফেলেছি😭😭
কোনো বিষয় নয় ভাইয়া😊
বর্তমান/বিলুপ্তপ্রায় স্থানীয় লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য -"আঞ্চলিক খেলাধুলা। এসব খেলাধুলা আমি ছোট বেলায় অনেক করছে আপনার পোস্ট দেখে আবারও মনে পড়ে গেলো ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন দিদি। প্রতিটা স্টেপে খেলার গুলোর নাম নিয়মবলি এবং ছবিগুলো যুক্ত করেছেন ফলে খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে খুশি হলাম।
সব গুলো খেলাই আমার কাছে একদম ই নতুন।কখনো দেখিও নি আর খেলিও নি।তবে আম্মুকে দেখাতে আম্মু বললো আম্মু ছোট বেলায় সবগুলোই খেলেছে। কালের বিবর্তনেই নাকি এসব হারিয়ে গেছে। ধন্যবাদ নতুন কিছুর সাথে পরিচয় করানোর জন্য।খুব ভালো লাগলো আপু।
আপনার মন্তব্য শুনে খুশি হলাম আপু,আমাদের অঞ্চলে এই খেলাগুলি বহুদিন ধরে চলে আসছে ।এই খেলাগুলি গ্রামের ,সুতরাং এই খেলাগুলি থেকে শহরে থাকা মানুষরা বঞ্চিত ।হয়তো আপনার ক্ষেত্রে ও অনেকটা এইরকম আপু।আমাদের অঞ্চলে খুব বেশিদিন হয় নি, এগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে।এখনো একটি দুটি খেলা টিকে আছে যা ভবিষ্যতে ও বিলুপ্ত হয়ে যাবে।অনেক ধন্যবাদ আপু।আপনার সুন্দর সুচিন্তিত মতামতের মাধ্যমে অনুভূতি জানানোর জন্য।