"ভিন্ন স্বাদের মুচমুচে মাশরুমের পকোড়া রেসিপি"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা,কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি একদম ভিন্ন স্বাদের একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে।সেটি হলো-"মুচমুচে মাশরুমের পকোড়া রেসিপি"।
বন্ধুরা,এখন শরৎকাল।আর শরৎকাল হলেও মাঝে মাঝেই বৃষ্টির দেখা মেলে।আর এই হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টির শীতল আবহাওয়ায় যেকোনো তেলেভাজা খাবার খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে।বিভিন্ন রকমারি চপ ,পকোড়া গরম গরম ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সময় খেলে বেশ জমে যায়।যাইহোক আমাদের বাড়িতে পুরোনো খড়ের গাদায় কয়েকটি মাশরুম উঠেছিল।যেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে হয়ে থাকে,অনেকে একে দুর্গা ছাতু আবার ব্যাঙের ছাতা ও বলে থাকেন।তাই আমি এই মাশরুম দিয়ে একটি ভিন্ন স্বাদের রেসিপি তৈরি করেছি।এটি খেতে খুবই টেস্টি ও মুচমুচে হয়েছিল। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো চলুন রেসিপিটি শুরু করা যাক---
■উপকরনসমূহ:
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
1 | প্রাকৃতিক মাশরুম | 3 টি |
2 | লবণ | 1/2 টেবিল চামচ |
3 | হলুদ | 1/3 টেবিল চামচ |
4 | বেসন | 1/2 কাপ |
5 | শুকনা মরিচ গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
6 | জিরা গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
7 | গরম মসলা গুঁড়া | 1/3 টেবিল চামচ |
8 | কাঁচা মরিচ কুচি | 4 টি |
9 | পেঁয়াজ কুচি | 1 টি |
10 | সাদা তেল | 150 গ্রাম |
11 | জল পরিমাণ মতো |
■প্রস্তুত প্রণালি:
ধাপঃ 1
●প্রথমে আমি আমাদের খড়ের গাদা থেকে মাশরুমগুলি তুলে নিলাম।
ধাপঃ 2
●তো আমার মাশরুমগুলি তুলে নেওয়া হয়ে গেল একটি পাত্রে।
ধাপঃ 3
●এবারে মাশরুমের গা থেকে ছিপছিপে পাতলা আশ ছাড়িয়ে নেব।
ধাপঃ 4
●মাশরুম গুলি একটি পাত্রে জল দিয়ে ভিজিয়ে রেখে দেব কিছুক্ষণ ধরে।
ধাপঃ 5
●এরপর জল দিয়ে মাশরুমগুলি ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম এবং হাত দিয়ে মুঠি করে চিপকে জল বের করে নেব।।
ধাপঃ 6
●তো আমার মাশরুমগুলি একদম জল ঝরিয়ে কিছুটা শুকনো অবস্থায় রেখে দেব পাত্রে।
ধাপঃ 7
●এরপর আমি আলাদা একটি পাত্রে পরিমাণ মতো বেসন নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
●বেসনের মধ্যে লাল মরিচ গুঁড়া ও জিরা গুঁড়ার মসলা দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 9
●বিভিন্ন গুঁড়া মসলা বেসনের উপর পরিমাণ মতো দিয়ে দিলাম।যেমন-পেঁয়াজ কুচি,হলুদ, লবণ, কাঁচা মরিচ কুচি ও গরম মসলা গুঁড়াসহ ইত্যাদি উপকরণ দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 10
●সবশেষে ধুয়ে রাখা মাশরুমগুলি বেসনের মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 11
●এবারে অল্প অল্প জল যোগ করবো বেসনের উপর।
ধাপঃ 12
●বেসন দিয়ে একটা ঘন বাটার তৈরি করে নিলাম। এভাবে ভালোভাবে চামচ দিয়ে মসলাগুলি মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 13
●বাটারটি তৈরি করা হয়ে গেছে।এবারে আমি একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে সাদা তেল দিয়ে গরম করে নেব 2-3 মিনিট।
ধাপঃ 14
●এরপর অল্প অল্প বাটার নিয়ে আস্তে করে তেলের ভিতর ছেড়ে দেব এবং উল্টেপাল্টে ভেঁজে নেব দুইপাশে।
ধাপঃ 15
●মাশরুমগুলো লাল লাল রঙের করে ভেঁজে নেব।
ধাপঃ 16
● আমি সমস্ত পকোড়াগুলো এইভাবে লাল রঙের করে ভেঁজে নিয়ে একটি পাত্রে তুলে নিয়েছি।
সর্বশেষ ধাপঃ
●তো আমার তৈরি করা হয়ে গেল "মুচমুচে মাশরুমের পকোড়া রেসিপি"।এটি খেতে খুবই সুস্বাদু ও টেস্টি।এবারে এটি গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
দিদি আপনি আজকে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাশরুমের পকোড়া আমি কখনো খাইনি। পকোড়া গুলো মুচমুচে হয়েছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া, সত্যিই অনেক মুচমুচে হয়েছিল পকোড়াগুলি।ধন্যবাদ আপনাকে।
পাকোড়া আমার খুব পছন্দের খাবার।অনেক রকম পাকোড়া খেয়েছি।তবে মাশরুম পাকোড়া এখন ও খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে পাকোড়া গুলো বেশ মুচমুচে হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু এগুলো খেতে খুব টেস্ট ও মুচমুচে।একদিন খেয়ে দেখবেন,ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু যখনি বাহিরে একটু ঠান্ডা ভালো থাকে তখনই এমন তেলে ভাজা জিনিস খেতে খুব ইচ্ছে করে। তবে আমি কখনো মাশরুমের চপ খাইনি। আপু আমি যতটুকু জানি এই মাশরুমগুলো অনেক বিষাক্ত হয়ে থাকে, এটা কি আসলে ভুয়া আপু?? মাশরুমের পাকোড়া গুলো দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু।
সম্পূর্ণ ভুয়া নয় আপু,কারণ মাশরুমের নানান প্রজাতি রয়েছে ।সবগুলো খাওয়ার উপরযুক্ত থাকে না,কিছু কিছু বিষাক্ত থাকে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে তো মনে হচ্ছে এটি খুবই মুচমুচে হওয়ার কারণে খেতে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করতেছে।
আপনার কাছে রেসিপিটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি আসলে সত্যি বলতে মাশরুমের যে তরকারি খাওয়া যায় ৷ সেটা আজ নিজ চোখে দেখলাম আপনার বানানো রেসেপি টিতে ৷ আসলে আমাদের গ্রামেও যেখানে সেখানে প্রচুর পরিমানে এই মাশরুম পাওয়া যায় ৷ দেখতেও বেশ চমৎকার সাদা নীল বেশ ভালোই লাগে বিশেষ করে গ্রামের মানুষ বলে ব্যাঙের ছাতা ৷
যা হোক দিদি রেসেপিটি বেশ মনোযোগ দিয়ে দেখলাম ৷ আপনি সুন্দর করে মুচমুচে মাশরুমের পকোড়া রেসিপি ৷ দিদি দেখতে ভালো লাগলো মনে হয় খেতেও অনেক টেষ্ট হয়েছে মনে হয় ৷
হ্যাঁ অনেক টেস্ট হয়েছিল খেতে,তবে সব মাশরুম খাওয়া যায় না।ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
একদম দিদি সঠিক বলেছেন ভেজা ভেজা বৃষটিতে মচমুচে খাবার খেতে বেশি লাগে।বিশেষ করে তেলে ভাজা খাবার অনেক দারুন রেসিপিটা করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদিন এভাবে তৈরি করে অবশ্যই খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভিন্ন স্বাদের মুচমুচে মাশরুমের পাকোড়া রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। মাশরুম পাকোড়া আমি আগে কখনো খাইনি। চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদিন খেয়ে দেখবেন এভাবে করে আপু,অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মাশরুম দিয়ে তৈরি করা কোন ধরনের রান্না এখনো পর্যন্ত খাওয়া হয়নি। তবে মাশরুম দিয়ে আপনার তৈরি করা পাকড় রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করার পাশাপাশি ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।