"কষানো দই কাঁকড়া রেসিপি"
নমস্কার
কষানো দই কাঁকড়া রেসিপি:
বন্ধুরা, এমনিতেই কাঁকড়া খেতে অনেক সুস্বাদু।তাই এটি যে কখনো না খেয়েছে সে কখনোই এর স্বাদ সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারবে না।কাঁকড়ার যেকোনো রেসিপিই মজার খেতে হয়।আমরা অন্য সময় কাঁকড়া জলে সেদ্ধ করে রান্না করে থাকি।কিন্তু আজ একটু ভিন্নভাবে রান্না করার চেষ্টা করেছি অর্থাৎ একপাকে।আজ কাঁকড়গুলি সুন্দরভাবে কষিয়ে নিয়ে তারপর রান্না করেছি দইয়ের ফ্লেভার দিয়ে।এই প্রথম দই কাঁকড়া রেসিপি তৈরি করলাম।তাছাড়া এর সঙ্গে টমেটো কুচি কুচি করে দেওয়াতে একটা ভিন্ন স্বাদ অনুভব হয়েছিল খাওয়ার সময়।কাঁকড়ার রেসিপি আমার খুবই প্রিয়।রেসিপিটার কালারটি যেমন সুন্দর হয়েছিল তেমনি খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজার হয়েছিল।তো চলুন শুরু করা যাক রেসিপিটা---
উপকরণসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বড় কাঁকড়া | 2 টি |
টক দই | 4 টেবিল চামচ |
পাকা টমেটো কুচি | 2 টি |
পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
কাঁচা মরিচ বাটা | 3 টেবিল চামচ |
লবন | 1.5 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1 টেবিল চামচ |
জিরে বাটা | 3 টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | 1/3 টেবিল চামচ |
আদা-রসুন বাটা | 1.5 টেবিল চামচ |
শুকনো মরিচ গুঁড়া | 1 টেবিল চামচ |
গরম মসলা গুঁড়া | 1/3 টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | 60 গ্রাম |
জল পরিমাণ মতো |
প্রস্তুতপ্রণালি:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি কাঁকড়াগুলি পরিষ্কার করে বটির সাহায্যে কেটে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এখন টক দইটি ভালোভাবে ফাটিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
এরপর একটি পরিষ্কার কড়াই মিডিয়াম আঁচে চুলার উপর বসিয়ে দিলাম।তারপর তাতে সরিষার তেল দিয়ে হালকা গরম করে নেব।
ধাপঃ 4
এখন তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও পাঁচফোড়ন দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 5
পেঁয়াজগুলি হালকা নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিয়ে টমেটো কুচি দিয়ে দিলাম তার মধ্যে।
ধাপঃ 6
এরপর পেষ্ট করা সব মসলা পেঁয়াজ ভাজার মধ্যে দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 7
এবারে মসলাগুলি ভালোভাবে কষিয়ে নিলাম কয়েক মিনিট ধরে।
ধাপঃ 8
এখন কষানো মসলার মধ্যে ফাটিয়ে নেওয়া টক দই দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 9
টক দইটি মসলার সঙ্গে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে কষিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 10
এরপর কষানো মসলার মধ্যে কাঁকড়াগুলি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 11
কাঁকড়ার মধ্যে স্বাদ মতো লবন-হলুদসহ বিভিন্ন গুঁড়া মসলার উপকরনগুলি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 12
এখন সব মসলা একত্রে কাঁকড়ার সঙ্গে মিশিয়ে কষিয়ে নেব কয়েক মিনিট ধরে।
ধাপঃ 13
এবারে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিলাম কাঁকড়ার রেসিপিটি।
ধাপঃ 14
এরপর মসলাগুলি একটু গাড় হয়ে আসলে একটি পাত্রে নামিয়ে নেব রেসিপিটি।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "কষানো দই কাঁকড়া রেসিপি"।
পরিবেশন:
এবারে এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে ।এটি খুবই সুস্বাদু ও মজার খেতে হয়েছিল।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের রেসিপিটা অনেক ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।
টুইটার লিংক
দই কাঁকড়া রেসিপি দারুণ হয়েছে আপু। দেখতে অনেকটা চিংড়ি মাছের মত লাগছে। যদিও কাঁকড়া কখনো খাইনি। তবে আপনার তৈরি করা এই রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে তেমনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই ধরেছেন,এটা দেখতে যেমন কিছুটা চিংড়ি মাছের মতো তেমনি স্বাদও লাগে খেতে।ধন্যবাদ আপু।
কাঁকড়া কখনো আমি রান্না করে খাইনি তবে অনেকের কাছে শুনেছি খুবই টেস্ট। আপনার রেসিপি কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই মজা হয়েছে। এরকম রেসিপি আসলে দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ঠিক শুনেছেন আপনি, এটা অনেক টেস্টি ও সুস্বাদু খেতে।আপনি ও সুযোগ পেলে ট্রাই করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ আপু।
দই কাঁকড়া রেসিপিটি একদমই ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। আমাদের এদিকে কাঁকড়া খাওয়ার প্রচলন খুবই কম। আর সেই জায়গাতে দই কাঁকড়া হলে তো অবাক হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একটু ব্যতিক্রমভাবে তৈরি করার চেষ্টা করলাম ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকেও।
কখনো টেস্ট করিনি, তাই টেস্ট সম্পর্কে অবগত নই। যাইহোক আপনি নিজে প্রথম এটি তৈরি করেছেন। দেখে বুজা যাচ্ছে সুস্বাদু হয়েছে।
হ্যাঁ আপু,অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি জীবনে একবারই খেয়েছিলাম সেটা বারবিকিউ, বুকেতে গিয়েছিলাম সেখানে লাইফ বারবিকিউ করা হচ্ছিল তখন, তবে আপনার উপকরণ দেখে এবং ধাপগুলো দেখে কিন্তু আমারও খেতে ইচ্ছে করছে 😂😂
সুযোগ পেলে আপনিও এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও কাঁকড়া কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনি রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। রেসিপির কালারটি খুব সুন্দর এসেছে। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। টমেটো এবং টক দই ব্যবহার করা হয় রেসিপিটি খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে নিশ্চয়। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ঐ
অনেক সুস্বাদু হয়েছিল খেতে আপু,না খেলে বোঝাই যাবে না।ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও! কষানো দই কাঁকড়া রেসিপি দেখেই তো জিভে পানি চলে এলো আপু। কাঁকড়া আমার খুবই পছন্দ। সাউথ কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় প্রচুর কাঁকড়া খেয়েছিলাম। কাঁকড়ার স্যুপ,ফ্রাই, বারবিকিউ, সিদ্ধ অনেক খেয়েছি। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। খেতে মনে হচ্ছে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কাঁকড়া আপনার পছন্দ জেনে ভালো লাগলো।হ্যাঁ ভাইয়া, সত্যিই ইয়াম্মি হয়েছিল।ধন্যবাদ
কষানো দই কাঁকড়া রেসিপি দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে,ধাপে ধাপে শেয়ার কারার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার কাঁকড়ার তরকারি দেখে তো মনে হচ্ছে ভালোই হয়েছে । কাঁকড়া অনেকদিন আগে একবার রেস্টুরেন্টে খেয়েছিলাম স্বাদটা মনে নাই । আপনি আজকে ভিন্নভাবে কাঁকড়ার রেসিপি শেয়ার করেছেন ।দুই কাঁকড়া নামটাও তো ভালো । খাবারটা দেখতে লোভনীয় লাগছে টেস্টি হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।
হ্যাঁ আপু,অনেক টেস্টি হয়েছিল।আপনি একবার কাঁকড়া খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।