" 36 টি বিন্দু সাজিয়ে একটি নকশা অঙ্কন"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমি সপ্তাহে একটি করে অঙ্কন পোষ্ট করার চেষ্টা করি।তাই আজও চলে আসলাম নতুন একটি অঙ্কন নিয়ে।সেটি হলো - " 36 টি বিন্দু সাজিয়ে একটি নকশা অঙ্কন"।
ছোটবেলায় আমরা বন্ধুরা মিলে কলম ঘুরাতে ঘুরাতে নানারকম খেলা খেলতাম বিন্দু দিয়ে। কখনো বিন্দু দিয়ে কাটাকাটি খেলা,কখনো বা বিন্দু সাজিয়ে ঘর পূরণ।এভাবে স্কুল জীবনে বিন্দু সাজিয়ে অনেক ফুলের নকশা ও একে ফেলতাম।যেটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগতো।বিন্দু নিয়ে আমি আগেও একটি অঙ্কন শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সঙ্গে।আমার মনে হয় সকলের স্কুল জীবন কিছুটা এভাবে বিন্দু সাজিয়েও কেটেছে।তবে বিন্দু সাজিয়ে তখন আমি এতো নকশা করতাম না, সাধারণ একটি ফুল অঙ্কন করতাম।কিন্তু এখন বড্ড খালি খালি মনে হয় তাই একটু নকশার ব্যবহার করলাম যা মাথায় এলো তাই।
এটি একটি নকশা সেটি আমি বলতেই পারি কিন্তু এটি ম্যান্ডেলা আর্টের আওতায় পড়বে কিনা সেটা জানিনা।আসলে ম্যান্ডেলা আর্ট সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা নেই।তবে কমিউনিটিতে অনেকের অঙ্কন দেখে ম্যান্ডেলা আর্ট বলতে আমি যেটা বুঝি তা হলো-একটি অঙ্কনের মাঝে ছোট ছোট অসংখ্য নকশা ফুটিয়ে তোলা হয় মন থেকে।যার মধ্যে হাতের ছোঁয়া থাকে আর মনের জমে থাকা কথাগুলো সুন্দরভাবে সূক্ষ্মভাবে সাজিয়ে একটি ম্যান্ডেলা আর্টের জন্ম হয়।যাইহোক কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক---
উপকরণ:
1.সাদা কাগজ
2.কালো রঙের বলপেন
3.স্কেল
4.মাইক্রোটিভ পেন (আকাশি নীল)
5.মাইক্রোটিভ পেন (লাল)
অঙ্কনের পদ্ধতি:
ধাপঃ 1
●প্রথমে আমি অঙ্কনের উপকরণগুলি নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
●এরপর কালো রঙের বলপেন ও একটি স্কেল নিয়ে সাদা কাগজের উপর 1 ইঞ্চি দূরত্ব বজায় রেখে 6 টি বিন্দু আঁকিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 3
●এভাবে চারিপাশে 6 টি করে মোট 36 টি বিন্দু সাজিয়ে নেব সমান দূরত্বে।
ধাপঃ 4
●এবারে আমি চার কোনার চারটি বিন্দু রেখে" v" চিহ্নের মতো করে দাগ দিয়ে নেব।
ধাপঃ 5
●এবারে বিন্দুগুলির মধ্যে চারটি লম্বা দাগ দিয়ে নেব স্কেল দিয়ে রঙিন আকাশি নীল রঙের পেন দিয়ে।
ধাপঃ 6
●তো এভাবে আমি দুটি " v" চিহ্নের মতো করে দাগ দিয়ে নেব চারিপাশ।
ধাপঃ 7
●এরপর চারটি বর্গাকার একে নেব চার কোণায়।
ধাপঃ 8
●এবারে ফুলের পাপড়ির মতো দাগের মাথাগুলি আঁকিয়ে নেব।
ধাপঃ 9
●আরো ফাঁকা চারটি অংশ লাল রঙের পেন দিয়ে গম্বুজের মতো ভরাট করে আঁকিয়ে নেব।এটি তৈরি হয়ে গেল একটি ফুল।
ধাপঃ 10
●এবারে ফুলের মাঝে কালো রঙের বলপেন দিয়ে দাগ দিয়ে নকশা একে নেব স্কেল দিয়ে।
ধাপঃ 11
●এভাবে গম্বুজের মধ্যে ও বাঁকিয়ে লম্বা দাগ দিয়ে নেব।
ধাপঃ 12
●দাগের মাঝে সরু দাগ দিয়ে নকশা একে নেব।
ধাপঃ 13
●এবারে লাল রঙের পেন দিয়ে বর্গাকার চারটির মাঝে নকশা একে নেব।
ধাপঃ 14
●কালো রঙের পেন দিয়ে পাপড়ির মধ্যে ডালের মতো একে নেব।
ধাপঃ 15
●এরপর আমার হাতের একটি ছবি তুলে নিলাম।
ধাপঃ 16
●এবারে সবুজ রঙের পেন দিয়ে লতানো পাতা একে নিলাম ডালের গায়ে।
ধাপঃ 17
●এরপর পাপড়ির মতো অঙ্কনটি আবার করে ডাবল দাগ দিয়ে আকাশি নীল রঙের করে আঁকিয়ে নেব।
ধাপঃ 18
●সবশেষে অঙ্কনের নীচে আমার নাম লিখে নিলাম।
সর্বশেষ ধাপ
●তো আমার বিন্দু দিয়ে নকশা অঙ্কনটি করা সম্পন্ন হয়ে গেল।এটি দেখতে কেমন লাগছে আপনারা অবশ্যই জানাবেন সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে।
আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আমার আজকের নকশা অঙ্কনটি।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
আপনার এই পোস্ট থেকে আর্ট করার নতুন একটি আইডিয়া পেলাম। চমৎকারভাবে ৩৬টি বিন্দু দিয়ে আর্টটি করেছেন। নকশাটি খুবই সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোটবেলার স্মৃতিকে একটু তুলে ধরার চেষ্টা করলাম ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আজকের আইডিয়া থেকে নতুন একটি বিষয় দেখতে পেলাম। বিন্দু দিয়ে এভাবে ডিজাইন করা যায় তা জানা ছিলোনা। বিশেষ করে 36 টা বিন্দু দিয়ে দারুন একটা ডিজাইন করেছেন । বিষয়টি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বিন্দু দিয়ে আরো অনেক কিছু অঙ্কন করা যায় আপু।
36 টি বিন্দু দিয়ে নকশা করার আইডিয়াটা কিন্তু বেশ দারুন। আমি ও ছোটবেলায় পড়তে বসলে বই কিংবা খাতার কোনায় এরকম ছোটখাটো বিন্দু দিয়ে আর্ট করতাম। অবশ্য এর জন্য প্রচুর বকা ও খেয়েছি স্যার ম্যাডাম দের কাছ থেকে। কেননা পড়তে বসলে এই সব কিছু পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট করে দেয় যাই হোক,
আপনার বিন্দু দিয়ে আর্ট করাটি দেখে ছোটবেলার সেসব কথা মনে পড়ে গেল।
আমরা অবশ্য ফ্রি টাইমে করতাম যখন ক্লাস থাকতো না।তাছাড়া মাঝে মাঝেই বকা খাওয়াটা স্বাভাবিক।ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি জেনে, ধন্যবাদ ভাইয়া ।
জি আপু একদম ঠিক কথা বলেছেন সকলেই স্কুল জীবন কিছুটা এভাবে বিন্দু সাজিয়েও কেটেছে। আমি নিজেও স্কুল জীবনে অনেক বিন্দু কেটে সাজিয়েছি। আপনি সত্যি ৩৬ টি বিন্দু সাজিয়ে দারুন একটি নকশা তৈরি করেছেন আপনার নকশা টির মধ্যে সৃজনশীলতার ছোঁয়া পেলাম। আমি আশাবাদী এমন চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে আরও উপহার দেবেন ধন্যবাদ।
সবারই শৈশব জীবন কিছুটা এভাবেই মজার খেলা দিয়ে পার হয়েছে ভাইয়া
বাহ আপু আপনি খুব সুন্দর করে সৃষ্টি বিন্দু দিয়ে একটি আর্ট তৈরি করেছেন। আইডিয়াটা বেশ ভালো ছিল। চমৎকার করে আপনি কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আপনার আর্ট টিও বেশ সুন্দর ছিল। এরকম নকশা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয় যেমন জামার ডিজাইন, রুমালে ,বালিশের কভার করা যায়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল আপু।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু,এই নকশাগুলি আল্পনা দেওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন ডিজাইনের কাজে ব্যবহার করা যায়।কিন্তু আমি এটি নিজের মন থেকে অঙ্কন করেছি।
৩৬ টি বিন্দু সাজিয়ে একটি নকশা অঙ্কন অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। স্কুল জীবনে আমিও এরকম নকশা অনেক করেছি। আসলে এই নকশাগুলো করতে অনেকটা সময় লাগে। সময়ের সাথে সাথে এই নকশা করা ভুলেই গেছি প্রায়। আপু আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দারুণভাবে একটি চিত্র অঙ্কন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কিছু স্মৃতি ভোলার নয় ভাইয়া, বিন্দু দিয়ে একটু বেশিই সময় লাগে ভাইয়া।
৩৬ টি বিন্দু দিয়ে সুন্দর একটি নকশা অঙ্কন করেছেন। আসলে আপনার দক্ষতা প্রশংসা করতে হবে। বিন্দুগুলো দিয়ে নকশা গ্রহণ করা খুবই কঠিন কাজ।যা আপনি করতে পেরেছেন, শুভকামনা রইল।
এটি আমার ছোটবেলার স্মৃতি, তাই কঠিন মনে হয়নি ভাইয়া।
এই অংকনটি করতে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন। যা আপনি সফলভাবে করেছেন ।।আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো আপনার অংকনটি।। 36 টি বিন্দু দিয়ে অঙ্কন আসলেই দেখে মুগ্ধ হলাম ।।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।।
আপনি ও চেষ্টা করুন ভাইয়া, ঠিক পারবেন।আসলে সবই মিলানোর কাজ।
বিন্দু দিয়ে নকশা তৈরি আইডিয়াটা দারুণ ছিল তবে দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে আইডিয়াটি সেইসাথে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপু
আমরা ছোটবেলায় এইরকম নকশা করতাম ভাইয়া।