"ভিন্নধর্মী কিছু কালো ও রঙিন পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"জলরঙে করা ভিন্নধর্মী কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি"।
ভিন্নধর্মী কিছু কালো ও রঙিন পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি:
এটি একটি কালো প্রতিচ্ছবি।যেখানে গ্রামের একটি দৃশ্য ফুটে উঠেছে।অর্থাৎ বয়ে চলা নদীর পাশ দিয়ে মেঠো রাস্তা এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে।আর মেঠো রাস্তার পাশে বড় বড় গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তারই নিচে ছোট ছোট কুঁড়েঘর।
এখানেও গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।আগে মেটে কলসীর ব্যবহার ছিল যেটা এখন বিলুপ্ত।তাছাড়া আগে বাচ্চা থেকে বড় সব বয়সের মেয়েরা জল নিয়ে আসতো দূর দুরান্তের পুকুর থেকে।পুকুরে পা ডুবিয়ে কলসী ভরতে হতো জল দিয়ে।
প্রভাত অর্থাৎ প্রাতঃকাল।ভোরে যখন ফুল বাগানে ভ্রমর গুঞ্জন করে, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গ্রামবাংলার জনজীবন।তখন গ্রামের বাচ্চারা বই নিয়ে পড়তে বসে,সেই দৃশ্য-ই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এই ছবিটি আমি ঠিক বুঝতে পারিনি।তবে আমার মনে হয়েছে এই কালো প্রতিচ্ছবিতে একজন মা তার অসুস্থ সন্তানের পাশে থেকে তাকে সেবা করছে।মায়ের অপরিসীম মমতার একটা মেলবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায় এই ছবির মাধ্যমে।
এখানে মৌমাছির দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে।যেখানে একজন মালী ফুল বাগানে রয়েছে।আর ফুটন্ত ফুলের সুগন্ধে মৌমাছি ছুটে চলে এসেছে সেই বাগানে।রং -বেরঙের ফুলের মাঝে মৌমাছিরাও সময় কাটাতে চায়।
এখানে একটি রাজার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।পূর্বে এই রাজার শাসন চললেও বর্তমানে রাজাদের আর দেখা যায় না।রাজা তার হাতে তলোয়ার এবং যুদ্ধের পোশাক পরে সর্বদা যুদ্ধ ও শিকারের জন্য প্রস্তুত থাকতো।রাজার গোঁফে তার পরিচয় বহন করতো।
সবশেষে আরো একটি বই পড়ার কালো প্রতিচ্ছবি শেয়ার করলাম।যেটা লেখা পড়ে বুঝলাম কিন্তু ছবিতে মনে হচ্ছে লোকটি অন্য কোনো হাতের কাজে লিপ্ত রয়েছে।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
ফটোগ্রাফার | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
আসলে পেইন্টিং এর ভিন্নতা গুলো দেখতে খুবই ভালো লাগে। আমাদের কমিউনিটিতে অনেক দক্ষ আর্টিস্ট রয়েছে যাদের চিত্র অংকন গুলো আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি ভিন্নধর্মী কিছু পেইন্টিং এর খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো। এই ধরনের কাজকে সবসময় প্রশংসা করি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ভালো কাজের প্রশংসা সবসময়-ই প্রাপ্য।ধন্যবাদ আপনাকে ও।
কালো ও রঙিন পেইন্টিং এর বিভিন্ন ধরণের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে প্রভাত এর ছবিটি। প্রকৃতির মাঝে ছেলেটি পড়তেছে বাহ্ দারুন অনুভুতি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দিদি সুন্দর পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
আপনার কাছে প্রভাত ছবিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
জলরঙে তৈরি বিভিন্ন রকমের বেশ কয়েকটি পেইন্টিংয়ের ফটোগ্রাফি দেখে বেশ ভালো লাগলো দিদি। প্রতিটি ফটোগ্রাফি বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি।
আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই আমার ফটোগ্রাফি করা স্বার্থক😊.
ভিন্নধর্মী কিছু কালো এবং রঙিন পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তবে আমার কাছে সর্বপ্রথম শেয়ার করা কালো পেইন্টিংয়ের সৌন্দর্যটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। বয়ে চলা নদীর পাশ দিয়ে মেঠো রাস্তার সৌন্দর্যটা কার না ভালো লাগে বলুন?
আপনার সুন্দর মতামত পড়ে উৎসাহ পেলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি শারদীয়া দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেলেও সৃতি রযে গেছে ৷ ঠিক বলেছেন সময় চলে গেলেও সৃতি থেকে যায় ৷ যা হোক বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন আবাসিক পুজো থিম গুলো দারুন হয়েছিল ৷ জল রঙের আর্ট পেইন্টিং সবমিলে প্রতিটি ছবি ফুটিয়ে তুলেছে ৷ আসলে কোনটা রেখে কোনটা বলবো ৷তবে গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি মেয়েটি কলসে জল আনতে যাওয়ার ছবিটি জাষ্ট ওয়াও ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি এমন সুন্দর কিছু পেইন্টিং ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ৷
দাদা,স্মৃতি শব্দগুলো ভুল বানান রয়েছে।আপনি যে সৃতি লিখেছেন সেটার অর্থ আলাদা বোঝায়,যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much💝.
দুর্গা পুজো প্যান্ডেল থেকে তোলা আমারও বেশ কিছু ফটোগ্রাফি এখনো গ্যালারিতে পড়ে রয়েছে বোন। তোমার শেয়ার করা আজকের পেইন্টিংয়ের ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে । এইসব পেইন্টিংয়ের পিছনে এক একটা আলাদা গল্প রয়েছে। আসলে এই ধরনের পেইন্টিং গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে। যাইহোক, এই গুলোর মধ্যে বিশেষ করে একদম প্রথম পেইন্টিংয়ের ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগলো।
একদম-ই তাই দাদা।তোমার ফটোগ্রাফিগুলোও অবশ্যই শেয়ার করো, দেখার চেষ্টা করবো।অনেক ধন্যবাদ তোমায়।
আচ্ছা বোন, খুব তাড়াতাড়িই শেয়ার করব।
অসাধারণ কিছু পেইন্টিং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পেইন্টিং গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। কালো ও রঙিন কিছু পেইন্টিং এর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে প্রথম ফটোগ্রাফিটি এবং প্রভাত ফটোগ্রাফিটি বেশি ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ আপু সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
প্রভাতের ছবিটি আমার কাছেও ভালো লেগেছে,অনেক ধন্যবাদ আপু।