"কিছু প্রকৃতির আলোকচিত্র"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
কেমন আছেন বন্ধুরা?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আজ আমি আবারো হাজির হলাম নতুন ধরনের প্রকৃতির ছবি নিয়ে আপনাদের মাঝে।সেটি হলো- "কিছু প্রকৃতির আলোকচিত্র" নিয়ে।
বন্ধুরা,আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কিছুদূর গিয়েই কয়েকটি বড়ো পুকুর রয়েছে।যেখানে মাছের ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা তৈরি করা হয় এবং তা একটু বড় হতেই বিক্রি করা হয়।তাই আমি, বাবা ও দাদা বেরিয়ে পড়লাম মাছের ছোট পোনা কেনার উদ্দেশ্যে।যদিও আগেও কয়েকবার এখান থেকে কেনা হয়েছে তবে আমি এই প্রথম এলাম এদিকটায়।যেতে যেতে দেখলাম সবুজ প্রকৃতি ।প্রকৃতি তো সর্বদাই আমাদের পছন্দের।তাই কিছু ছবি তুলে নিলাম ফোনে।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো চলুন দেখে নেওয়া যাক---
জলের ট্যাঙ্ক
●●●জলের ট্যাঙ্কটি আমাদের বাড়ির পাশে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে।বহুদিন ধরেই কাজ চলছিল এটা তৈরি করার ।শেষমেশ সপ্তাহখানিক হলো এটা রং করে কমপ্লিট রূপ দিতে পেরেছে।এটা রং দেওয়ার পর ভারী সুন্দর দেখতে লাগছে।এখানে পূর্বে একটি টাইম কল বসানো ছিল।যাইহোক জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হওয়ার ফলে নতুন পরিচিতি পেয়েছে আমাদের এই জায়গা।
ঘাস মাথায় রাখালেরা
●●●এখানে অধিকাংশ স্থানীয় মানুষের একমাত্র জীবিকা হলো গরু-ছাগল পালন।ফলে সারাবছরই তারা গরুর দুধ বিক্রি করে জীবন ধারণ করে।মাঠ থেকে ঘাস কেটে নিয়ে যায় সব রাখালেরা।কখনো কখনো তারা দিনে দুইবার ও ঘাস কেটে বস্তা ভরে মাথায় করে নিয়ে যায়।মূলত একটি কাস্তে ,বস্তা ও সাইকেল নিয়েই ঘাস কাটতে আসতে দেখা যায় এদের।আমি যেতে যেতে দেখলাম অনেক মানুষ গরুর জন্য ঘাস কেটে নিয়ে যাচ্ছে, বেশিরভাগ মহিলারাই সামিল ছিল কাজে।
একঝাক হাঁস
●●●হাটতে হাটতে চোখে পড়লো কিছু হাঁসের।যারা এক জায়গায় জড়ো হয়ে নিজেদের গা পরিষ্কার করছে।বেশ অনেক রঙের সুন্দর সুন্দর হাঁস এখানে ছিল।আমার কাছে হাঁসগুলি দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।পাশেই একটা ডোবাতে হাঁসগুলি চড়ে বেড়াচ্ছিল।
নীরব রাস্তা
●●●সকালে আমরা যখন যাচ্ছিলাম হেঁটে হেঁটে তখন রাস্তা অনেক নিরিবিলি ছিল।কোনো মানুষ ছিল না রাস্তায়।রাস্তার দুইপাশে বন-জঙ্গলে ভর্তি ছিল।যদিও এখানে সাপের উপদ্রপ বেশি হওয়াতে যারা ঘাস কাটতে যায় বা গরু চড়ানোর জন্য যায় তারা হাতে একটি করে মোটা লাঠি রাখে।রাস্তার মাঝে কি আবার লেখা ছিল।যাইহোক রাস্তার পাশ দিয়ে জঙ্গল ও খেজুর গাছ থাকলেও নীরব রাস্তায় হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিলো।
সবুজ ধানক্ষেত
●●●সাদা-নীল রঙের মেঘে ঢাকা সুবিশাল আকাশের নিচে সবুজ রঙের ধানক্ষেত দেখতে অদ্ভুত সুন্দর দেখতে।সবে মাঠের ধান ফুলেফেঁপে বের হচ্ছে, বাংলার মাঝে সবুজের সমারোহ দেখা মেলে শুধুমাত্র গ্রামেই।কিছুদিন পরেই এই ধান পেকে সোনালী ধানে পরিণত হবে।
পুকুরের ছবি
●●●এটা একটি পুকুর।বেশ বড় ,কারণ এই পুকুরে ও মাছের পোনা চাষ করা হয়।তবে অতিরিক্ত জল থাকায় তেলাপিয়া মাছের পোনা ধরা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।তাই আমরা অন্য আরেকটি পুকুর থেকে তেলাপিয়ার পোনা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাছের পোনা কিনেছিলাম।মাঠের মধ্যে এইরকম মাছের পোনা চাষ করার পুকুর অনেকগুলি রয়েছে।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের প্রকৃতির ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
টুইটার লিংক
প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার লাগছে দেখতে। নিরব রাস্তার দুই পাশদিয়ে তো অনেক জঙ্গল এই রকম রাস্তা হলে চলাফেরা করতে একটু ভয় ভয় করে। আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে সাজিয়েছে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ঝাড়যুক্ত রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলে ভয় করে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।স্বাগতম আপনাকে💐
আপনার প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। সবুজ ধানক্ষেত ও পুকুরপাড়ের ছবিটি আমাকে অনেক মুগ্ধ করেছে। আসলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এমন একটি সুন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করে। এর থেকে সুন্দর র্আমার মনে হয় আর কিছু নেই। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই, আপু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আসলেই সুন্দর।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি আমার সবসময় ভালো লাগে। নিরিবিলি যে রাস্তা কথা বলছেন ঐ রাস্তা আসলে অনেক সুন্দর আর সাপ ভয় বেশি থাকে বলছেন যে ঐ জায়গা তাতে নো সেভ এরিয়া বলে একটা সাইনবোর্ড এলাকা মানুষ দের দেয়া দরকার । সবুজ শ্যামলা প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি শেয়ার করাব জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
আপু, এদিকে সবজায়গায় সাপের উপদ্রব ।আপনার সুন্দর অনুভূতি জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপু।
পানির ট্যাংকটি রং করার পরে খুব চমৎকার লাগছে দেখতে । হাঁসের ছবিটি খুব ভালো লেগেছে। পুকুর পাড়ে এরকম দাঁড়িয়ে থাকা হাঁস দেখতে ভালই লাগে ।বসকালবেলায় হওয়ার কারণে আপনারা মনে হয় এত নিরিবিলি সুন্দর রাস্তা পেয়েছেন। পুকুরপাড়ের ছবিটা খুব চমৎকার হয়েছে। পোনা কেনার পর কি নিজেদের ধরে আনতে হয় নাকি যারা বিক্রি করে তারাই ধরে দেয়। যাই হোক অবশেষে অন্য পুকুর থেকে পোনা নিতে পেরেছেন শুনে ভালো লাগলো।
না আপু,আমাদের ধরে আনতে হয় না।যাদের পুকুর তারা নিজেরা ধরে বিক্রি করে দেয়।আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে আমার ও খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু।
অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার মন ছুঁয়ে গেছে। বিশেষ করে পুকুরের ফটোগ্রাফি এবং ফসলের শস্য ক্ষেতের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম শুভকামনা রইল।
আপনার কাছে ফটোগ্রাফিগুলি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
অপরূপ সৌন্দর্যময় কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। বিশেষ করে জলের ট্যাংকের ফটোগ্রাফি আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং শস্য ফসল ভরা ক্ষেতে ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আহা!! প্রকৃতি যে কত সুন্দর তা আসলে দুচোখ মেলে তাকালে আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই ৷ প্রকৃতি নানা রুপ একেক সময় এককে রুপ ধারন করে ৷
দিদি আপনি আপনার বাবার সাথে মাছের পোনা নিতে যাওয়ার সময় কি চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ গ্রাম বাংলার কি অপুরূপ সৌন্দর্য ৷
রৌদ্র উজ্জ্বল আকাশ সাদা নীল রঙের ফেলা ৷ গ্রামের মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে ছুটছে ৷ হাসঁ গুলো একসাথে তাদের জীবন জীবিকার করছে ৷ সব মিলে অসাধারণ ছিল ফটোগ্রাফি গুলো ৷
ধন্যবাদ দিদি এতো কিছু আলোকচিত্র আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ৷
ধন্যবাদ দাদা,আপনার মতামত তুলে ধরার জন্য।
এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ গুলো দেখলে একদম মুগ্ধ হয়ে যাই। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি সত্যিই অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে জলের ট্যাঙ্ক, সবুজ ধানক্ষেত এর ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম দৃশ্য গুলো দেখে।
আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর সুন্দর কিছু প্রকৃতির দৃশ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আমার কাছে সব গুলো ছবিই অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ দিদি।
ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া।