আমার আজকের রেসিপি: মুখরোচক "টক -ঝাল -মিষ্টি আলু কাবলি"রেসিপি
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন।আজ সকাল থেকে আকাশ ভালোই ছিল।কিন্তু আমি সবজি বাগান থেকে সবজি সংগ্রহের পর স্নান করতে যাব অমনি বৃষ্টি নামল হঠাৎ।তাই ভিজে ভিজে স্নান সেরে নিলাম।আসলে বৃষ্টিতে ইচ্ছে করে ভেজার মজাটাই আলাদা। তাই ভাবলাম শরীরকে একটু গরম করা দরকার কিছু মুখরোচক জিনিস খেয়ে।শরীর গরম করা মানে মুখরোচক ভোজন ,আবার ভোজনের সাথে সাথে পেটের ও মুক্তি।তাই ভাবলাম
আমি একা কেনো মুখরোচক খাবার "টক-ঝাল-মিষ্টি আলু কাবলি "খেয়ে পেট গরম করবো ।তাই বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চলে আসলাম।তো চলুন গল্পে গল্পে শুরু করা যাক--
উপকরণ সামগ্রী:-
1.আলু - 3 টি
2.পেঁয়াজ কুচি -2 টি
3.শসা কুচি - 1 টির অর্ধেক
4.কাঁচা ছোলা - 50 গ্রাম
5.কাঁচা লঙ্কা - 4 টি
6.লবণ - পরিমাণ মতো
7.ঝাল ও মিষ্টি চানাচুর - 4 টেবিল চামচ
8.ধনিয়া,জিরা,মৌরি গুঁড়ো - 2 টেবিল চামচ
9.তেঁতুল জল পরিমাণ মতো
10.লেবু - 2 ফাকা
11.শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো - 1.5 টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রনালী:-
★ধাপঃ 1★
1.প্রথমে আমি 3 টি সেদ্ধ গোলা আলু নিয়ে নিলাম।আপনারা চাইলে-আলু পুড়িয়ে,আলু জল দিয়ে কিংবা ভাতের মধ্যে দিয়ে সেদ্ধ করতে পারেন।সেদ্ধ হলেই চলবে।তো আমি ভাতের মধ্যে দিয়ে সেদ্ধ করে নিয়েছি।
2.আলু গুলির খোসা ছাড়িয়ে নেব।
3.একটি বটি কিংবা চাকুর দ্বারা ছোট ছোট পিচ করে কেটে নেব সেদ্ধ আলুগুলি।
★ধাপঃ 2★
4.আমি উপকরণগুলি নিয়ে নিয়েছি।এর থেকে কিছু উপকরণ নিয়ে স্পেশাল মসলা তৈরি করে নেব।
5.আমি ধনিয়া,জিরা,মৌরি এবং শুকনো লঙ্কা কড়াতে ভেঁজে নেব লো চুলার আঁচে হালকা করে।
6.তো মসলাগুলি ভেঁজে নিলাম এখানে।বেশি পোড়ানো যাবে না।
7.এবার আমি শীল-নোড়ার সাহায্যে সব ভাজা উপকরণ বেঁটে গুঁড়ো করে নিয়েছি।আপনারা চাইলে অন্যভাবে গুঁড়ো করে নিতে পারেন।
8.তো সব মসলা নেওয়া আমার রেডি।যেমন- লেবু কেটে নিয়েছি, পেঁয়াজ কুচি করে নিয়েছি,শসা কুচি করে নিয়েছি বটি দিয়ে হাতের সাহায্যে, ভেজানো কাঁচা ছোলা নিয়েছি, পুরোনো তেঁতুল ,মিষ্টি চানাচুর, ঝাল চানাচুর নিয়েছি, স্পেশাল তৈরি মসলা ,লবণ, কাঁচা লঙ্কা কুচি এবং শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো ইত্যাদি উপকরণ নিয়ে নিলাম।
9.আমি কাঁচা ছোলা সারারাত ভিজিয়ে রেখে ছিলাম।তারপর সকালে জল ঝরিয়ে রেখে দিয়ে ছিলাম।এখানে একটু একটু অঙ্কুরিত হচ্ছিল ছোলাগুলি বেশি অঙ্কুরিত হলে ভালো হয়।যাইহোক আপনারা চাইলে ছোলা ও বুট সেদ্ধ করেও নিতে পারেন।
★ধাপঃ 3★
10.আমি এখানে 6 বছরের পুরনো তেঁতুল নিয়েছি।আপনারা চাইলে নতুন তেঁতুল ব্যবহার করতে পারেন তবে একটু বেশি নিতে হবে।তেঁতুল যতই পুরোনো হবে সেটা ততই কালো হবে এবং টক হবে।যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য পুরোনো তেঁতুল খুব উপকারী।একবার এক কাকাদের বাড়ি আমি 20 বছরের পুরনো তেঁতুল খেয়েছিলাম।কিন্তু অতিরিক্ত পুরোনো হওয়ায় তেঁতুল গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল আর প্রচন্ড টক লেগেছিল একটুখানি খেতেই।
11.আমি একটি বাটিতে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তেঁতুলটি হাত দিয়ে গুলে নিয়েছি এবং যে ঠিতে ছিল তা ফেলে দিয়েছি।
12.তো আমি ঘন করে গুলে নিলাম তেঁতুলটি।
★ধাপঃ 4★
13.আমি এরপর কেটে রাখা আলুর মধ্যে লবণ এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে দিলাম ছড়িয়ে।
14.এবার লেবুর রস দিয়ে দেব।
15.এরপর আমার স্পেশাল মসলা ছড়িয়ে দিলাম আলুতে।স্পেশাল মসলা দেওয়ার পর দারুণ একটা সুগন্ধির সৃষ্টি হয়েছিল।
16.হাতের কিংবা চামচের সাহায্যে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিলাম সব উপকরণ আলুতে।
17.এবার গুলে রাখা তেঁতুল জল দেব আলুতে পরিমাণ মতো।যে যেমন ভাবে খাবেন তেমন বুঝে তেঁতুল জল দিতে পারেন।
18.চামচ কিংবা হাত দিয়ে খুব ভালো ভাবে মিশিয়ে নিলাম। এবার ঝাল,মিষ্টি চানাচুর দেওয়ার পালা।এছাড়া আপনারা চাইলে ধনে পাতা ও দিতে পারেন ।আমার পছন্দ নয় তাই আমি এখানে দিইনি।
19.সবশেষে আমি একটি পরিষ্কার পাত্রে আলু কাবলি রেখে তার উপরে ঝাল-মিষ্টি চানাচুর ছড়িয়ে দিলাম এবং একটি লেবুর ফাঁকা দিলাম।আলু কাবলির সুগন্ধে সারা বাড়ি মো -মো করছিল।তো বন্ধুরা, তৈরি হয়ে গেল আমার "মুখরোচক টক-ঝাল-মিষ্টি আলু কাবলি"রেসিপি।আশা করি আপনাদের আমার রেসিপিটি ভালো লাগবে।আপনারা চাইলে বাড়িতে এটি তৈরি করতেও পারেন।এটি খেতে খুবই মজার।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
মুখে তো পানি চলে আসছে আমার খাবারটি দেখে, সত্যি দারুন এক রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ। আমি অবশ্যই বাড়ীতে চেষ্টা করবো এবং স্বাদটি চেক করবো। ধন্যবাদ
অবশ্যই চেক করবেন ভাইয়া।আপনার প্রশংসাভরা মন্তব্য আমার পরম পাওয়া।অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর উপস্থাপনার সাথে দারুন একটা রেসিপি। এককথায় চমৎকার স্বাদের রেসিপি।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।আমি মন্তব্য শুনে খুব খুশি হয়েছি।ধন্যবাদ।
সত্যি দারুন এক রেসিপি শেয়ার করেছেন আজ.শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।আপনার সুন্দর মন্তব্য করার এবং আমার রেসিপিটি দেখার জন্য।খুশি হলাম ভাইয়া।
বেশ ভালোই লিখেছেন
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
দেখেই জিভে জল চলে আসল।
খুব ভালো হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে ভালো লাগল।