"চলছে আল্পনা দেওয়া"

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।

চলছে আল্পনা দেওয়া:

IMG_20230628_171231.jpg
বন্ধুরা,অনেকেই জানেন আমার সামনে এক্সাম রয়েছে।তাই গতকাল কলেজ গিয়েছিলাম এক্সাম নিয়ে কোনো সাজেশন পাওয়া যায় কিনা স্যার ও ম্যামদের কাছ থেকে সেই কারণে।এছাড়া আমাদের পরীক্ষার ডেট জানিয়ে দিলেও কবে কোন পরীক্ষা সেই রুটিন দেয়নি সেটাই মূলত জানতে যাওয়া।

আবহাওয়া যদিও ভালো ছিল না।এখন বর্ষাকাল,হঠাৎ করেই আবহাওয়া খারাপ হয়ে যাওয়াটা ও স্বাভাবিক বিষয়।তবুও চলে গেলাম সাইকেল করে স্টেশন।তারপর ট্রেনের টিকিট কেটে ট্রেনে চেপে সোজা বর্ধমান।বর্ধমান স্টেশন থেকে কলেজে যাওয়ার জন্য টোটো ধরলাম।কিন্তু মাঝপথে যেতে না যেতেই শুরু হলো তুমুল বৃষ্টি।টোটোর মধ্যে হালকা বৃষ্টির ছিটে গায়ে এসে পড়ছিল ভালোই লাগছিল দৃশ্যটি।

এরপর টোটো থেকে নেমে সোজা ছাতা মাথায় চলে গেলাম কলেজ।আমাদের ক্লাসরুমে ঢুকেই মেলিয়ে দিলাম ছাতাটি,অনেকেরই ভেজা ছাতা ছিল সেখানে।যাইহোক স্যার-ম্যামের ক্লাস করলাম ,কিছুটা সাজেশনও জোগাড় করলাম।যেহেতু আমাদের ইন্টারনাল এক্সাম 5 টি প্রশ্ন লিখতে হবে।কিন্তু স্যার -ম্যাম আমাদের 30 টি করে প্রশ্নের সাজেশন দিয়েছেন।যাইহোক একটি পেপারের প্রজেক্ট নিয়েই হলো বিপত্তি।আমাদের একজন স্যার এসে বললেন তোমরা প্রজেক্ট দেবে নাকি এক্সাম।এখন মতবিরোধ শুরু হলো ক্লাসে।প্রতিবছরই আমরা প্রজেক্ট দিয়ে আসছি সেই পেপারে।তাই আমরা ওই পেপারে বেকার সময় নষ্ট করতে চাই না।সময় খুবই স্বল্প তাই মেইন পেপার ছাড়া বাড়তি ওই পেপারের জন্য অনেকেই সময় নষ্ট করতে নারাজ।আমিসহ অনেকেই প্রজেক্টের দলে হাত তুললামকিন্তু কয়েক জন আবার এক্সামের পক্ষে।যদিও প্রজেক্টের পক্ষে হাত বেশি ছিল তথাপি ও স্যার এক্সাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।

এরপর কিছুটা আন্দোলন করলাম আমরা সবাই মিলে।তাতে সকলেই রাজি হলেও দুইজন ঘাড় বেঁকে বসলো এক্সাম দেওয়ার জন্য।তাই আমরা সবাই মিলে স্যারের সঙ্গে দেখা করে প্রজেক্ট নেওয়ার জন্য দাবি করলাম।স্যারও আমাদের দাবি মেনে নিলেন,শেষমেষ আমরা জিতলাম।

IMG_20230628_171126.jpg

IMG_20230628_171209.jpg

কলেজের বারান্দায় দেখলাম দুইজন দিদি দড়ি ধরে সুন্দর করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বৃত্ত একে দিচ্ছে।আর কোনো কোনো দিদি ও বোনেরা চক দিয়ে আল্পনা আর্ট করছে।সেই চক দাগের উপর দিয়ে আবার সাদা ও হলুদ রঙ করে আকছে কেউ কেউ।যে যেভাবে পারছে বসে বসে আল্পনা দিচ্ছে।একেকটি আল্পনা অনেক বড় তাই অনেকজন মিলে যেমন আকছে তেমনি অনেকজন মিলে রং ও করছে।

কয়েকটি ছবি ক্যাপচার করলাম।যেহেতু এটা বারান্দা তাই রং দেওয়া আল্পনা ঘেঁটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।সেইজন্য আল্পনা দেওয়ার পর সেটার উপর চেয়ার উপুড় করে রাখা হয়েছে।আল্পনাগুলি শুকিয়ে যাওয়ার পর অনেক সুন্দর দেখতে লাগছিল।একজন দিদির সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম এটা ন্যাকের জন্য করা হচ্ছে।

IMG_20230628_171627.jpg

IMG_20230628_171400.jpg

কিছুটা মন খারাপ লাগছিল একজন স্যারের জন্য।আমাদের হিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের একজন স্যারের শুক্রবার রিটায়ারমেন্ট হচ্ছে এটা শুনে।যদিও আমি সেই স্যারের কাছে টিউশন পড়ি এবং তাদের বাড়িতেও যাই।যাইহোক যেকোনো স্যার কলেজ থেকে অবসর নিলেও শিক্ষার্থীদের মন থেকে কখনো অবসর নেন না বলে আমার মনে হয়।

IMG_20230628_171114.jpg

আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের পোষ্টটি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।

💐💐ধন্যবাদ সকলকে💐💐

পোস্ট বিবরণ:

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসpoco m2
ফটোগ্রাফার@green015
লোকেশনবর্ধমান
Sort:  
 last year 

বাহ সবাই মিলে খুব চমৎকার আলপনা অঙ্কন করতেছে দেখে খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলেমিশে চমৎকারভাবে আল্পনা অংকন করার আনন্দটা বেশ অসাধারণ । এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, তবে আমি শুধুমাত্র এই একটি বিষয় উপস্থাপন করিনি।যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালোই সাজেশন পেয়েছ মাত্র ৩০ টা প্রশ্ন। হা হা হা.. আমি একবার আমাদের একটা ম্যামের কাছে সাজেশন চেয়েছিলাম। উনি ১২৬ পেজের একটা পিডিএফ দিয়েছিলেন শুধুমাত্র পনেরো মার্কস এর একটা ইন্টার্নাল পরীক্ষার জন্য। সেই কথা আমার এখনো মনে পড়ে।😂

 last year 

দাদা,একেকটা পেপারেই 30 টা করে প্রশ্ন দিয়েছে।অথচ আমাদের এক্সামে লিখতে হবে মাত্র 5 টি করে প্রশ্ন।১২৬ পেজ বলো কি দাদা!তাহলে তো গোটা বই পড়া হয়ে গিয়েছিল তোমার ইন্টার্নালের সময়ই।☺️☺️

তাহলে তো গোটা বই পড়া হয়ে গিয়েছিল তোমার ইন্টার্নালের সময়ই।☺️

আমার কি মাথা খারাপ এত পেজ পড়বো। না পড়েই পরীক্ষা দিয়েছিলাম। তেমন কিছুই পারিনি। কেউই পেরেছিল না।🤭🤭

 last year 

☺️☺️

 last year 

আপনার আলপনা অংকনটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনি কলেজে সবাই মিলে একসাথে এই আলপনা টি অঙ্কন করেছেন এটা আরো বেশি আনন্দের বিষয়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিদি এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপু,আমি অঙ্কন করিনি।সিনিয়র দিদি ও জুনিয়র বোনেরা মিলে অঙ্কন করেছে, ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.17
JST 0.031
BTC 85746.87
ETH 3328.32
USDT 1.00
SBD 2.81