"দিদার বাড়ির বিড়াল কাহিনী"
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।অনেকদিন পর আমি আজ চলে আসলাম ভিন্ন ধরনের ব্লগ নিয়ে।সেটি হলো-"দিদার বাড়ির বিড়াল কাহিনী"।আশা করি আজকের ব্লগটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
দিদার বাড়ির বিড়াল কাহিনী:
মাসির বাড়ি বারাসাত।আর দিদার বাড়িও বারাসাত,মাসির বাড়ি থেকে অল্প সময়ের জন্য দিদার বাড়ি চলে গিয়েছিলাম ঘুরতে,দিদার বাড়ি একটু মাঠ প্রান্তে।সেই মাঠকে আবার সবাই মালদ্বীপ বলে, মনে হয় কোনো একদিন একটি পোষ্টে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম।যাইহোক দিদাদের বাড়ি বরাবরই বিড়াল পোষে।প্রায় 4-5 বছর পর গেলাম,আগে তো দেখেছিলাম দেশি বিড়াল পুষতে।এইবার আবার গিয়েই দেখলাম দেশি বিড়ালের বালাই নেই---!সবই দেখি বিদেশি বিড়াল বসে আছে বারান্দায় বাবু হয়ে।বললাম বিদেশি বিড়াল----ব্যাপারখানা কি????
দিদার কাছে জিজ্ঞাসা করতেই আসল রহস্য বুঝতে পারলাম।আসলে আশেপাশেই কোনো কোনো বাড়িতে এই ধরনের বিদেশি বিড়াল রয়েছে।আর একদিন কে যেন এই বিদেশি বিড়ালের মেয়ে বাচ্চাটিকে রাস্তায় তুলে দিয়েছিল।সেই বিড়াল টুকটুক করে হাটতে হাটতে দিদার বাড়ির সামনে গিয়েছিল।তাই দিদা নিয়ে পোষ মানিয়েছে।ফলে তার আবার দুটি বাচ্চা হয়েছে, বাচ্চাগুলো দেখতে খুবই কিউট।
এই বিড়াল শো দেখানোর জন্য বেশ ভালো।একজায়গায় চুপটি করে বসে থাকে, অপরিচিত মানুষ গিয়ে গায়ে হাত বুলালেও দৌড়ে পালায় না।যেমনটি দেশি বিড়াল হলে ভো দৌড়---- দিয়ে পালায়।তাছাড়া দেশি বিড়াল ইঁদুর ধরলেও এই বিদেশি বিড়াল ইঁদুরও ধরে না আর যেখানে সেখানে লাফালাফি করে ঘুরেও বেড়াই না।বিদেশি বিড়ালগুলি খুবই সফট টাইপের হয়ে থাকে, দেশি বিড়ালের মতো শক্তিশালীও নয়।আমরা অপরিচিত মানুষ গিয়ে বিড়ালের গায়ে হাত বুলাতে লাগলাম কিন্তু বিড়াল জায়গাতেই বসে রইলো ,যেন মনে হচ্ছে আমরা তাদের অনেক দিনের চেনা।
তবে আমার কাছে বড় বিড়ালটি দেখে কিছুটা সমস্যাপূর্ন মনে হয়েছে, মনে হয় এইজন্য তাকে বাচ্চা বেলাতে তুলে দেওয়া হয়েছে রাস্তায়।যদিও বাচ্চাগুলো একদম ঠিকঠাক রয়েছে, আমার কাছে তো হলুদ রঙের বাচ্চাটি বেশি ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে কোনটি বেশি ভালো লেগেছে অবশ্যই জানাবেন কিন্তু বন্ধুরা!এটাই ছিল আমার দিদার বাড়ির বিড়াল কাহিনী।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বারাসাত |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
আসলেই আপু ছোটবেলা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর, মামার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে থাকতাম। যাইহোক আপনি কিন্তু ছোটবেলার অভ্যাস ধরে রাখতে পেরেছেন। আপনার দিদার বাড়ির বিড়াল গুলো দেখতে কিন্তু খুবই সুন্দর। আমার কাছেও হলুদ রঙের বিড়ালটি খুব ভালো লেগেছে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার চমৎকার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কাছেও ছোট বিড়ালটি অর্থাৎ হলুদ রঙের বিড়ালটি বেশি ভালো লেগেছে। এইজন্য বিদেশী বিড়াল গুলো বোধ হয় সবাই এতো পছন্দ করে। অপরিচিত মানুষ হওয়া সত্ত্বেও আপনাদেরকে দেখে একটুও ভয় পায়নি তারা হয়তো অপরিচিত মানুষের সাথে মিশে অভ্যস্ত।
আসলেই ভাইয়া,বিদেশি বিড়ালগুলি খুবই পছন্দের হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামের মানুষেরা দেশি বিড়াল পুষে থাকে বেশি ভাগ ক্ষেত্রে।কিন্তুু দেশি বেড়ালের তুলনায় বিদেশি বিড়াল গুলো ভীষণ কিউট হয় দেখতে।দেশি বেড়াল চঞ্চল হয়ে থাকে কিন্তুু বিদেশি বিড়াল চুপচাপ হয়।দিদার ভাগ্য ভালো কুড়িয়ে পাওয়া বিদেশি বিড়াল থেকে সুন্দর বিড়াল ছানাও পেয়েছে। ধন্যবাদ দিদি সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
দিদি,ওটা ঠিক গ্রাম নয় শহর-ই।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর পোস্ট পড়ে৷ খুব সুন্দরভাবে আপনি এখানে এই বিড়ালের কাহিনী তুলে ধরেছেন। তবে হলুদ বিড়ালকে আমারও অনেক ভালো লেগেছে৷ আসলে বিড়াল অনেক সুন্দর হয়ে থাকে৷ এই বিড়ালটি আপনাদের সাথে খুব ভালোভাবে মিশে গিয়েছে শুনে খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
আপনার সাবলীল মন্তব্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you so much.💝