"আঁশযুক্ত ঝিঙে ও আলু দিয়ে পুঁটি মাছের তরকারি"
নমস্কার
আঁশযুক্ত ঝিঙে ও আলু দিয়ে পুঁটি মাছের তরকারি:
অনেকদিন হলো কোনো রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করা হয়নি।তাই আজ ভাবলাম নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।বন্ধুরা,কচি ঝিঙে তো অনেকেই খেয়েছেন কখনো কি আঁশযুক্ত বা পাকা ঝিঙে খেয়েছেন!এমনিতেই ঝিঙে খুবই সুস্বাদু একটি সবজি।আর এই ঝিঙেগুলো আমাদের বাড়ির সবজি ক্ষেতের।তাই আমি ইচ্ছে করেই কিছু ঝিঙে পাকাতে রেখেছিলাম।তবে সম্পূর্ণ পাকা নয়,অর্ধপাকা অর্থাৎ যখন ঝিঙের ভিতরে আঁশযুক্ত বা শক্ত এচোড় হবে তখন খাবো বলে।কারন ঝিঙের আশ চিবাতে আমার বেশ মজা লাগে।কিন্তু যেহেতু অর্ধপাকা হয়ে যাওয়ার পর ঝিঙের দানা শক্ত হয়ে যায় তাই সব একটা একটা করে ফেলে দিতে হয়।যেটা একটু কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ,নাহলে তেতো লাগার সম্ভাবনা থাকে।আর এভাবে দানা ফেলে দিয়ে রান্না করার পর রেসিপিটি খেতে দারুণ স্বাদের ও খুবই মজাদার হয়েছিল।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
অর্ধপাকা ঝিঙে | 3 টি |
আলু | 1 টি |
ভাজা পুঁটি মাছ | 150 গ্রাম |
কাঁচা মরিচ | 7 টি |
পেঁয়াজ কুচি | 2 টি |
লবণ | 1 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1/2 টেবিল চামচ |
জিরে বাটা | 2 টেবিল চামচ |
আদা-রসুন বাটা | 1/2 টেবিল চামচ |
শুকনো মরিচ বাটা | 1.5 টেবিল চামচ |
গরম মসলা গুঁড়া | 1/2 টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | 1/3 টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | 60 গ্রাম |
জল |
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি ঝিঙেগুলির খোসা ছাড়িয়ে নেব বটির সাহায্যে।তারপর জল দিয়ে ধুয়ে পিচ পিচ করে কেটে নেব।
ধাপঃ 2
এখন অর্ধপাকা ঝিঙের দানাগুলি বেছে নিয়ে ফেলে দেব।
ধাপঃ 3
এরপর আমি বটির সাহায্যে আলু লম্বা সাইজ করে কেটে নিলাম।পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কেটে নিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 4
এবারে চুলায় মিডিয়াম আঁচে একটি পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম।তেলের মধ্যে পাঁচফোড়ন দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 5
এখন পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 6
পেঁয়াজ হালকা ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে সমস্ত বাটা মসলা দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 7
এরপর হলুদ ও গরম মসলা গুঁড়া দিয়ে বাটা মসলাগুলি একত্রে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
এবারে কষানো মসলার ভিতরে কেটে রাখা ঝিঙে ও আলু দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 9
ঝিঙে ও আলুর সঙ্গে মসলাগুলি ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 10
মসলার মধ্যে কিছুক্ষণ ঝিঙে কষিয়ে নেওয়ার পর কাঁচা মরিচ দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 11
মরিচগুলি একত্রে মিশিয়ে নিলাম।এরপর স্বাদ অনুযায়ী লবন দিয়ে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 12
এখন অল্প পরিমাণে জল দিয়ে দিলাম ঝিঙে সেদ্ধ হওয়ার জন্য।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখবো কিছুক্ষণ।
ধাপঃ 13
ঝিঙে সেদ্ধ হয়ে গেলে ভেজে রাখা পুঁটি মাছগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 14
পুঁটি মাছগুলো মিশিয়ে নিয়ে তরকারীটি কিছুক্ষণ আবারো ফুটিয়ে নেব ছোট বলক আসা পর্যন্ত।
শেষ ধাপঃ
এখন আমি একটি পাত্রে তরকারীটি ঢেলে নিলাম।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "আঁশযুক্ত ঝিঙে ও আলু দিয়ে পুঁটি মাছের তরকারি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটা খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার হয়েছিল।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
পোস্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
ঝিঙে দিয়ে অনেক তরকারি খেয়েছি তবে আপনার মতো আর্ধাপাকা ঝিঙে দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে পুঁটি মাছ গুলো ভেজে রান্না করলে অনেক ভালো লাগে। তরকারির কালার টা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদিন অর্ধপাকা ঝিঙে খেয়ে দেখবেন আপু,দারুণ মজাদার।ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপি পরিবেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। এই সুস্বাদু রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ারের মাধ্যমে আমিও শিখে নিলাম।
আপনি আমার রেসিপি থেকে কিছু হলেও শিখতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশিরভাগ সময়ে কচি ঝিঙে দিয়ে সবজি রান্না করে খেয়েছি। তবে অর্ধ পাক ঝিঙে এভাবে বিচি ফেলে দিয়ে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। বিশেষ করে কড়া করে ভেজে পুটি মাছ দেওয়ায় রেসিপিটি খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে অর্ধ পাকা জিঙ্গে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব।
অবশ্যই খেয়ে দেখবেন আপু,আশা করি মজা লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
পুঁটি মাছ ভাজি করে খাওয়া অনুভূতি বেশ দুর্দান্ত। আপনি খুব সুন্দর করে ঝিঙে ও আলু দিয়ে পুঁটি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রান্নার প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ভাইয়া।তাছাড়া আমরা সব মাছই ভেজে রান্না করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আঁশযুক্ত ঝিঙে খাওয়া যায়, তাই তো জানতাম না আপু। আপনার রেসিপিটি দেখে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম। যাইহোক আপু, আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখে খুব উপকারে আসলো, কেননা আমরা কখনোই আঁশযুক্ত ঝিঙে খাই না বরং ফেলে দেই। এখন থেকে আর ফেলে না দিয়ে বরং মজার রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যাবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, নতুন একটি রেসিপি শিখিয়ে দেয়ার জন্য।
ভাইয়া,আঁশযুক্ত ঝিঙে খেতে আরো বেশি মজার ভাইয়া।বিশেষ করে মাছ দিয়ে ঝোল করলে চিবাতে দারুণ লাগে তবে সব দানা ফেলে দিতে হবে অবশ্যই।ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি ঝিঙে মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ মজার হয়।তবে আঁশযুক্ত ঝিঙে কখনও খাওয়া হয়নি।আপনি পুঁটি মাছ দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি শেয়ার করলেন। খেতে খুব মজার হয়েছে আশাকরি।মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।
হ্যাঁ আপু,খুবই মজার খেতে হয়েছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।