"শুকনো বরই দিয়ে বড় কাঁকড়ার টক রেসিপি"
নমস্কার
শুকনো বরই দিয়ে বড় কাঁকড়ার টক রেসিপি:
অনেকদিন ধরেই মজার ও সুস্বাদু কোনো-ই রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করা হয় না।তাই আজ ভাবলাম সম্পূর্ণ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করবো শুকনো বরই দিয়ে বড় কাঁকড়ার টক রেসিপি।শুকনো বরইগুলি আমাদের গাছের,আর এগুলো এই বছরেই শুকানো হয়েছে।তাছাড়া বেশ গরম আবহাওয়া চলে এসেছে।তাই এমন হালকা টক জাতীয় রেসিপি খেতে কিন্তু দারুণ মজার হয়ে থাকে।তাছাড়া মুখে আলাদা একটা রুচিও ফিরে আসে।আমি এই রেসিপিটি প্রথম তৈরি করলাম।এটা তৈরির পর দেখতে যেমন অসাধারণ হয়েছিল তেমনি খেতেও অনেক মজাদার ও সুস্বাদু হয়েছিল। আশা করি এই রেসিপিটি ভালো লাগবে আপনাদের কাছেও।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
উপকরণসমূহ:
2.বড় কাঁকড়া- 4 টি
3.কাঁচা মরিচ কুচি- 5 টি
4.পেঁয়াজ কুচি- 2 টি
5.লবণ- 1.5 টেবিল চামচ
6.হলুদ-1 টেবিল চামচ
7.পাঁচফোড়ন-1/3 টেবিল চামচ
8.তেজপাতা-2 টি
9.শুকনো মরিচ গুঁড়া-1 টেবিল চামচ
10.গরম মসলা গুঁড়া-1/2 টেবিল চামচ
11.সরিষার তেল-60 গ্রাম
প্রস্তুত-প্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি বড় কাঁকড়াগুলি ভালোভাবে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।এরপর মিডিয়াম আঁচে একটি পরিষ্কার কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে নিলাম।এরপর কাঁকড়াগুলি দিয়ে স্বাদ মতো লবণ, হলুদ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কষিয়ে ভেজে নেব।
ধাপঃ 2
এখন কাঁকড়াগুলি কষিয়ে ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে শুকনো বরই দিয়ে হালকা নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 3
এবারে রেসিপিতে পরিমাণ মতো জল দিয়ে নিয়ে স্বাদ অনুযায়ী পুনরায় আবারো লবণ ও হলুদ যুক্ত করে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 4
এরপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বরইগুলি সেদ্ধ হতে রেখে দেব কয়েক মিনিট।তারপর তরকারী ফুটে উঠলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 5
এখন কড়াইতে সরিষার তেল ,পেঁয়াজ কুচি, তেজপাতা ও গুঁড়া মসলাগুলি দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
ধাপঃ 6
এরপর ভেজে নেওয়া পেঁয়াজ ও মসলার মধ্যে তরকারীটি পুনরায় ঢেলে মিশিয়ে দিলাম।
শেষ ধাপঃ
সবশেষে তরকারীতে ছোট ছোট বলক চলে আসলে নামিয়ে নিলাম একটি পাত্রে।তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "শুকনো বরই দিয়ে বড় কাঁকড়ার টক রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন গরম গরম ভাতের সঙ্গে রেসিপিটি পরিবেশন করতে হবে।এটি খেতে খুবই মজাদার ও সুস্বাদু হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | redmi note 10 pro max |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
কাকড়া যদিও খাই না তবে রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আর টক দিয়ে রান্না যে কোন খাবার আমার বেশ পছন্দ। তাই রেসিপিটি আমার কাছে ভালই লাগবে। ধন্যবাদ অন্য রকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু,এটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল।আপনি চাইলে ছোট মাছও ব্যবহার করতে পারেন, ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুকনো বরই দিয়ে বড় কাকরার টক রেসিপিটি বেশ লোভনীয় লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু কাকড়ার এই সুস্বাদু টক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই ধরেছেন আপু,এটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।খেয়ে দেখবেন একদিন, ধন্যবাদ আপনাকে ও।
খুবই ইউনিক ধরনের একটা রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি আজকে যেই রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই রেসিপিটি আমার কাছে একদমই নতুন, তাছাড়া এরকম রেসিপি এর আগে কখনো দেখিনি। শুকনো বরই দিয়ে বড় কাকড়ার এরকম টক রেসিপি এই প্রথমবার দেখতে পারলাম। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া, এটা আমি নিজের মস্তিষ্ক দিয়ে প্রথম তৈরি করলাম।আমিও এটা কোথাও কখনো দেখিনি, ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁকড়া রেসিপি আমি কখনোই খাইনি, তবে কাঁকড়া ভাজি খেয়েছি ফ্রাই করে। আপনি বরই দিয়ে এই বড় কাঁকড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখি খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। এত সুস্বাদু রেসিপি এবং ভিন্ন রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, সুযোগ হলে এভাবে ট্রাই করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আজকে খুবই দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপিটা দেখে আমার কাছে ইউনিক লেগেছে, কারণ এভাবে রেসিপি কখনো তৈরি হয়নি। আপনি খুবই সুস্বাদু বড় কাকড়া রেসিপি তৈরি করলেন। আসলে এভাবে টক রেসিপি হলে খাবারের চাহিদা এবং খাবার রুচিটা যেন ফিরে আসে।
আসলেই টক জাতীয় খাবার মুখের রুচি ফিরিয়ে আনে, ধন্যবাদ আপনাকে।
শুকানো বড়াই দিয়ে কাঁকড়ার টক একদম নাম শুনেই জিভে জল চলে আসলো।কি যে লোভনীয় হয়েছে দিদি আপনার রেসিপিটি তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।আপনার গাছের বড়াই গুলো খুব লোভনীয়। আমারও গাছের বড়াই আমি সারা বছরের জন্য শুখিয়ে রেখে দেই।কাঁকড়া দিয়ে শুকনো বড়াইয়ের টক গুলোর কাঁকড়া মুখে দিয়ে চিবালে যে সুস্বাদু লাগবে তা বলে বোঝানো যাবে না।আমারও এরকম করে কাঁকড়া রান্না করে খেতে মন চাচ্ছে কিন্তুু আমাদের এলাকায় কাঁকড়া পাওয়া যায় না এমনকি বাজারেও কিনতে পাওয়া যায় না তাই খাওয়া হবে না।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
দিদি বলেন কি!আপনার এলাকায় কাঁকড়া পাওয়া যায় না।কখনো সুযোগ হলে অন্য কোথাও থেকে অবশ্যই যেকোনো কাঁকড়া কিনে রেসিপিটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু জীবন এ প্রথম এমন রেসিপি দেখলাম।টক খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে।রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর রেসিপি উপহার দেবার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া, স্বাগতম আপনাকে।
কাকড়া যদিও এ পর্যন্ত খাওয়া হয়নি তবে রেসিপিটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। শুকনা বড়ই দিয়ে বড় কাঁকড়ার টক রেসিপিটি এবার প্রথম দেখলাম। আমার কাছে রেসিপিটি অনেক ইউনিক মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
শুধু দেখতে নয়,খেতেও লোভনীয় ছিল আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
নিজের গাছের বড়ই শুকিয়ে কাকড়ার রেসিপি করেছেন দেখতে বেশ সুন্দর আর লোভনীয় হয়েছে।
আমি তো বড়ই প্রতিদিন নেড়ে৷ দিতে গিয়ে সব সাবাড় করে ফেলি সংরক্ষণের জন্য আর থাকেনা
হি হি,বেশ বলেছেন।আসলে টক জাতীয় জিনিসের প্রতি সবারই আকর্ষণ বেশি থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে এবং স্বাগতম।☺️