"বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে কলেজের উদ্দেশ্যে একদিন"(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো আমার কলেজে যাওয়ার পথে তোলা কিছু ফটোগ্রাফি ও কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কিছু ছবি।
কলেজের খেলা 10 টা থেকে শুরু হওয়ার কথা।আমার কলেজ যেতে প্রায় টোটো এবং ট্রেনে করে 1 ঘন্টা 30 মিনিট সময় লাগে।তাই আমি প্রথমে বাড়ি থেকে রেডি হয়ে 10 টার ট্রেন ধরবো বলে সেই মতো বাড়ি থেকে বের হলাম 9 টা 20 মিনিটে।তারপর টোটো করে রেল স্টেশনে গিয়ে টিকিট কেটে অপেক্ষা করলাম।যদিও 10 টার ট্রেন একটু লেট করে আসলো ,তারপর ও পৌঁছে গেলাম বর্ধমান স্টেশনে।
আবার আমি স্টেশন থেকে নামার পর টোটো উঠবো কলেজ যাওয়ার জন্য।তখনই চোখ পড়লো পাশে থাকা একটি পার্কের উপর বসে থাকা হনুমানটির উপর।আমাদের বর্ধমানে প্রায় হনুমান দেখা যায়।তবে তাড়াহুড়োতে ছবি তোলা হয় না।অন্যদিন অনেক হনুমান থাকে ,তারা গাছের ডালপালা ভেঙে উপদ্রব করে আর ছোটাছুটি করে।কিন্তু আজ এই হনুমানটি খুবই শান্তভাবে বসে ছিল গাছের নিচে মায়াবী চোখে।তাই তুলে ফেললাম কয়েকটি ছবি।
এটিও বানরেরই বড়ো প্রজাতি।তবে আমরা ছোটবেলা থেকেই হনুমান বলতে অভ্যস্ত।যাইহোক হনুমানটি এতটাই কিউট ও মায়াবী ভাবে তাকিয়ে ছিল দেখতে খুবই ভালো লাগছিল আমার।তাছাড়া এই হনুমানটি খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল ,আর লোমগুলো সুন্দর ছিল।সাধারণত অন্যান্য হনুমানের লোমগুলো উশকোখুশকো থাকে।কিন্তু এটার সেইরকম ছিল না।মনে হচ্ছে হনুমানটি কি যেন ভাবছে বসে বসে।এরপর আমি টোটো করে কলেজ পৌঁছে গিয়ে শুনলাম 100 মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে গেছে।
আমার খেলাই অংশ নিতে খুবই ভালো লাগে।কিন্তু আমাদের 22 তারিখ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল আর 23 তারিখ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।তারপর 21 তারিখে শুনি পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে,তাই আর তাড়াহুড়ো করে ও সামনে আমার পরীক্ষা থাকার কারণে নাম দিইনি প্রতিযোগিতায়।দর্শক হয়েই খেলা দেখতে গেলাম।আমি যাওয়ার পর 200 মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল।তারই কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম আপনাদের সঙ্গে।
আমাদের কলেজের ভিতরের বড়ো মাঠে খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।আমাদের মহিলা কলেজ, এক্ষেত্রে অনেক মেয়েরাই অংশগ্রহণ করেছিল খেলাতে।মাঠের মধ্যে কিছু অংশ সাদা দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা ছিল।আর অধিকাংশ মেয়েরা জার্সি জামা ও প্যান্ট পরে খেলেছিল।
যে মেয়েটা সবার প্রথমে সেই 200 মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান হয়েছিল।আমরা সবাই গাছের নিচে বসে খেলা উপভোগ করছিলাম আর হাত তালি দিয়ে উৎসাহিত করছিলাম খেলোয়াড়দেরকে।এরপর লং জাম্প,হাই জাম্প,গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ ও 400 মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।তাই পরের পোষ্টে আমি সেই সমস্ত কিছু খেলার ফটোগ্রাফিসহ আমার অনুভূতি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।
আজ এই পর্যন্তই,আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফি ও আমার অনুভূতিগুলি ভালো লাগবে।সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
আগে স্কুলে বর্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় আমি ও অংশগ্রহণ করেছিলাম।।এবং অনেকগুলো পুরস্কার ও পেয়েছিলাম।আপনার আজকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুভূতি আমাকে সেই ছোটবেলায় নিয়ে গিয়েছে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মনি এত চমৎকার একটি ক্রিয়াপ্রতিযোগিতার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য♥♥
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপনাদের এলাকার হনুমান গুলো দেখে তো অনেক ভদ্র মনে হচ্ছে। আমাদের এপার বাংলাতেও ইদানিং বেশ কিছু হনুমান দেখা যাচ্ছে। তবে মানুষের উৎপাতে এগুলো অনেকটাই হিংস্র হয়ে গেছে। আপনার কলেজের সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কথায় যেটি বুঝতে পারছি মানুষরা ভালো ব্যবহার করলে হনুমানেরাও হিংস্র হতো না।ঠিক বলেছেন ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমার এখনো মনে আছে ক্লাশ ৫ এ আমি দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ছিলাম। মজার বিষয় হচ্ছে আমি দ্বিতীয় হয়ে অনেক কান্না করছিলাম। আসলে সবাই জানতো আমি প্রথম হবো, তখন অনেক ভালো দৌড়াতে পারতাম। যদিও এখন বেশি দৌড়াতে পারি না। ভালো লাগলো আপনার কলেজের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার অংশবিশেষ দেখে। 🎈🎈
ভাইয়া আমিও স্কুলে চামচ-গুলি খেলে প্রথম হয়েছিলাম ।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
আপু আমাদের বাসার এ দিকে বানর আছে,কি যে অত্যাচার করে।একবার আমার ঘরে চলে এসেছে। আমার ফ্রিজ খুলে ডিম নিয়ে চলে গেছে। আপনার ছবি হনুমান টা আসলেই পরিষ্কার। 200 মিটার দৌড় প্রতিযোগিতা। একটা সময় স্কুলে অনেক খেলা দিয়েছি।প্রাইজ ও পেয়েছি।মনে পরে গেলো ছোট বেলার কথা।ধন্যবাদ আপু।
বানররা ফ্রিজ খুলতে পারে এটা জেনেই আমি অবাক।কী করে সম্ভব, যাইহোক আপনার সুন্দর মতামত জেনে খুশি হলাম আপু ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে খেলাধুলার প্রতিযোগিতাগুলো এখনো হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে 🥀 এর মাধ্যমে যেরকম আনন্দ পেতাম, তেমনি অনেক পুরষ্কার রয়েছে বাসায়। আপনার পোস্ট দেখে পুরনো দিনের কথা মনে পরে গেল। যাক পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।
খেলাধুলার স্মৃতিগুলো কখনো পুরোনো হয় না আর কখনো ভুলে থাকা যায় না।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ও।
কলেজের উদ্দেশ্যে যাত্রা পথে দেখা হওয়া হনুমানটি আসলেই খুবই কিউট। এত সুন্দর হনুমান আমি এর আগে কখনো দেখিনি। হনুমান কথাটার সাথে কুৎসিত একটা চেহারা চোখে ভেসে ওঠে। যাইহোক আপনার কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সুন্দর কিছু ফটোশুট আমাদের মাঝে শেয়ার করে ফেলেছেন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমারও খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা আর মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।তবে মনে রাখতে হবে মানুষেরাও পূর্বে এই বানরের মতোই ছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Congratulations, your post has been curated by @dsc-r2cornell. You can use the tag #R2cornell. Also, find us on Discord
Felicitaciones, su publicación ha sido votada por @ dsc-r2cornell. Puedes usar el tag #R2cornell. También, nos puedes encontrar en Discord
Thank you so much💝💝.