আমার স্বরচিত গদ্যকবিতা: "বিচারহীন সমাজব্যবস্থা" 10% to লাজুক খ্যাককে
নমস্কার
বন্ধুরা, আপনারা সকলেই কেমন আছেন?আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলেই ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।তাই নতুন একটি গদ্য বাস্তবধর্মী কবিতা নিয়ে হাজির হলাম আবারো আজ।
এখন আধুনিক যুগ।কিন্তু এই আধুনিকতার ছোঁয়া সব জায়গায় এখনো পড়েনি।তাই আধুনিক যুগে নারীদের নানাভাবে অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।আর যদিও বা পড়েছে তাতে সমাজের কিছু মানুষের সঠিক চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হয়নি।এই জন্য আমাদের চোখের সামনে ঘটে চলেছে নানান ঘৃণ্য ঘটনা।হয়তোবা আধুনিক যুগে মানুষের পোশাকের বদল এসেছে, বদল এসেছে খাদ্য -খাবারের।কিন্তু মানুষ বাইরে থেকে তাদের আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চললেও তাদের অন্তরালের মধ্যে থেকে গেছে অন্ধকার।সুতরাং তাদের চিন্তাধারার পরিবর্তন পুরোপুরিভাবে হয়নি অর্থাৎ মনেতে আধুনিকতার ছোঁয়া পড়েনি।তাহলে হয়তো আমাদের সমাজব্যবস্থা স্বচ্ছভাবে, স্বচ্ছচিন্তাধারায় পরিবর্তন হতো।এটি আমাদের সমাজব্যবস্থার জন্য খুবই লজ্জাস্কর😊 এবং নারীদের জন্য দুঃখজনক 😢ও বটে।তেমনি একটি বাস্তবধর্মী কবিতা লিখেছি আজ।
তো চলুন শুরু করা যাক--
(অন্ধকারে বাঁশের মাথায় পেঁচার ছবি)
[আমার লোকেশন]
(https://what3words.com/translated.windowpanes.outlandish)
"বিচারহীন সমাজব্যবস্থা"
শুন-শ্মান শহরের রাস্তা জনমানবহীন প্রায়
তারই মাঝে একদল নরপশুর দল
সিগারেটের ধোয়া ফুঁকছে ঢিবিতে বসে
বাতিগুলি এখনো টিপটিপ জ্বলছে
তারই মাঝে কাজ থেকে ফিরছে এক নারী
ছায়ামূর্তি অসহায়।
শহুরে জীবন একান্তই নীরব-নিস্তব্ধ
কেউ বা ঘুমিয়ে আবার কোনো মায়ের কণ্ঠে
ঘুম পাড়ানি গান
গলিতে ক্লাবে জমেছে বেকার যুবকদের মেলা
পূর্ন উদ্দামে ক্রিকেট খেলার ম্যাচে সবাই মত্ত।
বুড়োদের দল,প্রেম নিবেদিত
বাইজির মদ্যপানে
কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরা শ্রমিক
অঘোর ঘুমে কাত বা চিৎ।
তখনি সেই ছায়ামূর্তির আর্তনাদ
ভরা চিৎকার
এ সমাজ নির্বাক,সারাহীন
ক্ষুধার্ত পশুরা উদ্মাত্তে নির্বিঘ্ন বাঁধ।
রাতশেষে ভোরের সকাল
অট্টালিকার মাঝে জমাট বাঁধা
তপ্তবালিতে পড়ে থাকা নারীর নগ্ন শরীর
ছিন্নভিন্ন চিরনিদ্রারত দেহের আকাল।
ঝাঁক ঝাঁক মিডিয়ার আগমন
একদল শকুনি তামাশার রহস্যময়তার
জাল বুনছে সমালোচনার ঢেউয়ে
বন্দি করছে ক্যামেরা কিংবা ফোনে।
ধিক্কার এই বিচারহীন সমাজকে!
আবার নিস্তব্ধ শহুরে রাস্তা
খবরের কাগজের পর কাগজগুলি
মিথ্যে ছাপানো ভর্তি ঝুড়ি
একই সেই বিচারহীন সমাজব্যবস্থা
যে যার মতো ব্যস্ত তার কর্মে।
এ ছায়া কোনো কল্পনায় ঘেরা নয়
এ ছায়া বাস্তবতার চিহ্নমাত্র
বর্তমানের অলিতে গলিতে প্রস্ফুটিত
অহরহ প্রতিচ্ছবি।।
(আশা করি আমার কবিতাটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।সবাই ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।)
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
এই লাইন গুলোতে আমি বর্তমান প্রেক্ষাপট খুঁজে পেয়েছি। কেউ একটু বিপদে থাকলে আমরা তাকে উদ্ধার না করে ছবি তোলার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ি😒
আমি বর্তমান প্রেক্ষাপটেই কবিতাটি লিখেছি।কেউ বিপদে পড়লে অবশ্যই আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
আপু তোমার কবিতা টি খুবই সুন্দর হয়েছে।একদম বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে তোমার লেখায়।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ তোমাকে আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে নতুন কিছু লেখার উৎসাহ জাগাবে।ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার কবিতা লেখার হাতটি বেশ ভালো। নারীর আদায় নারীকেই বুঝে নিতে হবে। নারীদের মধ্যে স্বনির্ভরতা আরো বেশি করে প্রয়োজন।
অবশ্যই ,নারীর আদায় নারীদেরকেই বুঝে নিতে হবে তার জন্য সহযোগিতার প্রয়োজন এই সমাজের।ধন্যবাদ দাদা,আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
❤️
খুবই সুন্দর লিখেছেন আপু,শহরে প্রতি রাতের নিয়মিত ঘটনা।😔
হ্যাঁ, এটি শহরের প্রতি রাতের ঘটনা কিন্তু গ্রামেও এখন এর প্রভাব পড়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
দিদি তোমার কবিতা টি খুবই সুন্দর হয়েছে।একদম বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে তোমার লেখায়। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বিচারব্যবস্থা শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তের উপরে আরোপ করা হয়। যারা ধনী এবং প্রতিভা প্রভাবশালী লোকজন রয়েছে তাদের উপরে এই বিচার ব্যবস্থার কোনো প্রভাব পড়ে না।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। মুর্দা কথা যাদের কাছে টাকা নেই তারাই অত্যাচারিত হয়ে থাকে, কিন্তু ধনী মানুষেরা টাকার জোরেই কুকীর্তিগুলি সহজে ঢাকতে পারে।কিন্তু সকল নোংরা বিচারগুলি মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের উপর চাপানো হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
আমরা এখনো সমাজকে নারীদের জন্য নিরাপদ পারিনি। এখনো নারী একা একা পথে বের হতে পারে না। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমরা এদিক থেকে এখনো আধুনিকতার ছোয়া পাইনি।
এটা আমাদের ব্যর্থতা নয়,আমাদের চিন্তাধারা ও মানসিকতা।এই মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে পারলেই নারীরা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাবে।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।
🙂🙂
এখন পর্যন্ত আমাদের সমাজ নারীদেরকে সম্মান করতে পারলো না। তারা তাদেরকে বিলাসের জিনিস মনে করে। সমাজের এই চিন্তা ভাবনাগুলো না পাল্টাতে পারলে সমাজটাকে পশুত্বের হাত থেকে রক্ষা করতে পারা যাবে না। সমাজের এক চরম সত্য আপনার কবিতায় ফুটে উঠেছে বোন। ধন্যবাদ বোন কবিতাটা শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম সঠিক বলেছেন ভাইয়া।আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতা পাল্টাতে হবে তবেই সমাজে পরিবর্তন আসবে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্য ব্যক্ত করার জন্য।
কবিতার আড়ালে সমাজের নির্মম বাস্তবতা। অসাধরন। যারা লেখালিখি করতে চান তাদের একবার হলেও এই লেখাটা পড়া উচিত। কথার ভাঁজে কিভাবে সত্যকে উপস্থাপন করতে হয় জানতে পারবে সেটা।
অসাধারণ মন্তব্য করেছেন দাদা।এটি সত্যিই সমাজের বাস্তবতাটাকে কবিতার মধ্যে একটু রূপ দেওয়ার চেষ্টা করলাম মাত্র।তবে আমাদের এই নিয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত।ধন্যবাদ দাদা,কষ্ট করে কবিতাটি পড়ার জন্য।আমি কৃতজ্ঞ।
আসলে আমাদের মন মানসিকতার মধ্যে যেদিন আমরা এই বিষয়টা আনতে পারব যে প্রত্যেকটা মেয়ে হয়তো বা আমার বোন নয়তোবা আমার মা ।তাহলে আমাদের মা এবং বোন রাস্তাঘাট এবং সব জায়গায় অনায়াসে চলতে পারবে।
সঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া।তবে আধুনিক যুগে এখনো মানুষ সেটি ভেবে উঠতে পারে নি।এই জন্য আক্ষেপের সৃষ্টি হয় মনে।সেই আক্ষেপ থেকেই কবিতাটি লিখলাম।ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুচিন্তিত মতামত জানানোর জন্য।