"কুমড়ো শাকের ডাটা ও আলু দিয়ে তিলে কাঁকড়ার রেসিপি" 10%Benificiary to @shy-fox
নমস্কার বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন।আমি ও ভালো আছি।তাই আজ নতুন আরও একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম আমি @green015.
আমাদের বাড়ির কুমড়া গাছ সবে ডুগিয়ে ঘরের চালে তুলে দেওয়া হয়েছে।তাই তার কিছু কচি ডাটা আজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।যাতে ভাঙা ডাটা থেকে আরও প্রচুর ডাটা বের হয়।তাই আজ রাতে কুমড়ো শাকের কচি ডাটা আলু দিয়ে রান্না করেছি।কুমড়ো শাকের ডাটা আমার ভীষণ প্রিয় এবং কুমড়ো শাকের ডাটায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন।যা শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন।কুমড়ো শাক এমন একটি সবজি যার কচুশাকের মতোই কিছুই বাদ যায় না।পাতা,ফুল থেকে শুরু করে সব কিছুই খাওয়া যায়।আর তা যদি হয় বাড়ীতে লাগানো রাসায়নিক সারবিহীন সবজি তাহলে তো কথায় নেই।কুমড়ো শাকের ডাটা স্বাদের দিক থেকে অতুলনীয়।তো আজ আমি রান্না করবো ,"কুমড়ো শাকের ডাটা -আলু দিয়ে তিলে কাঁকড়ার রেসিপি"।
এই তিলে কাঁকড়াটাও আমাদের কেনা নয়।কারণ এই বর্ষার সময়ে ধান ক্ষেতের আইলের গায়ে ছোট ছোট গর্তে এই কাঁকড়া থাকে।খালেও থাকে তবে খুব কম।এই কাঁকড়াগুলি ভাঁজার সময় কাঁকড়ার ঘি জল হয়ে যায় এই জন্য এই কাঁকড়াকে তিলে কাঁকড়া বলে।এই কাঁকড়াগুলি অল্প জলে জন্মায়।এই তিলে কাঁকড়া ভাজার সময়ে আলাদা একটা ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
তো চলুন শুরু করা যাক--
উপকরণ:
1.কুমড়োশাকের ডাটা -1/2 কিলো
2.তিলে কাঁকড়া - 250 গ্রাম
3.লবণ- 2.5 টেবিল চামচ
4.হলুদ- 2 টেবিল চামচ
5.সরষের তেল- 150 গ্রাম
6.কাঁচা লঙ্কা- 7 টি এবং শুকনো লঙ্কা-3 টি
7.জিরে ও রসুন বাটা - 4 টেবিল চামচ
8.পেঁয়াজ কুচি- 1 টি
9.পাঁচফোড়ন-1/2 টেবিল স্পুন
10.আদা বাটা-1/2 টেবিল চামচ
11.ঠান্ডা জল পরিমাণ মতো
তো চলুন ঝটপট দেখে নেওয়া যাক রেসিপিটি---
প্রস্তুতপ্রণালী:-
★ধাপঃ 1
1.আমি আমাদের ঘরের চাল থেকে কিছু কুমড়ো শাকের কচি ডাটা কেটে নিয়েছি। আরও একটু উপরে কঞ্চির মাথায় খেয়াল করলে দেখতে পাবেন গিরগিটি মহাশয় 😊পাহারা দিচ্ছেন কুমড়ো গাছটি।
2.কুমড়ো শাকের ডাটাগুলি একদম কচি এবং সতেজ দেখেই বুঝতে পারছেন।
3.এবার আমি কুমড়োশাকের ছোট পাতাগুলি বেছে নিয়ে মিডিয়াম সাইজ করে কেটে নেব এবং কুমড়োশাকের ডাটাগুলির গায়ের আশ ছাড়িয়ে নেব বটির সাহায্যে।
4.তারপর ছোট ছোট সাইজ করে কেটে নিয়ে ঠান্ডা জলে 2 বার ধুয়ে নেব।একইসাথে আলুগুলোর খোসা ছাড়িয়ে কেটে নেব মিডিয়াম সাইজ করে।এছাড়া কাঁচা লঙ্কা ও পেঁয়াজ কুচি করে কেটে নেব।
★ধাপঃ 2
5.আমি এখানে 250 গ্রামের মতো তিলে কাঁকড়া নিয়েছি।আমি এগুলো জমির আইল থেকে সংগ্রহ করেছি।
6.তিলে কাঁকড়াগুলি কেটে নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নেব।এরপর চুলায়তে কড়াই বসিয়ে 4 টেবিল চামচ জলে সামান্য পরিমাণ অর্থাৎ 1/2 টেবিল চামচ করে লবণ ও হলুদ দিয়ে ভেঁজে নেব তিলে কাঁকড়াগুলি।এতে কাঁকরাগুলির কালার সুন্দর হয়।
7.এরপর একটি পাত্রে নামিয়ে নেব।চাইলে তেল দিয়ে ও ভেঁজে নেওয়া যায়।তবে সেটি তরকারীতে দিলে ফ্যাকাসে রং হয়ে যায়।
★ধাপঃ 3
8.এবার কড়াইতে একটু তেল দিয়ে কুমড়ো শাকের ডাটা ও আলুগুলি দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো হলুদ দিয়ে হালকা করে ভেঁজে নেব।
9.তারপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব 10 মিনিটের মতো।যাতে আলু এবং ডাটাশাক সেদ্ধ হয়ে কমে আসে।
10.10 মিনিট পর আমি তরকারির ঢাকনা খুলে খুন্তি দিয়ে নেড়েচেড়ে নেব এবং ভেঁজে রাখা কাঁকড়া ,কাঁচা লঙ্কা ও লবণ দিয়ে আবার কিছু সময় বেশি আঁচের জ্বলে রেখে দেব।সবসময় ডাটাজাতীয় শাকে লবণ পরে দিতে হবে, না হলে ডাটার মধ্যে অতিরিক্ত লবন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
★ধাপঃ 4
11.এরপর আমি শুকনো লঙ্কা, জিরা,রসুন ও আদাএকত্রে বেঁটে নেব শিল-নোরা দিয়ে।এরপরই আমি কিছু সেদ্ধ আলু একটা পাত্রে নিয়ে ইস্টিলের গ্লাস দিয়ে গলিয়ে নেব।
12.একটি পাত্রে তারকারীটি নামিয়ে কড়াতে আবার একটু পুনরায় তেল দিয়ে তাঁর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি ও পাঁচফোড়ন দিয়ে হালকা ভেঁজে নেব।এরপর বাটা মসলা একটু নেড়েচেড়ে তারকারী ঢেলে দিয়ে মিশিয়ে দেব।আরও 10 মিনিট ধরে তরকারিটি ফুটিয়ে নামিয়ে নেব একটি পাত্রে।
13.তো তৈরি হয়ে গেল আমার"কুমড়ো শাকের ডাটাও আলু দিয়ে তিলে কাঁকড়ার রেসিপি"। এবার গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ক্যামেরা: poco m2
অভিবাদন্তে: @green015
খুব সুন্দর রান্না হয়েছে, দেখেই মনে হচ্ছে স্বাদের হবে। তবে আমি কোনদিনও কাকড়াঁ খাই নাই। ধন্যবাদ
হ্যাঁ, ভাইয়া এটি খুবই স্বাদের হয়েছিল।আপনি সুযোগ পেলে অবশ্যই একদিন কাঁকড়ার স্বাদ চেক করে দেখবেন।ভালো লাগবে খেতে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে নতুন কিছু করার প্রতি অনুপ্রেরণা জোগায়।ভালো থাকবেন।
আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য ।বিশেষ করে কাঁকড়া গুলো দেখে আমার নিজেরই খেতে ইচ্ছা করছিলো কারণ গ্রামের বাড়িতে গেলে আমি নদী থেকে কাকারা ধরে খেতাম ।ঢাকা থাকি বলে এখন সেটা আর তেমন একটা খাওয়া হয়না ।আপনার লেখাগুলো সত্যি অসাধারণ ছিল ।
এবার গ্রামের বাড়িতে গেলে অবশ্যই আবার কাঁকড়ার স্বাদ গ্রহণ করবেন ভাইয়া।কাঁকড়া আমারও খুব প্রিয়।আপনার প্রশংসাভরা মন্তব্য শুনে আমি খুশি।আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ভাইয়া।ভালো থাকবেন।
অনেক মজাদার রেসিপি বানিয়েছো আপু, তোমার রান্না অনেক ভাল হয়, ধন্যবাদ তোমাকে আজকের এই রেসিপির জন্য।
আপনার রান্না ও খুব ভালো হয় আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।ভালো থাকবেন।
রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, এবং খুব ভাল ব্যাখ্যা।
আপনাকেও ধন্যবাদ বন্ধু,রেসিপিটি দেখার জন্য।
আমি কখনো কাঁকড়া খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে এবং খেতেও ইচ্ছে করছে। অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, ভাইয়া এটি খেতে অনেক মজার হয়েছিল।আর খেতে মন চাইলে চলে আসুন ইন্ডিয়া।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।সুস্থ থাকুন।
আমি এখন পর্যন্ত কাকড়া দিয়ে রান্না করা কোনো খাবার খাই নাই। তবে আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে কাকড়া দিয়ে রান্না করা খাবার খেতে বেশ মজাই লাগে। সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি,দাদা কাঁকড়া দিয়ে রান্না তরকারী খেতে অনেক মজার।তাই সেটি যেকোনো কাঁকড়া হোক না কেন।কাঁকড়া আমার ভীষণ প্রিয়।আপনি ও সুযোগ পেলে একবার কাঁকড়ার স্বাদ চেক করে দেখবেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।সুস্থ থাকুন।
অবশ্যই বোন। বাসায় গেলে খাওয়ার চেষ্টটা করব। ধন্যবাদ।
যেমন খেতেও সুস্বাদু তেমনি অনেক পুষ্টি গুন সম্মত খাবার। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ দাদা।
রেসিপি টা পড়ে ভালো লাগল। আমি এখন পযর্ন্ত কাঁকড়া খাইনি। তবে শুনেছি কাঁকড়া নাকি খুব সুস্বাদু একটি খাবার। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি টা উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
হ্যাঁ, ভাইয়া কাঁকড়া খেতে খুবই স্বাদের,না খেলে ঠিক অনুভব করা যাবে না।একবারসুযোগ পেলে অবশ্যই চেক করে দেখবেন।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।শুভকামনা রইলো।
অবশ্যই কাঁকড়া ট্রাই করব।
সেই ছোটবেলায় কাকড়া পুরিয়ে খেয়েছিলাম তারপর আর খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপি দেখে আবার খেতে ইচ্ছে করছে।ধন্যবাদ দিদি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া,আমি কাঁকড়া পোরা খাওয়ার কথা প্রথম শুনছি।কিন্তু আপনার কথা শুনে কাঁকড়া পুরিয়ে খাওয়ার ইচ্ছে আছে।ধন্যবাদ ভাইয়া ,আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে আমি খুশি।ভালো থাকবেন।
খুব মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন দিদি। আমি অবশ্যই ট্রাই করবো😍।
হ্যাঁ, দিদি এটি খুবই মজার।😊আপনি অবশ্যই ট্রাই করবেন। আপনার মন্তব্য পড়তে আমার খুবই ভালো লাগে দিদি।
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে,আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।