"মজাদার বিলাতি আমড়ার চাটনি রেসিপি" (10%বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন?নিশ্চয়ই ঈশ্বরের আশীর্বাদে সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
আজ আমি একটি রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।তবে সেটি কোনো তরকারি রেসিপি নয় বরং চাটনি রেসিপি।আর সেটি হলো " বিলাতি আমড়ার চাটনি"।
কমবেশি সবাই আমড়া খেতে পছন্দ করেন।তাছাড়া আমার জানা মতে, দুই প্রকার আমড়া পাওয়া যায়।একটি হলো,বিলাতি আমড়া এবং অন্যটি পানী আমড়া।পানী আমড়ার আটি খুব মোটা টাইপের হয় এবং এর একটা আলাদা গন্ধ আছে যা সবাই পছন্দ করেন না ।এছাড়া হাটে-বাজারে বিলাতি আমড়াই বেশি পাওয়া যায়।এই আমড়ার বিভিন্নরকম রেসিপি করা যায় কাঁচা ও পাকা সবভাবেই। বিলাতি আমড়ার সকল রেসিপি খুবই সুস্বাদু হয়।তাছাড়া এই সময় প্রচুর পরিমানে আমড়া বাজারে কম দামে পাওয়া যায়।আর সবরকম চাটনি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি মনে করি সবারই চাটনি বেশ পছন্দের।[এমন অনেক পরিবার আছেন যাঁদের খাবারে একদিন চাটনি না থাকলে তাঁদের খাবারের পরিপূর্ণতা পায় না।অর্থাৎ নিত্য দিনের খাবার হিসেবে চাটনি থাকবেই।]
আমড়ার কয়েকটি সচরাচর জানা উপকারিতা:
1.শরীরের রক্তল্পতা রোধ করে।আমড়ার প্রচুর পরিমানে আয়রন থাকার ফলে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে।
2.আমড়াই প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় আমড়া খেলে শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে।
3.ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে আমড়া।আমড়ার ভিটামিন সি থাকায় ত্বক ভালো রাখে।
4.শিশুদের দৈহিক গঠনে আমড়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এছাড়া হজমে সাহায্য করে।
তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক--
উপকরণ:
1.বিলাতি আমড়া - 500 গ্রাম
2.নারিকেল কুড়া - 1 বাটি
3.চিনি - 200 গ্রাম
4.তেজপাতা- 3 টি
5.লবণ - 1/2টেবিল চামচ
6.হলুদ - 1 চিমটি
7.সরষে - 2.5টেবিল চামচ
8.সরষের তেল - 2 টেবিল চামচ
9.কিসমিস - 25 গ্রাম
10.পরিমাণ মতো জল
প্রস্তুত প্রনালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে এখানে কিছু আমড়া নিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
আমড়াগুলির খোসা ছাড়িয়ে নেব বটির সাহায্যে।
ধাপঃ 3
এবার আমড়াগুলি ছোট ফালি করে কেটে নেব তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নেব।
ধাপঃ 4
এখানে আমি এক এক করে সব উপকরণ নিয়ে নিলাম।যেমন-আমড়া, নারিকেল কুড়া,চিনি,সরষে, তেজপাতা, লবণ এবং কিসমিস ইত্যাদি।এবার রান্নার পালা।
ধাপঃ 5
প্রথমে চুলায় একটি কড়া বসিয়ে তার মধ্যে তেল দেব।তেলের মধ্যে সরষে, তেজপাতা এবং কিসমিস দিয়ে চামচের মাধ্যমে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেব।3 মিনিট ভেঁজে নেওয়ার পর নারিকেল কুড়া ও আমড়া দিয়ে দেব।তারপর একটু লবণ ও হলুদ দিয়ে মিশিয়ে নেব এবং 5 মিনিট মতো ভেঁজে নেব।
ধাপঃ 6
5 মিনিট আমড়াগুলি নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেওয়ার পর পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দেব 10 মিনিট।আমড়াগুলি সেদ্ধ হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কিছুটা জল শুকিয়ে আসলে তারপর একটা পাত্রে নামিয়ে নেব।
ধাপঃ 7
তো তৈরী হয়ে গেল আমার মজাদার "আমড়ার চাটনি রেসিপি"।আশা করি আমার রেসিপিটি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
টক জিনিসটা আমার খুব পছন্দের। আমড়ার চাটনি টা দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।এবং খেতেও খুব সুন্দর হববে আশা করছি। খুব সুন্দর রেসিপি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমার ও টক খুব পছন্দের।খুবই টেস্টি হয়েছিল আমড়ার চাটনিটি ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
🙂🙂
আপু এড্রেস দিয়ে দিচ্ছি দয়া করে মজার চাটনি টি আমার জন্য পাঠিয়ে দিবেন। ☺️
ভাইয়া, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে আপনার এড্রেসটি এখনো পৌঁছায় নি🙅,যখন পৌঁছাবে তখন ঠিক পাঠিয়ে দেব।👍
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মজার মন্তব্যের জন্য।
আপনার আমড়ার চাটনী টা খুবই সুন্দর হয়েছে।দেখেই খেতে মন চাইছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ও বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন আপু।খুব মজা হবে।😊
আমড়া মাখানো খেতে আমার বেশ মজা লাগে।তার সাথে যদি আরও বিভিন্ন মসলা থাকে। আর যদি সেটা চাটনি হিসেবে হয় তাহলে তো জমে খির। অনেক একটা রেসিপি বোন। শুভ কামনা।
আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো ভাইয়া, আপনার পছন্দের আমড়া মাখা রেসিপি শেয়ার করার।ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ধন্যবাদ বোন।
আমি তো টাইটেল দেখে অবাক হয়েগেছি, বিলাতি আমড়া এইডা আবার কি রকম? হা হা হা হা
এগুলোকে আপনারা বিলাতি আমড়া বলেন? আমরা তো শুধুই আমড়া বলি।
ভাইয়া, আমড়া আরেক প্রকার আছে।পানি আমড়া সেগুলোর আটি খুব মোটা হয়,আর তাই এই আমড়াকে আমরা ছোট থেকেই বিলাতি আমড়া বলি।ভাইয়া আপনাকে একটু অবাক করতে পেরে আমার টাইটেল পরিপূর্ণতা পেল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমড়া এমন একটি ফল যে দেখলেই জিভে পানি চলে আশে আর যদি হয় চাটনি তাহলেতো কথাই নাই।রেসিপিটি খুব সুন্দর বানিয়েছেন। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু,টক জাতীয় যেকোনো ফলের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে।আপনি ও খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন।খেতে খুব মজা হবে।
অনেক ধন্যবাদ আপু,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একটু আগেই এক ভাইয়ের আমড়া দিয়ে ডিম দেখলাম। এখন আবার আমড়ার চাটনি। আজকে আমি আমড়া খাবোই
এটি কিন্তু অনেক মজার ব্যাপার।আপনি আমড়া খেয়ে বলবেন কেমন স্বাদ লেগেছে।ধন্যবাদ দাদা।
দিদি চাটনিটা কি পরে রোদে দিয়ে দিছেন?একটু শক্ত হলে খেতে ভালো লাগবে মনে হচ্ছে দিদি।ভালো রেসিপি বানিয়েছেন দিদি।
না, ভাইয়া এটি সাথে সাথেই খেয়ে নিয়েছি।কারণ এটি এক-দুইদিনের বেশি রাখা যায় না।আর যখন এর জলগুলি শুকিয়ে আচার করা হবে সেটি রোদে শুকিয়ে বহুদিন ধরে রেখে খাওয়া যায়।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
বিলাতি আমড়ার চাটনি রেসিপি অনেক সুন্দরভাবে বিবরণ করেছেন এবং ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর এবং অনন্য একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করার জন্য।
আপুর ছবি দেখে কিন্তু জিভে জল এসে পড়েছে তবে যে সুন্দর করে রেসিপি দিয়েছেন আশা করি নিজেই বানিয়ে এটা ট্রাই করে দেখতে পারব যদিও কিছুদিন আগে আমার বাবার নিজে আমড়ার আচার বানিয়েছে তবে আগে যদি রেসিপি টা পেতাম বাবার সাথে শেয়ার করতাম
অবশ্যই ভাইয়া, আপনি খুব সহজেই এটি বানিয়ে ফেলতে পারবেন এবং আপনার বাবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।