"অহরহ ঘটে চলেছে চুরির ঘটনা" (পর্ব-1)
নমস্কার
অহরহ ঘটে চলেছে চুরির ঘটনা (পর্ব-1):
কিছু ঘটনা যেমন অনেক বেশি ভাবনার তেমনি কিছু ঘটনা বেশ হৃদয়বিদারক।যেটা আমাদের মনে দাগ কাটে।আবার কিছু ঘটনা মর্মান্তিক হয়ে থেকে যায় মানুষের স্মৃতিতে।তেমনি এই ঘটনাটি স্পর্শকাতর বা মর্মস্পর্শী না হলেও বেশ ভাবনার।সেই বাস্তবে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনায় শেয়ার করবো আজ আপনাদের সঙ্গে।
আমাদের গ্রামে বাঙালির সংখ্যা অনেক কম।এখানে বাঙালি জাতি বলতে হিন্দু,মুসলিম সকল ধর্মের মানুষের কথা বলে থাকি আমরা।তবে এই গ্রামে কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস না থাকলেও তাদের আনাগোনা খুবই।কিন্তু আমি বলছি সেই সমস্ত মানুষের কথা যারা পুরোপুরি অন্য ভাষী ও অন্য জায়গার হয়েও বাংলার মধ্যে বসবাস করছে এবং বাংলা ভাষায় কথা বলছে।যেমন-বাগদী, অধিবাসী,সাঁওতাল কিংবা বিহারী মানুষদের কথা।যারা অন্য জায়গার হয়েও বর্ধমান,হুগলির দিকে জমিয়ে বসবাস করছে।জানা যায়, পূর্বে জমিদার এবং ব্রাহ্মনরা তাদের অনেক জমি দেখাশোনার জন্য বিহার কিংবা অন্য জায়গা থেকে এক দুইজনকে এনে আশ্রয় দিয়েছিল।আর সেই থেকেই বসতি স্থাপন করে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।আর সেই জমিদার এবং ব্রাহ্মণ পরিবারের কিছু লোকজন থাকলেও বাকি সবাই কলকাতা কিংবা বিদেশে গিয়ে বসবাস করছে।তাই বাঙালির সংখ্যা এখানে কম হওয়াতে আদিবাসীরা প্রচুর হিংসা করে তাদের উপর।
অন্যদিকে বাঙালিরা একাই একশো।অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে কোনো মিল নেই,অথচ ভিন্ন জাতির মানুষের নিজেদের মধ্যে কত মিল।তো বাঙালিদের এই দুর্বল সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে চুরির কাজ করে আদিবাসীরা।এক্ষেত্রে কেউ মনে করতে পারেন সরাসরি তাদেরকে কেন দোষারোপ করছি!তাহলে বলবো,এই ঘটনার সাক্ষী আমরাও।অর্থাৎ চোখের সামনে দিয়ে চুরি করে জিনিস নিয়ে গেলেও আমরা কিছুই বলতে পারেনি।তার অনেক কারণ রয়েছে, কারণটা বাঙালির লোকবল কম এখানে।যাইহোক বাঙালি বাড়ির সবজি,মুরগি,ফলমূল,গরু-ছাগল ইত্যাদি চুরি হলেও আদিবাসীদের কিছুই চুরি হয় না।এইতো কয়েকদিন আগের কথা--
একদিন রাত 10 টার দিকে কিছু আদিবাসী ছেলেরা আমাদের বাঁশের ঘেরা ভেঙে কত সবজি চুরি করে নিয়ে গেল।এক কাধী কাজকলা,লঙ্কা গাছ থেকে ইচ্ছেমতো লঙ্কা ,পুঁইশাক ইত্যাদি সবজি।অথচ দিনের বেলা আদিবাসীরা আমাদের কাছে সবজি চাইলেই দেওয়া হয়।কারণ তারা সবজি চাষ তেমন করে না বাড়িতে।শুধু গরু-ছাগল পালন করে।তারপরও তারা বাঙালিদের বাড়ি অত্যাচার করে।আমাদের প্রতিবেশী কয়েক বাড়ি থেকে মুরগির ঘরের তালা ভেঙে হাঁস-মুরগি চুরি করেও নিয়ে গেছে তারা।এমনকি আমাদের প্রতিবেশী একবাড়িতে শুধু একটি মেয়ে থাকে এবং তার বাবা-মা অন্য জায়গায় থাকে।পাশেই তার আত্মীয় বাড়ি বলে সে থাকার ভরসা পেয়েছে।কিন্তু দুপুরবেলা তাদের বাড়ি থেকে মেয়েটির পায়ের নুপুর, কয়েক'শ টাকাসহ পার্টস গায়েব।এমনটা কিন্তু সারাবছর চলতেই থাকে বাঙালিদের বাড়ি থেকে।আসলে আমরা তাদেরকে আপন করে নিলেও তারা আমাদের বাঙালিদের মন থেকে মেনে নিতে পারেনি।তেমনি গতদিন হঠাৎ চেঁচামেচিতে আমার ঘুম ভাঙলো ভোরে,উঠেই মায়ের মুখ থেকে শুনতে পেলাম----(চলবে)
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
হয়তো সেখানে বাঙালির সংখ্যা কম এজন্যই আদিবাসীরা বারবার এই অন্যায় কাজগুলো করে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমি এতদিন ভাবতাম শুধু বাংলাদেশের আদিবাসীরা এরকম আলাদাভাবে থাকতে চায় কিন্তু ভারতেও একই অবস্থা সেটা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম।
হ্যাঁ ভাইয়া, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ খুবই হিংসা করে বাঙালির উপরে।হয়তো সেটা দুই একদিনের ব্যবহারে প্রকাশ পাবে না।
প্রথমত আপনাদের দিকে আদিবাসী বেশি এবং বাঙ্গালি কম। দ্বিতীয়ত বাঙ্গালি কম থাকলেও, তাদের মধ্যে একতা নেই। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে আদিবাসীরা। প্রকাশ্যে এমন চুরি করার পরেও,আপনারা প্রতিবাদ করতে পারছেন না। তবে এখন যদি আপনারা সবাই এক হয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তুলতে না পারেন, তাহলে আদিবাসীদের সাহস আরও বাড়তে থাকবে এবং ভবিষ্যতে আপনাদের উপর আরও অত্যাচার করবে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, তবে আমাদের বাড়ি থেকে তাদের পাড়া বেশ দূরে হলেও আধিপত্য তাদেরই বেশি।আদিবাসীরা কম সচেতন ও কম শিক্ষিত।তাছাড়া তাদের জনবল অনেক অনেক বেশি, দুই একজন বাঙালি দিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয়।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাদের ওখানে আদিবাসী বেশি থাকার কারণে তাদের একটু ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে। আপনারা যে সকল বাঙালি মানুষজন রয়েছেন তাদের মধ্যে একতা না থাকার কারণে তারা অনেকটাই সাহস পেয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত এভাবে বিভিন্ন ধরনের চুরির ঘটনা ঘটছে৷ যদি আপনারা এর প্রতিবাদ না করেন তাহলে তারা আরো বেশি প্রশ্রয় পেতে থাকবে। তাদের সকল কর্মকাণ্ডগুলো আরও বড় পরিসরে করার পরিকল্পনা করতে থাকবে এবং প্রতিনিয়ত এরকম ঘটনা ঘটতে থাকবে৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, সাধারণত বড় কোনো ঘটনা না ঘটালেও তারা এই চুরি করে বেশি আনন্দ পায়।তাছাড়া আমাদের বাড়ি থেকে তাদের পাড়া বেশ দূরে হলেও আধিপত্য তাদেরই বেশি।
হুম। দেখলাম। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। তবে একটু সাবধানে থাকবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া, পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো আপনার রিপ্লাই পেয়ে।
প্রত্যেকটি কাজে একতা খুব জরুরী। কথায় আছে দশের লাঠি একের বোঝা। তাই সকল বাঙ্গালীদের একত্রে হয়ে আপনাদের সচেতন থাকতে হবে তাহলে চুরির প্রবণতা কিছুটা কমে যাবে। প্রকাশ্যে চুরি করা এবং প্রতিবাদ না করতে পারা অনেক কষ্টের। আমার মনে হয় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত তা না হলে আরও দিন দিন সাহস বেড়ে যাবে। পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপু,আদিবাসীরা কম সচেতন ও কম শিক্ষিত।তাছাড়া তাদের জনবল অনেক অনেক বেশি, দুই একজন বাঙালি দিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয়।তাদের মাথায় কোনো ভালো বুদ্ধি নেই তবে সব আদিবাসীকে খারাপ বলবো না।