"লাল লাল ঝাল ঝাল ডিম ভুনা রেসিপি"
নমস্কার
লাল লাল ঝাল ঝাল ডিম ভুনা রেসিপি:
অনেকদিন হলো কোনো রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করা হয়নি।তাই আজ ভাবলাম সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করবো আপনাদের সঙ্গে।বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করবো লাল লাল ঝাল ঝাল ডিম ভুনা রেসিপি।এই রেসিপিটি ঘরে থাকা কম উপকরন দিয়েও তৈরি করা যায়।তাছাড়া শীতের দিনে ঝাল ঝাল রেসিপি খেতে খুবই মজার হয়ে থাকে।আর আলু দিয়ে ভুনা রেসিপিটি তৈরির পর এটি দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছিল তেমনি খেতেও অনেক মজাদার ও সুস্বাদু হয়েছিল।আমি এর আগে কখনো ডিম কিংবা মাংস জাতীয় রেসিপি শেয়ার করিনি আপনাদের সঙ্গে। তাই আজ দ্বিতীয়বারের মতো আমি ডিম ভুনা রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি আপনাদের সঙ্গে। আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে।তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----
উপকরনসমূহ:
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | 1 টি |
ডিম | 2 টি |
কাঁচা মরিচ | 8 টি |
পেঁয়াজ কুচি | 3 টি |
রসুন কুচি | 5 কোয়া |
লবণ | 1.5 টেবিল চামচ |
হলুদ | 1 টেবিল চামচ |
জিরে গুঁড়া | 1 টেবিল চামচ |
জিরে বাটা | 1 টেবিল চামচ |
আদা ও রসুন বাটা | 1 টেবিল চামচ |
লাল মরিচ বাটা | 1 টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | 1/2 টেবিল চামচ |
সরিষার তেল | 60 গ্রাম |
জল |
প্রস্তুতপ্রণালী:
ধাপঃ 1
প্রথমে আমি আলুগুলো খোসা ছাড়িয়ে পিচ পিচ করে কেটে নিয়ে ধুয়ে নিলাম।
ধাপঃ 2
এরপর ঝাল,পেঁয়াজ ও রসুন কেটে ধুয়ে নিলাম।আর মসলার উপকরণগুলি শীল-পাটার সাহায্যে বেঁটে নিলাম।
ধাপঃ 3
এখন দুটি ডিম সেদ্ধ করে নিলাম ভালোভাবে জলে এবং তারপর খোসা ছাড়িয়ে নিলাম।
ধাপঃ 4
এবারে সামান্য লবণ ও হলুদ মিশিয়ে নিলাম ডিমের গায়ে হাত দিয়ে।
ধাপঃ 5
এরপর কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে ডিমগুলো দিয়ে দিলাম মিডিয়াম আঁচে।
ধাপঃ 6
এখন ডিমগুলো নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম লাল লাল করে।
ধাপঃ 7
ডিমগুলো ভেজে নেওয়া হয়ে গেলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 8
এরপর ওই তেলের মধ্যে কেটে রাখা আলুগুলি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 9
এখন আলুগুলো লবন ও হলুদ মিশিয়ে নিয়ে নেড়েচেড়ে কাঁচা মরিচ দিয়ে লাল লাল করে ভেজে নিলাম।
ধাপঃ 10
এবারে ভাজা আলুর মধ্যে পরিমাণ মতো জল দিয়ে সেদ্ধ করে নিলাম।সেদ্ধ কিছু আলুর টুকরো পাত্রে তুলে নিয়ে গলিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 11
এরপর সেদ্ধ আলুর মধ্যে ভেজে নেওয়া ডিমগুলো দিয়ে কয়েক মিনিট ধরে ফুটিয়ে নামিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 12
এখন কড়াইতে পুনরায় তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপঃ 13
এরপর পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে নিয়ে তার মধ্যে বেঁটে রাখা মসলা দিয়ে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 14
এবারে তরকারীটি মসলার মধ্যে ঢেলে দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিলাম।
ধাপঃ 15
সবশেষে তরকারীতে ছোট ছোট বলক চলে আসলে একটি পাত্রে নামিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপঃ
তো তৈরি করা হয়ে গেল আমার "লাল লাল ঝাল ঝাল ডিম ভুনা রেসিপি"।
পরিবেশন:
এখন এটি গরম গরম ভাতের সঙ্গে কিংবা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করতে হবে।এটা খেতে অনেক মজার ও সুস্বাদু হয়েছিল।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।এটা দেখে জিভে জল চলে এসেছে।আপনি অনেক সুন্দর করে পোস্ট টি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
ডিম আমার অনেক পছন্দের যেভাবে রান্না করেন না কেন খেতে বেশ ভালো লাগে। ঝাল ঝাল লাল লাল ডিম ভুনা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। দেখে বুঝাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্নার প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
আপনার সুন্দর অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডিম ভুনা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ঝাল ঝাল ডিম ভুনা খেতে অনেক ভালো লাগে। আর সাথে যদি আলু দেওয়া হয় তাহলে খেতে আরো বেশি মজার হয়। আপু আপনি এত সুন্দর করে ঝাল ঝাল ডিম ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন এবং শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
যেকোনো রেসিপিতে আলুর কম্বিনেশন রাখলে বেশি ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।
কথায় বলে যেমন নাম তেমন কাম। এর মানে আপনার রেসিপির নাম যেমন লাল লাল বলেছেন দেখতেও কিন্তু একদমই লাল দেখাচ্ছে। রেসিপি দেখে বুঝতে পারছি খেতেও অনেক ঝাল হয়েছে।ডিম ভুনা একটু ঝাল খেলে ভালো লাগে। এভাবে আলু দিয়ে ডিম রান্না করলে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। শীতের সময়ে এই রেসিপি খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমি আগে কাম করি তারপর তার নাম রাখি☺️☺️,ধন্যবাদ আপনাকে।
ঝাল ঝাল ডিম ভুনা করার দারুণ একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দিদি। এই ধরনের পদ্ধতিতে ডিম ভুনা করলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি ডিম ভোলাতে যদি একটু বেশি পরিমাণে মরিচ ব্যবহার করা যায় তাহলে সেটা খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ঝালের পরিমাণ বেশি দিলে খেতে মজা হয়।ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিমও আলু দিয়ে খুব সুন্দর লাল লাল ঝাল ভুনা তৈরি করেছেন আপনি। ঠিক বলেছেন শীতের দিনে ঝাল ঝাল করে রান্না করা তরকারি খুব মজাদার হয়।ধাপ গুলো সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে খুব নতুন লাগছে রেসিপিটি।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
।
রেসিপিটি আপনার কাছে নতুন লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিম আমার খুব পছন্দের আর এভাবে আলু দিয়ে ঝাল ঝাল করে ভুনা করলে খেতে আরো বেশ ভালোই লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভনীয় লাগছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্না করার ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। আমার পছন্দেরও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনার সাবলীল মতামত ব্যক্ত করার জন্য, ধন্যবাদ আপু।
অনেকগুলো মসলা উপকরণ দিয়ে ডিমের ভুনা তৈরি করেছেন আপনি। ডিমের ভুনা তৈরি করা ক্ষেত্রে আলুগুলো সুন্দরভাবে ভেজে নেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এ ধরনের ডিমের ভুনা খেতে খুবই মজাদার লাগে। দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, যেকোনো ভুনা রেসিপিতে আলু ভাজাটা গুরুত্বপূর্ণ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিম দিয়ে ভুনা রেসিপি তৈরি করা যায় এটি আমি কখনো জানতাম না। আপনার কাছ থেকে প্রথম এই রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনি যেভাবে এই ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন তা দেখে একদম লোভনীয় মনে হচ্ছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এখন জেনে গেলেন ভাইয়া, বাসায় অবশ্যই ট্রাই করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ আপনাকে।