গল্প: "অপূর্ণ ভালোবাসা"
নমস্কার
গল্প: "অপূর্ণ ভালোবাসা"
শরতের শিউলিমাখা ফুলের রোদ্দুর মেখে প্রিয়া রোজ যায় তার স্কুলে।হাইস্কুল তার বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে।যেহেতু গ্রামের রাস্তা, তাই পথের দু'পাশে গাছের অপরূপ দৃশ্য দেখতে দেখতেই বন্ধুদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে স্কুলে তার যাওয়াআসা।এই স্কুলে সে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে।
প্রিয়ার বাবা পেশায় একজন হাইস্কুলের টিচার্স।প্রিয়া যে স্কুলে পড়াশুনা করতো সেই স্কুলেই পড়তো সতীর্থ ও সাথী।সতীর্থ ও সাথী হল ওই স্কুলেরই এক ম্যামের জমজ ছেলেমেয়ে।কিছুদিনের মধ্যেই প্রিয়া ও সাথীর মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়।যেহেতু সবাই একই ক্লাসে সেই সূত্রে প্রিয়ার সঙ্গে সতীর্থের আলাদা একটা ভাব জমে ওঠে।
যখন প্রিয়া ও সতীর্থ ক্লাস নাইনে ওঠে তখন তাদের সম্পর্কটা এতটাই নিবিড় হয়েছিল যে, ক্লাসের সবাই জানাজানি হয়ে এক পর্যায়ে তাদের ফ্যামিলির কানে চলে যায়।কিন্তু দুই ফ্যামিলি-ই যেহেতু শিক্ষিত তাই তারা খুব সহজেই মেনে নিলেন।দুই ফ্যামিলিতেই তাদের বিয়ে একপ্রকার ঠিক হয়ে রইলো।
হাইস্কুল জীবন পার করে প্রিয়া ও সতীর্থ অনার্সও ভালোভাবে পড়ে নিল।অনার্স পড়ার জন্য তাদেরকে বাইরে শহরে থাকতে হয়।কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন সতীর্থের কাছে ফোন আসে যে প্রিয়া বাইক এক্সসিডেন্ট করেছে।সতীর্থ এক নিঃশ্বাসে ছুটে যায় সেখানে।ততক্ষনে প্রিয়ার ভালোই চোট লেগেছে, হাঁটুর প্যান্ট ছিড়ে গিয়ে ঘষা খেয়েছে পিচ রাস্তায় সঙ্গে।সতীর্থ দ্রুত প্রিয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তার দেখাশুনা করে সুস্থ করে তোলে।এইভাবে প্রিয়া ও সতীর্থের পড়াশুনা শেষ হয়, তারা জব খোঁজার চেষ্টা করে।প্রিয়া ও সতীর্থের ভালোবাসা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় 7-8 বছরে।
হঠাৎ করেই কেমন যেন হয়ে যায়, সব ভালোবাসার বদল ঘটে।প্রিয়ার বাবা ভালো একজন পাত্রের সন্ধান আনেন।পাত্রটি চাকরি করে কিন্তু সতীর্থ তখনো কাজের সন্ধান করে বেড়াচ্ছে।যাইহোক কিছুদিনের মধ্যেই 7-8 বছরের ভালোবাসায় জল ঢেলে প্রিয়ার সঙ্গে অন্য একটি ছেলের বিয়ে দেওয়া হয়।এতে সতীর্থ খুবই ভেঙে পড়ে মন থেকে।আর তাদের কাছের বন্ধুরাও বেশ অবাক হয়ে যায়।কারন কেউ ভাবতেই পারিনি তাদের এত দিনের সুন্দর ভালোবাসার সম্পর্ক শেষ সময়ে এসে গতি হারিয়ে এভাবে অপূর্ণ রইয়ে যাবে।
পোষ্ট বিবরণ:
বিষয় | "অপূর্ণ ভালোবাসা" |
---|---|
শ্রেণী | গল্প |
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
টুইটার লিংক
এত বছরের একটা ভালোবাসার সম্পর্ক এরকম ভাবে ভেঙে গিয়েছে এটা ভাবতেই আমার কাছে খারাপ লাগছে। আসলে যাদের মধ্যে এরকম সম্পর্ক থাকে, তাদের আশেপাশের লোকজন অনেক বেশি অবাক হয়, যখন দেখে সম্পর্কটা আর নেই। প্রিয়ার বাবা অন্য একটা ছেলের সাথে তাকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল এটা ভাবতেই খারাপ লাগছে।
ঠিক বলেছেন, প্রথমে আমরাও অনেক অবাক হয়েছিলাম এবং খারাপ লেগেছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া।
৭ থেকে ৮ বছরের এরকম একটা ভালোবাসার সম্পর্ক এভাবে ভেঙে যাবে, এটা তো আমি পড়ার সময় কল্পনাই করিনি। অনেক বেশি খারাপ লেগেছে আমার কাছে এই গল্পটা পড়ে। আসলে এরকম সম্পর্ক যদি অপূর্ণ থেকে যায়, তাহলে সবার অবাক হওয়ার বিষয় রয়েছে। আপনার দেখা বাস্তবের একটি ঘটনা কে কেন্দ্র করে আপনি গল্পটা সাজিয়েছেন এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর গল্প লিখতে পারেন এটা বলতে হয়।
আপু,চেষ্টা করি নিজের দেখা বাস্তব ঘটনাগুলো উপস্থাপন করার।ধন্যবাদ আপনাকে।