DIY - চিংড়ি মাছ ও পঞ্চমুখী তরকারি রান্নার রেসিপি || ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
❤️হ্যালো খাদ্যপ্রেমীরা ❤️
সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করছি আপনারাও ভালো আছেন। আমি আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করছি। সেটা হলো চিংড়ি মাছ দিয়ে পঞ্চমুখীর তরকারি। পঞ্চমুখী হল কচুর মুখির বড় ভার্সন। অর্থাৎ কচমুখী টা দেখতে যেমন ছোট সাইজের হয়। পঞ্চমুখী দেখতে অনেক বড় হয় এবং সেই জিনিসটার পাঁচটা মুখ থাকে। এ কারণেই মূলত এটাকে পঞ্চমুখী বলা হয়। এটা খেতে অনেকটা মাটির নিচের আলুর মত। অনেক বেশি মজাদার। আমি তো এই ধরনের তরকারি দেখলেই লোভ সামলাতে পারি না। আর সাথে চিংড়ি মাছ হলে তো কোন কথাই নেই। এই তরকারিটা যেহেতু আমার খুব পছন্দ তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে এর রেসিপি শেয়ার করে ফেলি।
সত্যি বলতে কচুর মুখী রান্না করলে যেমন ভাত খেতে একদমই সময় লাগে না। ঠিক এই পঞ্চমুখী রান্না করলেও আমার ভাত খেতে একদমই সময় লাগে না। গরম ভাতের মধ্যে ভালোভাবে লেবু চিপে এ তরকারি দিয়ে মাখিয়ে ভাত খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি চেষ্টা করেছি খুব সুন্দর এবং সহজ উপস্থাপনার মাধ্যমে এই সুন্দর পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ যারা ধৈর্য সহকারে আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন 💞
উপকরণ :
- পঞ্চমুখী
- চিংড়ি মাছ
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- রসুন বাটা
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচের গুঁড়া
- জিরা গুড়া
- লবণ
- টমেটো
প্রথমে একটি কড়াইতে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল গরম করে নিলাম। এরপর এতে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ ভেজে নিলাম। এর মধ্যে একে একে সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম এবং ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
এরপর এতে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিলাম। মসলার সাথে চিংড়ি মাছগুলো ভালোভাবে ভেজে নিলাম। এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মসলা এবং মাছ ভালোভাবে কষাতে শুরু করলাম।
মসলা এবং মাছ কষানো হয়ে গেলে এর মধ্যে পঞ্চমুখী দিয়ে দিলাম। এবং সবকিছু একসাথে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম। একটি ঢাকনার সাহায্যে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য ঢেকে দিলাম। এতে করে তরকারি খুব ভালোভাবে কষানো হবে।
তরকারি ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে, এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম ঝোল হিসেবে। যাতে করে পঞ্চমুখী ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসে।
এরপর এই তরকারির স্বাদ আরো বৃদ্ধি করার জন্য টমেটো ব্যবহার করলাম। এতে করে স্বাদের পাশাপাশি তরকারির কালারও বেশ সুন্দর হবে।
এরপর যখন সবকিছু ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসবে। তখনই মজাদারের তরকারি প্রস্তুত হয়ে যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পঞ্চমুখী গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়। কারণ এগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হলে মাখিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগে। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো তরকারির ঝোল বেশি রেখে নামাতে হবে। কারণ এই তরকারি নামানোর পর ঠান্ডা হলে ঝোল অনেকটা টেনে যায় এবং মাখামাখা হয়ে আসে।
চিংড়ি মাছ ও পঞ্চমুখী তরকারি রান্নার রেসিপি:
বাংলাদেশ থেকে
এই পোস্টটি @gorllara দ্বারা নির্মিত মূল বিষয়বস্তু এবং সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২ এ স্টিম ব্লকচেইনে প্রকাশিত।
আমি আশা করি আপনি এটি পছন্দ করবেন এবং আমার পরবর্তী রেসিপির জন্য আমাকে সমর্থন করবেন
ধন্যবাদ
আন্তরিক শুভেচ্ছা
@gorllara
চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো রেসিপি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। রান্নাপঞ্চমুখী রান্না খেতে আমার খুবই ভালো লাগে সাথে চিংড়ি মাছ থাকলে তো কথাই নেই। রেসিপি দেখে লোভনীয় লাগছে । খেতে ও নিশ্চয় সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা কিন্তু আপনি একদম ঠিক বলেছেন। চিংড়ি মাছ এমন একটি মাছ যা যেকোনো দরকারের স্বাদ দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে দেয়। আর কচু জাতীয় খাবার হলো তো কোন কথাই নেই। ধন্যবাদ এত গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
পঞ্চমুখী টা বুঝলাম না আপু। এটা কি কচুর মুখি? তবে রেসিপি কিন্তু দারুন ছিলো।
না ভাইয়া এটা কচুরমুখী না। কচুর মুখির মতই দেখতে কিন্তু অনেক বড় বড় হয়। এইটার পাঁচটা মুখ থাকে বলে এটাকে পঞ্চমুখী বলা হয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু চিংড়ি মাছ ও পঞ্চমুখী তরকারি রান্নার রেসিপি চমৎকার হয়েছে। তবে আপু পঞ্চমুখী তরকারি চিনলাম ন।ইউ নিক ছিল রেসিপিটি।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু পঞ্চমুখী টা হল কচুর মুখীর বড় ভার্সন। অর্থাৎ কচুমুখীর বড় সাইজটা কে পঞ্চমুখী বলা হয়। আপনি আমার পোস্টটা ভালো করে পড়লেই দেখতে পারবেন আমি উপরে এর সম্পর্কে অনেক বর্ণনা দিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চিংড়ি মাছের সব ধরনের রেসিপি আমার অনেক ভালো লাগে। তবে পঞ্চমুখী তরকারিটা কি এটা আমার একদমই অপরিচিত একটি সবজি। এই সবজির নাম আমি এর আগে কখনো শুনিনি। তবে রেসিপিটি বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। এটা কি করে অপরিচিত সবজি হয় বুঝতে পারছি না। হয়তোবা আমি যে নামে এটাকে চিনি,আপনারা তার অন্য নামে চিনেন। কিন্তু সত্যিই আমি চেষ্টা করেছি একটু ইউনিক কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
পঞ্চমুখী নামটা প্রথম শুনলাম আপু। তবে আপনার পঞ্চমুখী দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজাই হয়েছে। বাসায় একদিন রান্না করবো ভাবছি আপনার রেসিপি দেখে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটা খেতে অনেকটা কচুর মুখীর মতই। এ কারণে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে এটা সত্যিই খুব সুস্বাদু হয়। বাজারে গিয়ে খোজ নিবেন এবং এই পঞ্চমুখী কিনে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে খাবেন। আশা করছি আপনার কাছে দেখতে যতটা মজাদার লাগছে,খেতেও খুব ভালো লাগবে।
চিংড়ি মাছ অনেক খেয়েছি তবে পঞ্চমুখি কখনো খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপি তৈরির পদ্ধতি দারুন হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।যেহেতু কখনো পঞ্চমুখী আপনি এভাবে রান্না করে খাননি। তাহলে অবশ্যই বাজার থেকে পঞ্চমুখী কিনে এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। এটি সত্যি খুব মজাদার তরকারি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটা আমার খুবই পছন্দের খাবার আমাদের বাসাতে মাঝেমাঝেই পঞ্চমুখী রান্না করা হয়, চিংড়ি মাছের সাথে এই রান্না বেশ চমৎকার হয়ে থাকে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে। দোয়া করবেন যাতে সব সময় এমন ভাল কাজগুলো আপনাদের উপহার দিতে পারি। ভালো থাকবেন এবং অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া আপনার জন্য।
চিংড়ি মাছের সাথে পঞ্চমুখী তরকারি শুধু দেখতে চমৎকার নয়,খেতে অসম্ভব সুস্বাদু। আপনারা অনেকেই দেখছি পঞ্চমুখী তরকারিটি চিনেন না। এবার বাজারে গিয়ে অবশ্যই খোঁজ করে দেখবেন। এবং বাসায় কিনে এনে রান্না করে খেয়ে দেখবেন।
ঠিক বলেছেন আপু মুখী দিয়ে ভাত খেলে সময় একদমই লাগে না। মুখে দেওয়ার সাথে সাথে পেটে চলে যায়।আর চিংড়ি মাছের রেসিপি যে কোন টায় অনেক মজাদার হয়।চিংড়ি মাছ ও পঞ্চমুখী তরকারি রান্নার রেসিপি আসলেই অনেক মজার হয়। রেসিপি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সহজেই দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। কচুর মুখী হোক বা পঞ্চমুখী হোক এই ধরনের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে একদমই সময় লাগে না। আর কেন জানি ঐদিন অনেক ভাত খেতেও পারি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং আমি সবসময় চেষ্টা করব আমার রেসিপি ধাপগুলো সুন্দর সহজ ভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার।
আমার তো মনে হয় না পঞ্চমুখী নামটা কখনো শুনেছি।একদম অপরিচিত ও ইউনিক লেগেছে এই রেসিপি। আপনার কাছ থেকে জানতে পারছি কতটা সুস্বাদু হবে।রেসিপির কালার দেখে তেমনি মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হবে। আপনার উপস্থাপনা দেখে খিদে লেগে গেলো। যদি কখনো এই রেসিপি তৈরি করু তাহলে আপনার এই কথা মনে রাখবো। ঝোল বেশি থাকা অবস্থায় নামাতে হবে।ধন্যবাদ আপু ইউনিক ও মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমি তো ভেবেছিলাম এই তরকারিটি সবার খুব পরিচিত। আপু কেন জানি আমার মনে হচ্ছে এটি আস্ত দেখলে ভালোভাবে চিনতে পারবেন। হয়তো আপনারা অন্য নামে এই সবজিটিকে চিনেন। ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।