DIY - মজাদার বেগুনের চপ তৈরির রেসিপি || ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
❤️হ্যালো খাদ্যপ্রেমীরা ❤️
সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করছি আপনারা ও ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন এবং মজাদার একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করছি। রমজান মাস শেষ হয়েছে অনেকদিন হয়ে গেল। তবে ইফতারের আইটেম গুলো ভুলতে পারছিনা। প্রতিদিন ইফতারিতে খুব মজাদার খাবার খেয়েছিলাম। তাই এখন রমজান মাস শেষ হওয়ার পরেও ওই ধরনের খাবার মাঝেমধ্যেই খেতে ইচ্ছে করে।
এজন্য আজকের সন্ধ্যায় ইফতার এর মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের আইটেম তৈরি করে ফেললাম। সেটা হলো বেগুনের চপ অথবা বেগুনি। আমি চেষ্টা করেছি অনেক সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়ে আপনাদের কাছে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। আজকে রমজান মাস ছাড়াও এই খাবারটি আমরা অনেক মজাদার ভাবে উপভোগ করেছি সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবার জন্য অনেক শুভকামনা এবং ভালোবাসা রইলো। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন 💞।
উপকরণ :
- বেগুন
- বেসন
- বেকিং পাউডার
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচের গুঁড়া
- লবণ
বেগুনের চপ তৈরি করার জন্য, একটি বাটিতে বেসনের মিশ্রণ তৈরি করা শুরু করলাম। প্রথমে বেসন, বেকিং পাউডার, হলুদের গুড়া, মরিচের গুঁড়া এবং লবণ নিয়ে নিলাম।
এরপর এরমধ্যে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মিশ্রণটি তৈরী করে নিলাম। বেগুনের চপ তৈরি করার জন্য মনে রাখতে হবে বেসনের মিশ্রণ একটু ঘন হলে ভালো হবে। এবং চেষ্টা করব বেগুনের চপ তৈরি করার ন্যূনতম এক ঘন্টা আগে এই বেসনের মিশ্রণ তৈরি করে রাখার।
এরপর সোয়াবিন তেল গরম করে নিলাম। একটি একটি করে বেগুন বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে গরম তেলে ভাজতে শুরু করলাম।
এরপর বেগুনের চপ গুলো লালচে করে ভালভাবে ভেজে নিলাম।
মজাদার বেগুনের চপ তৈরির রেসিপি :
বাংলাদেশ থেকে
এই পোস্টটি @gorllara দ্বারা নির্মিত মূল বিষয়বস্তু এবং 16 মে, ২০২২ এ স্টিম ব্লকচেইনে প্রকাশিত।
আমি আশা করি আপনি এটি পছন্দ করবেন এবং আমার পরবর্তী রেসিপির জন্য আমাকে সমর্থন করবেন
ধন্যবাদ
আন্তরিক শুভেচ্ছা
@gorllara
আমার স্ত্রী ভীষণ ভক্ত এই বেগুনীর।
সে সুযোগ পেলেই নিজেও তৈরি করে খায় তাই আমরাও খাই। মাঝে মাঝেই আমাদের বাসায় কিছু কিছু দিবস হয় যেমন ধরুন ভাজা পোড়া দিবস, বিরিয়ানি দিবস, মুরগি দিবস 😄
গতকাল আমাদের ভাজা পোড়া দিবস ছিল তাই খেয়েছি এই চমৎকার বেগুনী।
ধন্যবাদ আপু ভীষণ পছন্দের একটি রেসিপি তৈরি করার জন্য 🥀
বাহ ভাইয়া আমার বাসায় মাঝে মাঝে আমরা এসব দিবস পালন করে থাকি। আর সত্যি বলতে খাওয়ার জন্য কোন দিবস লাগেনা। ভালো খাবার যে কোনদিনই ভালো লাগে। আপনার স্ত্রীর রুচি তাহলে খানিকটা আমার মত। আমারও বেগুনি খুবই পছন্দ। অনেক ধন্যবাদ এত মজাদার এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি আপনার এই কথার সাথে পুরোপুরি সহমত পোষণ করছি আপু। রমজান মাসে আমরা প্রতিদিন ইফতারিতে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতাম যেগুলো সত্যি এখনো ভুলতে পারছিনা। যাই হোক আজ আপনি চমৎকারভাবে বেগুনের চপ রেসিপি তৈরি করছেন। দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো 😋। খেতে অবশ্যই খুবই মজার হয়েছিল! এই লোভনীয় খাবারটি আমার শহরের ধরলা ব্রিজ পাড়ে পাওয়া যায়। আমি প্রায়ই সেখানে গিয়ে যতগুলো ইচ্ছা খেয়ে আসি। এই রেসিপি তৈরি প্রতিটি ধাপ আপনি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার প্রিয় এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি দোকানের কেনা বেগুনি থেকে নিজের বাসায় বেগুনি তৈরি করে খেতে বেশি পছন্দ করি। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে সন্ধ্যাবেলায় বেগুনি ভাজা খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। খুবই ভালো লাগলো আপনার গুছিয়ে লেখা কমেন্টটি পড়ে।
ওয়াও আপু দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে।আমার বেগুনি অনেক পছন্দের। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। দেখেই মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালো হয়েছে।ধন্যবাদ আপু
আপনার বেগুনি অনেক পছন্দ এটা শুনে আমার অনেক ভালো লাগছে আপু। আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে এটা আমাকে অনেক আনন্দ দিচ্ছে। আপনি আমার রেসিপিটি দেখে এমন করে বেগুনি বানাতে পারবেন আশা করি আপনার কাছে ভালো লাগবে খেতে।
আসলে আপু ইফতারের আইটেম গুলো ভুলতেই পারছিনা। কিন্তু অলসতার কারনে বানানো হয়নি আর রমজান মাস যাওয়ার পর। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে । আর আজ নতুন কিছু শিখলাম আপু। আমি কখনো বেসনের মিশ্রণ এক ঘন্টা আগে তৈরি করিনি।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল। 🙂
ঠিক বলেছেন আপু রোজার মধ্যে ইফতারের আইটেম গুলো আসলেই অন্যরকম লাগে এগুলো ভুলার মতো না। তাই আমি প্রায় সময় ইফতারের আইটেম গুলো এভাবে বাসায় বানিয়ে সবার সাথে একসাথে বসে খাই আমার অনেক ভালো লাগে।
আপনি অনেক মজাদার বেগুনের চপ রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এরকম লম্বা লম্বা বেগুনের চপ রেসিপি খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। বাজার থেকে কিনে আনার চেয়ে বাসার তৈরি বেগুনি খেতে আলাদা স্বাদ পাওয়া যায় তাই আমি মন চাইলে বাসায় তৈরি করি। ধন্যবাদ আপু এত মজাদার বেগুনি চপ রেসিপি তুলে ধরার জন্য।
আমারতো বাহিরের জিনিসগুলো খেতে অনেক ভয় লাগে কারণ এগুলো এতটা স্বাস্থ্যসম্মত হয়না যার কারণে অনেক সময় ফুটপয়জিং হতে পারে। তাই আমি চেষ্টা করি যতটুকু সম্ভব বাসায় বানানোর জন্য। চাইলে আপনিও বানাতে পারেন খুবই সহজ পদ্ধতি এটি।
বেগুন চপ আমার খুবই প্রিয়। মাঝেমাঝেই বেগুন চপ খাওয়া হয়। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের অতিরিক্ত প্রবলেম হওয়ার কারণে কিছুদিন যাবত বেগুন চপ খেতে পারছি না। আজকে আপনার তৈরি বেগুন চপের ছবি দেখে খেতে খুব খেতে ইচ্ছা করছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বেগুন চপ তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আপনি একদম সঠিক জায়গায় হাত দিয়েছেন ভাইয়া গ্যাস্ট্রিক এর কারণে আসলেই এমন মজার মজার খাওয়া গুলো থেকে আমরা সবসময় বঞ্চিত হই। যাইহোক তারপরও মাঝেমধ্যে যখন অনেক বেশি খেতে ইচ্ছা করে তখন আর কোন কিছু মনে রাখতে ইচ্ছা করে না তখন নিজেই বানিয়ে খেয়ে ফেলি খুব ভালো লাগে।
বেগুনী গুলো দেখে আমি নিজেকে সামলে রাখতে পারছি না। সত্যি দুটো পেলে ভালই হতো। আমি যদিও পাতলা করে কেটে বেগুনী তৈরী করা হয় সেটি খেতে ভাল বাসি। আপনার টিও দারুন হয়েছে। ভাল থাকবেন আপু। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলতে ভাইয়া রমজান চলে গেলে কি হবে, এমনিতেও সন্ধ্যার সময় এমন বেগুনি ভাজা খেতে খুবই ভালো লাগে। আসলে বেগুনি পাতলা করে কেটে ভাজলেই বেশি ভালো লাগে। আমি নিজেও ঐভাবে অনেক বেশি পছন্দ করি। তবে আমি নিজে বেগুনি অত বেশি পাতলা করে কাটতে পারি না।তাই যেভাবে কাটতে পারি সেভাবে কেটেই আপনাদের সাথে রেসিপি শেয়ার করেছি। তবে সত্যি বলতে এটাও কিন্তু খেতে অসম্ভব মজাদার হয়েছে।
মজাদার বেগুনের চপ সত্যিই অনেক মজাদার হয়েছে দেখতেই তা উপলব্ধি করা যায়। কত সুন্দর উপস্থাপনার পাশাপাশি ছবিগুলো চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ এত সময় নিয়ে একটি পোস্ট করার পাশাপাশি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ঠিক ধরতে পেরেছেন বেগুনের চপ গুলো খেতে সত্যিই খুব মজাদার হয়েছিল। এভাবে সুন্দর কমেন্ট গুলো নিয়ে পাশে থাকবেন আশা করছি। ভালো থাকবেন এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আপনি আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। চাপ খেতে আমি অনেক ভালোবাসি অনেক দিন আগেই আমাদের বাড়িতে আম্মু একবার চাপ রান্না করেছিলেন সেদিন অনেক মজা করে খেয়ে ছিলাম ঋ আজকে আবার আপনার রেসিপি টা দেখে খুবই আনন্দিত আমি ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ আমার মত তো দেখছি আপনারাও সবাই এমন ভাজাপোড়া খেতে খুব পছন্দ করেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এভাবে আমার কাজের প্রশংসা করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনার উপর আমি অনেক কৃতজ্ঞ থাকলাম। সবসময় ভালো থাকবেন ভাইয়া এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
রমজান মাসের একটি সুবিধা ছিল যে বিকালের নাস্তা নিয়ে চিন্তা করতে হতো না। এত মজার মজার নাস্তা হতো যে দেখে মন ভরে যেত। অনেকদিন পর আবার বেগুনি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার বেগুনটি একদম পারফেক্ট হয়েছে। খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছিল।
আপু আপনি তো দেখছি আমার আম্মুর মতো কথা বলছেন। যেদিন রমজান শেষ হয়ে গিয়েছিল সেদিন থেকে আমার আম্মু বলছে এইবার বিকালের নাস্তা টেনশনে ঘুমাতে পারবো না। একদম ঠিক ধরতে পেরেছেন সত্যিই খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর এবং গুছিয়ে কমেন্টস টি করার জন্য। ভালো লাগলো আপনার কমেন্টটি পড়ে এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।