অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপন || ১০% লাজুক খ্যাঁক-কে
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি'। লাইনটি শুনলেই গায়ে এক ধরনের কম্পন দিয়ে উঠে। এই একটি লাইনে হাজারো অত্যাচার,সংগ্রাম,আন্দোলন ও বিজয়ের গভীরতা রয়েছে।১৯৫২ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকের এই দিনে অনেক মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে পেয়েছি। দিনটি যেমন আমাদের জন্য শোকের তেমনি আবার আনন্দের। সালাম,বরকত রফিক,জব্বার এদের মতো আরো অনেক সংগ্রামী মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দিনটি পেয়েছি। তাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে হাজারো শ্রদ্ধা,সম্মান ও জ্ঞাপন করছি। কিন্তু আনন্দের বিষয় হলো তাদের জন্যই আমরা আজকে আমাদের মায়ের ভাষা কে আপন করে পেয়েছি। নিজেদের ভাষায় অনেক আনন্দের সাথে প্রতিটি কথা মনের মত করে প্রকাশ করতে পারছি।
একুশ আমার অহংকার,
বাংলা ভাষা আমার অহংকার।
যদি বাংলা ভাষাটা না থাকতো,তবে এত গল্প,এত কবিতা কি করে লিখতাম।
যদি বাংলা ভাষাটা না থাকতো, তবে ভালোবাসি কথাটি এত মধুর সুরে কি করে বলতাম।
যদি বাংলা ভাষাটা না থাকতো, তবে মায়ের মত এত মধুর ডাক কি করে খুঁজে পেতাম।
আপনাদের সবাইকে আজ একুশে ফেব্রুয়ারির অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সবাইকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা। আশা করছি আপনারাও আমার মত বাংলাভাষাকে নিয়ে অনেক গর্বিত। সবাই নিজের ভাষায় মন খুলে নিজের মনোভাব প্রকাশ করুন এবং সবসময় অনেক ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।
![274081722_1127913211316975_2493499727464556323_n.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNMTscPUnwWbepQFEFTzdZwCz5DRtfo4SUmYgDqd6ZXjV/274081722_1127913211316975_2493499727464556323_n.jpg)
যদিও প্রতি একুশে ফেব্রুয়ারি সচরাচর শহীদ মিনারে যাওয়া হয়ে উঠে না। স্কুল-কলেজের থাকতে প্রতিবার যাওয়া হতো। এরপর থেকে তেমন আর যাওয়া হয়নি। তবে এবার ঠিক করে রেখেছিলাম যে হাজার ব্যস্ততার মধ্যে সময় করে হলেও যাবো। তারপর আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে চলে গেলাম শহীদ মিনারে, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে। আমাদের বাসার কাছেই একটি জায়গায় শহীদ মিনার রয়েছে সেখানে গিয়েই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানালাম। এবং বারবারই বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে পেয়ে গর্বে বুক ভরে উঠছিল। শহীদ মিনারের আশেপাশের ডেকোরেশন দেখে খালি ভাবছিলাম এই একেকটা অক্ষর দিয়ে আমরা 'কতই না কথা বলি', 'কতই না লেখা লিখি'।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর শেষ করে চলে গেলাম এর পিছনের দিকে। সেখানে গিয়ে দেখি পাথরে খোদাই করা অনেক বড় বড় নেতাদের চেহারার স্তম্ভ রয়েছে। যারা আমাদের দেশের জন্য এবং আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। খুবই ভালো লাগলো জিনিস গুলো দেখে। আর সবচেয়ে ভালো লেগেছে আমার মতো আরও অনেক মানুষ এসেছে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে। সত্যি বলতে কেউ ভুলেনি তাদের অবদান।
![]() | ![]() |
---|
এরপর বাইরের মাঠের দিকে দেখলাম বসেছে বিশাল বড় মেলা। যদিও খুব সকাল বলে মেলা জমজমাট হয়ে ওঠে নি। তবে নিশ্চয়ই বিকেলের দিকে মেলা বেশ ভালোভাবেই জমজমাট হয়ে উঠেছে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র উঠেছে বাচ্চাদের বড়দের। এবং ছিল বিভিন্ন রকমের খাবারের দোকান। তবে আমার কাছে বাচ্চাদের খেলনার দোকান গুলো এবং একটি কাচের চুড়ির দোকান খুব বেশি আকর্ষণ করেছে। চুরি আর শাড়ি যেন বাঙালি নারীর সৌন্দর্য। তাই এত ধরনের কাচের চুড়ি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছিল। পুরো মেলা ভালভাবে ঘুরে দেখলাম এবং খুব আনন্দের সাথে উপভোগ করলাম।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
যেহেতু খুব সকালে বেরিয়ে ছিলাম আমি। তাই বাসায় সকালের নাস্তা করা হয়নি। পরে ভাবলাম কেননা বাহিরের থেকে নাস্তা করে যাই। তারপর ওই জায়গার আশেপাশের ভালো হোটেল খুজতে থাকলাম নাস্তা করার জন্য। এরপর নাস্তায় যা খেয়েছিলাম খুবই মজার ছিল প্রতিটি জিনিস। তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছিল 'চা'।
![]() | ![]() |
---|
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো, মেলা ঘুরে দেখা, এবং সকালের মজাদার নাস্তা সবকিছু মিলিয়ে দিনটি বেশ ভালো কেটেছে। এইজন্য ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলি। আশা করছি আমার ব্লগ টি পড়ে বাঙালি হিসেবে আপনারা ও গর্ববোধ করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ ধৈর্যসহকারে আমার পুরো ব্লগ টি পড়ার জন্য। এবং সবশেষে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কে অনেক ধন্যবাদ। কারণ এই কমিউনিটি না থাকলে আমরা এই স্টিমিট প্লাটফর্মে আমাদের মাতৃভাষার মূল্যায়ন দিতে পারতাম না। আশা করছি এই কমিউনিটি অনেক দূর এগিয়ে যাক এই বাঙালি জাতি এবং বাংলা ভাষা নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
বাংলাদেশ থেকে
এই পোস্টটি @gorllara দ্বারা নির্মিত মূল বিষয়বস্তু এবং 21 ফেব্রুয়ারি, ২০২২ এ স্টিম ব্লকচেইনে প্রকাশিত।
আমি আশা করি আপনি এটি পছন্দ করবেন এবং আমার পরবর্তী ব্লগের জন্য আমাকে সমর্থন করবেন
![](https://steemitimages.com/0x0/https://media.giphy.com/media/U7shlr4IRj1Lhex6lf/giphy.gif)
ধন্যবাদ
আন্তরিক শুভেচ্ছা
@gorllara
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন একুশে ফেব্রুয়ারি হলো আমাদের অহংকার যা আমাদের শহীদ ভাইয়েরা নিজের জীবনের বিনিময়ে উপহার দিয়ে গেছেন। তাদের জন্য দোয়া করি তারা যেন জান্নাত বাসি হয়। আপনার পোষ্টটি পড়ে সত্যিই খুবই ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি ও তাদের জন্য দোয়া করি তারা যেন জান্নাত বাসি হয়। ধন্যবাদ আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছেন কারণ সকালে উঠে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে শহীদ মিনারে গিয়েছেন। ঠিক বলেছেন স্কুল কলেজের সময়টাতে প্রতি বছর যাওয়া হতো এখন আমাদের ইচ্ছা থাকলেও অনেক সময় যেতে পারিনা। ধন্যবাদ আপনার সারাদিনের সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
জি ভাইয়া স্কুল কলেজের দিনগুলো সব মিলিয়ে আসলেই অন্যরকম ছিল। আর এখন নানান ব্যস্ততার মাঝে ভালো ভালো দিন গুলো ভালো ভাবে উদযাপন করতে পারিনা। তাও এবার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক ভালো থাকবেন এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার এই লেখাটা পড়ে একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। খুব ভোরে স্কুল যেতাম খালি পায়ে তার পর আবার র্যালি করতাম। আসলে এর পর একটা মজার ব্যাপার ছিলো র্যালি শেষে স্কুল থেকে সুইটি বিস্কুট দিতো সেগুলো দিয়েই মূলত নাস্তা করা হতো। যাইহোক আপনার কাটনো দিনের বর্ণনা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
বাহ ভালো লাগলো আপনার কমেন্টটি পড়ে। আপনি তো দেখছি আমার স্কুলের কথা ও মনে করিয়ে দিলেন। সত্যি দিনগুলো অন্যরকম ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
https://twitter.com/gorllara/status/1496174903485435904