DIY - ঝরঝরে মজাদার বাটার পোলাও রেসিপি || ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
❤️হ্যালো খাদ্যপ্রেমীরা ❤️
সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করছি আপনারা ও ভালো আছেন। আমি আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করছি। সেটা হলো- বাটার পোলাও। এবার আমি একদম ভিন্নভাবে পোলাও রান্না করেছি। পোলাও বেশিরভাগ সময় তেল এবং ঘি দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছে। তবে এইবার বাটার অর্থাৎ মাখন দিয়ে রান্না করেছি। অসাধারণ হয়েছে এর ঘ্রাণ এবং স্বাদ। আমি একবার এক রেস্টুরেন্টে এই ধরনের পোলাও খেয়েছিলাম। এবং তখনই ভেবেছিলাম বাসায় ও এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখব। সত্যিই স্বাদ অসাধারণ।
আপনারা বাসায় একবার তৈরি করে খেয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন। মাখন, গুঁড়া দুধ, কিসমিস এর স্বাদ অনেক গুণ বৃদ্ধি করে দিয়েছে। গাজর এবং পেঁয়াজ বেরেস্তা এর কালার সুন্দর করতে সাহায্য করেছে। আমরা এই পোলাও সবাই মিলে জমিয়ে খেয়েছি। এবং সবার খুব ভালো লেগেছে। আশা করছি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে আমার আজকের এই ভিন্নধর্মী রেসিপিটি। ধন্যবাদ সবাইকে যারা ধৈর্য্যসহকারে আমার পুরো পোস্টটি পড়েছেন। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন 💞।
![283506338_1002623853726791_6623106784059103308_n.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdRgSokHjBntvi6TfzkV2VmNE4sS4v5jHjrK7sWjShYoB/283506338_1002623853726791_6623106784059103308_n.jpg)
উপকরণ :
- পোলাওর চাল
- পেঁয়াজ
- রসুন বাটা
- আদা বাটা
- লবণ
- গুড়া দুধ
- গোটা গরম মসলা
- কাঁচা মরিচ
- কিসমিস
- গাজর
- মাখন
প্রথমে আমি ফ্রাই প্যানে মাখন দিয়ে দিলাম। মাখন গলে আসলে, এর মধ্যে গোটা গরম মসলা এবং পেঁয়াজ দিয়ে দিলাম। এবং সব ভালোভাবে ভাজতে শুরু করলাম।
![]() | ![]() |
---|
এরপর পেঁয়াজ ভালোভাবে ভাজা হয়ে আসলে, এরমধ্যে আদা বাটা এবং রসুন বাটা দিয়ে দিলাম। এবং এসব কিছু ভালোভাবে কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম। এরপর পরিষ্কার করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখা পোলাওর চাল গুলো দিয়ে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
পোলাও ঝরঝরে করতে চাইলে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পোলাওর চাল ভেজে নিতে হবে। এরপর পরিমাণমতো ফুটন্ত গরম পানি দিয়ে দিলাম এর মধ্যে। এবং সেই সাথে লবণ ও গুড়া দুধ দিয়ে দিলাম। আমি চাইলে অন্য যেকোনো দুধ ব্যবহার করতে পারতাম। তবে গুড়া দুধ এর স্বাদ বৃদ্ধি করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।
![]() | ![]() |
---|
এরপর এর মধ্যে আস্ত কাঁচা মরিচ ও কিসমিস দিয়ে দিলাম। এবং একটি ঢাকনার সাহায্যে ঢেকে দিলাম
![]() | ![]() |
---|
পানি শুকিয়ে আসলে,ঢাকনা তুলে আবারো ভালোভাবে নেড়ে নিলাম। এবং চাল কিছুটা সিদ্ধ হওয়া বাকি থাকতে,এর উপর কুচানো গাজর ছিটিয়ে দিলাম। গাজর পোলাওর কালার সুন্দর করতে সাহায্য করে।
![]() | ![]() |
---|
এরপর আবারো ১০ মিনিটের মতো ঢাকনা দিয়ে রান্না করলেই, প্রস্তুত হয়ে যাবে আমার আজকের মজাদার রেসিপি।
![]() | ![]() |
---|
ঝরঝরে মজাদার বাটার পোলাও রেসিপি :
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
বাংলাদেশ থেকে
এই পোস্টটি @gorllara দ্বারা নির্মিত মূল বিষয়বস্তু এবং 30 মে, ২০২২ এ স্টিম ব্লকচেইনে প্রকাশিত।
আমি আশা করি আপনি এটি পছন্দ করবেন এবং আমার পরবর্তী রেসিপির জন্য আমাকে সমর্থন করবেন
ধন্যবাদ
আন্তরিক শুভেচ্ছা
@gorllara
বাটার পোলাও রেসিপি যদিও ঘরোয়া পরিবেশে কখনো প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি রেস্টুরেন্টে অনেকবারই খাওয়া হয়েছে তবে আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে দেখেই জিভে জল চলে আসলো
আমিও প্রতিবার রেস্টুরেন্টেই এই পোলাও খেয়েছি। এই প্রথম বাসায় ট্রাই করে দেখলাম। এবং সত্যিই এর স্বাদ অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এভাবেই ভালো কমেন্ট গুলো নিয়ে পাশে থাকবেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সকাল-সকাল এতো সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে ।আপু। আপনার পোলাও দেখে তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এত সুন্দর ভাবে একটি পোলাও রেসিপি আমাদের মাঝে নিখুত ভাবে তুলে ধরেছেন সেই সাথে পরিবেশন টা ছিল অসাধারণ। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপু আমার তৈরি করা পড়লেও দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করলে, অপেক্ষা না করে রেসিপির দেওয়ার ধাপগুলো অনুসরণ করে বাসায় এ ধরনের বাটার পোলাও তৈরি করে ফেলুন। আশা করছে খেতে আপনার কাছে খুবই ভালো লাগবে।
ঝরঝরে বাটার পোলাও রেসিপি তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে। পোলাও রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। আপু আপনি খুব সুন্দর করে পোলাও রেসিপি তৈরি করেছেন ।যেটা দেখে খাওয়ার ইচ্ছে জাগলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আমার পোলাও রেসিপি দেখি আপনাদের খাওয়ার ইচ্ছা জেগে থাকলে, খুব জলদি বাসায় এরকম পোলাও রান্না করে খেয়ে ফেলুন। আশা করছি দেখে যেমনটা খেতে ইচ্ছা করছে,খাওয়ার পর আবারও বারবার খেতে ইচ্ছা করবে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পোলাও দেখে তো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সত্যি খুব অসাধারণ হয়েছে । দেখে মনে হচ্ছে পোলাও সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আপনার উপস্থাপন খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। এত অসাধারণ রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। সত্যি বলছি বাসায় এই পোলাও যখন রান্না করছিলাম। চারিদিকে সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়েছিল। তখনই বুঝতে পারছিলাম যে পোলাও খেতে কতটা মজাদার হবে। আপনিতো দেখছি পোলাও দেখেই সব বলে দিতে পারছেন। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা রইল।
আপনার রন্ধনপ্রণালী দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি কতটা দক্ষ। এত সুন্দর ভাবে পোলাও ডেকোরেশন করেছেন যা দেখতেও ভাল লাগছে। ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো ।
সত্যি বলতে ভাইয়া চেষ্টা করি দক্ষ হওয়ার। কারণ আমি ভোজন রসিক মানুষ। আর যারা খেতে ভালোবাসে, তাদেরকে অবশ্যই রান্নায় দক্ষ হতে হয়। নইলে নিজের মন মত করে খাবার রান্না করে খাওয়া যায় না। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে ঝরঝরে বাটার পোলাও রেসিপি শেয়ার করেছেন ।আপনার এই ঝরঝরে পোলাও রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপি সুস্বাদু ও লোভনীয়। চমৎকারভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া এই পোলাও দেখতে যতটা না সুস্বাদু দেখাচ্ছে। খেতে এর থেকেও বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। অবশ্যই বাসায় একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। তাহলে বুঝতে পারবেন আমি সত্যি বলছে নাকি মিথ্যা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া প্রতিনিয়ত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
আপনার বাটার পোলাও রেসিপি টি খুবি সুন্দর হয়েছে। দেখে তো খিদে পেয়ে গেল। বি মাজেদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এরকম পোলাও চিকেন রোস্ট দিয়ে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। একদম ঠিক বলেছেন এরকম পোলাও চিকেন রোস্ট অথবা চিকেন ঝাল ভুনা দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগবে। আমরা এই পোলাও ঝাল চিকেন ভুনা দিয়ে উপভোগ করেছি। সত্যিই ভীষণ সুস্বাদু লাগছিল খেতে।
ঝরঝরে মজাদার বাটার পোলাও রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে, সত্যিই আপনার রেসিপির উপস্থাপন এবং পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। অনেক মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন ভালো লাগলো আজকের রেসিপি।
আমার কাছে মনে হয়েছে রান্নাটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ স্বাদ। তেমনি পরিবেশন টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক সময়ে রান্না মজা হলেও পরিবেশন দেখে খাবারের রুচি চলে যায়। এই কারণে আমি রান্নার পাশাপাশি উপস্থাপন ও পরিবেশনের দিকে খুব ভালো লক্ষ রাখি। আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই খুব আনন্দিত বোধ করছি।
ওয়াও বাটার পোলাও দেখেই জিভে জল চলে আসলো। এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করলেন। একটা কথা ঠিকই বলেছেন পেঁয়াজ বেরেস্তা কারণে কালার টা দেখতে অসাধারণ লাগছে। যেমন রেসিপিটা তৈরি করলেন তেমনি খুব সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করে পরিবেশন করেছেন। এইটাই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগলো।
জি আপু পেঁয়াজ বেরেস্তা জিনিসটা বিরিয়ানি,পোলাও, খিচুড়ি ও দোপিঁয়াজি মাংসের স্বাদ অনেক বাড়িয়ে তোলে। এবং কালার টাও খুব সুন্দর আসে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু আমার পোষ্টে এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনা করি।
বাটার পোলাও রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আশা করি খেতেও খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলো আপনি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া রেসিপিটি দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করলে। অপেক্ষা না করে বাসায় তৈরি করে ফেলুন বাটার পোলাও।কারণ আমি খুব সহজ পদ্ধতিতে এবং খুব সহজ উপকরণ এর মাধ্যমে এটি রান্না করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছে দেখতে যেমন ভালো লাগছে,ঠিক খেতেও অতটাই ভাল লাগবে।