DIY - নিজ বারান্দার গাছের তরতাজা লাউ তরকারির রেসিপি || ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
❤️হ্যালো খাদ্যপ্রেমীরা ❤️
সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করছি আপনারা ও ভালো আছেন ❣️। আজকে আমি আপনাদের সাথে আবারো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করছি। সেটা হলো চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না। আপনারা হয়তো ভাবছেন এ আবার কেমন রেসিপি। আমরা তো সবাই এটা রান্না করতে পারি। হ্যা আমি জানি আপনারা সবাই এই তরকারিটি রান্না করতে পারেন। তবে আজকের লাউ যেমন-তেমন লাউ নয়। আমাদের বাসার বারান্দায় গাছের লাউ। জি একদম ঠিক পরেছেন। বাসার বারান্দায় বিশাল লাউ গাছের সাথে লাউ ধরেছে। আপনারা এটা আমার শেয়ার করা ছবিটি দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমরা সবাই তো মহাখুশি এই লাউ দেখে। ফরমালিন ছাড়া একদম তরতাজা সবজি এখন কোথাও তেমন পাওয়া যায় না। আর এবার আমরা নিজেদের গাছের তরতাজা লাউ খেতে পারলাম। আর আপনারা তো সবাই জানেন তরতাজা সবজির স্বাদ ই অন্যরকম। তাও যদি হয় আবার লাউ, তাহলে তো কোন কথাই নেই।
আজকে সকাল সকাল লাউ টি গাছ থেকে কেটে নেওয়া হলো। রান্না করা হবে বলে। আমি তো মহা খুশি। এরপর বলে উঠলাম লাউ টি আমি রান্না করবো, আমার পছন্দের মাছের সাথে এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সবই ঠিক আছে,কিন্তু আম্মু বলে উঠলো লাউ তো সবাই রান্না করতে জানে এটি কেনো শেয়ার করবি। আমি বললাম এতো আর যেমন-তেমন লাউ নয়।এটা হচ্ছে আমাদের নিজেদের গাছের লাউ। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করাটা জরুরী। যাতে আপনারা উৎসাহিত হয়ে নিজেদের বারান্দায় বা ছাদে তরতাজা সবজির গাছ লাগান। এবং সেইখান থেকে টাটকা ও তরতাজা সবজির স্বাদ উপভোগ করুন😋। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লাগবে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবার জন্য প্রতিবারের মত অনেক ভালোবাসা এবং শুভকামনা। সবাই সুস্থ থাকবেন এবং ভালো থাকবেন ❤️।
![275424544_340665661327430_6032768853107368792_n.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQq6zF4oZMZ5emRQqXsQK8ZYNKx3CUD1FYnhsPDmvP6Tm/275424544_340665661327430_6032768853107368792_n.jpg)
উপকরণ :
- লাউ
- চিংড়ি মাছ
- পেঁয়াজ
- টমেটো
- কাঁচা মরিচ
- রসুন বাটা
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচের গুঁড়া
- জিরা গুঁড়া
- লবণ
- সয়াবিন তেল
প্রথমে আমি একটি পাত্রে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিলাম। এরপর তেল গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে কুচানো পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে দিলাম। পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ ভালোভাবে ভাজা হলে এর মধ্যে সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর মশলা গুলো ভালোভাবে কষানো হলে, এর মধ্যে পরিমাণমতো চিংড়ি মাছ দিয়ে দিলাম। এবং মশলা সহ মাছ ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এরপর মশলা গুলোর উপর লাউ দিয়ে দিলাম। এবং কষানোর জন্য একটি ঢাকনার সাহায্যে ঢেকে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এরপর ১০ মিনিট পর ঢাকনা তুলে সবকিছু ভালোভাবে নেড়ে নিলাম। এবং আবারো ঢাকনা দিয়ে কষাতে দিলাম।
লাউ থেকে পানি বের হয়ে আসলে এবং লাউ গুলো ৩০% সিদ্ধ হয়ে আসলে বুঝতে হবে কষানো হয়ে গেছে।
![]() | ![]() |
---|
যেহেতু গাছের লাউ আর একদম কচি। সিদ্ধ হওয়ার জন্য বেশি পানির প্রয়োজন নেই। তাই পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম এবং সেইসাথে কেটে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এরপর তরকারি ভালো ভাবে রান্না হয়ে আসলে।এবং ঝোল শুকিয়ে সিদ্ধ হয়ে আসলে প্রস্তুত হয়ে গেছে আমার আজকের রেসিপি নিজের বারান্দার গাছের তরতাজা লাউ তরকারির রেসিপি।
![]() | ![]() |
---|
নিজ বারান্দার গাছের তরতাজা লাউ তরকারির রেসিপি :
আশা করি এই রেসিপি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। যদি আপনার কারও রেসিপি বুঝতে কোন সমস্যা হয়, দয়া করে আমাকে মন্তব্যগুলিতে জানান। আমি সঠিক তথ্য দিয়ে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশ থেকে
এই পোস্টটি @gorllara দ্বারা নির্মিত মূল বিষয়বস্তু এবং 09 মার্চ , ২০২২ এ স্টিম ব্লকচেইনে প্রকাশিত।
আমি আশা করি আপনি এটি পছন্দ করবেন এবং আমার পরবর্তী রেসিপির জন্য আমাকে সমর্থন করবেন
ধন্যবাদ
আন্তরিক শুভেচ্ছা
@gorllara
লাউ খুবই ভালো লাগে আমার। কিন্তু আমার বাড়িতে গাছ নেই। সব সময় কিনে খেতে হয়। অনেক ভালো লাগলো যে আপনার বাড়িতে গাছ আছে এবং আপনি সেখান থেকে পাড়িয়ে রান্না করে খেয়েছেন। আপনার পোস্ট দেখে সত্যি অনেক ভাল লাগল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
অনেক কষ্ট করে বারান্দায় এই গাছটি উঠিয়েছি ভাইয়া। আশা করি নাই এমন ভালো মানের লাউ খেতে পারবো নিজের গাছ থেকে সবকিছুই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত বলে মনে করি। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
লাউ আমার একটি প্রিয় খাবারের মধ্য । লাউ খেতে অনেক সুস্বাদু আর ঠান্ডা- গুরুজনে বলে লাউ খেলে নাকি পেট ঠান্ডা থাকে।আপনার লাউ রান্না রেসিপি দেখে অনেকক্ষানি ভালো লাগল , যে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্না রেসিপি করেছেন তাও আবার চিংড়ি মাছ দিয়ে যা দেখতে অনেক লোভনীয় ভাব প্রকাশ করে।আপনার চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না রেসিপির জন্য শুভকামনা
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমি অনেকবার শুনেছি লাউ খেলে পেট ঠান্ডা থাকে আর তাই আমি প্রায় সময় বাসায় এমন করে লাউ রান্না করি। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না করতে আমার অনেক ভালো লাগে তাই আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি এই রেসিপিটি।
এখন ফরমালিন মুক্ত সবজি খেতে হলে নিজের বাসার আঙিনায় চাশ করতে হবে।আপনি সত্যি দারুন কাজ করেছেন।নিজের বারান্দায় ফরমালিন মুক্ত একটি সবজি এটার স্বাদ নিঃসন্দেহ অনেক দারুন হবে কারন এটাএ ফরমালিন নেই।ধন্যবাদ মজাদার রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিজের বাসার আঙিনায় নিজের হাতে চাষ করা ছাড়া এখন আর অন্য কোন কিছুই ফরমালিনমুক্ত নেই তাই ফরমালিন মুক্ত খেতে হলে অবশ্যই এমন কিছু করে খেতে হবে। আর সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে ফরমালিন মুক্ত খাবার যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যকর।
স্বাদের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী।
লাউয়ের আগা খাইলাম ডগা গো খাইয়াম, লাউ দিয়া বানাইলাম ডুগডুগি 😆😆।
আপনার চমৎকার লাউ রেসেপি দেখে গান টা গাইতে মন চাইলো। আপনার লাউয়ের কালার দেখে আমি বৈরাগী হওয়ার সম্ভাবনা। আপনি দেখছি রান্নার পাশাপাশি বাসায় বসেই সবজি চাষ করেছেন। আপনি অসাধারণ রান্না করতে পারেন সব গুলো ধাপ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হিহিহিহি আসলে আপু লাউ খেতে এতটাই মজা যে লাউ আমাকে সত্যিই বৈরাগী করেছে। আসলে সত্যি কথা বলতে এমন তাজা লাউ পেলে খেতে কারোই খারাপ লাগার কথা না । অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
গ্রামে লাউগাছগুলো ভালো হয়, অনেক লাউ এক সাথে ধরে থাকে দেখতেও সুন্দর লাগে। আপনার নিজের গাছের লাউ রান্না করছেন দেখে অনেক ভালো লাগছে। আসলে নিজের রূপন করা কোনো সবজি খেতে অনেক বেশি মজা লাহে। আর রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে।
গ্রামে না ভাইয়া চাইলে সহজেই এমন লাউ গাছ শহরের যেকোনো বাড়ির বারান্দায় করতে পারেন যেমন আমি করেছি। আসলে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। যাইহোক ভাইয়া আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে তাই আমি অনেক আনন্দিত আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ।
লাউ আমার অনেক প্রিয় তরকারি। আপনি খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করছেন আপু। আর সেই লাউ যদি হয় নিজের গাছের তবে তো সেটা খেতে আরও বেশি মজার হয়। আপনার রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এমনিতেই লাউ আমারও অনেক বেশি প্রিয় কিন্তু আমার নিজের গাছের লাউ হওয়ার কারনেই আসলে এ রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করার মূল কারণ। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আপনার কমেন্ট সত্যি আমাকে অনেক উৎসাহিত করেছে।
লাউ চিংড়ি খুব মজার একটি রেসিপি। আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি। আমার কখনো টমেটো দিয়ে খাওয়া হয় নি। তবে মনে হচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু লাউ আর চিংড়ি মাছ খুবই মজার একটি তরকারি। যদিও লাউ অনেকগুলো মাছ দিয়ে রান্না করা যায় কিন্তু আমার কাছে সবচাইতে বেস্ট মনে হয় চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ রান্না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমরা বাজারে জেলাউ কিনে খাই তার থেকে অনেক গুণে সুস্বাদু হয় বাসার গাছের লাউ। সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি নির্ভেজালও হয় বটে। আপনার রান্না করা লাউ চিংড়ি রেসিপি খুবই লোভনীয় লাগছে আপু আমারতো দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর এবং গোছালোভাবে পুরো রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া নিজেদের গাছের লাউ এর সাথে অন্য কোন লাওয়ের তুলনা হয়না। সত্যি অনেক মজা হয়েছিল রেসিপিটি। আপনার কাছে সবকিছু ভালো লেগেছে তাই আমি অনেক আনন্দিত শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
লাউ খেতে আমি অনেক ভালোবাসি তবে এই শীতে অনেকদিন লাউ খাওয়া হয়নি। আপনার উপস্থাপন করায় লাউয়ের রেসিপি টা দেখে অনেক খেতে ইচ্ছে করছিল। ☺️ আপনি রেসিপি টা সত্যি অনেক চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুস্বাদু রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শীতকালে লাউ খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যদিও এবারে আর শীতকাল আপনি পাবেন না কিন্তু পরবর্তীতে অবশ্যই চেষ্টা করবেন লাউ খাওয়ার জন্য এটি খেতে যেমন দারুন ঠিক তেমনি অনেক স্বাস্থ্যকর।
বরাবরই আপনার রেসিপি গুলো দারুন হয়ে থাকে যেগুলো আপনি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেন খুবই সুন্দর ভাবে। তবে আজ একটি বিশেষ জিনিস লক্ষ্য করলাম যেটি হল এই লাউ আপনার বারান্দায় বড় হয়েছে। এই বিষয়টি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো মনে হয়েছে।
আমি সব সময় চেষ্টা করি খুবই সহজ এবং সরল ভাষায় উপস্থাপনা করার জন্য যেন যে কেউ চাইলে আমার রেসিপি দেখে এমন করে রান্না করতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।