DIY - মাছের কাবাব এর রেসিপি || ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
❤️হ্যালো খাদ্যপ্রেমীরা ❤️
সবাই কেমন আছেন? আমি ভালো আছি। আশা করছি আপনারাও ভালো আছেন। আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আমার ভালো ভালো কাজগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার। তাই আজকে একটি নতুন রেসিপি পোস্ট শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। সেটা হল মাছের কাবাব এর রেসিপি। আমরা সব সময় মাংসের বিভিন্ন ধরনের কাবাব তৈরি করে খেয়ে থাকি। তবে মাছের কাবাব খেতেও মাংসের কাবাব এর থেকে কম সুস্বাদু নয়।সেটা এই রেসিপি দেখেই বুঝে নিতে পারবেন। মাছের কাবাব তৈরি করার জন্য অবশ্যই চেষ্টা করবেন বড় সাইজের মাছ ব্যবহার করার। কারণ ওই ধরনের মাছে কাটা কম থাকে। এতে করে মাছ বেছে নিয়ে এটি তৈরি করতে অনেক সুবিধা হয়।
আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে আমি এই কাবাব তৈরি করতে আলু কেন ব্যবহার করেছি। আলু এই কাবাব কে আঠালো করতে সাহায্য করবে। ডিম ও আলু ব্যবহার করার ফলে কাবাব গুলো ভাজার সময় ভেঙে যাবে না। আপনারা চাইলে এটা ধনিয়া পাতা ব্যবহার করতে পারেন। আমার কাছে ধনিয়া পাতা ছিল না তাই আমি ব্যবহার করতে পারিনি। চেষ্টা করেছি খুব সহজভাবে আপনাদের মাঝে রেসিপিটি উপস্থাপন করার। আশা করছি ভালো লাগবে আপনাদের কাছে আমার পোস্টটি। এবং এই কাবাবের স্বাদ গ্রহণ করতে চাইলে, আমার রন্ধন প্রণালী অনুসরণ করে বাসায় সহজেই তৈরি করে ফেলুন। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ❣️।
![309177599_1334597793948489_7830035424685467159_n.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZZT3WSn4BnrAW6VsRiZffyEHgWYFMabC46iTi1U6n5AZ/309177599_1334597793948489_7830035424685467159_n.jpg)
উপকরণ :
- তেলাপিয়া মাছ
- সিদ্ধ আলু
- ডিম
- পেঁয়াজ বেরেস্তা
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচের গুঁড়া
- জিরা গুড়া
- গরম মসলার গুঁড়া
- রসুন বাটা
- লবণ
প্রথমে একটি পাত্রে সামান্য পরিমাণে পানি নিয়ে নিলাম। এরপরেতে গরম মসলার গুঁড়া বাদে বাকি সবগুলো মসলা দিয়ে দিলাম। পানির সাথে মসলাগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম এবং মাছের পিস গুলো এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। এরপর মাছগুলো খুব ভালোভাবে সিদ্ধ করতে শুরু করলাম।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
মাছগুলো সিদ্ধ হতে হতে এর মধ্যে, সিদ্ধ আলু ভালোভাবে ভর্তা করে নিলাম। এরপর বেরেস্তা করা পেঁয়াজগুলো ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম। যাতে মুচমুচে পেঁয়াজগুলো গুড়ো হয়ে যায়।
![]() | ![]() |
---|
মাছগুলো খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসলে, মাছের কাঁটা গুলো খুব ভালোভাবে বেছে নিলাম। এবং সবগুলো মাছ খুব ভালোভাবে ভর্তা করে নিলাম। মাছের চামড়া ফেলে দিতে হবে। এখানে মাছের চামড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![]() | ![]() |
---|
ভর্তা করা মাছের ওপর আলু ভর্তা, গরম মসলার গুঁড়া, পেঁয়াজ বেরেস্তা, লবণ এবং ডিম দিয়ে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর সবকিছু খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম। এরপর আমার হঠাৎ মনে হল এটাতে কাঁচামরিচ ব্যবহার করা উচিত এতে ফ্লেভার খুব ভালো আসবে। তাই আমি কয়েকটি কাঁচামরিচ ছোট ছোট করে কেটে এর মধ্যে দিয়ে দিলাম। এবং আবারও সবকিছু খুব ভালোভাবে মাখিয়ে নিলাম
![]() | ![]() |
---|
এরপর কাবাবের শেপ তৈরি করে নিলাম।এবং গরম ডুবো তেলে কাবাব গুলো লালচে করে ভেজে নিলাম। এভাবে আমি আমার আজকের মজাদার মাছের কাবাব এর রেসিপিটি তৈরি করে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
মাছের কাবাব এর রেসিপি:
![]() | ![]() |
---|
বাংলাদেশ থেকে
এই পোস্টটি @gorllara দ্বারা নির্মিত মূল বিষয়বস্তু এবং সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২ এ স্টিম ব্লকচেইনে প্রকাশিত।
আমি আশা করি আপনি এটি পছন্দ করবেন এবং আমার পরবর্তী রেসিপির জন্য আমাকে সমর্থন করবেন
ধন্যবাদ
আন্তরিক শুভেচ্ছা
@gorllara
কাবাব তো অসাধারণ হবেই,সেই সাথে ফটোগ্রাফ গুলোও দারুন হয়েছে।মাছের কাবাব আসলেই অনেক মুখরোচক।আড্ডার সময়ে সস দিয়ে মাছের কাবাব,অথবা ভাতের সাথে।একদম জমে যায়।ধন্যবাদ আপু।সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্যই।
আপনি তেলাপিয়া মাছের কাবাব তৈরি করেছেন। সত্যিই দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে মাছের কাবাব তেমন একটা খাওয়া হয়নি আমার। কাবাব তৈরি প্রস্তুত প্রণালী বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। প্রতিটি পর্যায় আমাদের মাঝে খুব চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। এত দুর্দান্ত পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মাছের কাবাব এর রেসিপি দেখে তো লোভ সামলাতে পারলাম না খেতে ইচ্ছা করছে। কাবাব খেতে ভীষণ মজা লাগে। আর মাছের কাবাব হলে তো কথাই নেই। অনেক সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে
খুব সুস্বাদু মাছের কাবাব এর রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি দেখেই লোভ লাগছে অসাধারন লাগছে দেখতে ধাপ গুলোও সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেন ধন্যবাদ।
অনেক রকমের মাছ দিয়েই মাছের কাবাব বানানো যায়, তবে আমার বাসায় কোন মেহমান আসলে রুই বা কাতল মাছের কাবাবটাই বেশি বানানো হয়। আপনার সাথে আমিও একমত, মাছের কাবাবের জন্য বড় মাছ সিলেক্ট করাটাই ভাল। আপনার তেলাপিয়া মাছের কাবাব বানানোর রেসিপিটি আমার খুবই ভাল লেগেছে। আপনার শেয়ার করা ছবি এবং বর্ণনার মাধ্যমে আমি মাছের কাবাবের রেসিপিটি খুবই সুন্দরভাবে বুঝেছি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মাছের কাবাবের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার কাবাব দেখেই বুঝতে পারছি এটা মাংসের কাবাব থেকে কোনো অংশে কম হবে না। আর আলু দিলে যেকোনো চপ জাতীয় জিনিস আঠালো হয়। যাই হোক আমি মাছের কাবাবের নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। ধাপগুলি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মাংসের কাবাব অনেক খেয়েছি। কিছু মাছের কাবাব কখনো খাইনি। বেশ ইউনিক একটি রেসিপি ছিল। কাবাব ভাজার সময় যেন ভেঙে না যায় সেজন্য আলু ও ডিম এর ব্যবহার বাহ চমৎকার ছিল আইডিয়া টা। মাছের কাবাব টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু।।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন মাছের কাবাব খেতেও মাংসের কাবাব এর থেকে কম সুস্বাদু নয়। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লাগে এরকম মাছের কাবাব খেতে। এগুলো খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়ে থাকে। যার ফলে খেতে ভীষণ ভালো লাগে। খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।