" হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়ে " আমার বাংলা ব্লগ
আজ - ১২ই, বৈশাখ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয় ,আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুগণ আশা করি সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। এবং কি অনেক আনন্দের সহিত ঈদ উদযাপন করলেন। দেখতে দেখতে ঈদের দিন গুলো চলে গেল চোখের নিমিষেই। আসলে ভালো মুহূর্ত গুলো যেন খুব তাড়াতাড়ি চলে যায়।
তো যাই হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে । আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বির হরিবাসর সংকীর্তন শোনার অনুভূতি শেয়ার করবো।
কথায় বলে না ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আসলে আমরা যে যেভাবে বিশ্বাসী ঠিক সেভাবেই সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা বা তার প্রতি অনুগত থাকি । শুধু পার্থক্য একটু কেউ বলে ঈশ্বর, কেউবা আল্লাহ ,আবার কেউ বা গড, সৃষ্টিকর্তা একজনই । তাই দিন শেষে আমরা সবাই মানুষ এটাই সত্য আর এটাই বাস্তবিক।
হিন্দু সনাতন ধর্মের অনুসারে আমাদের চার চারটি যুগ আবির্ভূত হয়েছে । যার মধ্যে সত্য, দ্বাপর , ত্রেতা ,ও কলি আর যার মধ্যে তিনটি যুগ চলে গেছে । শেষ হলো এ কলিযুগ এই এক একটি যুগের মাঝে রয়েছে অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য। যেমনটা বলতে হয় সত্য যুগের সময় নাকি প্রতিটি মানুষ সত্য কথা বলতো । এমনকি প্রতিটি মানুষ সৎ ধর্ম কর্ম সব দিক দিয়েছিল চির সত্যবাদী তাই হয়তো সে যুগের নাম ছিল সত্য ।
আরে এক একটি যুগের মাঝে এক একটি অবতার রূপে আবৃত হয়েছে সৃষ্টিকর্তার এক অবতার যা পৃথিবীকে নতুন করে ধরে রেখেছে। ঠিক তেমন কলি যুগে বর্তমান অবতার রয়েছে কল্কি । যেমন ক্রেতা যুগে বড়াহ হওয়া অবতার ছিল যিনি পৃথিবীকে সমুদ্রপৃষ্ঠের নাকের ডগায় ধরে রেখেছিল। ঠিক এমনই কিছু কিছু অবতার যা পৃথিবীকে সত্যের পথে নিয়ে যায় । এবং কি অশুভ কে ধ্বংস করে পৃথিবীকে পুনরায় একটি সুন্দর পৃথিবীর রূপান্তরিত করে । যেটা বিশ্বাস করে প্রতিটি হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বি মানুষ।
ঠিক তেমনি এই কলি যুগে নিজেকে মোক্ষ লাভের প্রধান লক্ষ্য হলো হরিনাম সংকীর্তন। । আর তাইতো ঈশ্বরের প্রতি নিজেকে বিলিয়ে দেবার জন্য এই হরিনাম সংকীর্তন স্মরণ করে এবং কি করে থাকে ।
লোকেশন
গতকালকেই আমার বাড়ির কিছু দূরে একটি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী হরিনাম সংকীর্তন এর আয়োজন । প্রতিবছরে সেখানে বেশ ধুমধামকপূর্ণ আয়োজন হয়ে থাকে । অনেক ভক্তবৃন্দের আগমন ঘটে আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যে এই হরিনাম সংকীর্তন গাওয়ার জন্য ভারত থেকে অনেক হরিনাম সংকীর্তন দল বা মানুষ আসে । আর এজন্যই এই হরিনাম সংকীর্তন শোনার জন্য অনেক আগ্রহ প্রকাশ করে। অনেকে দূর থেকে অনেক ভক্তবৃন্দ আগমন ঘটে।
গতকাল সন্ধ্যায় আমিও গিয়েছিলাম যদিও বেশিক্ষণ ছিলাম না। তবে যতটুকু সময় ছিলাম শ্রদ্ধা করে সম্মান করি হরিনাম সংকির্তন শ্রবন করি। এক ঘন্টা হরিনাম কীর্তন শ্রবণ করার পর প্রসাদ গ্রহণ করি । সত্যি বলতে ভগবানের এই হরিনাম সংকীর্তন এর মহাপ্রসাদ খেতে বড়ই সুস্বাদু এবং কি খেতেও অনেক ভালো লাগে ।বলতে গেলে অনেকটাই প্রসাদের জন্যই আসা । হিহিহিহি!!
খাওয়া দাওয়া করার পর চারদিকে একটু ঘোরাঘুরি করলাম বেশ অনেক দোকান বসেছে । বলতে গেলে জাঁকজমকপূর্ণ একটি মেলা বলা যায় । তবে আমি সরাসরি মূর্তির দোকানে গেলাম যেখানে গিয়ে একটি গণেশ ঠাকুর কিনেছিলাম ।
এরপর খুব বেশিক্ষণ আর থাকি নি নয়টা বাজার সাথে সাথে আমিও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা । এবং আসার সময় আলোকসজ্জার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। চারদিকে অনেক আলো শয্যায় সজ্জিত তার দিকটা ভালোই লাগছে ।
সব মিলিয়ে গতকাল সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়ে। মূলত আসার সময়ে এই আলোর সজ্জার ফটোগ্রাফি গুলি সব মিলে ভালই লেগেছিল।
প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের ব্লগ হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
সর্বোপরি আজকে আপনাদের কাছ থেকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবারো হাজির হবো অন্য কোন নতুন ইউনিক ব্লগ নিয়ে। এমন প্রত্যাশা রেখেই এবং সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই ব্লগ সমাপ্ত করছি ।
ক্যামরা: Realme c12
অভিবাদন্তে: @gopiray
হরিনাম সংকীর্তন শুনতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার বাড়ির পাশে হরিনাম সংকীর্তন হচ্ছে জেনে বেশ ভালো লাগছে। প্রতিদিন গিয়ে সেখানে সংকীর্তন শুনবেন বেশ ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
দাদা প্রতি দিন যাই নি ব্যস্ততার জন্য ৷ তবে শেষ দিন গিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি ৷
আপনি তো দেখছি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে মোটামুটি বেশ ভালই জ্ঞান রাখেন। যাই হোক এটা বেশ ভালো কথা।
আসলে কীর্তন হলে আমিও একসময় সেখানে যেতাম না। আমার খুব বেশি একটা ভালো লাগতো না, তবে সময়ের সাথে সাথে কেন জানিনা এই জায়গাগুলোকে খুব আপন মনে হচ্ছে। এখানেও মাঝেমধ্যে হয় এবং আমি সময় সুযোগ পেলেই কীর্তন শুনতে চলে যাই।
আসলে মহাপ্রভুর ভোগ এবং প্রসাদটা খেতে এত টেস্টি হয় যে সেখানে প্রসাদের লোভে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। 🤭
দাদা ভাই ধর্ম বিষয়ে জানতে হয় ৷ আর মাঝে মধ্যে ধর্মগ্রন্থ বইগুলো পড়ার চেষ্টা করি ৷তাই হয়তো কিছু জানা বা জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি ৷
হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়ে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছিস দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ হরিনাম সংকীর্তন শুনতে আমারও প্রচুর ভালো লাগে ৷ কিছুদিন বাদে আবারও হবে , এবার যেতে হবে শুনতে ৷ যাই হোক ধন্যবাদ তোকে , হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়ে সুন্দর অনুভুতি আর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ৷ তবে টাইটেলে আমার বাংলা ব্লগ না দিলে আরো বেশি ভালো লাগতো সবটা ৷
হুম আসলেই একটা সুন্দর অতিবাহিত করেছি ৷
ভীষণ ভালো লাগলো এত সুন্দর একটা দেখে আয়োজন ভাই। আমি নিজেও কীর্তন ভীষণ পছন্দ করি। প্রতিবছর দূর্গা পূজার আগে আমার বাড়ির একদম পাশেই অষ্টপ্রহর ব্যাপী হরিনাম কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। যতটা সম্ভব চেষ্টা করি সেখানে থাকার। সত্যি কথা বলতে এই কলি যুগে হরিনাম সংকীর্তন ছাড়া মুক্তির আর কোন পথ নেই। একদম প্রসাদ পেয়ে তারপর এসেছেন এটা সব থেকে বেশি ভালো লাগলো। আর চারপাশের আয়োজনে কোন ত্রুটি ছিল না মনে হয়। ভগবান আমাদের সকলের মঙ্গল করুক এটাই প্রার্থনা করি।
হ্যাঁ দাদা এই কলি যুগে হরিনাম বিনে জীবের মুক্তির পথ নেই৷ ভালো লাগলো মন্তব্য পেয়ে ৷