শৈশব জীবন || আমার বাংলা ব্লগ ❤❤
আজ - ২৪শে , পৌষ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আপনি আপনাদের মাঝে আবারও একটি নতুন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম । যেটা মূলত শৈশব জীবনের এক স্মৃতিচারণ ।আমরাও একটা সময় এই শৈশবের জীবন অতিবাহিত করেছিলাম । তাই তো এসব স্মৃতি মনে পড়লে মনের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতি জাগ্রত হয়। আজকে বিকেল বেলার মুহূর্তে হঠাৎ করেই চোখে পড়লো কয়েকজন মেয়ে গাছ বাগানের মধ্যে পাটি কিংবা সব বিছিয়ে খেলনা পাতি নিয়ে অনেক সুন্দর করে খেলা করছিলো ।আসলে এসব দেখে আমার অনেক ভালো লাগছিল ।
এই শৈশব মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ যেখানে জীবনের কে নিয়ে কোন ভাবনা নেই কোন চিন্তা নেই শুধু আনন্দ আর প্রফুল্লার মধ্যে দিয়েই জীবনটাকে অতিবাহিত করে নিয়ে যায়। বিশেষ করে আমার সেই সব মুহূর্তগুলো যখন ছেলে মেয়েরা একসাথে বর কনে সেজে বিয়ে করে ছেলে মেয়ের বাবা-মা সাজে আত্মীয়-স্বজন দাওয়াত কিংবা নিয়ম নিমন্ত্রণ করে ।সবমিলে যেন বাস্তবিক অর্থে সত্যি যেন বিয়ে এবং কি পারিবারিক যে এক আনন্দের প্রখর সেটা আসলে সেই শৈশব জীবনেই প্রথম অতিবাহিত করা বা অনুভূতি করা যায়। যদিও সেটা বাস্তবিক নয় কিন্তু একটা সময় সেই বাস্তবিক জীবনটা ঠিক জীবনে এসে পৌঁছায় ।
আমি প্রথমত দূর থেকে তাদের এই খুনসুটি গুলো দেখছিলাম। কেউ রান্না করছে তো কেউ তরকারি কাটছে আবার কেউ খাওয়ার জন্য প্রস্তুত। সব মিলে তাদের এই ছোট্ট খুনসুটি গুলো আমাকে অনেক ভালো লাগছিল। তাই তো কাছে গিয়ে তাদের সাথে আমিও বলতে লাগলাম যে আমারও খিদা লেগেছে । হাসতে হাসতে বলছিল এখন রান্নাবান্না শেষ হয়নি । আর কিছুক্ষণ পর এবার আমিও বলতে লাগলাম যে ঠিক আছে তাহলে রান্নাবান্না শেষ হোক খেয়েদেয়ে তারপর যাবো। আমি তাদের সাথে এই মজার খুনসুটি গুলো করছিলাম আর ছবি তুলছিলাম তারা বেশ ভালোভাবে বসেই ছবি তুলছিল।
তবে আমার কাছে একটা জিনিস ভালো লাগে। একটি মেয়ে বাচ্চা ছোট থেকেই খেলনা হোক কিংবা বাস্তবই অর্থে হোক রান্নাবান্না পারিবারিক কাজে প্রতি এতটাই অভ্যস্ত যে আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয় । ঠিক যেমন এই ছবিগুলোই দেখুন না তারা কি সুন্দর করে একটি পরিবারের জন্য রান্না বান্না এছাড়া মা বাবা সেজে কি সুন্দর ভাবে খেলা করেছিল।
আমার কাছে তাদের এই মুহূর্তগুলো সত্যিই খুব খুব খুব ভালো লেগেছে । আর তাইতো আজকে ভাবলাম যে সেই ছোটবেলার কিছু স্মৃতি কিংবা এই ছোটবেলার মুহূর্তগুলো নিয়েই আজকের ব্লগটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করা যাক ।
আশা করছি আপনাদের সবার অনেক ভালো লেগেছে এমনটাই প্রত্যাশা। সবার কাছ থেকে একটাই মন্তব্য কিংবা কমেন্টে চাই যে আপনাদেরও কি এই ছোট্ট শৈশব জীবনের কথাগুলো বা স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। যদি অবশ্যই মনে পড়ে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তাহলে হয়তো বা আপনাদেরও এই স্মৃতি বা শৈশবের মুহূর্তগুলো জানতে পারবো।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের শৈশব জীবনের এবং আমার অনুভব ও অনুভূতি৷
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
শৈশব জীবনের বাস্তব অনুভূতি নিয়ে দারুন একটি পোস্ট আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আপনার এই পোস্ট কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। একদম জীবনের সেই মধুর স্মৃতিগুলো খুজে পেলাম এ পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
সুমন ভাই অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের করার জন্য ৷ এভাবেই পাশে থাকবেন এমনটাই প্রর্তাশা করি ৷
খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখাগুলো পড়ে। আসলে সেই হিসেবে জীবন ভালোলাগার এবং আনন্দময় হয়। আর আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার শৈশব জীবনের কথাগুলো সত্যিই খুবই মনে পড়ে গেল। আসলেই জীবনটা এক ধরনের অদ্ভুত রকমের।
ভাই শৈশব জীবন মানেই হলো কত সৃতি মূহুর্ত তা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয় ৷আমার কাছে মনে হয় জীবনের বড় আনন্দের সময় শৈশব জীবন ৷ ধন্যবাদ ভাই এমন সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ৷
শৈশবের স্মৃতিচারণ হয়ে যায় এমন সব খেলা দেখলে।কারণ আমরাও তো এই শৈশব টি পার করে এসেছি। আসলে মেয়ে বাচ্চাদের খেলাই রান্না বাটি।ছোট থেকেই যেন মেয়েদের রান্নার প্রতি একটা দূর্বলতা কাজ করে আর এমন দূর্বলতা কাজ করে কারণ মাকে দেখে দেখে শেখে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি শৈশবে স্মৃতি ঘেরা পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
হুমমম দিদি শৈশবের কাহিনী তো অনেক ৷ তবে জীবনের বড় একটা অংশ হলো এই শৈশব জীবন ৷ আসলেই মেয়েদের রান্না বান্না করার কৌশল গুলো ভালো ই জানে ৷ অনেক ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মতামতের জন্য ৷