শ্রী শ্রী হরিবাসর সংকীর্তন মহানাম যজ্ঞ শোনার অনুভূতি
আজ ১০ই, বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, |গ্রীষ্মকাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়, আমার বাংলা ব্লগের সকল ব্লগার ভাই বোন বন্ধুগণ সবাই আশা করি অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন এবং প্রতিনিয়তই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই রয়েছেন। যাহোক আমি খুব একটা ভালো নেই কারণ গত দুদিন যাবত জ্বর সর্দি মাথাব্যথা এসব যন্ত্রণা নিয়েই দিন পার করছি । সেই সাথে গরমের তীব্রতা জীবনকে অনেকটাই অস্বস্তিকর করে ফেলে দিয়েছে। আসলে আবহাওয়া এতটাই যে গরম সেটা আসলে কখনো ভাবা হয় নি । ছোটবেলায় কিংবা কিছু বছর আগেও জানতাম যে বৈশাখ মাস মানে ঝড় আর বৃষ্টির মাস। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, এখন বৈশাখ মাস চলছে অথচ বৃষ্টির কোন সাড়া নেই। তার বিপরীত রোদ তাপমাত্রা গরমের অস্থিরতা জীবনকে অনেকটাই অসুস্থ করে ফেলেছে। অসুস্থ শরীর নিয়েও প্রতিনিয়ত এই চেষ্টা করছি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে থাকার । কারণ আমার বাংলা ব্লগ যেহেতু আমার জীবনের অতপ্রতভাবে জড়িয়ে গেছে । নেশা পেশা যাই বলি তাই তো প্রতিনিয়তই অসুস্থতা হোক এর সাথে ব্যস্ততার মাঝেও চেষ্টা করি কমিউনিটির সাথেই থাকার।
যাই বা হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে ।আর প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি বিভিন্ন ধর্মী কিছু উপস্থাপন করার। সেই জায়গায় থেকে আজকের ব্লগে আমাদের সনাতন ধর্মীয় শ্রী শ্রী হরিবাসর সংকীর্তন নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের অনুভূতি নিয়েই আজকের ব্লগটি উপস্থাপন করতে চলেছি ।
প্রথমত বলতে হয় যে আমরা বর্তমান কলিযুগ বাস করছি । অর্থাৎ এই কলিযুগের আবির্ভাব এই কলি যুগে একমাত্র মুক্তির পথ হিসেবে এই হরিনাম সংকীর্তন কেই বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ এই কলিযুগের মানুষ বা জীব খুব কষ্ট বা কষ্টের সহিত ধর্মটাকে পালন করতে পারবে না বলেই। নিয়তির কি লেখা বা বিধান আমাদের মুক্তির পথ একমাত্র মুক্তির পথ স্বর্গ লাভ করার সবচেয়ে সহজ পথ শ্রীকৃষ্ণ এই কলিযুগের দ্বারে দ্বারে দ্বারে হরিনামকে বিলিয়ে দিয়েছে। একমাত্র মুক্তির পথ হিসেবে বিবেচনা করে।
যদি এর সামান্য কিছু ইতিহাস তুলে ধরা হয়। তবে আমাদের সনাতন ধর্মীয় মতে চারটা যুগ অতিক্রম করেছে । প্রথমত সত্য দ্বাপর, ত্রেতা ,ও কলি যেটা বর্তমান চলতেছে। এই যে এক একটি যুগ পরিবর্তন হওয়ার পেছনে সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর যিনি তিনি একেক ভাবে এই পৃথিবীকে ভারসাম্যর বজায় রাখার জন্যই বিভিন্নভাবে আবির্ভূত হয়েছে। যেমন সত্যযুগের মানুষ প্রতিনিয়তই সত্য কথা বল তো। তা এসব যুগেও মানুষ অনেক কর্মক্ষম সেই সঙ্গে ধর্মের প্রতি ছিল সজাগ এবং কি অনেক পরিশ্রম করেছে। কিন্তু বর্তমানে এই কলির যুগে আমাদের ধর্মকে আমরা খুব একটা মেনে চললেও তার নিয়ম মাফিক কখনো চলতে পারে না । আর এজন্যই এই কলি যুগে জীব কে মুক্তির পথ দাবী করার প্রেক্ষিতে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি এনে দিয়েছে হরিনাম সংকীর্তন। তাইতো প্রতি হরিবাসর মন্দিরে এই সংকীর্তন বা নাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান পালিত করা হয় । এটা এক এক তিথিতে পালন করা হয়।
আমিও গতকাল গিয়েছিলাম আমাদের বাড়ির পাশেই ব্যাং হারি হরিবাসর মন্দির যেখানে তিন দিনব্যাপী এই মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল । তবে আমি তৃতীয় দিন সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম বেশ অনেকে ভক্ত সজ্জন এর সমাগম ঘটেছে। যাওয়ার আগ মুহূর্তে গেটের সামনেই কিছু ফটোগ্রাফি পরিবেশ আলোকসজ্জা লাইটিং সমন্বয়ে পরিবেশটি বেশ সুন্দর প্রাণবন্ত করেছে। সেই সাথে অনেক ভক্তবৃন্দের আগমনে পরিবারসর মাঠ প্রাঙ্গণ যেন আনন্দে মুখরিত।
এবার মন্দির ভিতরে গিয়ে এই হরিবাসর বা নাম কীর্তন কে মন ভরে শোনার জন্য আসন গ্রহণ করলাম । অর্থাৎ মেঝেতে পার্টি বসার ব্যবস্থা করেছিল । আপনারা হয়তো ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন যে, অনেক মানুষের সমাগম ঘটেছিল । কারণ আর যাই হোক দিন শেষে নিজেকে সেই ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা কামনা সেই সাথে এই মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠান শ্রবণ করা।
শ্রীমৎভাগবত গীতায় উল্লেখ করেছে, যে এক নাম নিলে তরে যত পাপ করে জীবের কি সাধ্য আছে তত পাপ করে। অর্থাৎ সকল পাপের বিনাহ একমাত্র এই কৃষ্ণ নাম মিলে ই মুক্তি শান্তির পথ হিসেবে বিবেচিত হবে ।তাই তো জীবের মুক্তি পথ হিসেবে এই হরিনাম সংকীর্তন সনাতন ধর্মীয়দের এক গুরুত্বপূর্ণ পন্থা, । ইদানিং অনেক ধর্মীয় মঠ যারা তাদের নিজের মতো করে ধর্মটাকে পালন করছে তৈরি করছে । কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষিতে যদি তাকায় তাহলে আমাদের সর্ব মোলে একমাত্র সেই কৃষ্ণের নাম স্মরণ করায়, প্রধান। কারণ সেই শ্রীকৃষ্ণই আমাদের শেষ বেলার এই জীবন সারথির পথে নিয়ে যাবে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
ওয়াও দাদা মহানাম যজ্ঞ অনুষ্ঠানে হরিনাম সংকীর্তন শুনতে গিয়েছেন এটা তো খুবই ভালো ব্যাপার। আমি নিজেও গ্রামে গেলে যদি কোথাও মহানাম যজ্ঞ হরিনাম সংকীর্তন হয় সেখানে ছুটে চলে যায়। সত্যি বলতে হরিনাম সংকীর্তন শোনার মাঝে আলাদা একটি প্রশান্তি আছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দাদা আমি প্রায় সব খানে হরিনাম সংকীর্তন যাওয়ার চেষ্টা করি ৷ জানি না মন কেনো সায় দেয় না ৷ আর মহা নাম শুনলে মনে এক অন্য রকম প্রশান্তি দেয় ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মকামতের জন্য ৷