বাড়ির পাশে বড় শিমুঁল গাছটি ৷৷
আজ ১২ই, ফাল্গুন |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
প্রথমত একটি গান বলতে খুব ইচ্ছে করছে ৷ যে গান হবে এই বসন্তের ফাগুন হাওয়ায় ৷ যে ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান৷ সত্যি যেন বসন্তের এই ফাগুনী হওয়ায় মনের এক অনবদ্য নতুন প্রাণসঞ্চার করছে এই ঋতু৷ এজন্যই হয়তো বা এ বসন্তের ফাগুনি হাওয়ায় মনে প্রেমের এক দোলা দিয়ে যায় দিয়ে যায় মনে এক অফুরন্ত সুখ কিংবা সুখের আশা ৷ প্রিয় মানুষকে ফুল দেওয়া প্রিয় মানুষের সাথে সময় অতিবাহিত করা চারদিকে শুধু ভালোবাসার ছড়িয়ে ছিটিয়ে উজার করে এই প্রিয় ঋতুর বসন্ত কে আলিঙ্গন করা ৷ সবমিলিয়ে এই ঋতুতে আমাদের জীবনে একটা নতুন সুখের কিংবা নতুন প্রেম৷ জীবনে একটা নতুন সুখের আসা জাগিয়ে তোলে এজন্যই হয়তো বা কবি বলেছে৷ ফুল ফুটুক কিংবা না ফুটুক আজ বসন্ত৷ কিন্তু চারিদিকে এই বসন্তের ফাগুনী হওয়ায় শিমুল পলাশ কোকিলের কুহু ডাক আকাশচুম্বি সূর্যের আলোক রশ্মি ধুলো মাখা রাস্তা সবমিলিয়ে প্রকৃতিতে এক নতুন সাজসজ্জা৷
গাছে গাছে নতুন পাতা গজানো এবং কি ফুল ফলের ভরা গাছ গাছালি ৷ প্রকৃতি যেন নতুন রূপে সজ্জিত হয় আর এজন্যই হয়তোবা এই ফাল্গুনী বসন্তের আবহাওয়া নিজেকে উজাড় করে ভালবাসতে ইচ্ছে করে৷
যাহোক আজকে হঠাৎ করেই বিকেলে বেলা স্নান করে খাওয়া করে ৷নহঠাৎ করে বাড়ির পাশের উত্তর দিকের ইয়া বড় শিমুল গাছের দিকে চোখ পড়ল৷ চোখ পরাতেই দেখতে পেলাম গাছে ইতিমধ্যেই অনেক ফুল ফুটেছে সেই সাথে পাখিদের আনাগোনা এবং কিচিরমিচির ডাক ৷ দূর থেকেই পাখিদের এমন কিচিরমিচির তাদের খুনসুটি গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগছিল৷
তবে শুধু দূর থেকেই দেখতেই আর ইচ্ছে করছিল না, ৷ ইচ্ছা করছিল খুব কাছে গিয়ে তাদের এমন সুন্দর মুহূর্তগুলো উপভোগ করি৷ যাহোক এক পা দু পা করি এগিয়ে চললাম শিমুল গাছের দিকে ৷ গিয়ে টপাটপ বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি যদিও বা গাছটি অনেক বড় সাধারণ ফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো খুব একটা ক্লিয়ারলি বা ভালো আসতেছে না৷ তবুও অনেক চেষ্টা অনেক ধৈর্য সময় নিয়ে গাছের চারদিকে ঘোরাঘুরি করছিলাম৷ যে কোন দিক দিয়ে ছবিটি ভালো উঠবে ৷ আর প্রচেষ্টা করার মাধ্যমে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করি৷
আসলে প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্যে যে সুন্দর আর প্রাণবন্ত তার বাস্তব উদাহরণ এই এ বসন্তের ফাগুনি হাওয়ায় শিমুল গাছ টি৷ আমার কাছে তাই মনে হয় যে প্রকৃতি তার রূপ সৌন্দর্য কিংবা পৃথিবীতে এই মানুষ জীবকে সুখ শান্তি কিংবা ভালো রাখার এক অদম্য সৃষ্টি ৷ এই প্রকৃতির রূপ সৌন্দর্যকে বারংবার পরিবর্তন করে থাথাকে৷
যা হোক ছবিগুলো অনেকটা সময় এবং ধৈর্য ধরে তুলেছি ৷রঙিন আকাশে সাদা মেঘগুলো সেই সাথে শিমুল ফুল গুলো বেশ চমৎকার আর প্রানো বন্দর লাগছিল ৷ ফোনের মাধ্যমে বেশ জুম করে ছবিগুলো তোলার চেষ্টা করছিলাম ৷এরপর গাছের নিচে থাকা অনেকগুলো শিমুল ফুল যেগুলো রাস্তার পিষে গেছিল ৷ সবকিছু মিলিয়ে শিমুল গাছের চার দিকটা এমনকি রাস্তার পাশে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল৷ আর প্রকৃতি যে সুন্দর তার বাস্তব উদাহরণ৷
মাটিতে পড়ে থাকা শিমুল ফুল গুলোর মধ্যে একটি ভালো ফুল চোখে পড়ল সেই ফুলটি হাতে নিয়েই ফটোগ্রাফি এবং কি শেষ বিকেলের সূর্যাস্তের সাথে ফটোগ্রাফি করার প্রচেষ্টা ৷ তবে ওই যে আবহাওয়া বিরুপ খুব একটা ভালো ছবি আসছিল না ৷ তবুও চেষ্টা করেছিলাম সব মিলিয়ে বিকেলবেলা বাড়ির পাশে শিমুল গাছের নিচে একটা সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি সেই সাথে ফটোগ্রাফি৷
যেহেতু চলছে বসন্তকাল ফাগুনি হাওয়ায় ভাবলাম আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে শিমুল ফুলের গাছ সেই সাথে ফুল এসব অনুভূতি নিয়েই একটি ব্লগ টি লেখা যায়৷ আর সেই চিন্তাধারা থেকেই আপনাদের সাথে আমার বাড়ির পাশে থাকা বড় শিমুল গাছের ফটোগ্রাফি এবং আমার অব্যক্ত অনুভূতি গুলো শেয়ার করলাম ৷ আশা করি আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে৷
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
ভাইয়া আপনি সেদিন বলেছিলেন শিমুল গাছ নিয়ে পোস্ট লিখবেন আর লিখেও নিয়েছেন দারুন একটি পোস্ট। প্রকৃতি প্রতিটা ঋতুতেই তার নতুন রুপে সেজে উঠে তবে বসন্তকালে সবচেয়ে বেশি তা বুঝা যায়। আপনি শিমুল গাছের খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার হাতে নিয়ে তুলা শিমুল ফুলের ফটোগ্রাফি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা ছোট বেলায় শিমুল ফুল দিয়ে মালা ও ফুলের নিচের অংশ দিয়ে গাড়ি বানিয়ে খেলাধুলা করতাম। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
হ্যা আপু জেনারেল আপনার সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছিলাম ৷ তাই তো ভাবলাম যে ব্লগটি লেখায় যায় ৷
তবে ভালো লাগলো যে আপনার ছোট বেলার শিমুল ফুলের মালা গেথে খেলাধুলা করছেন৷
আসলে শৈশব জীবন অনেক রঙিন ছিল ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামতের জন্য ৷