ডালিয়া তিস্তা ব্রিজ ভ্রমণ ৷৷ পর্ব -২

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

আজ - ১১ই , মাঘ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |



নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।

FILE312.JPG

সবাই কে শুভেচ্ছা অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের নতুন ব্লগ।

কি বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে ডালিয়ার তিস্তা ব্রিজ ভ্রমণ কাহিনী দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে চলেছি । সেদিন আপনাদের মাঝে সেখানকার পরিবেশ এবং কোন জায়গা এবং সেখানকার কিছু পূর্ববর্তী ঘটনা বা সেখানকার সমস্ত কিছু কি স্বচক্ষে দেখেছি এবং কিছু অনুভূতি অনুধাবন শেয়ার করেছিলাম ।আজকের দ্বিতীয় পর্বে আমি শেয়ার করবো আবারো এই ডালিয়া তিস্তা ব্রিজ ভ্রমণের কিছু অনুভব-অনুভূতি শেয়ার করতে চলেছি আশা করছি ।আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে এমনটাই আশা প্রত্যাশা।

আমরা সেদিন সেখানে প্রায় দুপুরে নাগাদ পৌঁছেছিলাম গিয়েই ব্রিজের চারদিকে ঘোরাঘুরি আমি সে দিনে বলেছিলাম যে সেখানকার পরিবেশটা ছিল সুন্দর পরিবেশে যেখানে ছিল এই তিস্তা নদীর পানি আর বাতাসের আদ্রতা এবং কি ঘন সবুজ মাঠ প্রান্তর সব মিলে পরিবেশটা পিকনিক স্পটের জন্য অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ । তার জন্যই প্রতিদিনে প্রায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষের সমাগম করে এবং অনেকেই এখানে এসে পিকনিকের আয়োজন করেছে। প্রতিদিন বেশ মেলার মতো নদীর দুই ধারে ই জমজমাট মেলা বসে থাকি।

IMG20231005161945_01.jpg

FILE312.JPG

ছবিতে নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন যে ব্রিজ কতটা বড় আমার এই মুঠোফোনে ধারণ করা ছবিটি হয়তো খুব ভালোভাবে স্পষ্ট ফুটে উঠে নি। তবে যদি ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তোলা যেত তাহলে হয়তোবা আরো সুন্দর আর ভালোভাবে দেখতে পাওয়া যেত সম্পূর্ণ ব্রিজে ৪৬ টি সুইজগেট অথবা দরজা রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে পানি কখনো কখনো আটকে রাখা হয়। আবার কখনো ছেড়ে দেওয়া হয় তবে বিশেষত বর্ষাকাল সিজনে পানি ছেড়ে দেওয়া হয় । কিন্তু এই বর্তমান মৌসুমে প্রতিটা গেইট লাগানো থাকে । অর্থাৎ যাতে পানিটাকে ধরে রাখা যাবে এবং এই পানির মাধ্যমে শেষ উৎপাদন বা অন্যান্য কাজের মাধ্যম কি সেখানকার অঞ্চলের মানুষ ব্যবহার করে থাকে।

FILE300.JPG

IMG20231005161623_01.jpg

FILE299.JPG

এ সুইচ গেট গুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সবকিছু ইলেকট্রনিকের মাধ্যমেই করে থাকে । সহজ ভাষায় বলতে গেলে গেটের দরজা উঠা নামা সবকিছুই বিদ্যুৎ যন্ত্র দিয়ে ব্যবহার্য এবং এই ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ সবকিছু কাজের মাধ্যম বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন কর্তৃপক্ষ দেখাশোনা করছে। তাইতো প্রতিদিন ২৪ ঘন্টাই এখানে পাহারাদার রয়েছে যাতে অন্যান্য কোন জিনিসের ক্ষতি বা এ পরিবেশ অভিভ্রান্ত সৃষ্টি না হয় । জায়গাটা এত মানুষের সমাগম আর অনেক মনমুগ্ধর পরিবেশে অন্তর্গত । বিশেষ করে বলতে হলে এ জায়গাটি প্রায় বাংলাদেশে সীমানার শেষ প্রান্তে।

FILE228.JPG

FILE234.JPG

FILE275.JPG

FILE248.JPG

নদীর দুই ধারেই অর্থাৎ দুই তিরে মেলা জমে উঠেছে এবং কি সেখানকার পরিবেশটা ছিল বেশ আনন্দমুখর আমরাও যেহেতু কয়েকজন মিলে গিয়েছিলাম তাই সবাই মিলে সেই নদীর ধারে বসে কিছু নাস্তা খাওয়া এবং কি এরপর নদীর পরিবেশের সাথে এক অন্যরকম অনুভূতির নিঃশ্বাস গ্রহণ করা সব মিলিয়ে তিস্তা নদীর নদীর পাড়ে বসে সময় কাটানোর মুহূর্তে সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। এজন্য সবাই মিলে কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম সেদিন।

তবে আমি ঝাল ঝাল দিয়ে ঝাল মুড়ি আর আচার খেয়ে ছিলাম। যদিও খুব বেশি দোকান ছিল না তবে কয়েকটা দোকান ছিল বেশ জমে উঠেছিল ।

FILE194.JPG

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷

ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷

কমিউনিটিআমার বাংলা ব্লগ
ফটোগ্রাফার@gopiray
ডিভাইসrealme 12

লোকেশন

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr673527MWFPCsxERaZquGbUkHMV9WZ5MJwmXkTuv41F5Tq4AiFtFdLYgppcpWVNLwb...45PzVWAMcnH3yQBxf5fXNb4aF4ANTTkpXKaNkmtZGTkGBuPWrd7E3SfVFzVaxiHJgeTsGASc2ZrWcbGiPkcj8D1MPwYnifrMpkxFpyc2eASgEzhaJ8suX7YJTg.png

সবাইকে ধন্যবাদ

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr673527MWFPCsxERaZquGbUkHMV9WZ5MJwmXkTuv41F5Tq4AiFtFdLYgppcpWVNLwb...45PzVWAMcnH3yQBxf5fXNb4aF4ANTTkpXKaNkmtZGTkGBuPWrd7E3SfVFzVaxiHJgeTsGASc2ZrWcbGiPkcj8D1MPwYnifrMpkxFpyc2eASgEzhaJ8suX7YJTg.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPgAaeHkUbVYHQygf4BziFrEyhjgH4bQJyLmky9bKBwALZ2h9iBsdB7ytyweg4...uHceQ2wqRonJz55fzgGqag7VnkZsWa3vJKm5kSf8xjNspoGW6oaborsjArEvvCB78WSgua6TK7Rs6TT1hChtGN8yFUUzAaZhdKYxi64CNUvAFCSmNEKoyvCw6d.gif

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9ms6NJyqDC7SoahBpoJnjzoXmRuaVTHyxffJTSjt3HCAJgZmTWQYSXVqA6yXF9TSJcoosKhzkudZxYGzUmXmso6pY5QuuDF.gif

Sort:  
 9 months ago 

বছর তিনেক আগে আমিও গিয়েছিলাম এখানটায়। দারুন একটা জায়গা। ব্রিজের ওপর বেশ লম্বা সময় কাটিয়ে এসেছিলাম। নদীর পাড়ের মুক্ত বাতাসে মন প্রাণ জুড়িয়ে যায় একদম। ফেয়ার পথে নদীর মাছ নিয়ে ফিরেছিলাম। আঃ কি স্বাদ! পোস্ট টা দেখে ঐ দিন গুলোর কথাই বেশি মনে পড়লো।

আমরা সেদিন সেখানে প্রায় দুপুরে নাগাদ পৌঁছেছিলাম গিয়েই ব্রিজের চারদিকে ঘোরাঘুরি আমি সে দিনে বলেছিলাম যে সেখানকার পরিবেশটা ছিল সুন্দর পরিবেশে যেখানে ছিল এই তিস্তা নদীর পানি আর বাতাসের আদ্রতা এবং কি ঘন সবুজ মাঠ প্রান্তর সব মিলে পরিবেশটা পিকনিক স্পটের জন্য অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ

আপনার এই লেখাটুকু একটু চেক করে দেখবেন। দাড়ি কমার একটু দরকার আছে বোধ হয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 67773.53
ETH 2617.28
USDT 1.00
SBD 2.71