সরকারি কাজ মানেই ভোগান্তি ৷ ৷
আজ ২৩শে, চৈত্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | বসন্ত-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়, আমার বাংলা ব্লগবাসি প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে । চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত ভিন্ন কিছু উপস্থাপন করা আর সেই ধারায় আজকে আপনাদের মাঝে জেনারেল রাইটিং নিয়ে । বলতে গেলে আমার নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা বা বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়েই লেখার চেষ্টা করছি।
আমরা হয়তো ইদানিং সবকিছুই জানছি দেখছি বা বুঝতেছি। বলতে গেলে আমাদের বাংলাদেশ খবর নিউজ পত্রিকা সব জায়গায় ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত। তবে ঢাকা বর্তমান স্মার্ট হওয়ার যে প্রদর্শনী বা কাজ করে যাচ্ছে যেগুলো আমরা দেখছি বা প্রতিনিয়ত চোখে পড়ছে । কিন্তু বাস্তব প্রেক্ষাপট কি আমরা কতটা অনুভব করেছি হয়তো শহরকেন্দ্রিক কিছুটা উন্নত ডিজিটাল বা স্মার্ট এগিয়ে গেছে। কিন্তু গ্রাম্য পর্যায়ে যে এখনো ভোগান্তি বা দালাল কারবারি সেটা আজও যায় নি । যেটা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা বা বাস্তব থেকে বলছি।
তবে দোষ যে শুধু সরকার তা নয় এখানে আমাদের জনসাধারণ থেকে শুরু করে গ্রাম্য ইউনিয়ন পর্যায়ে সব জায়গায় দুর্নীতি আমাদের সাধারণ জনতারাই ।কিন্তু সরকার প্রতিনিয়তই বলছে যে এই ডিজিটাল বা স্মার্ট করার লোককে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ।এবং কি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। কিন্তু আজও কি আমরা সেই কাজ করছি সেটা নিজের কাছে জিজ্ঞেস করলেই অনেকটাই লজ্জা বা খারাপ লাগার কাজ করে।
একটি দেশকে পরিচালনার জন্য সরকার কত কিছু পদক্ষেপ বা ধাপ বা সেক্টর তৈরি করেছে। শুধু দেশকে একটি শান্তি সুশৃংখলভাবে পরিচালনা করার জন্য ।কিন্তু তার বিপরীতে কি হচ্ছে মুখোশের আড়ালে সবকিছুই যেন দালাল আর বেঈমানদের আধিপত্য চারদিকে।
যাক সেসব অনেক কিছুই বললাম এবার আসি আমার বাস্তব প্রেক্ষাপট বা বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে । বেশ কয়েকদিন যাবত ইউনিয়ন পরিষদ অর্থাৎ গ্রাম্য আদালত বলা হয় । যেখানে গ্রামের মানুষ সমস্যা বা জটিল কোন কারণ নেই এই গ্রাম মা আদালতে যাবে। বলতে গেলে সরকার পরিচালনার প্রধান পদক্ষেপ এই গ্রাম্য আদালত। আমি মনে করি যেখানে চেয়ারম্যান ,থেকে ইউপি সদস্য সবাই মিলে এই ইউনিয়ন পরিষদ কে পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু তারাই যখন এসব বড় বড় দুর্নীতি বা জালিয়াতির কাজে লিপ্ত থাকে ।তখন আসলে কিছু বলার থাকে না।
আমি যেহেতু এখনো ভোটার নাগরিকত্ব সনদ লাভ করতে পারে নি । তাই এই নাগরিকত্ব লাভ করার জন্যই কিছুদিন যাবত অনেকে ঘোরাঘুরি কাগজপত্র নিয়ে বেশ ব্যস্ততার মধ্যেই দিন পার করছিলাম। যেহেতু এখন সবকিছু ডিজিটাল তাই সবকিছু ডিজিটাল করার জন্যই বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ছোটাছুটি করছি। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না আর তার প্রধান কারণ হচ্ছে দালাল।
কয়েকদিন ধরেই এই কাগজপত্র নিয়েই দৌড়াদৌড়ির উপরে চলছে। কিন্তু আজও তার সমাধান পেলাম না ।শেষমেষ আজকে করবে কালকে করবে এভাবেই যেন দিনগুলো পার করে নিয়ে যাচ্ছে । তবে শেষমেষ টাকার কাছে ধরা দিল। এখানে অনলাইন আবেদন তাদের পারিশ্রমিক ফি সব মিলে প্রায় এক হাজার টাকা তারা আমার কাছ থেকে আদায় করলো। কিন্তু আজও কি এক হাজার টাকার কাজ করেছে তার প্রমাণ নেই ।
আসলে এটাই বুঝলাম যে আমাদের দেশ যতটা ডিজিটাল বা স্মার্ট দিকে অগ্রগতি নিচ্ছে । ঠিক ততটাই জালিয়াতি দালালের খপ্পরে পড়ছে। আর একটা সময় চারদিকে এই দালাল আর জালিয়াতির বড় পরিসরে বিস্তার লাভ করবে।
যেখানে সামান্য একটি জন্ম সনদ কার্ড ডিজিটাল বা অনলাইন করার জন্য এত কিছু। না জানি বড় বড় কাজের মধ্যে কতটা হয়রানি বা ভোগান্তির শিকার করাবে সাধারণ মানুষদের। অথচ তারা সরকারের নাগের ডগায় বসে তাদের মতো অনুসারে কাজ করে যাচ্ছে।
আর এদিকে সাধারণ মানুষ শুধু ভোগান্তি আর ভগান্তি। আর এজন্যই আমার মতামত বলে যে সরকারি কাজ মানে ভোগান্তির সৃষ্টি । যেখানে কাজ শেষ বা সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে হয়রানি শিকার হতেই হবে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1776977484866871486?t=wwfB9fFwim7MmlNjn0w5LA&s=19
আপনি আজ পর্যন্ত জাতীয় পরিচয় পত্র পান নাই। এদিকে এমন বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে যখন কাউন্সিল ভবন অর্থাৎ ইউনিয়ন কাউন্সিলে উপস্থিত হতে হয় তখন অনেক হয়রানির শিকার হতে হয়। শুধু ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিস বলে নয়, সরকারি বিভিন্ন অফিসগুলোতে ঠিক এভাবে হয়রানির শিকার হতে হয় পাবলিকদের। আর এমন বেশ অনেক অভিজ্ঞতা আমারও রয়েছে।
দিনশেষে এটাই সত্য যে এসব কাজ মানেই ভোগান্তি আর হয়রানি ৷
ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ায় মানে হচ্ছে ভোগান্তির স্বীকার। যত বেশি পারা যায় না গেলেই ভালো হয়। যদিও সরকার অনেক চেষ্টা করতেছেন সবকিছুকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার। তারপরও দেশের আনাচে-কানাচে যেসব গ্রাম্য আদালত গুলো আছেন সেখানে গেলে বোঝা যায় ভোগান্তি কাকে বলে। আপনারা তো কাগজ নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতেছেন। কিছুদিন আগে আমারও এমন অবস্থা হয়েছিল।
আপনিও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন তাহলে ৷ তবে সবকিছু ডিজিটাল আওয়াতায় আনতে পারলে আশা করা যায় ভালো হবে ৷
সব জায়গায় দুর্নীতি ভাই কোন জায়গায় আপনি
সুষ্ঠু বিচার পাবেন না। বিশেষ করে সরকারি কাজে বেশি ভোগান্তি শিকার হতে হয়। যারা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে তারাই আজ জনগণের জন্য বিরক্তির কারণ। ঠিকই বলেছেন দোষ শুধু সরকারের দিলে হবে না আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে। ধন্যবাদ ভাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।
জি এটা ঠিক বলেছেন বর্তমান সময় সবদিকে দুর্নীতি ৷ তবে এটা বলতে পারি সরকার ঠিক ৷ কিন্তু ঠিক নেই কিছু দালাল ৷
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি এর জন্য দায়ী কিছু অসৎ দালাল ।
আসলে এরকম ভোগান্তি সব জায়গায় রয়েছে৷ আমার নিজেরও এরকম ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়েছে৷ আপনি এখন পর্যন্ত জাতীয় পরিচয় পত্র পান নাই৷ ইউনিয়ন পরিষদের কথা তো আর কি বলবো৷ সেখানে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা তো পাওয়া যায়ই না৷ তাদের ব্যবহারও তেমন একটা ঠিক নেই৷ প্রতিনিয়ত তারা যেভাবে মানুষকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে এবং মানুষকে হয়রানির শিকার করছে তা নিবারনের কোন চেষ্টাও করা হচ্ছে না৷
জি এসব কাজ আসলে অনেক ভোগান্তি ৷ সব জায়গায় এখন দালাল ৷
ভাইয়া আপনার মনের দুঃখটা বুঝতে পারছি। আপনি একজন নাগরিক হিসাবে এনআইডি কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। আর সেটা ইউনিয়ন পরিষদ দিতে বাধ্য। অথচ আপনি বার বার যাওয়ার পরেও সেটা করে দিচ্ছে না। আবার আপনি এক হাজার টাকা ঘুষও দিয়েছেন। চিন্তা করেন বড় কোন কাজ হলে কি পরিমান ঘুষ দেওয়া লাগতো। তারপরও আপনার কাজটা হবে কিনা তার কোন শিউর নেই। এটাই স্মার্ট বাংলাদেশ। ধন্যবাদ তাদের দূর্নীতি তুলে ধরার জন্য।
জি ভাই অনেক দুঃখের বিষয় তা বলতেই হয়৷ কত কিছু করার পর এখনো কাজ টা করতে পারি নি ৷