বিকেল বেলা করতোয়া নদীতে কাটানো মুহূর্ত ৷৷ কাঠের ব্রিজ
আমার বাংলা ব্লগে
আজ ১৯শে, ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং
বাংলা ০৬ ই ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ||
যা হোক আপনারা সবাই আশীর্বাদ ও দোয়া করবেন যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারি ৷ অনেক অসুস্থ মধ্যেও আপনাদের মাঝে একটি নতুন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির ৷ আশা করি সবার অনেক ভালো লাগবে ৷ এমনটাই আশা প্রত্যাশা রেখে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ ৷
গত শুক্রবার ছুটির দিন ছিল যদি আমি কোথাও খুব একটা বাইরে ঘোরাফেরা করি না ৷ তবে মাঝেমধ্যেই ছুটির দিনগুলোতে বাড়ির আশেপাশেই বেশ কিছু জনপ্রিয় জায়গা যেগুলোতে আমি প্রতিনিয়তই গিয়ে সময় অতিবাহিত করি ৷ হয়তো আপনাদের মাঝে কিছুদিন আগে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম৷ যেখানে ছিল করতোয়া নদীকে ঘিরে ৷ প্রতিনিয়তই করতোয়া নদীতে গিয়েই বেশি সময় অতিবাহিত করি ৷
নদী আমার অনেক প্রিয় আর নদীতে গিয়ে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে ৷ তবে সবচেয়ে বেশি সময়
যখন মন খারাপ থাকে ৷ কোন কারণে যদি মন খারাপ থাকে কিংবা শরীর অসুস্থ থাকে ৷ তখন নদীর পাড়ে গিয়ে একটু সময় পার করি ৷ আর তখন অনেকটাই মনটা হালকা ও সুস্থবোধ লাগে ৷ জানি না কেন তবে নদীতে গেলেই আমার মনটা অনেকটাই নীরব আর শান্ত হয়ে যায়৷
আর তাই তো আজ এই অসুস্থতার শরীর নিয়েও. বিকেল বেলা গেলাম করতোয়া নদীর উদ্দেশ্যে৷
দুপুরের পরে স্নান করে খাওয়া দাওয়ার পর বিকেল বেলা নদীর দিকে যাওয়ার জন্য মনটা ইচ্ছে করছিল ৷ তাই অসুস্থ তারপরেও চলে গেলাম কারতোয়া নদীর তীরে ৷ কিছুদিন আগেও গিয়েছিলাম তবে সেদিনের চিত্র আর আজকে চিত্র ছিল অনেকটাই ভিন্ন ৷ আপনাদেরকে বলেছিলাম যে নদীর প্রবাহমান গতি আসলে কোনদিকে যায় তার কোন নির্ধারিত দিক নেই
৷ যেমনটা কিছুদিন আগে গিয়ে দেখেছিলাম ৷ তার থেকে একটু পরিবর্তন হয়েছে নদীর গতিপথ৷
যদিও নদীতে খুব একটা এখন পানি নেই ৷ যেহেতু এখন শীতকাল আর বসন্তের সময় চলছে তবুও এই হাঁটু জল এই নদীটার রুপ সৌন্দর্য ধরে রেখেছে ৷ চারিদিকে ধুধু বালুচর আর কিছুদিন আগে যে নদীতে নৌকার মানুষ পারাপার করতো ৷ কিন্তু এখন বালুচর হওয়াতে নৌকা খুব একটা চলা চল করতে পারে না
৷ তাইতো এই চলাচল অব্যাহত রাখতেই নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেটা হলো কাঠের ব্রিজ ৷
প্রায় অনেকটা বড় খাটের ব্রিজ বানিয়েছে ৷ যেখান দিয়ে মানুষ যাতায়াত চলাচল করছে তার নিজ গন্তব্য স্থলে ৷ আসলে নদী এলাকার মানুষ যে কতটা কষ্টের সাথে জীবন জীবিকা চালায় ৷ তা একমাত্র যারা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করছে তারাই জানে ৷ প্রতিনিয়ত তাদেরকে অনেক ঝামেলার মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করতে হয় ৷ উদাহরণস্বরূপ হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনা বা কারো কোন অসুস্থতা ৷ ঠিক সেই মুহূর্তে গঞ্জে গিয়ে বা বাজারে গিয়ে যে ওষুধ বা অন্য কিছু নিয়ে আনবে তার মত কোন ব্যবস্থা নেই ৷ এছাড়াও প্রতিনিয়ত জীবন জীবিকার তাগিতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এসব থেকেও তাদেরকে অনেকটাই হয়রানি শিকার হতে হয় ৷
যদিও আমার বাড়ি নদীর এলাকার থেকে বেশ
অনেকটাই দূরে ৷ তবে অনুভব করি সে মানুষগুলো দিন যাপন গুলো তাদের কাটানো প্রতিটি মুহূর্তগুলো
৷ যেহেতু আমি প্রতিনিয়তই নদীর তীরে এসে সময় অতিবাহিত করি ৷ তাই তাদের চিত্র আর তাদের যে হয়রানির শিকারগুলো তা প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে ৷
যা হোক আজকে বিকেল বেলায় নদীতে গেলেই প্রথমে চোখে পড়লো ইয়া বড় একটা কাঠের ব্রিজ
৷ দেখে অবশ্য অনেক ভালোই লাগলো ৷ দুই দিক থেকে মানুষ যাতায়াত করছে তাদের নিজ নিজ গন্তব্য স্থলে ৷ একজন মানুষ অর্থাৎ যিনি নৌকায় পারাপার করতো আগে ৷ ঠিক সেই ব্যক্তিটিই তবে নৌকার মতো এখানেও তার যাতায়াতের যে খরচ ৷ অর্থাৎ কোন যানবাহন কিংবা মানুষ যে এপার থেকে ওপারে যাবে তার জন্য কিছু টাকার বিনিময় করতে হয় ৷ অর্থাৎ যে ব্যক্তিটি তার টাকার বিনিময়ে এই ব্রিজ টি বানিয়েছে ৷ ঠিক সেই ব্যক্তিটি এই টাকার উত্তোলন করছে ৷ সাথে ছোট্ট একটি ঘর বানিয়েছে যেখানে সে বসে টাকা নিচ্ছে ৷
আমিও সেখানে গিয়ে বেশ সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করলাম ৷ দুই দিকের মানুষের যাতায়াত তাদের নিজ গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো ৷ সেই সাথে আমিও সেই কাঠের ব্রিজ দিয়ে হাঁটছিলাম ৷ আর নদীর সেই খরস্রোত কে অনুভব করছিলাম ৷ নদীর জলটা অনেকটাই নীল আর চকচকে সাথে ব্রিজের বানানোর জন্য যে খুটির ব্যবহার করেছে ৷ সেখানকার যে পানি শব্দটা অনেক ভালো লাগতেছে ৷
আসলে সব মিলে বিকেল বেলার এমন একটি সুন্দর পরিবেশে গিয়ে মনটা অনেকটাই হালকা অনুভূতি লাগলো ৷
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
ভাইয়া আপনার মত নদী আমারও ভীষণ পছন্দের ।এবং বেশ প্রিয় নদীর ধারে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে ।অশান্ত মনটাও শান্ত হয়ে যায় নদীর সুন্দর ঢেউ এবং নদীর পাশের হিমেল হাওয়ার পরশে। ভীষণ সুন্দর লাগছে ফটোগ্রাফিতে, এবং বড় কাঠের সেতুটিও ভীষণ সুন্দর লাগছে ।এটার উপর দিয়ে হাঁটতেও নিশ্চয়ই বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুনে ভালো লাগলো যে আপনিও নদী কে অনেক পছন্দ করেন ৷ এটা সত্যি কথা নদীতে গেলে অশান্ত মনটা শান্ত হয়ে যায় ৷
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
পড়ন্ত বিকেলে নদীর পাড়ে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই।কাঠের ব্রিজটি বেশ লম্বা। এই ধরনের ব্রিজ দিয়ে পার হতে খুবই ভালো লাগে। নদীর পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো। নদীর পারে কাটানো সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাই অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছি নদীতে ৷
বিকেল বেলায় এভাবে ঘুরাঘুরি করার মুহূর্ত সত্যি অন্যরকম হয়। আপনি তো দেখছি বিকেল বেলায় করতোয়া নদীর তীরে ঘুরতে গিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। মনটা একেবারে ভালো হয়ে যায় এভাবে নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে। এই সেতুটির উপর দিয়ে হাঁটতে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগবে। এরকম কাঠের ব্রিজগুলো আমার একটু বেশি পছন্দের। যাইহোক ভালোই ছিল।
হ্যাঁ আপু অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছি ৷ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য ৷
এখন ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে আর এই ঋতু পরিবর্তনের সময় প্রায় সকলেই অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। যাইহোক অসুস্থ থাকলে মনটা তেমন একটা ভালো থাকে না অসুস্থতা মানুষকে অনেক বেশি দুর্বল করে দেয়। অবশেষে মন ভালো করার জন্য আপনি করতে নদীর পাড়ে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি বিকেল অতিবাহিত করেছেন নদীর পাড়ে গেলে সকলেই মন ভালো হয়ে যায়। নদীর পাড়ে গিয়ে আপনি কিছুটা শান্তি অনুভব করেছেন আসলে এটাই আপনার সার্থকতা। ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম ভাই নদীর পাড়ে কি গিয়ে অনেক টা শান্তি কাজ করছিল ৷ বলতে গেলে মনটা ফুরফুরে ছিল
আমি মাঝেমধ্যে বিকেল বেলায় ঘোরাঘুরি করার জন্য বের হই বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি করতোয়া নদীর পাড়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত করে এসেছেন। কাঠের ব্রিজটি কিন্তু খুবই চমৎকার এরকম ব্রিজে উঠতে সবার কাছে ভালো লাগে। আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। আপনার কাটানো মুহূর্তে বেশ ভালোই ছিল তাহলে।
জি ভাই নদী মানেই একটা অন্য রকম প্রশান্তি ৷
এই সময়টাতে আসলে সবারই কম বেশি শরীর খারাপ হচ্ছে। কিছুদিন আগে আমারও তো প্রচন্ড শরীর খারাপ ছিল। যাইহোক আপনার অসুস্থতা তাড়াতাড়ি চলে যাক এটাই কামনা করি।
নদীর পাড়ের মানুষের জীবনযাপন আসলেই খুব করুন হয়। সেটা বন্যার সময়ই হোক বা অন্য কোন বিপদেই হোক। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে।
সময়টা গরম ঠান্ডা মিলে যাচ্ছে যার কারনে শরীর অসুস্থ হচ্ছে ৷ তবে এখন অনেক টা সুস্থ আছি ৷
দাদা সত্য কথা বলেছেন যে নদীর পাড়ের মানুষের জীবন যাপন অনেক করুন ভাবে কেটে যায় ৷