কাঠের ব্রিজ ৷৷ বিকেল বেলা করতোয়া নদীতে কাটানো মুহুর্ত
নমস্কার
তাই এ জীবনকে নিয়ে খুব একটা ভাবতে ইচ্ছে করে না । আবার বলতে গেলে ভাবছি না তা নয় ।ভাবছি তবে সেটাকে খুব একটা সুখের সন্ধান ভেবে নয় ।যেভাবে আছি বা যেভাবে চলছে সেটাকে নিয়েই জীবনকে উপভোগ করতে চাই । কারণ আমরা যে সময়গুলোকে ফেলে অন্য সময় গুলোকে পাচ্ছি সেগুলি আসলে অনেকে ভয়াবহতা রূপ দিচ্ছে। আর এটাই আমি বাস্তব রুপে অনুভব বা অনুভূতি করছি ।তাই সে ফিরে আসা দিনগুলোই মনে হয় ভালো ছিল অনেক অনেক।
আজকে বিকেল বেলা শেষ মুহূর্তে করতোয়া নদীর তীরে ঘুরতে গিয়েছিলাম । কারণ আজকে যেহেতু ছুটির দিন ছিল আর সারাদিনের মৃদু বাতাস আর ঠান্ডার তীব্রতা এতটাই বেশি যে আসলে বলে বোঝানো যাবে না।
যাই হোক সারাদিন বসে থাকার মধ্যে কেমন যেন অনেকটা নিজেকে অস্বস্তি বোধ লাগে মাঝে মধ্যে । তাই এই করতোয়ার নদীর তীরে এসে ছোট্ট একটা সময় অতিবাহিত করি আসি।
করতোয়া এই নদীর তীরে আমি প্রায় প্রতি মুহূর্তে যাই বলতে গেলে যখনই মন খারাপ কিংবা কোন খুশির সংবাদ ভালো লাগা কাজ করে তখনই এই নদীর তীরে এসে এই নদীর সাথে নিজেকে বিলিয়ে দেই । কিছু কিছুদিন আগেই এই নদীর তীরে এসে সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করে গেলাম। কিন্তু এই কয়েকদিনের ব্যবধানে নদীর রূপ যেন অনেকটাই পরিবর্তনশীল।
যেখান দিয়ে নৌকায় করে মানুষের যাতায়াত করতো সেখানে কাঠের ব্রিজ বা সেতু নির্মাণ করে চলাচল করছে । যেখানে পানির পরিমাণ এতটাই ছিল সেখানে আজ হাঁটু জল পরিমাণ পানি আসলে নদীর রুপ সৌন্দর্য প্রতিনিয়তই বদলে যাচ্ছে। এর কারণ বর্তমানে শীত আর বসন্তের আবহে নদীর পানি হাঁটু পরিমাণ আর যার জন্যই নৌকা চালানো কোন পক্ষেই সম্ভব নয়। কারণ বালির চর পরার জন্য নৌকা সম্ভবপর নয় ।আর তার জন্যই বিপরীত চিন্তা ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কাঠের ব্রিজ নির্মাণ।
নদী তার রুপ সৌন্দর্য প্রতিনিয়তই বদলাতে থাকে ।কখনো গতিপথ বদলে ফেলে ঘরবাড়ি চাষাবাদ জমি কে তুলিয়ে নিয়ে যায় আবার কখনো হয়ে থাকে অনেক অবাধ জমে থাকা চর ।
নদীর তীরে আসলে আমার এই কথাগুলো সবচেয়ে বেশি মনে প্রশ্ন জাগে । বিশেষ করে এই নদীর মানুষের জনজীবন দেখে তারা প্রতিনিয়তই নদীর সাথেই তাদের জীবনকে মেনে নিয়েছে । তাইতো প্রতিনিয়তই এই নদীকে পার হয়ে হাট বাজার করা কিংবা প্রয়োজনীয় দরকার কিংবা কাজের জন্য এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছানো প্রতিনিয়ত যেন এই নদীকে আলিঙ্গন করেই চলেছে । কেউ আবার তাদের জীবন জীবিকার তাকে হিসেবে এই নদীকে বেছে নিয়েছে। কারণ নদীতে থাকা প্রচুর পরিমাণে চুনা পাথর উত্তোলন করে আর এই পাথর বিক্রি করে তাদের জীবন জীবিকা বা পরিবারের একজন কর্মকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।আবার কেউবা মাছ ধরে সেই মাছ বিক্রি করে তার পরিবারের একজন কর্মক্ষম মানুষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে জীবন যেখানে যেমন তার বাস্তব রূপ যেন এই নদীর আশেপাশের জনজীবনের চিত্রগুলো দেখেই মনে হয়।
আসলে জীবনকে থামাবার মতো কোন জিনিস নেই ।তাই প্রতিনিয়ত জীবনকে অতিবাহিত করার জন্য যে যেমনই হোক না কেন নিজেকে প্রতিনিয়তই চালিয়ে বা মানিয়ে নিয়েই চলছে ।আর এটাই বাস্তব আর যাই হোক বাস্তবতাকে প্রতিনত মেনে নিতেই হবে।
সর্বোপরি এই ছিল আমার আজকে বিকেল বেলা করতায়া নদীর তীরে কাটানো মুহূর্ত আলোকচিত্র ৷ সেইসাথে এই নদীর জনজীবন নিয়ে য়ে আমার অনুভব-অনুভূতির প্রকাশ৷
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1750914129148420579?t=aKer9lAD_UL_nCitbRjZHw&s=19
আপনার প্রথম দিকের কথাগুলো আমাকে বেশ ভাবালো, বেশ দারুন বলেছেন আপনি। সত্যি বলতে এখন সময়টা খুবই জটিল হয়ে গেছে যাই হোক কাঠের বিরিজের এই জায়গাটা কিন্তু খুবই সুন্দর, বেশ মনোরম একটা পরিবেশ মন ভালো করে দেয়ার মত।
পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতির মাঝে করতোয়া নদীতে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বিকেল বেলা করতোয়া নদীতে দুর্দান্ত মুহুর্ত উপভোগ করেছেন। কাঠের ব্রিজ সত্যিই বেশি দারুণ। চারিদিকে পরিবেশ সত্যি অনেক সুন্দর। আসলে এমন প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর অনুভূতি অনেক দুর্দান্ত হয়ে থাকে। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ছুটির দিনে বিকেলবেলা করতোয়া নদীতে দেখছি ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। কাঠের ব্রিজ টা দেখে সত্যি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেক বড় একটা কাঠের ব্রিজ এটি। বিকেল বেলায় এরকম জায়গায় গেলে ঠান্ডা বাতাস হওয়ারই কথা কারণ এখন প্রচন্ড শীত। তবে এরকম সৌন্দর্য উপভোগ করতেও আবার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার কাটানো এই সুন্দর মুহূর্তটা সত্যি অনেক ভালোভাবে উপভোগ করলাম। মাঝে মাঝে এরকম ভাবে ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে।
একদম আপু করতোয়া নদীতে কাটানো মুহুর্ত টা দারুন ছিল ৷আর বিকেল বেলার পরিবেশটা বেশ চমৎকার ৷
বিকেলবেলা ঘোরার মজাই আলাদা। এই শীতকালীন সময়ে যখন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় তখন তো আর কিছুই বলার থাকে না৷ খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত অনুভব করা যায়৷ আপনিও করতোয়া নদীর তীরে ঘুরতে গিয়েছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ এই কাঠের ব্রিজটি খুব সুন্দর এবং এটি অনেকটাই বড়৷ আমাদের এখানেও একটি কাঠের ব্রিজ রয়েছে৷ সেখানে আমরা একদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানেও আমাদের খুব ভালো লাগছিল৷ আজকে আপনার এই পোস্টটি দেখেও আবার ওই ব্রিজের কথা মনে পড়ে গেল৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।
হুমমম ভাই বিকাল বেলা এসব জায়গা ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লাগে ৷ বিশেষ করে প্রকৃতির রুপ সৌন্দর্য সত্যি অসাধারণ ৷
আসলে ছুটির দিনে এরকম জায়গা গুলোতে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আর এরকম কাঠের ব্রিজ সামনে থেকে দেখার মজাই আলাদা। তবে আমাদের বাড়ির পাশে এরকম একটি কাঠের ব্রিজ ছিল। অতিরিক্ত পানির সুতে ওই ব্রিজ নষ্ট হয়ে গেছে। তবে আপনার এই ব্রিজটি অনেক বড়। আর এখন ঠান্ডা এই কারণে বিকেলবেলা এসব খোলামেলা জায়গার মধ্যে গেলে একটু ঠান্ডা লাগে। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে নদী আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ভাই ৷ আর বর্তমান সময়ে নদীতে খুব বেশি জল নেই ৷ এই জন্য কাঠের ব্রিজ নির্মান করে মানুষ যাতাযাতে করছে ৷
ধন্যবাদ
বিকেলবেলা এরকম জায়গাগুলোতে ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। আর কাঠের ব্রিজ দেখতে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। তবে এই ব্রিজ দেখতেছি অনেক বড়। তবে এই ব্রিজগুলো অনেক রিক্স। আর আপনার পোস্ট পড়ে বোঝা যাচ্ছে খুব ভালোই সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে কাঠের ব্রিজ দেখার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুমমম কাঠের ব্রিজটি বেশ বড় ৷ আসলে নদী তো অনেক বড় ৷ আর এখন জল অনেক কম তাই নৌকা চালাতে পারে না ৷যার জন্য এমন কাঠের ব্রিজ নির্মান ৷