স্মৃতির পাতায় পিকনিক কর্ণার তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো
আজ - ১৪ই জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, |
গ্রীষ্ম-কাল |
গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়, আমার বাংলা ব্লগবাসি আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন ।এবং প্রতিনিয়তই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই রয়েছেন। আমি ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং কি আপনাদের আশীর্বাদ দ কামনায় বেশ ভালোই আছি ।তবে অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই দিনযাপন করছি ।তাই খুব একটা সময় কিংবা এক্টিভিটিস রাখতে পারতেছি না পুরো প্ল্যাটফর্ম জুড়ে। তবুও শত ব্যস্ততার মাঝেও আমার বাংলা ব্লগ পরিবার ভালবাসার টানে প্রতিনিয়তই চেষ্টা করছি নিজের সর্বোচ্চ ক্রিয়েটিভি কাজে লাগিয়ে আপনাদের সাথেই থাকার।
যাই হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে। আসলে ব্লগ মানে হলো নিত্য নতুন কিংবা নতুন কিছু ।অনেকদিন ধরে ব্যস্ততা থাকার জন্য খুব একটা নিত্য নতুন ব্লগ আপনাদের মাঝে উপহার দিতে পারেনি ।তবে স্মৃতির পাতায় জুড়ে থাকা অনেক কিছুই গ্যালারিতে ভর্তি ফটো ফ্রেম রয়েছে । যেগুলো দেখলেই সেই পুরনো দিনের মুহূর্তগুলো স্মৃতিগুলো ঘটনাকাহিনী গুলো মনে পড়ে ।তাই তো ঠিক আজকেও সেই পুরনো ফটো ফ্রেমের গ্যালারিতে বন্দি থাকা ছবিগুলো দেখা মাত্রই সেই সময়ের অনেক স্মৃতি মনে পড়ল।
তাইতো ঝটপট ভেবে নিলাম যে আজকের ব্লগে না হয় পুরনো কিছু স্মৃতি জুড়েই লেখা যাক।। আমি বরাবরই বলে থাকি যে ছবি মনের অনেক কথা লুকিয়ে রাখে ।কিংবা ছবি হলো সেই স্মৃতি সেই সময়ের কাটানো মুহূর্ত সে সময় ঘটে যাওয়া ঘটনাবলী পুঙ্খানু বিবরণী অনেক কিছুই মনে করা একমাত্র ছবি দেখেই ।
যাও হোক আজকে ব্লগে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো কিছুদিন আগে বেড়াতে যাওয়া এক ডাক- বাংলো পার্কে কাটানো ছোট্ট কিছু মুহূর্ত ।
মূলত কিছুদিন আগে রমজান ঈদে বেড়াতে গিয়েছিলাম পঞ্চগড় জেলার বিখ্যাত ডাকবাংলো তেতুলিয়া পার্ক ।। যেখানে বিভিন্ন উৎসবে আয়োজনে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে । আর জায়গাটা বেশি নিরিবিলি আর সুন্দর পরিবেশের অন্তর্গত। বিশেষ করে শীতের দিনে এই ডাক বাংলো তে অনেক মানুষের আনাগোনা । কারণ শীতের মুহূর্তে ঠিক এখান থেকেই কাঞ্চনজঙ্গা পাহাড় দেখার সৌভাগ্য মিলে।
যাহোক আমরা ঈদের তৃতীয় দিনে অনেক বন্ধুবান্ধব মিলেই ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই ডাকবাংলাতে । আর সে ডাকবাংলো থেকে কাটানো মুহূর্ত ছিল অসাধারণ ।সেইসাথে ডাকবাংলাতে ছিল বিভিন্ন রকম আলোকচিত্র যেগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।
বাংলো তে প্রতিটি আলোকচিত্র ছিল গ্রাম বাংলার দৃশ্যপট । যেখানে মা তার সন্তানকে কলে নিয়ে কাজ করা ব্যস্ত, এদিকে রাখাল কাস্তে লাঙ্গল কাধে নিয়ে দাঁড়িয়ে । আবার আরেক দিকে রাখাল রাজা তার গরুর গাড়িকে নিয়ে চলছে আসলে প্রতি আলোকচিত্র ছিল গ্রাম বাংলার দৃশ্য পট। একটা সময় গ্রামবাংলা এসব প্রতিনিয়তই চোখে পড়তো। গরুর গাড়ি লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এমনকি গ্রামের সেই বধু বা রমণী মাথায় ঘোমটা বেঁধে সন্তানকে কোলে নিয়েই সংসারের জীবনের কাজ । আবার পালকির প্রচলন ছিল ।
কিন্তু এখন সময়ের ব্যবধানে অনেক কিছুই পরিবর্তন ।
এসব আলোকচিত্র দৃশ্যপট গুলো দেখে এখনো সেই পুরনো দিনের স্মৃতির স্তব্ধ সোনালী দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। যেগুলো হয়তো এখন আর চাইলেও ফিরে পাবো না । কিন্তু একটা সময় ছিল গ্রাম বাংলার জীবন জীবিকার প্রধান।।
যাহোক সেদিন ঈদের তৃতীয় দিন যাওয়াতে বেশ জমজমাট মেলা বসেছিল ।। বলতে গেলে প্রায় প্রতিদিনই সেখানে মেলা বসে থাকে । বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট যেখানে সবচেয়ে বেশি খেলনা জাতীয় জিনিসপত্রই বিক্রি হয়ে থাকে।
সব মিলিয়ে এই আলোক চিত্রগুলো দেখেই অনেক ভালো লাগে । তাই তো আজকে অনেকদিন পর ফটো ফ্রেমে গ্যালারিতে বন্দি থাকে ছবিগুলো দেখেই অনেক কিছু মনে পড়লো। তাই ইচ্ছে করলো আপনাদের মাঝে এসব নিয়েই আজকের উপস্থাপনা তৈরি করি।
যাহোক প্রিয় বন্ধুগণ এই ছিল আমার আজকের পুরনো ডাকবাংলো থেকে কিছু আলোকচিত্র সেইসাথে আমার অনুভূতি। আশা করি সবারই অনেক ভালো লেগেছে এমনটাই আশা প্রত্যাশা ব্যক্ত রেখে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি । আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি।
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
প্রথমেই দোয়া করি নিয়মিত যাতে কাজ করতে পারেন।
পঞ্চগড় জেলার বিখ্যাত ডাকবাংলো তেতুলিয়া পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলেন আর আমাদের জন্য চমৎকার সব ছবি তুলে এনেছেন। প্রথম ছবিটি দেখে আমি বেশ অবাক হয়ে গেলাম। সবগুলো ছবি এবং পুরো অনুভূতি দারুন ছিল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই তাই যেন হয় প্রতিনিয়ত কাজ করতে পারি ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য ৷
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1662871388779319296?t=diqDiqJgVXoL3T2JvIxnUQ&s=19
কর্ণার তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো তে খুব চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। স্মৃতির পাতা থেকে আজকে অনুভূতি গুলো চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার অনেক কিছু মনে পড়ে গেল নিশ্চয় বাংলো তে কাটানো মুহূর্ত গুলো বারবার মনে পড়তেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। চমৎকার কারু কাজ সম্পূর্ণ ভাস্কর্য বেশ অসাধারন লাগছে। এত চমৎকার ভ্রমণ কাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাই অনেক সুন্দর মূহুর্ত অতিবাহিত করেছি ৷ আর সেইসব সৃতি অনেক মনে পড়ে ৲৷
ভাইয়া আপনি পিকনিক কর্নার তেতুলিয়ার অনেক রকমের ভাস্কর্য আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। আপনার দেওয়া ভাস্কর্যগুলো দেখে পুরনো দিনের ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। সবগুলোই আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাই ভাস্কর্য আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য ৷
বাহ আপনি তো দারুন একটি স্মৃতি শেয়ার করলেন ব্লগের মাধ্যমে দেখে তো অনেক ভালো লেগেছে। তেঁতুলিয়ার এ পার্কটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে বিশেষ করে অনেক সুন্দর সুন্দর ভাস্কর্য ছিল যেগুলো গ্রাম বাংলার অনেক ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। সব বন্ধুরা মিলে ঈদের তৃতীয় দিন ঘুরতে যেয়ে তো অনেক আনন্দের সময় কাটালেন অনেক ভালো লেগেছে।
পুরনো গ্যালারি থেকে ফটো গুলো দেখে অনেক কিছু মনে পড়ছিল ৷ তার জন্যই ভাবলাম শেয়ার করি৷ ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ৷