কাকতাড়ুয়া !!! @shy-fox 10% beneficiary
আজ - ১৯ই, কার্তিক |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল ||
নমস্কার - আদাব । মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
নমস্কার - আদাব । মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
সু-প্রভাত,
আজকে আপনাদের মাঝে একটি নতুন হাস্যকর এবং কি মজার টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি৷ আপনারা হয়তো সবাই পোষ্টের হেডলাইন বা শিরোনামটি দেখেছেন৷ তো প্রথমেই সবাইকে বলছি আপনারা হয়তো এই ছবিটি কে চিনে থাকবেন ৷ আর যদি কেউ চিনে না থাকেন তাহলে তো কিছু করার নেই ৷ আর জানার জন্যই আপনাদেরকে এই পোস্টটি পড়তেই হবে তাহলেই আমার মনে হয় সবকিছু বুঝতে পারবেন ৷ হিহিহি !!! যাহোক এই ছবিটিকে কাকতাড়ুয়া বলে যদিও শহরের মানুষ হয়তোবা এ নামটি শুনেছে কিনা বা দেখেছেম সেটা আজও আমার সন্দেহ৷ তবে যারা গ্রামে বড় হয়েছে বা গ্রামের মানুষ তারা এমন কোন ব্যক্তি নেই যে এই কাকতাড়ুয়াকে চিনে না ৷
আসলে কাকতাড়ুয়া গ্রামের মানুষ কোনো চাষাবাদ জমিতে খের খুটো পুরনো ছেঁড়া জামা কাপড় কিংবা মাটির তৈরি পাতিল হাড়ি দিয়েই কাকতাড়ুয়া বানিয়ে থাকে ৷ আর যেটা চাষাবাদ জমির মাঝখানে গিয়ে বাসের খুঁটি পুতে বেঁধে রেখে ঝুলে রাখে৷
এখন হয়তো আপনাদের মনে সবার প্রশ্ন জাগবে যে এই কাকতাড়ুয়া কি এবং কাকতাড়ুয়া চাষাবাদ জমিতে কৃষক কেন ব্যবহার করে ??
বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে আসলে গ্রামের কৃষক তো জমিতে নানান ধরনের ফসল ফলায় ৷ এছাড়াও কিছু জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি যেমন বর্তমানে শীতের মৌসুম বলতে গেলে ৷ পাট শাক লাল শাক মূলা ধনেপাতা কিংবা আরো নানা ধরনের শাক সবজি চাষ করে ৷ আর এই শাকসবজিতে পোকামাকড়ের উপদ্রব অনেক বেশি থাকে যদিও আগের মানুষের খুব একটা কীটনাশক ব্যবহার করে নি ৷ তখন ঐ গ্রামের মানুষজন ভাবছিলো মানুষের মতো একজনকে দাঁড়িয়ে রাখলে হয়তোবা কোন পোকামাকড় বা পাখির উপদ্রব থাকবে না৷ যাতে ফসলটি সুরক্ষা পায় আর যার জন্যই শেরা জামা কাপড় প্যান্ট কিংবা মাটির তৈরি হাঁড়ি পাতিল দিয়ে মানুষের মতো বানিয়ে মতো বানিয়ে জমির ঠিক মাঝখানটায় বাস পুতে রেখে সেখানে বেঁধে দাঁড় করিয়ে রাখি যেটাকে কাকতাড়ুয়া বলে৷ যদিও কাকতাড়ুয়া অনেক সুন্দর এবং কি ভয়ঙ্কর এর মতো লাগে ৷ অনেকে আবার কি করে কালো পোশাক পরিয়ে দেয় প্যান্ট প্যান্ট পরিয়ে মাথায় হাড়ি দিয়ে সেখানে কাজল দিয়ে অনেকটা বড় বড় চোখ মুখ এঁকে দেয়৷ যদিও এই কাকতাডুয়ার মধ্যে তা আমি লক্ষ্য করিনি ৷ এটি একটি সাধারণভাবেই বানিয়ে রেখেছে৷
আসলে গ্রামের মানুষের সেই ধারনাটি সত্যি যে কার্যকর তা আসলে ই সত্য ৷ যেটা আমি নিজে সেটা অভিজ্ঞতা পেয়েছি ৷ কারন আমার গ্রামের আশে পাশের মানুষ জন তাদের চাষবাদ জমিতে কাকতাড়ুয়াকে দার করিয়ে রাখে ৷ আমি আবার মাঝে মাঝে ভাবি যে আগের মানুষের জন জীবন আসলে কেমন ছিল ৷ তাদের চিন্তাধারা জ্ঞান-বিজ্ঞান সবকিছুই কেমন যেন অন্যরকম ছিল৷ যদিও বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সেগুলো আর খুব একটা মান্য কোনভাবে ব্যবহৃত হয় না তবে গ্রামের কিছু কিছু অংশে এখনো সেই পুরনো কিছু কালচার ঐতিহ্য আছে বলেই গ্রামকে এতো ভালো লাগে৷ আসলে যে কাকতাডুয়া টি দেখছেন এটা আসলে আমার বাবা কলা জমিতে দিয়েছেন ৷ যদিও আমি তবে গতকাল বিকেল বেলা কলা জমিতে গিয়ে দেখি কাকতাড়ুয়া ৷ তাই ভাবলাম যে আমাদের মাঝে কোন একদিন একটি ব্লগ উপস্থাপন করবো ৷
আসলে এই কাকতাড়ুয়া নিয়ে আমার অনেক ঘটনা আছে ৷ সেটা যদিও সেই ছোট্ট বেলার ঘটনা ৷ আমি যখন ক্লাস টু পি থ্রি সেই সময়ে ককতাড়ুয়া দেখে ভয় আতংক পেয়েছিলাম ৷ এবং সেই আতঙ্কে আমার প্রায় চার থেকে পাঁচ দিন পর্যন্ত জ্বর হয়েছিল ৷ আসলে যখন প্রথম আমি কাকতাড়ুয়া দেখেছিলাম ৷ তখন কাকতাড়ুয়া টি অনেক ভয়ংকর এবং কালো মচমচে ছিল ৷ আসলে ছোটবেলা তো প্রাইভেট পড়া তো আমি সন্ধা নাগাত বাড়ি ফিরি ৷ প্রায় যে পথ দিয়ে যাই সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করি৷ কিন্তু হঠাৎ একদিন দেখলাম যে রাস্তার পাশেই জমিতে যেন কাকতাড়ুয়াকে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল ৷ যদিও আমি এটা জানতাম না কিন্তু সেদিন সন্ধ্যায় আসার পথেই হঠাৎ করে চোখে পড়ল সেই বিষণ্যক ভয়ানক কি কালো মচমচে আমি তো দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার মেরে দৌড়ে বাড়ি এসেছিলাম ৷ সে বিষয় নিয়ে আরেকদিন বিস্তারিত লিখব৷ যদিও খুব বেশি পোস্ট বড় করা যাবে না৷ তাহলে হয়তোবা আপনারা বিরক্তি বোধ করবেন তাই আজকের মত এখানেই শেষ করছি৷
আজকে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা গ্রামের বন্ধুদের নিকট শরণাপন্ন হচ্ছি ৷ যে আসলে তাদের গ্রামে এসব কাকতাড়ুয়া প্রচলন আছে কিনা৷ যদি মন্তব্য করেন তাহলে হয়তো আরও ভালো হবে আমি বুঝতে পারতাম৷ এটা নিয়ে সবার কি অভিজ্ঞতা তা মন্তব্য করে জানাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ৷
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!!!
Device: realme12
@gopiray
♥ সবাইকে ধন্যবাদ♥
♥ সবাইকে ধন্যবাদ♥
অনেকদিন পর কাকতাড়ুয়া বেখলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। তবে এখন মনে হয় পাখিরাও অনেক চালাক হয়েগেছে। পাখিদেরকে আমি কাকতাড়ুয়ার উপর এসে বসতে দেখেছি। আপনার লেখার স্টাইলটা বেশ ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল।
আসলেই ভাই পাখি গুলো এখন চালাক হয়েছে ৷ খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ৷
কাকতাড়ুয়া এখন এত বেশি দেখা যায় না। রাত্রিবেলায় এটিকে দেখতে খুবই ভয়ঙ্কর লাগে আমার কাছে। অনেকদিন পর দেখলাম কাকতাড়ুয়া। দেখে তো খুবই ভালো লাগলো। আপনার ছোটবেলায় কাকতাড়ুয়া দেখে ৪-৫ দিন পর্যন্ত জ্বর ছিল এটা শুনে একটু অবাকই হলাম। খুবই ভালো ছিল আজকের পোস্টটি।
রাত্রিবেলা কাকতাড়ুয়া দেখে সত্যি অনেক ভয় লাগে ৷ আর যার কারনে আমি ছোট বেলায় দেখে ৫দিন জ্বর এসেছিল ৷
আপনি কাকতাড়ুয়াকে নিয়ে খুবই চমৎকার কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আসলে শহর অঞ্চলের মানুষ এগুলোকে ভালোভাবে না চিনলেও যারা গ্রাম অঞ্চলে থাকে তারা খুব ভালোভাবেই এটাকে চেনে। ফসলে জমিতে ইঁদুর এবং পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেলে এই কাকতুয়া তৈরি করে বেধে দেওয়া হয়। ছোটবেলায় দেখতাম আমার আব্বু যখন গম বপন করত তখন গমের জমিতে এরকম কাকতাড়ুয়া তৈরি করে পুতে দিত এতে করে শালিক তেমন একটা পড়তো না। অনেকদিন বাদে এরকম কাকতাড়ুয়া দেখলাম খুবই ভালো লাগলো।
হুম শহরের মানুষ খুব বেশি জানেন না ৷ তবে গ্রামের সবাই কাকতাড়ুয়া ভালোই চিনে ৷ যা কৃষক জমিতে ফসলকে সুরক্ষা করতে বাশের সাথে বেধে রাখে ৷
ধন্যবাদ ভাই
ছোটবেলা আমি নিজেও বেশ কয়েকবার কাকতাড়ুয়া দেখে ভয় পেয়েছিলাম। একপর্যায়ে কাঁকতাড়ুয়া এর ভয়ে আমি তো একা একা মাঠেই যেতাম না। কাঁকতাড়ুয়া নিয়ে আপনি যে আলোচনা গুলো করেছেন তার সবই প্রায় আমার জানা। এছাড়া আপনি বেশ সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
তাই বুঝি আপনি ও তাহলে কাকতাড়ুয়া সম্পর্কে বেশ ভালো জানেন ৷ শুনে ভালো লাগলো যে ভয়ে মাঠে যেতে চান না ৷
ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য ৷
অনেকদিন পরে কাকতাড়ুয়া দেখলাম।
আমার ব্যক্তিগত যে মতামত সে অনুসারে যদি বলি তাহলে কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে জমিতে যেন পাখি বসে ফসল খেয়ে না যায় এই জন্যই কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করা হয়। গম এবং ধান জন্মানোর ক্ষেত্রে এগুলা বেশি ব্যবহার করা হয় তবে আমাদের দেশে কলার বাগানে কাকতাড়ুয়া দেখা যায় না।
ভাই আমাদের এই দিকে কলা ক্ষেতেও দেয় ৷ বলতে কৃষক সব চাষাবাদ জমিতে ব্যবহার করে ৷
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই ৷
কাকতাড়ুয়া, আমি ছোটবেলা বাড়িতে গেলে ফসলের মাঠে দেখতাম। আমার বেশ ভালোই লাগতো। আমার মনে হয় জমিতে পাখি বা কাক এসে যাতে ফসলের ক্ষতি না করতে পারে, এজন্য মানুষের আকৃতি করে কাকতাড়ুয়াকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পোস্টটি পড়ে ছেলেবেলায় চলে গিয়েছিলাম।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
হুম আপু পাখি পোকা-মাকর যাতে না আসে তার জন্যই কাকতাড়ুয়া জমিতে আড়ের মতো পুতে রাখে দাড় করিয়ে দেয়৷
আমার মামার বাড়ি গ্রামে। তাই এই কাকতাড়ুয়ার সাথে আমি ভালো ভাবে পরিচিত। একবার যা ভয় পেয়েছিলাম এ জিনিস দেখে তা বলার মত না। আপনার মতই আমারও অভিজ্ঞতা। তবে আমার জ্বর আসে নি।আমি যদিও প্রথম টিভিতে একটা সিনেমা তে দেখেছিলাম কাক তাড়ুয়ার ভএতর একটা আত্মা ঢুকে গিয়ে সবাই কে ভয় দেখাচ্ছে। সেই থেকেই আমার মনে ভয়ের জন্ম।
তাই আপনার আপনার মামার বাড়িতে এসব কাকতাড়ুয়া তাহলে দেখছেন ৷ আপনিও আমার মতো ভয় পেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো ৷
ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্য করি জন্য ৷