শীতকালে কিছু যন্ত্রণা !!! @shy-fox 10% beneficiary
আজ - ১৮ই, অগ্রহায়ণ |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল |
নমস্কার - আদাব ৷ মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন৷
নমস্কার - আদাব ৷ মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন৷
কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : Pixabay Images
আমরা সবাই জানি যে আমাদের বাংলাদেশের ছয়টি ঋতুর বিদ্যমান ৷ এবং এই ছয়টি ঋতুতে একেক সময় একেক রূপে আমাদের প্রকৃতি আমাদের মাঝে হাজির হয়৷ এবং কি তার সৌন্দর্যরূপ লীলা আমরা উপভোগ করি প্রতিনিয়ত ৷ হয়তো সবাই ভিন্ন ঋতু কে ভালো লাগে বলতে গেলে একেকজনের কাছে একেক ঋতু ভালো লাগে এটাই স্বাভাবিক ৷ কারো হয়তো বা শীতকাল ভালো লাগে আবার কারো হয়তো বর্ষাকাল ৷ তবে আমার মতে বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু প্রতিটি ঋতুই ভিন্ন ভিন্ন রূপ সৌন্দর্য লীলাভূমি আমাদের মাঝে হাজির হয়৷ তাই আমার কাছে প্রতিটি ৠতুই অনেক ভালো লাগে ৷ কারণ প্রতি ৠতেই এককে রকম অনুভূতি পেয়ে থাকি ৷
তবে আবার আরেকটু দিক দিয়ে বিবেচনা করলেই সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে এই শীতকাল সময় টাই৷ সেটা হয়তোবা অধিকাংশ মানুষজনেরই ৷ শীতকালের দিনে প্রতি সময়ের জন্য পরিপাটি ৷ এই সময়টাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এমন কি পোশাক সব দিক দিয়ে যেন এক অন্যরকম অনুভূতি ৷ আবার প্রকৃতির অন্যান্য রূপ শীতকালের সময়টাতে শৈশবের মুহূর্ত গুলো কাটে অনেক আনন্দে ৷ পরীক্ষা শেষে আত্মীয় মেহমানের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া৷ আবার নতুন হাতে বই পাওয়া স্কুলে যাওয়া নতুন ক্লাসে সব কিছুই যেন অন্য রকম ৷
সোইটার ,জ্যাকেট, মাফলার , অন্যান্য শীতকালীন পোশাক সবকিছু মিলে বেশ ভালোই কাটে দিনগুলো ৷ সেই কুয়াশা ভরা সকাল শীতের পরশ গ্রামের বাড়ি বাড়িতে পিঠা বানানোর ধুম ৷ সকাল হলে গ্রামের মানুষজন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার এক চরম মুহূর্ত ৷ আনন্দগুলো সত্যি অসাধারণ লাগে ৷ যদিও গ্রামে বর্তমান সময়েও এই প্রচলন রয়েছে ৷
তবে শীতকালে সবকিছুই ভালো লাগলেও একটি জিনিস প্রায় কম বেশি সবাইকেই এক যন্ত্রণা অনুভূতি হয়ে থাকে৷ যদিও সেটা হয়তো শহরের মানুষের খুব কম ৷ তবে গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই এ যন্ত্রণা কষ্টের শিকার হতে হয়৷ সেটা হলো ঠোঁট ফেটে যাওয়া কিংবা শরীরের খুশক খুশক ভাব চামড়াগুলো যেন এক অন্যরকম রং ধারণ করে ৷ সব মিলিয়ে শরীর যতই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখি না কেন কেমন যেন ফ্যাকেসা মনে হয়৷
আর এই জিনিসটা গ্রামের মানুষের সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে৷ তবে বিশেষ করে লক্ষ্য করা যায় শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের মানুষগুলোকে এ যন্ত্রণার শিকার বা কষ্টের শিকার হতে হয়৷ কারণ গ্রামে শীতের আদ্রতা সবচেয়ে বেশি থাকার জন্যই এই ঠোঁট ফেটে যাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি হয় ৷ এবং কি মুখের গাল গুলো কেমন যেন ফেটে চৌচির ধারণ করে ৷আর এ ঠোঁট ফেটে কি যন্ত্রণা সেটা হয়তো একবার ফেটেছে তারা হয়তোবা বেশ ভালোভাবে উপলব্ধি করেছে৷ খেতে অসুবিধা কথা বলতে অসুবিধা অসুবিধা বলতে গেলে প্রায় সব দিক দিয়েই কষ্টের শিকার হতে হয়৷
যদিও এখন বর্তমানে এই আধুনিকতার যুগে অনেক ধরনের মেরিল ব্যবহার করছে ৷ তবুও গ্রামে এই ঠোট ভাটা কিংবা শরীরের ফ্যাকেসা রং আবার মুখের গালে ফাটা এগুলো যেন কোন কিছুতেই দূর হয় না৷
আর তাইতো আমি এটাই মনে করি যে শীতের দিনে সবচেয়ে কষ্ট যন্ত্রণার কিছু টপিক হলো এগুলোই৷ হয়তোবা যারা গ্রামে বাস করছে তারা বেশ সবাই উপলব্ধি করেছে ৷ তবে হ্যাঁ এটা অনেকটা ভিটামিন এবং কি প্রোটিনেরও সাথে তারতম রয়েছে৷ আর এজন্যই আমাদের ভিটামিন সি অর্থাৎ টক জাতীয় খাবার সবচেয়ে বেশি খেতে হবে৷ তাহলেই হয়তোবা কিছুটা হলেও এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব ৷ আর যতটা সম্ভব শুষ্ক আদ্রতা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা ৷ অর্থাৎ মুখে যদি আমরা মাক্স ব্যবহার করি তাহলে হয়তো বা এ থেকে মুক্তি পাওয়া গেলেও যেতে পারে ৷ ৷
আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!!
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1599047716327526400?t=-IdR522fLaovnjN1MDOXng&s=19
আমার কিন্তু বেশ ভালোই লাগে শীতকাল। তবে হ্যাঁ একটু আলসে ভাব থাকে। ঠোঁট পাটা, মুখ, হাত, পা এগুলার সমস্যাতে বিদ্যমান তবে বেশি কষ্ট লাগে অসহায় হত দরিদ্র মানুষের জন্য। তারা শীতকালে তাদের জামাকাপড়ের অভাব মেটাতে পারে না। আমরা ঠিকই, সুয়েটর, মাফলার, মোজা ইত্যাদি ব্যবহার করি।😓😓
একদম সঠিক বলছেন আপু দরিদ্র গরিব মানুষদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে ৷
শীত তো একটা মজার ঋতু এটা ঠিকই। তবে তার সাথে এটাও ঠিক সবকিছুর যেমন ভালো দিক আছে ,তেমন সবকিছুরই আবার খারাপ দিকেও আছে। শীতের তো খারাপ দিক বেশ অনেকই আছে। এই যেমন হাত,পা ফেটে যাওয়া, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, অনেক তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা হয়ে রাত হয়ে যাওয়া এবং সবথেকে খারাপ দিক তো যাদের সোয়েটার নেই বা কম্বল নেই তাদের জন্য শীত যেন একটা বিভীষিকা।
হুম দিদি বেশি কষ্টে থাকে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরা ৷
আসলে ভাইয়া শীতকাল একদিকে যেমন অনেকের কাছে ভালো লাগে আবার অনেকের কাছে বেশ যন্ত্রণার হয়ে থাকে। তবে ভাইয়া আপনি বলেছেন ঠোঁট ফাটা, হাত পা ফাটা এগুলো শুধু গ্রামের মানুষেরই হয় ।এটা ঠিক নয়। এটি শহরের মানুষেরও হয়। শীতের দিন সবারই শরীরে এটা দেখা যায়।এটা খুবই যন্ত্রণাদায়ক আমার মনে হয় । ঠোঁট ফাটার জন্য ভ্যাজলিন মাখলে ঠোঁটফাটা সেরে যায় এবং গ্লিসারিন হাত পায়ে মাখলেও হাত পা ভালো থাকে ।আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।ধন্যবাদ
শহরের মানুষের ও হয় তবে গ্রামের মানুষ সবচেয়ে বেশি ৷ যা হোক ভালো পরামর্শ দিয়েছেন ৷ ধন্যবাদ আপু
যদিও শীতকাল নিয়ে আপনার লেখা পোস্ট আগেও একটি পড়েছি।তবুও আপনি এতে নতুন একটি বিষয় যোগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো।শীতকাল আমার ও খুবই পছন্দ।তবে ঠোঁট ফেটে যাওয়া এটা মনে হয় সকলকেই যন্ত্রণা দিয়ে থাকে।তবে এখন অনেক উন্নত ব্যবস্থা আছে তার জন্য।তাছাড়া এটি শরীরের জলের ঘাটতির জন্য হয়ে থাকে,তাই জল বেশি করে পান করতে হবে।ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম দিদি ঠিক বলেছেন জল বেশি করে পান করা উচিত ৷ ধন্যবাদ দিদি আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়ার জন্য ৷
সবকিছুরই ভাল আর মন্দ দিক রয়েছে। শুধু ভাল কিন্তু ভাল না। আবার শুধু খারাপ ও কিন্তু মেনে নেয়া যায় না। যাই হোক শীতকালে ভাল লাগা বেশি তবে খারাপ লাগার মধ্যে যা তা আপনার মতো ই আমার। স্কীনের ঝামেলা হয়, এজন্য আসলে ভাল লাগে না।এছাড়া সব ঠিকঠাক। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য ৷