বাংলাদেশের শেষ সীমানা বর্ডার এলাকা ঘুড়তে যাওয়া
আজ - ৭ই জ্যৈষ্ঠ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, |
গ্রীষ্ম-কাল |
গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়,, আমার বাংলা ব্লগবাসি আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন নিরাপদে আছেন ।আর প্রতিনিয়ত এই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে রয়েছেন। এইতো মাত্র কিছুদিন হল গত বৃহস্পতিবার একশত হ্যাংআউট পূর্ণতা পেলো। এটা আবার বাংলা ব্লগবাসির জন্য একটা গর্বের বিষয় ।এরকম আরো অন্যান্য কমিউনিটি আছে কিনা তা অনেকটাই সন্দেহজন ।যা হোক সর্বোপরি এমনটাই প্রত্যাশা প্রতিনিয়তই করি যেন আমার বাংলা ব্লগ যুগ থেকে যুগান্তর এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে ইতিহাস সাক্ষী হিসেবে রয়ে যায় ।
যা হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে । আর চেষ্টা করছি ভিন্ন ধর্মী বা ভিন্ন কিছু নিয়ে উপস্থাপন করা । আজকের ব্লগে আপনাদের মাঝে স্মৃতির পাতায় একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করতে চলেছি ।ইতিমধ্যে হয়তো পোষ্টের টাইটেল কিংবা প্রথম ছবিটি দেখেছেন ।হয়তো ভাবছেন যে আমি ভারতে গেছি । কিন্তু তা আসলে নয় কিছুদিন আগে এ অর্থাৎ বিগত ঈদের সময় প্রায় অনেকজন মিলেই বাংলাদেশ শেষ সীমানা অর্থাৎ বর্ডার এলাকা ঘুরতে গিয়েছিলাম । আর সেখানকার এই কাটানো মুহূর্তগুলো আজ গ্যালারিতে ছবিগুলো দেখা মাত্রই মনে পড়লো। তাই ভাবলাম আজকের ব্লগে আপনাদের মাঝে এসে স্মৃতির পাতায় বাংলাদেশের শেষ সীমানা বর্ডার এলাকায় কাটানো মুহূর্তটা শেয়ার করি ।আশা করছি সবারই অনেক ভালো লাগবে এমনটাই প্রত্যাশা।
উপরে যে তিনটি ছবি দেখতে পারছেন তার প্রতিটি হলো ভারতে ও সীমানায় বিজিবি মোতায়ন করা সেনানিবাস যেখানে তারা তাদের দেশরক্ষী হিসেবে টহল দিয়ে থাকে। মূলত এখান দিয়েই দুই দেশের মানুষের পারাপার হয়। মূলত পাসপোর্ট কিংবা ভিসার মাধ্যমে যাতায়াত করা হয়। যদিও বাংলাদেশের সেনানিবাসের খুব একটা মোতায়ন নেই ।কিন্তু ভারতীয় প্রতিটি সেনা বেশ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে তাদের ডিউটি পালন করছিল। আমরা সেদিন ঈদের তৃতীয় দিন গিয়েছিলাম। যদিও সেখানে যাওয়ার কোন অনুমতি ছিল না। কিন্তু ঈদের কারণেই এই তিন দিন অনেকটাই ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও অনেকটাই কিছু নিয়মকানুন ছিল যেগুলো সাধারণ মানুষের লংঘন করা কোনমতেই উচিত নয়।
ভারত বাংলাদেশ এ দুটি নাম শুনলেই যেন একে অপরের প্রতি এক গভীর নিবিড় ভালোবাসা। যদিও একটা সময় ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তান একটি ভূখণ্ড রাষ্ট্র ছিল। কিন্তু সময়ের তাগিতে আজ তিন তিনটি রাষ্ট্রে পরিণত। কিন্তু সবার চেয়ে ভারত বড় যারা আয়তন জনসংখ্যা সব দিক দিয়েই অনেক বৃহৎ দেশ একটি ।
এখনো অনেক আত্মীয় সজন বন্ধু বান্ধব ভারতে বসবাসরত। প্রতিনতই কথা হয় কিন্তু আর যাওয়া হয় না। তো যাই হোক সে বিষয়ে যাবো না। আমরা সেদিন দুপুর বেলা গিয়েছিলাম তাই প্রচন্ড রোদ ছিল ।বর্ডারের সামনে গিয়েই দেখলাম দুই দেশের পতাকা সমানভাবে পিলারের সাথে উড়াচ্ছে ।
তোর সর্বপ্রথম আমার চোখে পড়ল সেই ভারতীয় পতাকাটি ।যেটা বেশ সুন্দর করে উড়ছে আর অনেক বড় পতাকাটা ছিল। পতাকা দেখলেই মনের মধ্যে এক অন্যরকম অনুভূতি জাগ্রত হয় ।দেশাত্মবোধক কিংবা দেশের মানুষের প্রতি দেশের জন্য অনেক কিছু এই পতাকা জুড়ে।
এরপর আমি তার কিছু দূরে গেলাম যেখানে দেখলাম বেশ কয়েকটি সীমানা প্রাচীর পিলার দিয়ে মোড়ানো ।যেদি ক আমি যেদিক থেকে ছবি তুলছিলাম সেটা ছিল বাংলাদেশ। আর তার পরের পৃষ্ঠাটা ছিল ভারতের মাটি । অর্থাৎ সেই পিলারের মধ্যেই সীমান নির্ধারণ করা আছে। আবার দূর থেকেই ভারতের বেশ কিছু টাওয়ার দেখতে পারছিলাম ।অনেকগুলো একসাথে জানি না কি কারনে এত পাশাপাশি টাওয়ার। তবে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।
অনেক কিছুই তো বলা হলো। কিন্তু জায়গাটি কোথায় সেটি আর বলা হলো না। এটি আসলে বাংলাদেশ শেষ সীমানা পঞ্চগড় জেলা পঞ্চগড় বাংলাবান্দা হয়ে তেতুলিয়া ভজনপুর ।
ঈদ উৎসবে কিংবা পিকনিক বনভোজন খাওয়ার জন্য অনেক জন মিলে এই বর্ডার এলাকায় ঘুরতে আসে। সব মিলে জায়গাটি অনেকে নিরিবিলিয়ার প্রাণবন্তর ।শেষমেষ আমরা বাংলাদেশ বর্ডার বিজিবি ক্যাম্পে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর আবারও গাড়ি করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা । আর এই ছবিগুলো দেখে অনেক কিছুই মনে পড়ছিল। সেদিনকার কাটানোর মুহূর্তগুলো অনেক কিছু ।সেদিনের কাটানো মুহূর্ত কাটানোর স্মৃতি ফিরে আসা অনেক কিছুই যেগুলো একমাত্র ছবির মাধ্যমেই ফিরে পাই।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1660317934223523841?t=8NmbBaVmU2eiWdFxvOOPTA&s=19
সত্যিই এটা আনন্দের ও গর্বের বিষয় যে আমরা 100তম হ্যাংআউট পার করে ফেলেছি।আপনার দেশের বর্ডার এলাকা ঘুরে আপনি দারুণ সময় কাটিয়েছেন আশা করি।পাশাপাশি দুই পতাকা দেখে ভালো লাগলো, যদিও আগে সবই ভারতের অন্তর্ভুক্ত ছিল।তাছাড়া বেশি ভালো লাগলো সুন্দর ডিজাইন করা টাওয়ারগুলি দেখে।বাংলাদেশ বর্ডার বিজিবি ক্যাম্প আছে জেনে একটু অবাক হলাম, ধন্যবাদ দাদা।
হুম দিদি এটা আমার বাংলা ব্লগের বিশাল গর্ব ১০০ তম হ্যাংআউট ৷ দুই দেশের পতাকা একসাথে দেখে অনেক ভালো লেগেছিল ৷ আর বাংলাদেশ ও বর্ডার বিজিবি ক্যাম্প আছে দিদি ৷
বর্ডার অঞ্চল ঘুরে আপনি সুন্দর তথ্য এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আমিও বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম মেহেরপুর বর্ডার অঞ্চল ভ্রমণ করতে আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু অসাধারণ ছিল।।।
জি ভাই চেষ্টা করছি যতটুকু সম্ভব তথ্য নেয়ার ৷ আপনি ও তাহলে ভ্রমন করেছেন ৷
১০০তম হ্যাংআউট পূর্ণ হওয়া আমাদের সবার জন্য অনেক গর্বের। যাই হোক ভাইয়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ঘুরতে যেতে সত্যিই ভালো লাগে। সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘুরতে গিয়েছেন এবং সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
হুম আপু ১০০ তম হ্যাংআউট আমাদের গর্ব ৷ আর সত্যি সেদিন সীমান্ত বর্তী এলাকায় ঘুড়ার আনন্দ টাই ছিল অন্যরকম৷
এই সকল সীমান্তবর্তী এলাকায় যাওয়ার ইচ্ছা আমার অনেক আগে থেকেই। যদিও আমি পাসপোর্ট নিয়ে বর্ডারে বেশ কয়েকবার গেছি, তবে আপনি যেখানকার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন এই জায়গাটা মনে হল অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং। দুই দেশের পতাকা পাশাপাশি দেখতে সত্যিই বেশ ভালো লাগছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মতামতের জন্য ৷