"শারদীয়া কনটেস্ট -১৪২৯" মহা অষ্টমীতে ঘুরতে যাওয়ার আলোকচিত্র||
❤শারদীয় শুভেচ্ছা❤
শিউলি ফুলের গন্ধ
মা এসেছেন মোদের ঘরে
তাই তো মনে এতো আনন্দ
নমস্কার
আসলে পূজা মানেই হল আনন্দ আর উল্লাসে মেতে ওঠা ৷ বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এবং আনন্দের উৎস হলো এই দূর্গা উৎসব ৷ প্রতিবছর এই সময়টার জন্যই হিন্দু বাঙালি জাতি অপেক্ষা করে ৷ তাই তো বলা হয় যে হিন্দু ধর্মের বারো মাসে তেরো পার্বন ৷ অর্থাৎ প্রতিমাসই একটি না একটি পুজো আছেই ৷
আমি গতকাল অষ্টমীতে সন্ধ্যার পর ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম৷ যদিও বৃষ্টির বাধা তবুও সবকিছু অপেক্ষা করার পরও পুজো দেখতে বেরিয়েছিলাম ৷আর সেখান থেকেই পুজোর দেখার আলোচিত্র নিয়েই এই কনটেস্টে অংশগ্রহণ করেছি৷
যদিও আমি একজন বাংলাদেশী আর আসলে বাংলাদেশে খুব বড় ধরনের পুজো খুব কমই দেখা যায়৷ পুজো হয় তবে ভারতের মতো বড় ধরনের কোন এংগেজমেন্ট বা জাকজমকপূর্ণ মন্ডপ এসব বড় ধরনের কোন আয়োজন হয় না ৷তো সে থেকে আসলে ভারতীয় যে সকল ইউজার বন্ধুগণ আছে হয়তো তারাই কনটেস্ট বিজয়ী হবে ৷কারণ ভারতের প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপ ছিল আকর্ষণীয় আকর্ষণীয় ৷যেগুলো পোস্ট আমি দেখলাম সত্যি অসাধারণ ছিল প্রতিদিন মন্ডপের আলোচিত্রগুলো ছিল দেখার মত৷ তবুও আমি লিখতে চাই আমার বাংলাদেশের পুজো নিয়েও ৷
আসলে একটা কথা মানতেই হবে যে পুজো হলো মন থেকে শ্রদ্ধা ভরে কিছু দেওয়া ৷ কে ভাল মন্ডব করেছে কে মন্দ করছে সেটা বড় ফ্যাক্টর না ৷ মানলাম যেখানে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে মন্ডপ তৈরি করেছে প্রতিমা তৈরি করেছে সেখানেও পুজো করতে হবে ৷যার যারা কম টাকা ব্যয় করে ছোট্ট মণ্ডপ বানিয়েছে তাদেরকেও পুজো করতে হবে ৷তো আসলে ছোট বড় আয়োজন যেমনি হোক না কেন৷ দিনশেষে শ্রদ্ধা ভরে মাকে পুজো করতেই হবে ৷
যেমন গতকালকের একটি খবরের পাতায় দেখলাম যে কলকাতার কল্যানী শহরের টুইন টাওয়ার৷ সেটা নাকি সারা ভারতবর্ষের মধ্যে নজর কেরেছে কিন্তু হঠাৎ সেই টুইনটাওয়ার দুর্ঘটনার শিকার হতে যাচ্ছে৷ জানি না এখন কি অবস্থা৷ এখন নাকি মানে প্রশাসনিক দিয়ে সেখানে যাওয়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছে ৷ তো সেই দিক দিয়ে ভাবুন কত লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করার পরেও সেখানে আজ পুজো দেখার জন্য যেতে পারছে না৷ আর অথচ যারা কম টাকা ব্যয় করি ছোট্ট পুজার মন্ডপ বানিয়েছে তাদের এই সাবলিলভাবে পূজা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এর থেকে বড় আর কি হতে পারে৷
যাহোক কথা তো অনেক কিছুই বললাম এবার আসবো আমার গতকাল অষ্টমীতে ঘুরতে যাওয়ার আলোচিত্র ৷ আসলে গতকাল আমি আমাদের এলাকার সবচেয়ে বড় যেখানে বড় ধরনের আয়োজন মণ্ডপ তৈরি করা হয় সেখানে গিয়েছিলাম যদিও বাংলাদেশের খুব প্রায় অঞ্চলে সাধারণভাবে পূজা পরিচালিত হয় ৷ তো আমি গতকাল গিয়েছিলাম দেবগঞ্জ থানার বিখ্যাত যেখানে বড় ধরনের পুজোর আয়োজন করা হয়েছে অনেক দূর দূরন্ত থেকে মানুষ এসেছে ৷ তো সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ একটা অটো নিয়ে রওনা দিলাম পুজো দেখার উদ্দেশ্যে ৷ তো গিয়েই দেখলাম প্রচুর মানুষের সমাগম বলতে গেলে পা ফেলার জায়গা খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল ৷ যাহোক একপর্যায়ে আস্তে আস্তে করি মন্দিরের ঢুকলাম ৷ অনেক কিছু দোকান আর সবচেয়ে আকর্ষণ ছিল গেট মণ্ডপ টি যদিও কোন লাইটিং বা অন্য কিছু করেনি তবে এভাবেই দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফিট উঁচু হবে ৷ আর নতুন নতুন কাপড় দিয়ে বেশ জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে সাজিয়েছে ৷
তারিখ : ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
স্থান : দেবীগন্জ, পঞ্চগড় বাংলাদেশ
সময় : ৭:৩০
তো প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারলাম ৷ আর মন্দিরের ভিতরে দেখি প্রতিমা গুলোকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে ৷ আসলে আমাদের দেবীগন্জ অঞ্চলের মধ্যে এখানেই সবচেয়ে বড় মাপের বোঝা হয়ে থাকে ৷ আর তাই গোটা অঞ্চলের মানুষ এ পুজো দেখতে ভিড় করে এই দেবগঞ্জে৷ আর সত্যি বলে প্রতিমাগুলোকে যে এত সুন্দর হবে তৈরি করেছে ৷ বিশেষ করে ব্যাকগ্রাউন্ডটা পাহাড়ের মতো দৃশ্য গাছ পিছনে বন সব মিলে দেখলে মনে হবে এটি একটি স্বর্গরাজ্য৷ যেখানে মা দুর্গা তাদের সন্তানদের নিয়ে স্বর্গে আছে ঠিক সেই রকম ব্যাকগ্রাউন্ড টা দেখতে ৷ যদিও রাতের বেলা লাইটিং এর কারণে ছবিগুলো খুব একটা ক্লিয়ার আসেনি৷
যেখানে গণেশ দেবতা একটি গাছে ঠালে উপরে বসে রয়েছে৷ আর কার্তিক রয়েছে ময়ূরের উপর বসে তাদের সাথে তাদের দুই বোন এবং মা৷ ঠাকুর প্রতিমাগুলো দেখতে যেমন ঠিক তেমনি লাইটিং সো করেছিল বেশ চমৎকার লাইটিং সো টি ৷
নিচে ঠাকুর গুলো ছবি ও লাইটিং সো দেওয়া হলো:
তারিখ : ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
স্থান : দেবীগন্জ, পঞ্চগড় বাংলাদেশ
সময় : ৭:৩০
তারিখ : ৩ অক্টোবর ২০২২, সোমবার
স্থান : দেবীগন্জ, পঞ্চগড় বাংলাদেশ
সময় : ৭:৩০
চারদিকে ঘুরার পর হালকা কিছু আলোকচিত্র ৷ আর এর পরেই প্রায় ৮.০০ নাগাত আকাশের বিদ্যুৎ চমকানো আর বাতাস কে কোথায় পালালো তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই ৷ আর আমি তখনি সাথে সাথে আর দেরি না করে একটি টোটো নিয়ে সোজা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা ৷আর ভাগ্যের ব্যাপার ছিল যে আমি বাড়ি আসার পরেই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি৷ যাহোক ভাগ্য সু-প্রসন্ন যে আমি বাড়ি এসে তারপরে বৃষ্টি আসলো নয়তো ভিজে সবকিছু শেষ হয়ে যেতো৷ আর সেদিনের পর থেকেই আজ পর্যন্ত থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরতেছে ৷জানি না আর হয়তো অন্য কোন মণ্ডপে যেতে পারবো কি পারবো না৷
আর তাইতো ভাবলাম যে আজকের নবমীর দিনে দাদার দেওয়া কন্টেস্টের অংশগ্রহণ করেই ফেলি৷ যদিও আমার আরো অন্য অন্য মন্ডপে ঘোরার ইচ্ছে ছিল৷ কিন্তু বৃষ্টির বাধা বিপতি দেয়ায় কোনখানে যাওয়া হলো না৷ তবে গ্রামের আশেপাশে অনেক পুজো ছিল সেগুলো ঘুরে দেখেছি ৷কিন্তু আমার দেখা সবচেয়ে বড় জাঁকজমকপূর্ণ পুজো ছিল দেবিগঞ্জ থানার পুজো টি ৷ আর তাইতো কনটেস্টের জন্য এই পুজটি যোগ্য বলে বিবেচনা করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম৷
ঠিক জানিনা বড় দাদার আমার পোস্টটি দেখে কতটা ভালো লাগবে৷ তবে আশা করছি দাদার আমার পোষ্টটি দেখলে হয়তো ভালো লাগবে ৷ এমনটাই প্রতার্শা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
---|---|
লোকেশন | https://w3w.co/ |
@gopiray
সবাইকে ধন্যবাদ
সবাইকে ধন্যবাদ
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আজকের আপনার দুর্গাপুজোর কিছু ফটোগ্রাফি দেখে। ফটোগ্রাফি গুলা আপনি চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। দুর্গা পুজোতে ঘুরতে যাওয়ার কিছু সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দূর্গাপুজোর ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ৷
অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর গুছিয়ে কথা বলার জন্য ৷
প্রথমে প্রতিযোগিতায় জয়েন করেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। আর এর জন্যই এত সুন্দর পুজোর মণ্ডপ, প্রতিমা সব কিছুই দেখতে পেলাম। প্রতিটি বিষয় খুব সুন্দর ভাবে সাজানো গোছানো। বিশেষ করে অনেক সুন্দর আলো দিয়ে সাজানো। সবার পোস্টের মাধ্যমে সত্যিই অনেক সুন্দর সুন্দর পূজার অনুষ্ঠান দেখতে পাচ্ছি। আপনার পোস্ট অফিস ভালো লেগেছে।
আসলে দাদা যে এত সুন্দর কনটেস্টের আয়োজন করেছে তা সত্যি ভাবা যায় না ৷ বিশেষ করে ভারতীয় সব বন্ধুরা প্রতিটি মণ্ডপে ফটো দেখার মতো৷
ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য৷ এভাবেই পাশে থাকবেন এমনটাই কামনা করি ৷
আপনাকে শারদীয়া দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা। মহা অষ্টমীতে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এবং আমাদের মাঝে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সত্যিই পূজার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। এত সুন্দর কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ গুছিয়ে মন্তব্য করার করার জন্য ৷