নবান্ন উৎসব ঘিরে কিছু কথা !! @shy-fox 10% beneficiary
আজ - ৪ঠা অগ্রহায়ণ |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল |
নমস্কার - আদাব । মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও পরমেশ্বর ভগবানের কৃপায় ভালো আছি ৷
নবান্ন উৎসব আমরা সবাই জানি এবং কি শুনেছি ৷ কিন্তু এখন প্রায়শই এই নবান্ন উৎসব বিলুপ্তের পথে ৷ বলতে গেলে শহরাঞ্চলে নেই বললেই চলে৷ এই নবান্ন উৎসব একটি অতি পুরাতন এবং কি পূর্বপুরুষের কালের ক্রম অনুসারে চলে আসছে৷ বর্তমান নবান্ন উৎসব পালিত হয় ৷ তবে সবচেয়ে বেশি হিন্দু ধর্ম অনুসারী সনাতন ধর্মালম্বূ মানুষগন এই নবান্ন উৎসবকে আজও পালন করে আসছে ৷ বাংলার ঘরে ঘরে বাঙালির মনে প্রাণে গেথে আছে এই নবান্ন উৎসব ৷ যদিও বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে অনেকটাই বিলুপ্তির পথে ৷ তবে গ্রামে এখনো এই নবান্ন উৎসব পালন হয় ৷ আমরা সবাই জানি যে নবান্ন উৎসব কাকে বলে এটা কেমন ? সবাই জানি হয়তোবা কেউ জানে কেউ বা জানে না ৷ আবার কেউ কেউ জানে যে অগ্রহায়ন মাসে কৃষকের নতুন ধান বাড়িতে আনলেই এই নবান্ন উৎসব পালিত হয় ৷ শুধু কি এটাই না কি আরো কিছু আছে ৷ আর এই সবকিছু জানার জন্যই আজকের ব্লগ৷
এই নবান্ন উৎসব মূলত নতুন ধানের মৌসুমকে ঘিরে ই পালিত হয় ৷ অগ্রহায়ণ মাসে শুরুতেই কৃষকেরা নতুন ধান ঘরে তুলে৷ নতুন ধানের চালের ভাত খাওয়ার আগেই এই উৎসব বা অনুষ্ঠান পালিত হয় ৷ আসলে হিন্দু ধর্মেই মতে এই নতুন ধানের ভাত খাওয়ার আগে পরমেশ্বর ভগবান বা সৃষ্টিকর্তার নামে সবার আগে পিতৃপুরুষ থেকে শুরু করে সমস্ত দেবতা কে উৎসর্গ করে কিছু ভোগ নৈবদ্ধ দিয়েই৷ তারপর এই নতুন ভাত খায় এটা আমাদের পূর্বপুরুষগণ থেকে এখনো অব্দি হয়ে আসছে৷
আর আমাদের পূর্বপুরুষ মোতাবেক অনেকে বলে থাকেন ৷ যে এই নতুন ধরনের চালের ভোগ বা প্রসাদ যদি পরমেশ্বর ভগবান কিংবা পিতৃ পুরুষকে না দিয়েই ভক্ষণ করা হয়৷ তাহলে পাপের ভাগীদার হতে হয়৷
আর তাইতো প্রতিটি হিন্দু ধর্ম বাঙালির ঘরে ঘরে এই নবান্ন উৎসব পালিত হয়৷
আর নবান্ন উৎসব কি ঘিরে কোথাও কোথাও আবার বড় করে মেলা বসে ৷ যে মেলাতে থাকে জিলাপি মুড়ি মুড়কি বাতাসা দুধ দুই আরও নানা কিছু৷ তবে আমাদের এইদিকে কোন মেলা না বসলেও প্রতি বাড়িতে প্রতি ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব বেশ জাঁকজমক পূর্ণভাবেই পালন করা হয়৷
তবে এখনো তো আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ৷ যে নবান্ন উৎসব তবে তার নিয়ম গুলো ঠিক কি রকম৷
আসলেই নবান্ন উৎসব একদিনের জন্য নির্ধারিত হলো সেটা সবার জন্য হয়ে ওঠে না আর তাইতো এই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব অগ্রহায়ণ মাসের পুরোটা মাস জুড়েই উদযাপিত হয়৷
কারণ গ্রামের মানুষ একদিনে তো আর সবাই নতুন ধান ঘরে তুলতে পারে না ৷ আর যেহেতু এটা নতুন ধান ঘরে আনার পরেই উৎসব হয় ৷ তাই তো গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে একদিনে এই হয় না ৷ একেকদিন একেক বাড়িতে উদযাপিত হয়ে থাকে৷ মনে করেন যেদিন এক বাড়িতে নতুন ধানের ঘরে তোরা হলো ৷ এরপরে তারা নতুন ধানের চাল দিয়ে পায়েস ক্ষীর নানান ধরনের পিঠা এবং কি অনেক আত্মীয়-স্বজনদের আপ্যায়ন করার পরেই ৷ তারাই নতুন ধানের ভাত খেত৷ আর এভাবেই বাংলার ঘরে নবান্ন উৎসব পালন হয় ৷
তবে যেহেতু আমাদের বাড়িতে এখনো নবান্ন উৎসব পালন করি নি ৷ কারন আমরা নতুন ধান ঘরে তুলি নি ৷ আর যেদিন নতুন ধান ঘরে তুলবো ৷ সেদিন আমরাও ভোগ প্রসাদ ভগবান দেবতা পিতৃ পুরুষকে নৈবেদ্য দিবো ৷ আর নানা ধরনের আয়োজন থাকবে ৷
আর সেদিন আপনাদের মাঝে আরো ভালো ভাবে তুলে ধরতে পারবো ৷ এই নবান্ন উৎসব ৷
তো আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!!
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | রিয়েলমি সি বারো |
@gopiray
🙏 সবাইকে ধন্যবাদ🙏
🙏 সবাইকে ধন্যবাদ🙏
খুব ভালো লাগলো নবান্ন উৎসবের ব্যাপারে জানতে পেরে। বাবার মুখে শুনেছি আমাদেরও বাংলাদেশে থাকাকালীন বাড়িতে নবান্ন হতো। এখানে জমি না থাকার জন্য ঠাকুর বন্ধ করে দিয়েছেন। ছোটবেলায় আমার এক বন্ধুর বাড়িতে নবান্নে গেছিলাম, আমার নিমন্ত্রণ ছিল। ধন্যবাদ ভাই।
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1593980739535933440?t=xflDd0YwNFyc2B2OKaTbWQ&s=19
নবান্ন উৎসবের কথা ছোটবেলায় আমি পড়েছি। আর কয়েক জায়গায় দেখেছি মনে হয়। কিন্তু এখন এ উৎসবটা আসলে বিলুপ্ত হওয়ার পথেই প্রায়। যাই হোক আপনার নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কথাগুলো পড়লাম ভালই লাগলো। আসলে আমি শুনেছিলাম এ উৎসব মূলত নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দে করা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ।
অনেক ভাল লাগলো ভাইয়া।আমিও আজ নবান্ন উৎসবে গিয়েছিলাম,খুব ভাল লেগেছে। শহরে ত এসব দেখাই যায় না। আমি আজ গিয়েছি,আমার খুব ভাল লেগেছে।অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।
অগ্রহায়ণ মাসের নবান্ন উৎসব হয় জানতাম কিন্তু শুনলাম মেলা হয় এটা আমি এবারে প্রথম জানলাম।আমরা যেখানে থাকি তার পাশের এলাকাতে নবান্ন মেলা হয়।আপনার পোস্টের মাধ্যমে নবান্ন উৎসব সম্পর্কে জানতে পারলাম।অনেক ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
ভাই, নবান্ন উৎসব ঘিরে আপনার কিছু কথা পড়তে পড়তে আমার একটি গান মনে পড়ে গেল। গানটি হচ্ছে,
গানটি আমার কাছে যতটা ভালো লাগে ঠিক তেমনি আপনার পোস্ট পড়তেও আমার কাছে ভীষণ রকম ভালো লাগলো। কালের বিবর্তনে হয়তো ঐতিহ্যময় নবান্ন উৎসব ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো অনেক জায়গাতেই নবান্ন উৎসব ও নবান্ন মেলা উদযাপিত হয়ে আসছে। যুগ যুগ ধরে এই নবান্ন উৎসব চির অটুট থাকুক এই আশা ব্যক্ত করছি।
এই নবান্ন উৎসবকে ঘিরে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। যেগুলো মনে পড়লে খুবই ভালো লাগে। সত্যি বলেছেন এখন এরকম উৎসবগুলো কি লুপ্তের পথে বিশেষ করে ঢাকায় একদমই দেখা যায় না এই উৎসবগুলো। ছোটবেলায় এই উৎসবের সময় মেলা গিয়ে অনেক মজা করতাম ঘুরাঘুরি করতাম। এই উৎসবটি হিন্দুরা খুবই সুন্দর ভাবে পালন করে। আজকে আপনার এই পোস্ট দেখে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল নবান্ন উৎসব নিয়ে। আপনি খুবই চমৎকার একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন । অসাধারণ ছিল আপনার পোস্ট।
বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন উৎসব দেখতে পাওয়া যায়। আসলে বিভিন্ন উৎসবগুলো বিভিন্ন মৌসুকে ঘিরেই তৈরি হয়। ধান কাটার সময় হলেই ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসব শুরু হয়। সবকিছুই নতুন ধরনের চাল দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই বদলে যাচ্ছে। হয়তো প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে সেই আমেজ এখন আর নেই। যাইহোক ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পুরনো দিনের ঐতিহ্য গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে দেখছি নবান্ন অনেকটা আগেই হয়। আমাদের আলো কিছু পরে হবে। এই দিন নতুন চাল এনে কাঁচি হলুদ, গুঁড় সহযোগে বেটে নারকেলের জল, ফল দিয়ে ঈশ্বরকে অর্পণ করা হয়। তারপর সেটা আমরা প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করি। পিঠে, পায়েস এসবও করা হয় ওই দিন। আসলে এক এক জায়গার রীতি এক এক রকম। কিন্তু পালন করাটাই আসল।
আসলে দিদি আমারও তো এখন করবো না ৷ তবে তবে কেউ আগেই করে ৷ আগে নতুন ধান ঘড়ে তুলবো তারপর ভোগ প্রসাদ নৈবেদ্য পরমেশ্বর ভগবান অর্পন করে তারপর বাড়িতে অনুষ্ঠান করে আন্তীয় স্বজন অনেক আনন্দ করে উদযাপন করি ৷