ভ্রমণ ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ ৷৷ শেষ পর্ব
আজ - ১৫ই , মাঘ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সেদিন প্রায় সারাটা দিন সেই ডালিয়ার তিস্তা ব্রিজে
অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলাম ৷ আসলেই বলে না যে জীবন যেখানে যেমন ঠিক তার বাস্তব চিত্র হলো এ ডালিয়া ব্রিজের ভ্রমণ কাহিনী ৷ সেখানকার পরিবেশ প্রকৃতি মানুষের জনজীবন সবকিছুই আমার চোখে ছিল সেরা৷ ডালিয়া তিস্তা ব্রিজ প্রায় দুই কিলোমিটারের মত বড় হবে ৷ আর যেখানে প্রায় ৪৬ টি সুইজগেট অর্থাৎ পানি ধরে রাখার দরজা সিস্টেম আর এজন্যই সেখানে দেখার জন্য অনেক উৎসুক জনতার ভিড় জমে৷ আর আমরাও গিয়েছিলাম ঠিক এই সুইচগেটের পানি ধারণ ক্ষমতা এবং কি এই নদীর জনজীবন সৌন্দর্য দেখার জন্যই৷
আমরা আসলে বর্ষা সিজনের পর গিয়েছিলাম আর যার জন্যই পানির যে খুব একটা তীব্রতা তা দেখতে পাইনি ৷ তবে নদীর পানি তবুও অনেকটাই ছিল কারণ বেশ কয়েকটা সুইচগেট বন্ধ ছিল যার কারণেই পানিতে অনেকটাই আটকে অনেকটা বান ভাসার মতো ছিল ৷ আর সেখানকার ব্রীজের সাথেই সিরি ছিল আর এই সিরি বেয়ে নদীর ছোয়া যায় ৷
ঠিক আমিও সিড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে নদীতে নদীর পানি কি স্পর্শ করলাম এবং সেই সাথে ফটোগ্রাফি করার যদিও মোবাইল ফোনে সম্পূর্ণটি ছবি তোলা খুব মুশকিল ব্যাপার ছিল৷
এরপর নদীর আরেক তিরে অর্থাৎ ওই পারে চোখে পড়ল নৌকা স্টিমার আবার কিছু শুধু ডিঙ্গি নৌকা সেখানে ৫০ টাকা টিকিট কেটে নদীর এপার থেকে ওপারে দুইবার ঘুরে আনা ৷ আর এই জন্যই আমরা নদীর ঐ তীরে চলে গেলাম ৷ মূলত এই দৃশ্যগুলো দেখার জন্য আমাদেরও কয়েকজন কি স্টিমার এমনকি নৌকায় উঠেছিল৷ কিন্তু আমি উঠিনি কারণ আমার এই নদীর ঢেউ এবং কি গভীরতা আর যতটা স্পিডে চালানো হচ্ছে সবকিছু দেখে ভয় লাগছিল ৷আর মেইন কথা হচ্ছে গিয়ে যাত্রীদের যে প্রোটেকশন অর্থাৎ নদী পারাপারের যে জ্যাকেট বা কোট কিছুই নেই ৷এবং স্টিমার নৌকাগুলোতে নেই কোন টায়ার বা অন্যান্য যন্ত্র সমগ্র না জানি কখন উল্টে যায় কি বিপদ ঘটে৷
ছবিগুলো দেখলেই এতটা হয়তো বুঝতে পারছেন যে নদীর পাদদেশ ে কি সুন্দর একটি জন পরিবেশের সমাগম৷ যেখানে মেলা বসেছে এবং কি এই স্টিমার চড়ে এ নদীর সৌন্দর্যকে উপভোগ করছে সাধারণ জনতার মানুষের জন৷ আসলে জীবনে বিনোদন ঘোরাঘুরি বিশাল অংশ জীবনকে অনেকটা রঙ্গিন এবং কি জীবনের বেঁচে থাকার এক অনুপ্রেরণার নাম হল এই ভ্রমণ৷
যা হোক আরেক দিকে চোখে পড়ল ছোট্ট একটি বালক জাল দিয়ে মাছ ধরছে৷ আসলে নদীর মাছও বেশ জনপ্রিয় কিন্তু এই লোকমুখে যতটুকু শোনা প্রতিদিনই অনেক জেলে মাছ ধরতে আছে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজকে কেন নযে আসে নি ৷ অর্থাৎ আমরা যেদিন গিয়েছিলাম সেদিন খুব একটা মাছ ধরার দৃশ্য চোখে পড়েনি৷ কিন্তু ছোট্ট বালকটিকে চোখে পড়ছিল যে নদীর কিনারে ছোট্ট একটি জাল দিয়ে মাছ ধরছে।
আবার আমি ব্রিজের দিকে তাকিয়ে পিছন দিকে ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে ছবি তোলার প্রচেষ্টা৷ সব মিলিয়ে সময় যেন ফুরিয়ে যাচ্ছে৷ অর্থাৎ পশ্চিম দিকে সূর্য আস্তে আস্তে ঢুবতে শুরু করছে৷ আর আমাদেরও ফিরে আসার সময় যেন ঘনিয়ে আসছে ৷ যা হোক সবাই নদীতে ঘুরার পর একত্রিত হয়ে আবার একসাথে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা ৷ তবে সেদিনের এমন একটি সুন্দর ভ্রমণ অর্থাৎ নদীতে কাটানো মুহূর্ত স্মৃতিগুলো এখনো চোখে ভাসছে৷
এই ছিল আমার ডালিয়া ব্রিজ ভ্রমণের শেষ পর্ব ৷জানি না আপনাদের কতটা ভালো লেগেছে ৷ সর্বোপরি আবার অন্য কোন অন্য কোন ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে আপনার মাঝে নতুন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো ৷সেই প্রত্যাশায় আজকে ব্লগ এখানেই শেষ করছি৷
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1752362039975301616?t=6qxhw78yduI3XV4Qyq8YTg&s=19
বেশ সুন্দর একটি স্থান ভ্রমণ করেছেন দেখছি। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ মুহূর্তের অনুভূতিমূলক পোস্ট দেখে যেখানে ঘুরতে গিয়ে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ভালো দেশের অচেনা একটি সুন্দর জায়গা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছি বলে।
এটা ঠিক অচেনা জায়গা ঘোরাঘুরি করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে এবং নতুন কিছু ধারনা সেই জায়গার পরিবেশ প্রকৃতির রুপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় ৷
এর আগেও আপনার কয়েকটি ব্লগ পড়েছি তিস্তা নদী দেখতে যাওয়ার। সেই সাথে ডালিয়া ব্রিজে আপনি ভ্রমণ করলেন। ডালিয়া ব্রিজে সারা দিনের সময় কাটানোর অনুভূতি শেয়ার করলেন। তবে দৃশ্য গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি গুলো দারুন ছিল।
আসলে আপু জায়গায়টা সত্যি দারুন আর সুন্দর পরিবেশের অন্তর্গত ছিলো ৷ ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম ৷
ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ এ গিয়েছিলাম অনেক আগে। আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দৃশ্য গুলো দেখে মনে পড়ে গেলো। জায়গাটা বেশ সুন্দর ভালো ছিলো ভাই। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
যাক আসছেন তাহলে আবার ছবি গুলো দেখে মনে পরছে শুনে খুশি হলাম ৷ আসলে এরই নাম সৃতি ৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামতের জন্য ৷
এই ভ্রমণের পূর্ববর্তী পর্বগুলো আমি দেখতে পারিনি। তবে আজকের এই পর্ব দেখতে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ আপনি তিস্তা নদীর ব্যারেজে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফিগুলোও
শেয়ার করেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
যাহ হোক আগের প্রর্ব গুলো পরলে আরো ভালো বুঝতে পারতেন ৷যা হোক সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ৷