ওরা সর্বরোগের চিকিৎসক ৷৷ হাট বাজারে মজমা মজিয়ে ওষুধ বিক্রি ৷৷
আজ ১৯শে, ফাল্গুন |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
জীবন যেখানে যেমন আসলে আমাদের এই জীবনযাত্রার পথটা অনেকটাই ভিন্ন ভিন্ন । ঠিক যেমন আমাদের চারিপাশের দিকে তাকালে দেখুন কেউ চাকরিজীবী তো কেউ কৃষক ,কেউবা দিনমজুর ,আবার কেউ বড় বড় শিল্পপতি ,ব্যবসায়ী সব মিলিয়ে একেকজনের জীবনধারা একই রকম । দিন শেষে কিন্তু সবাই মানুষ শুধু জীবনধারাগুলো ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জীবন-যাপন করে থাকি । ঠিক যেমনটা বলতে হয় যে জীবন যেখানে যেমন।
মূলত আজকের ব্লগটি লেখার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ।যে আসলে মানুষের জীবন যাত্রার মান কতটা ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে তার বাস্তবে উদাহরণ হয়তো পোষ্টের টাইটেল টা দেখে বুঝতে পেরেছেন। আসলে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে যে যাই করুক না কেন ।দিনশেষে সৎ উপার্জন বা সৎ ভাবে বেঁচে থাকাই সবচেয়ে বড় কথা । দিন শেষে আমরা কে কতটা সৎ থেকে জীবন যাপন করছি সেটার প্রশ্ন যেন থেকে যায় । তবুও বলতে হয় যে আসলে জীবনের একটা ধারা এক এক রকম সেটা আসলে আমি কতটা বুঝতে পারি অনুভব করি সেটা বোঝাতে পারবো না । তবে মাঝেমধ্যেই বাইরের বা চারপাশের দিকে তাকালে অনেকটাই সুস্পষ্টভাবে বুঝতে পারি কিংবা দেখেও বোঝার চেষ্টা করি ।
আপনারা যারা গ্রামের হাটবাজারে গেছেন কিংবা যারা গ্রামে বসবাসরত তারা প্রতিনিয়ত কিন্তু গ্রামের ছোট্ট বাজার থাকে । প্রতি সপ্তাহে দুদিন হাট বসে সেখানে গিয়ে বাজার খরচ করা ইত্যাদি । এখনো গ্রামাঞ্চলের এই হাট বাজারগুলোতে এমনই পরিবেশের বাজার বা হাট চলে থাকে । আর এই হাটবাজারে কোম্পানি কর্তৃক কোনো ওষুধের কোম্পানি যেটা আসলে মানুষের সুস্থতা জীবন যাপনের জন্য। কিন্তু দিনশেষে কতটা সুস্থতার জীবনযাপন দেয় সেই প্রশ্নটা যেন রয়ে যায়।
গতকাল বিকেল বেলা বাজারে গিয়েছিলাম । মূলত ঘোরার জন্যই কিন্তু বাজারে যাওয়ার আগেই শুনতে পেলাম গান বাজনার প্রতিধ্বনি। আমি গান বাজনার আওয়াজ শুনেই বুঝতে পেরেছি যে হকার ঢুকেছে । মূলত এদেরকে হকার বলার মূল উদ্দেশ্য এরা কোনো কোম্পানির ওষুধ বিক্রেতার জন্যই মানে প্রচার করে থাকে । আর এ প্রচার করার উদ্দেশ্যে তাদের দেয়া বক্তব্যের কথাগুলো একশো কথা বলার মধ্যেও একটি সত্য আছে কিনা তা আমার জানা নেই ।
আর তাদের এমন ফুলঝুরি কথা শুনেই বাজারে যে লোকজনগুলো সেই অনুষ্ঠানটি শুনে সেখান থেকে তাদের কথার ভালোলাগা থেকে সেই ওষুধগুলো কিনে থাকে। আমার প্রশ্ন এখানে যে আসলে একটি ওষুধ খেলে যদি শরীরে সবকিছু রোগ নিরাময় হতো ।তাহলে আসলে দেশে কিংবা বিদেশে চিকিৎসার জন্য এত বড় বড় মেডিকেল ক্লিনিক কিংবা চিকিৎসার আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভাবন ঘটতো না ।কিন্তু আফসোস গ্রামের মানুষ সেসব কথার ছলে ওষুধগুলো কিনে থাকে।
আর যাদেরকে আমি বলি হকার । তো গতকাল বাজার যাওয়ার পর আমিও সেখানে কিছুক্ষণ সময় দেখছিলাম তবে অনুষ্ঠানটি বেশ ভালো লেগেছিল কারণ কয়েকটি শিল্পী গান করছিল । সেই সাথে বাজনার প্রতিধ্বনি সবমিলিয়ে অনুষ্ঠানটি বেশ জাকজমকপূর্ণ ছিল । কিন্তু গান বাজনার সাথে সাথে ওষুধের উপকার কি কি রোগ ভালো হবে এসব ইত্যাদি বক্তৃতা ।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে গোল করে মানুষজন চারদিকে দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করছে। সেই সাথে সেই কোম্পানির ওষুধ বিক্রেতার বক্তৃতা শুনেই মানুষ ওষুধ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছে বিষয়টি দেখে আমি অনেকটাই হতাশ । কারন এই ডিজিটাল প্রজন্মের যুগেও মানুষ এতটা বোকা ছোকা তার বাস্তব উদাহরণ যেন এই গ্রামের দৃশ্যগুলো দেখলেই মনে হয় । অর্থাৎ তাদের কোম্পানির প্রচারে কম টাকায় ওষুধ বিক্রি করে। আমার প্রশ্ন কম টাকার ওষুধ দিয়েই যদি ভালো হওয়ার যেত । তাহলে এত বড় নামিদামি মেডিকেল ক্লিনিক কিংবা চিকিৎসার জন্য এত আধুনিক প্রযুক্তি তৈরি হতো না ৷
যা হোক সর্বোপরি কয়েক টা ফটোগ্রাফি এবং কিছুক্ষণ অনুষ্ঠান শোনার পর আমি ভিতর বাজারে দিকে গেলাম। জানি না আজকে কেন যেন ওই বিষয়টি নিয়েই লেখার ইচ্ছা মনে জাগলো । আর তাই আজকের ব্লগে সেই হকার এমনকি জনসাধারণ সবার দৃশ্যপট দেখেই। আমার অনুভূতি গুলো ব্যক্ত করলাম ।
তবে এভাবে করেই বিভিন্ন বাজেয়াপ্ত কোম্পানি বলতে গেলে হকারি করে অনেক টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1764286266689065449?t=hvOsdzP7DTpiEkLN-VJrvg&s=19
অনেকদিন পর তাদের সন্ধান পেলাম ভাইজান আজ আপনার এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। ২০০৯ সালে আমাদের পাড়ায় এমন এক দল এসেছিল মাইক্রোসড়ে এরপর বিভিন্ন গানের সুর তুল্য লোক জড়ো হল, এরপর শুরু করে দিল ঔষধ বিক্রয়। ঠিক সেই সময়ের অনুভূতিটা যেন আবারো আপনার মাধ্যমে ফিরে পেলাম।
জি ভাই গ্রামেও প্রায় আসে এসব ক্যাম্পাস করতে ৷ মাইইক্রোবাস করে ৷ বেশ সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাই ৷
বাস্তব কথা জীবন যখন যেখানে যেরকম। শহরের বৈচিত্র এক রকম। আবার গ্রামের বৈচিত্র অন্যরকম। তবে এই হকার থেকে গ্রামের মানুষেরা অনেক বেশি ওষুধ নেই। কি কি মিশাই কে জানে তারা এত বেশি ক্যাম্পাসিং করে। তাদের কাছেই যেকোন সমস্যার ওষুধ পাওয়া যাবে। এত বেশি ক্যাম্পাস করে যার কারণে মানুষ বিশ্বাস করে। যেহেতু গ্রামের মানুষ সহজ সরল তারা অতি সহজে মানুষকে বিশ্বাস করতে শিখে। মূল্যবান কথা গুলো শেয়ার করলে ভালো লাগলো পড়ে।
হুমমমম আপু মেইন কথা গ্রামের মানুষ সরল সজা যার জন্য এমন ৷