|| জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো|| @shy-fox 10% beneficiary
আজ- ২৫ই,ভাদ্র , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল |
নমস্কার-আদাব
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর এপার ওপার সকল সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি ঈশ্বরের কৃপায় ভালোই আছি ৷
কিন্তু আমাদের সমাজে কিছু শ্রেণীর মানুষ আছে যারা কিনা মানুষকে মানুষ চোখে দেখে না ৷ তারা শুধু অর্থের লোভ টাকা গাড়ি বাড়ি ইত্যাদি ৷ তাদের চোখে সেই গরিব মানুষগুলো যারা কিনা দিন এনে দিন খায় মুচি দরিদ্র কৃষক সেসব মানুষদেরকে ছোট চোখে দেখে ৷ সেই সব ধনী ব্যক্তিরা মনে করে একজন মুচির ছেলে একজন দরিদ্র পরিবারের ছেলে কখনো কোন ভালো উন্নত পথে যেতে পারবে না৷ কিন্তু কেন?? দিন শেষে সেও তো চায় মাছ মাংস দিয়ে শান্তি করে এক বেলা ভাত খেতে পারবে৷ কেন একজন একজনের মুচি বাবা তার ছেলেকে বড় ব্যারিস্টার পথে নিয়ে যেতে পারবে না৷ আর পারবেই বা কি করে তারা তো সব জায়গায় দালাল বসিয়ে রেখেছে৷ দিন শেষে সবার জানা উচিত যে বংশের জন্য নয় ৷বরং কর্মই মানুষকে একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে ৷ তাই আসুন আমরা সবাই জাত বর্ণ বিবেক ভুলে গিয়ে মানুষ হিসেবে মানুষকে ভালোবাসি ৷ তবে আমাদের সমাজ রাষ্ট্র তথা সারা বিশ্ব উন্নত থেকে উন্নত মর্যাদায় পৌছাবে৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন!!
Images
কিন্তু আমি এখানে সম্পূর্ণটাই দ্বিমত মত পোষণ করতে চাই ৷এখানে আমার বংশ আমার গোষ্ঠী আমার জাতি সবকিছুকে পেছনে ফেলে সবার আগে আমি আমার কর্মের দিকটা সবচেয়ে আগে বিশ্বাস করি৷ কারণ কর্মের জন্যই মানুষ তার জীবনের অতীত সবকিছু কে ফেলে তারা নতুন জীবনের আঙ্গিকে জীবনকে নতুন করে সাজাতে পারে৷ কিন্তু তবু ও আমাদের সমাজে কিছু সংখ্যক লোক সেই বংশের গুষ্টি ইত্যাদি নানাভাবে খোঁচা দিয়ে কথা বলে থাকে৷ তাদের মতে কি একজন মুচির ছেলে ব্যারিস্টার বা ইঞ্জিনিয়ার বা কোন বড় পুলিশ অফিসার হতে পারে না ৷ সেই প্রশ্নটা মনে থেকেই গেল৷
সেইসব মানুষগুলো যাদের বংশ গোষ্ঠী নিয়ে কথা বলে তারা কি কখনো নিজের দিকে একবার খেয়াল করেছে৷ যে তার আগে কি ছিল৷
Images
যাইহোক তবু আমি দিন শেষে বলতে চাই৷ আমি আমরা যেমনই হই না কেন৷ আমাদের কর্মটাই নিয়ে যাবে ভালো কোন স্তরের দিকে৷ সেটা হোক মুচির ছেলে সেটা হোক কোন দিনমজুর বাবার ছেলে৷ আর হ্যাঁ কর্ম করো কিন্তু ফলের আশা কখনোই করো না ৷কারণ ঈশ্বর আমাদের কর্ম করার জন্যই দুহাত দিয়েছে দু পা দিয়েছে দেখার জন্য দুটি নয়ন দিয়েছে তবে ভয় কিসের কর্ম করো ৷
আর রুখে দাঁড়াও সেই সব মানুষদের উপর যারা কিনা ছোট বংশের দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে কথা বলে৷ রুখে দাঁড়াও সেইসব ব্যক্তিদের উপর যারা কিনা মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করে না ৷আর তাদেরকে দেখিয়ে দেওয়া উচিত যে একজন গরিব বাবার ছেলেো বড় ব্যারিস্টার ইঞ্জিনিয়ার কিংবা পুলিশ হতে পারে৷
অভিবাদন্তে: @gopiray
সমাজে ধনী গরিব উচু নিচু বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে । নিচু শ্রেণীর যারা খুব কষ্টের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তাদেরকে নিচু ভাবেই দেখা হয়। আসলে এটা ঠিক না যে কোন কাজকে ছোট করে ভাবা কখনোই উচিত নয় কারণ প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্য স্বরূপ সেটা নির্ভর করে অনেক ভালো লাগলো আপনার গল্প পড়ে।
হুম আমাদের সবার জানা উচিত যে দিনশেষ আমরা সবাই মানুষ ৷তাই উচু নিচু নয় ,সবাইকে সমান চোখে দেখি
আপনি ঠিক হয়ে বলেছেন আমাদের জন্ম যেখানেই হোক কর্ম অবশ্যই ভালো হতে হবে। আমাদের সৎকর্ম করতে হবে। সৎ পথে চলতে হবে। সকল কর্মই বড়। নিজের কাজকে কখনো ছোট করে দেখা যাবে না। অনেক অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জন্ম যেখানেই হোক কর্ম করো জীবন স্বার্থক হবে হবেই ৷আপনার মন্তব্য পরে ভালো লাগলো ৷
ধন্যবাদ ভাই
একটা সময় ছিল যখন যখন মানুষ বংশ গৌরব করত অন্যের পরিচয়ে চলতো কিন্তু ক্রমেই সেই দিন ঘনিয়ে এসেছে। এখন মানুষ নামে না কর্মগুণে চিনে। তবে হ্যা আপনি যে সমাজের উচু নিচু এর মধ্যে বর্ণবাদের কথা বলেছেন এটা এখনো কিছুটা হলেও আছে।।
হুম ভাই আজও আমাদের সমাজে কিছু মানুষ বর্ন উচু নিচু বংশ নিয়ে কথা বলে ৷যেটা ঠিক না ৷
খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ
একদমই ঠিক বলেছেন। আমাদের মা বাবারা সব সময়ই চায় যে তারা যে কষ্ট করেছেন পরবর্তীতে তার ছেলে মেয়েরা যেন সেই কষ্ট না পায়। আর এই ভাবেই চাহিদা বাড়তে থাকে। তবে একটা কথা মাথায় রাখা উচিত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য যেন কখনই আমাদের খারাপ পথে পাড়ি না দিতে হয়।ভালোভাবে সৎ উপায়ে চলে একটু অল্প ইনকামেও ভালো থাকা যায়। আর একটা বিষয় ঠিকই মনে রাখতে হবে সব সময় আমি আমার এসবে আটকে না থেকে একটু চ্যারিটি মূলক কাজ করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
হুম দিদি ঠিক বলেছেন উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য যেন খারাপ পদে পারি না দেই ৷
গঠন মূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ